আমি তোমার জন্য এসেছি-(পর্ব-৭২,শেষ পর্ব)

আঙ্কেল প্রিয়া অসুস্থ এটা আমরা গত তিনদিনে সবাই বুঝতে পারছি।প্রিয়াকে একজন ভালো সাইকোলজিস্ট দেখনো উচিত বলে আমি মনে করি।তোমরা সবাই কি বলো, আরাফ তুই কি বলিস বলেই আরমান ফিরল।ভাইয়া আমি অনেকদিন জাপানে ছিলাম এখানে তেমন কাউকে চিনি না তোমার পরিচিত কেউ থাকলে কথা বলো।মিরা আন্টি আপনি কি বলেন বলেই রিতা মিরার কাঁধে হাত রাখল।আমি কিছুই জানি না আমার মেয়ের হাসি মাখা মুখটা দেখতে চাই।কাঁদতে কাঁদতে মিরা আজাদের কাঁধে মুখ লুকাল আজাদ মিরার কান্না পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠল।আরাফ প্রিয়া কোথায়? বড় ভাইজান প্রিয়া ঘুমাচ্ছে মাত্র ঘুম পাড়িয়ে আসলাম।রিতা আমার মোবাইলটা নিয়ে আস ডাক্তার মাহবুবুল আলম স্যারকে একবার ফোন দেই। আরমান মোবাইল হাতে নিয়ে ডাক্তার মাহবুবুল আলম এর নাম্বারটা ডায়াল করলো স্যার বলেই সালাম দিল। নিজের পরিচয় দিয়ে বললো স্যার আমার বোন একটু মানসিক ভাবে অসুস্থ তাই আপনার সিরিয়াল দিতে চেয়েছিলাম।আপনি কখন বসবেন.?

সকালঃ-১০.০০টা।ওকে স্যার রোগীর নাম পাপিয়া জাহান প্রিয়া।জ্বী ১০নং সিরিয়াল তাহলে আমরা সকাল ১১.০০ টা পরেই আসবো।ধন্যবাদ স্যার রাখছি, আল্লাহ্ হাফেজ।ডাক্তার মাহবুবুল আলম প্রিয়ার কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা দেয় এবং তার রিপোর্ট নিয়ে আসে আরাফ।ততক্ষনে প্রিয়া পুরো চেম্বারের মানুষকে অতিষ্ট করে তুলে সবাই পাগল পাগল বলে প্রিয়ার পিচু নেয়।আরমান প্রিয়াকে শান্ত করতে পারে না ডাক্তার মাহবুবুল আলমও ক্লান্ত এমন রোগী আগে কখনো আসে নাই।

রিপোর্ট দেখে ডাক্তার জানায় প্রিয়া মানুষিক ভাবে অসুস্থ তার চিকিৎসা প্রয়োজন।আজাদের ফোন প্রিয়াকে দেখে ডাক্তার কি বললো? আরাফ বাকরুদ্ধ হয়ে কাঁদতে কাঁদতে সবটা জানায় আজাদ, মিরার কান্নাকাটিতে সারাবাড়ি শোকাহত।প্রিয়াকে আফাতত ঢাকা একটা হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে ৩ মাস হলো। মিরা, আজাদ, আরাফ নিয়মিত হাসপাতালে প্রিয়ার কাছে থাকে চিকিৎসা চলছে প্রিয়ার কোন উন্নতি নেই।

শ্রেয়া, মিতু,রোহান, রিতা,আরমান সবাই প্রিয়াকে হাসপাতালে দেখতে যায়।ডাক্তার প্রিয়াকে উন্নত চিকিৎসায় দূত সুস্থ হবার জন্য পাবনা নিতে বলছে। কিন্তু মিরা,আজাদ চাইলেও আরাফের মত নেই তার বিশ্বাস ঠিতমতো চিকিৎসা চললে প্রিয়া সুস্থ হবে বাকিটা আল্লাহ্ ভরসা।মনোয়ারা এখন চোখে দেখে না প্রিয়ার অসুস্থতার পর থেকে চোখের আলো হারিয়ে ফেলছেন।অমি মাঝে মাঝে বাবার সাথে মিষ্টি আন্টি প্রিয়াকে চকলেট নিয়ে দেখতে যায়। পাপা মিষ্টি আন্টি আমাকে আর চকলেট দেয় না সব একা খেয়ে মন খারাপ করে বলে অমি। বাবা মিষ্টি আন্টি অসুস্থ সুস্থ হলেই তোমার জন্য চকলেট নিয়ে আসবে। কথা গুলো বলতে বলতে আরাফের চোখ থেকে কয়েক ফোঁটা নোনা পানি ঝরে পড়ে।তোমার চোখে পানি দেখলে আমার খুব কষ্ট হয় প্লীজ কেঁদো না বলেই শ্রেয়া আঁচলে মুখ ঢাকে।পাপা মিষ্টি আন্ট হাসপাতালে কেন? বাসায় নিয়ে চল আমরা খেলা করবো।

সন্ধ্যায় নামাজ শেষে মনোয়ারা বিছানা থেকে নেমে রুমের বাইরে আসে। রহিমা কোথায় তুই? খালাম্মা বলেই রহিমা চিৎকার করে গিয়ে মনোয়ারাকে ধরে। খালাম্মা এখনি তো সর্বনাশ হয়ে যেত আমি না আসলে আপনি তো সিঁড়ির নিচে থেকে পড়ে যেতেন।বেঁচে থেকে আর কি করবো এই বয়সে কষ্টটা আর সহ্য করতে পারছি না।রহিমার চোখে পানি খালাম্মা প্রিয়া আপামনি কেমন আছেন.? মনোয়ারা বাচ্চাদের মতো কেঁদে ওঠে প্রিয়া ভালো নেই ডাক্তার প্রিয়াকে পাবনা মানষিক হাসপাতালে টান্সপার করেছে।

খালাম্মা আপনি এসব কি বলতেছেন আপামনি পাগল হয়ে গেছে বলেই রহিমা কেঁদে ফেলে।রহিমা আরমানকে কল দে আমি একটু কথা বলবো,জ্বী খালাম্মা রিং হচ্ছে ধরেন।হ্যালো আরমান?হ্যাঁ মা কেমন আছো?ভালো,প্রিয়ার ব্যাপারে সবটা শোনছো?হ্যাঁ মা গতকাল রিতা প্রিয়াকে দেখতে গিয়েছিলো আমাকে সবটা বলছে।আরাফ শ্রেয়াকে নিয়ে আমি একটা ছোট পরিসরে অনুষ্টান করতে চাই তোমরা কি বলো?জ্বী মা আমিও এটা ভাবছিলাম,আরাফাত ফোন করে বলছিলো আত্মীয়স্বজনদের সবাইকে জানানো জন্য।তাহলে ভালোই হলো তোমাদের মতামত পেয়ে গেলাম বলেই মনোয়ারা হাসে।মা তুমি আরাফের সাথে কথা বলে একটা তারিখ ঠিক করো আমি আছি।আচ্ছা রাখছি বাবা বলেই মনোয়ারা রহিমাকে পাঠাল শ্রেয়াকে ডাকতে।মা আমাকে ডেকেছেন?

হ্যাঁ ছোট বউমা চৌধুরী বাড়ির বিয়ে মানে সারা শহর জানবে কিন্তু তোমাদের বিয়েটা আমাদের আত্মীয় স্বজন অনেকেই জানেন না। প্রিয়া অসুস্থ কয়েকদিনের মধ্যেই প্রিয়াকে পাবনা মানষিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হবে। জানিনা আর কোনদিন সে আমাদের সাথে এভাবে উপস্থিত থাকতে পারবে কিনা! তাই ওরে একটু আনন্দ দিতে চাই।মনোয়ারার কথায় সবাই শ্রেয়া কষ্ট পেল,এমন কথা বলবেন না মা প্রিয়া খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসবে।আরাফের চোখে পানি এই বিয়ের জন্যই তো প্রিয়া আজ মানষিক ভাবে অসুস্থ সেটা অনুষ্টান আমি চাই না। মা থাক না আস্তে আস্তে না হয় জানবে প্রিয়া অসুস্থ এই সময় কোন আনন্দ অনুষ্টান আমি চাই না। আরাফের এমন কথায় মনোয়ারা রাগ করে বলে তাহলে দেশে আসলে কেন জাপানে থেকে যেতে।তাহলে আমি কাঁদতাম প্রিয়া মেয়েটা অন্তত সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকতো বলে মনোয়ারা চশমা খুলে চোখ মুছল।স্যরি মা আমি ওভাবে বলতে চাইনি আচ্ছা তুমি বলো তবে অনুষ্টান করতে চাও?আগামী শুক্রবার আরামান,আরাফাত, সয়মান, তোমার বোন আরিফার সাথেও কথা হয়েছে সবাই আসবে।

খালাম্মা বড় আপাও আসবে,ইসস আমার যে কি খুশি লাগতাছে বললো রহিমা।ছোট বউমা? জ্বী মা।জাপানে তোমার ভাই ভাবী রিহান,রাইসাকে ফোন করে বলবে আমি আসতে বলছি।আচ্ছা মা।আরাফ? জ্বী মা।তোমার পরিচিত সবাইকে ৮ডিসেম্বর শুক্রবার উপস্থিত থাকতে দাওয়াত দিও, বাকিদের আরমান দাওয়াত করবে।আরাফ প্রিয়াকে পাবনা করে নিয়ে যাবে?আগামী ১২ ডিসেম্বর সোমবারে যাব। ডাক্তারে অনুমতি নিয়ে ৭-১১ তারিখ প্রিয়া আমাদের বাসায় থাকবে ১২ তারিখে এখান থেকেই যাবে।আচ্ছা মা আমি কাল ডাক্তার মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরীর সাথে কথা বলবো।

তোমরা যাও আমি ইশার নামাজ পড়বো বলে মনোয়ারা নিজের রুমে চলে যায়।ভাইয়া ভাবীর সাথে কথা বলছি ওনারা আসবেন বললো শ্রেয়া,গুড আমিও পরিচিতদের ইনভাইট করেছি বন্ধু শীলা,রাহাত, অফিস থেকে কয়েকজন আসবে।সকালে থেকে বিয়ে বাড়ির হৈ চৈ অমি তো বেশ খুশি মম,পাপার বিয়ে খাবে বলে বললো আরাফ।সত্যিই তাই নাকি বললো শীলা। হ্যাঁ রে সারা রাত তার মমকে প্রশ্ন করেই চললো। বাচ্চারা এমনি কি বলবো আমার মেয়েটা আমাদের বিয়ের ভিডিও দেখলেই কান্নাকাটি শুরু করে। মা,বাবা তোমাদের বিয়েতে তোমরা আছো আমি নেই কেন?বলেই শীলা হি হি হি হি করে হেসে, আরাফ হাসতে পারল না পিচ্চি প্রিয়া অসুস্থ তাই চাইলেও হাসতে পারে না।

আরাফ শীলাকে নিয়ে এদিকেই আসছিলো হঠাৎ ফটোগ্রাফার শামীম আলী চৌধুরী দেখেই বললো ভাইয়া কেমন আছেন?আরে নতুন জামাই যে আমি ভালো আছি তুমি কেমন আছো? আলহামদুলিল্লাহ্। ভাইয়া আপনি বসুন আমি বড় ভাইয়াকে পাঠাচ্ছি।আরাফাত,সায়মন সবাই ব্যস্ত ছোট ভাইয়ের বিয়ে সবাই আনন্দ মুডে আছে মেহমানেরা আসতেছে। আরিফা ১ মাত্র বোন এত বছর পর আরাফের বিয়ে উপলক্ষে মিলন মেলা সবাই খুশি।শ্রেয়াকে বউয়ের মতো সাজানো হয়নি হালকা সাজ দিয়েছে কারন প্রিয়া আবার কোন অঘটন ঘটাবে কে জানে।গুন্ডা ছেলে আমাকে কেমন লাগছে বলেই প্রিয়া দৌঁড়ে এসে আরাফের সামনে দাঁড়াল।এটা প্রিয়া প্রশ্ন করলো শীলা,রাহাত দুজনেই প্রিয়া তো খুব সুন্দর রাহাত,শীলা মনে মনে বললো, আজ হলুদ শাড়ী পড়েছে মনোয়ার পছন্দে।আরাফ প্রিয়ার কাছে গেল হ্যাঁ এটা আমার পিচ্চি প্রিয়া হলুদপরী প্রিয়া খুশিতে নেচে ওঠে।শীলা নিজের অজান্তে কেঁদে ফেলে বিড় বিড় করে বলে তুমি সেই প্রিয়া। যার জন্য আমি আরাফকে ছেড়ে গিয়েছিলাম তোমরা সুখি হবে বলে আর আজ তুমি পাগল হয়ে গেলে। সত্যিকারের ভালোবাসা হয়ত এমনি হয় প্রিয়াকে না দেখলে বুঝতাম না। আরাফ তোরা কথা বল আমি ওপাশে আছি বলেই রাহাত চলে যায় আড়ালে কাঁদে আরাফ তোর কষ্টটা আমি বুঝতে পারছি।

আরমান মাইক হাতে এলাউস করে আরাফ শ্রেয়া বিবাহিত জীবনের জন্য সবার কাছে দোয়া চায়।প্রিয়া মাইকিং শোনে খুশিতে আরাফকে জড়িয়ে ধরে গুন্ডা ছেলে আমাদের বিয়ের কথা বলতেছে।উপস্থিত সকলে হেসে ওঠে  আরমান সবাইকে জানায় প্রিয়া মানসিক ভাবে অসুস্থ।আর ৩ দিন পর প্রিয়াকে পাবনা মানষিক হাসপাতালে ভর্তি করা হবে তাই অনুষ্টানে প্রিয়াকে আনন্দ দিতে আনা হয়েছে।এবার উপস্থিত সকলের চোখে পানি,পরিস্থিত স্বাভাবিক হয় শামীম আলী চৌধুরী আমার দোস্ত বাংলাদেশের একজন নামকরা ফটোগ্রাফার। পাখির ছবি তুলার জন্য সে বিখ্যাত আপনারা তাকে টিভিতে দেখেছেন বিয়ের ছবি গুলো সে তুলবে।আপনারা সবাই মানষিকভাবে প্রস্তুত থাকুন ছবি তুলার জন্য, প্রিয়া এসে হাজির ফটোগ্রাফার তুমি আমার আর গুন্ডা ছেলের ছবি তুলে দেও না।

শামীম আলী চৌধুরী জানেন প্রিয়া মানষিকভাবে অসুস্থ তিনি হেসে বললেন অবশ্যই তোমাদের ছবি তুলে দিব।রিতা,মিরা,আজাদ মনোয়ারাকে নিয়ে আসলেন বিয়ের স্টেজে পারিবারিক ছবি তুলার জন্য।আরাফ বসল পাশে শ্রেয়া ক্যামেরা রেডি ওদের একসাথে ছবি তুলার জন্য।প্রিয়া ভিতর থেকে এসেই শ্রেয়ার শাড়ী ধরে ঢানতে শুরু করলো তুমি ওঠ গুন্ডা ছেলের পাশে আমি বসবো।মিরা এসে মা-মনি আস আমরা পরে ছবি তুলব প্রিয়াকে থামাতে চায়। প্রিয়া এক জটকায় মিরাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় আমি ছবি তুলবো।শ্রেয়া মুচকি হেসে উঠে আসে প্রিয়া যাও তোমার গুন্ডা ছেলের পাশে বসো আমি মিরা আন্টির সাথে ছবি তুলব। সবাই খুশি হয় একে একে মনোয়ারা,আরাফ,প্রিয়া শ্রেয়া,মিতু,রোহান,রিতা, আরমান,রন্টি,মন্টি,আরারাফ,সায়মন,আজাদ,মিরা,আরিফ সবাই মিলে পারিবারিক ছবি তুলে।জামকালো অনুষ্টানের মধ্য দিয়ে শ্রেয়া আরাফের বিয়ের আনুষ্টানিকতা শেষ হয়।মনোয়ারার রুপের দেওয়ালে আকরাম সাহেবের পাশেই প্রিয়া আরাফের ছবি ঝুলানো,শ্রেয়া আরাফ,রিতা আরমান,সায়মন তার স্ত্রী,আরাফাত তার স্ত্রী,আজাদ মিরা,পুরনো ছবি মনোয়ারা আকমল মনোয়ারার দিন কাটে পুরনো ছবির এলবাম দেখে চোখের জলে।এর মধ্যে প্রিয়াকে পাবনা মানষিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে আজ ৫ মাস।

আরাফ সপ্তাহে ১দিন শুক্রবার প্রিয়াকে দেখতে যায়।মিরা আজাদ পাবনা হাসপাতালের পাশে বাসা ভাড়া নিয়েছে।যাতে মেয়েকে সারাক্ষন দেখতে পারে আজাদ অনেকটা অসুস্থ তবু ডাক্তারের কাছে যায় না।মরতে পারলেই বাঁচে মিরাও যেন না মরে বেঁচে আছে মেয়ে হাসপাতালে অসুস্থ ঘরে স্বামী অসুস্থ।আজকাল নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে অসহায় মানুষ মনে হয় বলতে বলতে কাঁদলো মিরা।আন্টি আমরা আছি তো আপনি টেনশন করবেন না ইনশাল্লাহ্ প্রিয়া সুস্থ হয়ে যাবে।বউমা তোমরা আছো বলেই আজো মরতে পারছি না বলেই মিরা আজাদের দিকে তাকাল। আরাফ আমার সুখের সংসারটা কয়েক মাসের ব্যবধানে দুঃখের সাগরে ভেসে গেল বললো আজাদ।আঙ্কেল,আন্টি চলেন প্রিয়ার সাথে দেখা করার সময় দুপুর ২.০০ টা একটু আগেই যেতে চাই আজাদ রেডি,মিরা প্রিয়ার জন্য রান্না করছে সেগুলো ব্যাগে নিয়ে ওরা রওনা হলো।প্রিয়া এখানে কোন দুস্টুমি করে না,কথা শোনে খুব লক্ষী মেয়ে,সবার খেয়াল রাখে তবে খেতে চায় না।বিরক্ত করে বলে গুন্ডা ছেলের হাতে খাব তারপর অনেক মিথ্যা বলে খাওয়ানো হয় কখনো না খেয়ে রাতে ঘুমিয়ে পড়ে।ভিতরে যাবার অনুমতি নেই প্রিয়াকে এখানে ডেকে আনা হবে একজন নার্স গেল প্রিয়াকে ডাকতে স্যার আমি যেতে পারবো।বললো আরাফ,ওকে যান বুঝেনেই তো সবাই মানসিকভাবে অসুস্থ মাথা ঠিক নাই একটু দূরত্বে থাকবেন।জ্বী স্যার বলেই চলে গেল,প্রিয়া চল তোমার বাড়ির লোক আসছে না আমি যাব না বলেই প্রিয়া মুখ ঘুরিয়ে বসে থাকে।আপনি সরেন আমি দেখছি বলেই আরাফ রুমের ভিতরে উঁচি দেয় সারা রুমের দেয়ালে লেখা গুন্ডা ছেলে।লেখা গুলো পড়তে পড়তে আরাফের চোখে পানি আসে প্রিয়া আমাকে এতটা ভালোবাসতো...!

আরাফ অফিস কক্ষে ফিরে আসে ডাক্তার মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরীকে বিনীতভাবে অনুরোধ জানায়।স্যার আমাকে প্রিয়ার সাথে এখানে থাকতে দিবেন বলেই কান্না করে প্লীজ আমি পিচ্চি প্রিয়াকে ছাড়া ভালো নেই।আরাফ সাহেব আপনি শান্ত হওন এখানে শুধু মাত্র মানষিক রোগীরা থাকতে পারবে বাইরের মানুষ থাকার নিয়ম নেই। কিন্তু স্যার আমি এখানে গেইটের দারোয়ান বা অন্য কোন কাজ করবো প্লীজ আপনি একটু ব্যবস্থা করে দেন।আরাফের আকুতি,মিনতি ডাক্তার মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী মনকে কাঁদিয়ে তুলে।প্রিয়াও গুন্ডা ছেলেকে ছেড়ে আমি যাব না বলেই ডাক্তারের টেবিলের ফুলদানিটা দিয়ে নার্সকে ছুঁড়ে মারতে চায়।কেউ প্রিয়াকে থামাতে পারে না আরাফ ডাক দেয় পিচ্চি প্রিয়া আমি বলছি শান্ত হও।বলার সাথে সাথেই প্রিয়া শান্ত হয়ে যায়,নার্স জানায় স্যার আরাফ সাহেবকে দেখে সব রোগী শান্ত হয়ে যায় আমি খেয়াল করেছি।ডাক্তার মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী অবাক হয় তাহলে ওনাকে হাসতাপালের কাজে রাখা যাবে।প্রিয়া আরাফকে জড়িয়ে কাঁদতে থাকে গুন্ডা ছেলে তোমার জন্য আমার কষ্ট হয়, শ্রেয়া অপরাধবোধ থেকে মুক্তি চায়।ডাক্তার মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরীকে অনুরোধ করে স্যার প্রিয়া আমার ছোট বোন।ওর সেবা করার আমাদের একটু সুযোগ দেন প্লীজ আরাফ আমার স্বামী।আপনি আরাফকে মানষিক হাসপাতালে রোগীরা প্রিয়া যেখানে থাকে ওই রুমের গেইটের দারোয়ারের চাকরিটা দেন আমরা তাতেই খুশি।আজাদ,মিরা,আরাফ,নার্স ডাক্তার মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী সবার চোখে পানি,,আচ্চা যান আপনি আজ থেকে আমাদের একজন বলে ডাক্তার সাহেব আরাফের কাধে হাত রেখে বাহবা দেয়।আরাফ চিৎকার করে বলে ওঠে পিচ্চি প্রিয়া আজ থেকে আমি শুধু তোমার গুন্ডা ছেলে এখানে পৃথিবীর আর কারো কোন অধিকার নেই তুমি শুধু আমার।

আরাফ সারাদিন প্রিয়ার দিকে চেয়ে থাকে কখন কি লাগবে,কি খাবে, কখন ঘুমাবে আরাফ সব খেয়াল রাখে।রাতে ঘুম পাড়ানি গান না গাইলে প্রিয়ার ঘুম আসে না তাই আরাফ সারা রাত জেগে থেকে গান শোনায়।গভীর রাতে যখন চাঁদটা রাতের মায়ায় হারিয়ে যায় প্রিয়াও তখন ঘুমিয়ে যায় জেগে থাকে আরাফ।মানষিক হাসপাতালে চাকরি নেওয়ার পর থেকে আরাফ কোন বেতন নেয় না বরং তার ব্যবসা থেকে যা আয় হয় শ্রেয়া তার অর্ধেক টাকা পাবনা মানষিক হাসপাতালে দেয়।গত ৫বছর ধরেই চলছে এই নিয়ম আরাফ রাতে ঘুমায় না প্রিয়ার পাশে দরজার সামনে গ্রীল ধরে দাঁড়িয়ে থাকে।প্রিয়ার ঘুম ভাঙ্গলে চোখ খুলে প্রথম আরাফের মুখটা দেখতে চায় বলে সে সারারাত না ঘুমিয়ে জেগে থাকে।আজও মধ্যরাতে প্রিয়া দুঃস্বপ্ন দেখে চিৎকার করে ওঠে গুন্ডা ছেলে তুমি কোথায় আমাকে ছেড়ে যেও না? আরাফ গ্রীলের ওপাশ থেকে প্রিয়ার মাথায় হাত বুলিয়ে বলে পিচ্চি প্রিয়া "আমি তোমার জন্য এসেছি" তুমি ঘুমাও আমি আছি যাব না।বাইরে পাহারাদারের পায়ের আওয়াত আরাফ শুনতে পায় চারপাশে নিরবতা বিরাজমান সবাই ঘুমিয়ে পড়ছে।জীবনের সব লেনাদেনা শেষে আরাফ প্রিয়ার উপন্যাসের শেষ হয়, শ্রেয়ারা জীবনে কারো গল্পের নায়িকা হতে পারে না ঠিকই কিন্তু ওদের ছাড়া সব গল্পই অস্পূর্ণ থাকে।

....সমাপ্ত....

0 Shares

৩৪টি মন্তব্য

  • নিতাই বাবু

    আজও মধ্যরাতে প্রিয়া দুঃস্বপ্ন দেখে চিৎকার করে ওঠে গুন্ডা ছেলে তুমি কোথায় আমাকে ছেড়ে যেও না? আরাফ গ্রীলের ওপাশ থেকে প্রিয়ার মাথায় হাত বুলিয়ে বলে পিচ্চি প্রিয়া “আমি তোমার জন্য এসেছি” তুমি ঘুমাও আমি আছি যাব না।বাইরে পাহারাদারের পায়ের আওয়াত আরাফ শুনতে পায় চারপাশে নিরবতা বিরাজমান সবাই ঘুমিয়ে পড়ছে।জীবনের সব লেনাদেনা শেষে আরাফ প্রিয়ার উপন্যাসের শেষ হয়, শ্রেয়ারা জীবনে কারো গল্পের নায়িকা হতে পারে না ঠিকই কিন্তু ওদের ছাড়া সব গল্পই অস্পূর্ণ থাকে।

    শুভেচ্ছা অভিনন্দন! খুব সুন্দরভাবে “আমি তোমার জন্য এসেছি” উপন্যাসটি শেষ করতে পেরেছেন। আবারও অভিনন্দন।

  • ইঞ্জা

    মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গেলো, জীবন মানুষকে যে কই নিয়ে যায় তা আপনার গল্প পড়লেই বুঝা যায়।
    প্রিয়া যদি সুস্থ হয়ে উঠে ভালো হতো, আরাফের জন্য কষ্ট হচ্ছে।
    আপনার শেষ পর্ব পড়ে মন চাইছে লেখায়ি আরও বড় করে পড়তে, আরেকটু বড় হতেই পারতোনা আপু?

    • সুরাইয়া নার্গিস

      ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় ভাইজান।
      উপন্যাসটা আজ শেষ পর্ব এটা লিখতে গিয়ে আমারও মন খারাপ হয়েছে।ভাইজান লেখক চাইলে উপন্যাসটা ১০০ পর্বে শেষ করতে পারতো। তবে ভাইজান কিছু কিছু গল্পের শেষ হয়েও হয় না,কিছু কথা উহ্য থাকলে পাঠকের মনে সেগুলি এক এক ভাবনার তৈরি করে, যার কারনে পাঠক নিজের মতো করে শেষটা তৈরি করে নেন।
      এর জন্যই পরবর্তী লেখার প্রতি পাঠকদের অাগ্রহ বাড়ে, আবার না হয় ফিরে আসবো অন্য গল্প নিয়ে।
      দুঃখিত ভাইজান আপনাকে কষ্ট দিবার জন্য,লেখাটা আজ শেষ পর্ব বলে ফেলছি নতুন করে শুরু করলে সবাই অন্য ভাবে নিবে। আপনার ভালো লেগেছে এটাই আমার জীবনের সেরা পাওনা।
      আপনাদের ভালোবাসায় সিক্ত আমি, ধন্য আমার ব্লগ জীবন।

      ভালো থাকুন,
      শুভ কামনা রইল।

  • তৌহিদ

    আপনার পুরো গল্পটিতে চমৎকারভাবে প্রেমের কাব্যিকতা ফুটিয়ে তুলেছেন। শেষটাতো অসম্ভব সুন্দর ছিলো। আরাফ প্রিয়ার নিজেদের এই ভালোবাসা বেঁচে থাকুক অনাদি অনন্তকাল। আশাকরি শিঘ্রই নতুন লেখা নিয়ে আসবেন আমাদের মাঝে।

    শুভকামনা সবসময়।

    • সুরাইয়া নার্গিস

      ধন্যবাদ ভাইজান।
      আপনার সুন্দর মন্তব্যে আবেগ আপ্লুত হলাম, উপন্যাসটা লিখে আমিও খুশি কারন আরাফ,প্রিয়া সবার হৃদয়ে জায়গা করে নিতে পেরেছে।
      উপন্যাসের প্রতিটা চরিত্র আমার আপনজনের মতো লাগছে, সবাইকে মিস করবো।
      আরাফ, প্রিয়ার ভালোবাসার শেষ নেই যুগ যুগ বেঁচে থাকার আমাদের মাঝে এটাই আমার লেখার স্বার্থকত।
      দোয়া রাখবেন ভাইজান ভবিষ্যৎ আবার লিখবো নতুন গল্প।

      ভালো থাকুন,
      শুভ কামনা রইল।

  • শামীম চৌধুরী

    বোন সুরাইয়া,
    প্রথমে আমি তোমার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি তোমার গল্পের শেষ পর্বে আমাকে নিয়ে আসার জন্য। সোনেলার স্বনামধন্য ও গুনী দুইজন ব্যাক্তির নামও ঠাঁই পেয়েছে তোমার গল্পে। সবচেয়ে ভাল লেগেছে তিনজনের চরিত্রে তুমি তাদের বর্তমান তুলে ধরেছো। তোমার ৭২ পর্বের গল্পের বেশ পর্ব আমার পড়া। কয়েকটি বিভিন্ন কারনে পড়া হয়নি। তবে পড়ে নিবো।
    প্রিয়ার মানসিক ভারসাম্য হারানোতে খুব কষ্ট পেলাম। প্রিয়ার দ্রুত সুস্থ্যতা কামনা করছি। সুন্দর নিটোল একটি গল্পের লেখিকা হিসেবে তোমাকে জানাই সালাম। গুনীজনের গুনাবলী ফুঁটে উঠে তাঁর কর্মে। তুমি যে একজন বড় মাপের গুনী লেখিকা তা সবার কাছে চাঁদের মতন পরিস্কার। এই গুনাবলী কোন অর্থের বিনিময়ে অর্জিত হয় না। প্রেম যেমন স্বর্গীয় তেমন প্রতিভা বিকশিত হওয়াও আল্লাহর দান। সবাই কম বেশী প্রতিভা নিয়ে জন্মায়। কেউ প্রতিভা প্রকাশ করতে পারে কেউ পারে না। আর শিশুরাল থেকে এই প্রতিভা বিকাশ হবার পিছনে পরিবারের অবদান সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন। পরিবার থেকে সমর্থন না থাকলে বেশী দূর এগিয়ে যাওয়া যায় না। আমার বিশ্বাস তুমি পরিবার থেকে তোমার প্রতিভাকে আলোকিত করার সুযোগ পেয়েছো বলে তুমি আজ বড়মাপের একজন গল্পকার হয়ে আমাদের মাঝে আছো। যাহা হোক, সর্বশেষ কথা হচ্ছে যে, গল্পে কাল্পনিক প্রিয়া বহু ছবি তুলিয়েছো। আর তারাও যারপরনাই খুশী।
    তবে কথা দিচ্ছি যদি আমি বেঁচে থাকি তোমার বিয়ের সব ছবি আমি নিজ হাতে তুলে একটা এ্যালবাম তোমাকে উপহার দিবো। যেখানে থাকবে তোমার জীবন সঙ্গী থেকে শুরু করে আমার পরিবারের সবাই। আমার ছোট্ট পুতুল বোনটার কাছে সবিনয়ে অনুরোধ ও দাবী রইলো সেই সুযোগটা যেন আমাকে দেয়া হয়।
    সামনে আরো প্রিয়াদের এমন সুন্দর নিটোল ও নীরেট প্রেমের গল্প পড়তে চাই।
    তোমার জন্য রইলো শুভ কামনা। ভাল থেকো বোন আমার।

    • সুরাইয়া নার্গিস

      ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় ভাইজান।
      আপনার এত সুন্দর মন্তব্য পড়ে আমি আবেগ আপ্লুত হলাম।
      সত্যি আমি মুগ্ধ লেখাটা এত বড় হবে কখনো ভাবি না সকল ব্লগারদের উৎসাহপূর্ণ মন্তব্য আমাকে উপন্যাসটা লেখায় অনুপ্রেরণা যোগাত।আপনার মূল্যায়ন দেখে আমি সিক্ত, লেখাটা সবার ভালো লেগেছে এটা দেখে আমার লেখা স্বার্থক মনে হচ্ছে।
      আপনাদের মতো গুণীজনদের কাছে এত সুন্দর মতামতে আমাকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।আপনি এত ভালো লেখেন যে আমি পড়ে মুগ্ধ হই, আপনার লেখা পড়ে শিখতেছি। দোয়া রাখবেন ভাইজান যাতে লেখালেখিটা চালিয়ে যেতে পারি।

      বিয়েটা আল্লাহর হাতে আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখলে আমার বিয়ে হলে ইনশাল্লাহ্ অবশ্যই আপনার দাওয়াত থাকবে।
      আপনাকে আমার বিয়েতে পাওয়া তো আমার পরম সৌভাগ্য বলে জানবো।

      দোয়া রাখবেন আমার জন্য, আপনার জন্যও দোয়া রইল।
      ভালো থাকুন,
      শুভ কামনা রইল।

  • সুপর্ণা ফাল্গুনী

    খুব সুন্দর ভাবে আপনি আপনার উপন্যাস টি সমাপ্ত করলেন। শ্রেয়া দের মতো অনেকেই কারো নায়িকা হতে পারে না কিন্তু তাদের জন্য অনেকের গল্প অসম্পূর্ণ থাকে।এতো অল্প বয়সে এমন একটি লেখা লিখে আপনি আপনার লেখার ধার চিনালেন, ভবিষ্যতে আরো আরো সমৃদ্ধ ও উন্নত মানের লেখা আশা করছি। আপনি লেগে থাকুন। একজন নামকরা লেখকের কাতারে আপনাকে দেখতে চাই। আপনার ধৈর্য, নিষ্ঠা, আন্তরিকতা দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়েছি। সোনেলার সবাইকে উপন্যাসে যুক্ত করে আরো বেশী স্মরণীয় করে রাখলেন উপন্যাসটিকে। অফুরন্ত কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ আপনাকে। নিরাপদে থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা অবিরাম

    • সুরাইয়া নার্গিস

      ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় দিদি ভাইয়া।
      এত সুন্দর মন্তব্য পড়ার পরে কি লিখবো ভেবে পাই না, উপন্যাসটা লিখার পিচনে সকল ব্লগারের অবদান রয়েছে।বিশেষ করে আপনি নিয়মিত আমার উপন্যার পড়ে উৎসাহমূলক মন্তব্য করতেন।যেটা আমাকে পরবর্তী পর্ব লেখার জন্য আগ্রহ বাড়িয়ে দিত,অনুপ্রেরণা যোগাত।আপনার এত প্রশংসায় আমি আবেগ আপ্লুত হলাম দিদি ভাই উপন্যাসে যাদের নাম আছে বই প্রকাশ পেলেও সব নাম থাকবে।
      উপন্যাসটা আরেকটু বড় করা যেত তাতে হয়ত ভালো লাগার রেশটা কমে যেত, তাই ভালো লাগাটা রেখেই শেষ করলাম।
      দোয়া করবেন দিদি ভাইয়া আপনাদের চাওয়া যেন পূর্ণ করতে পারি।
      কাল সোনেলার সকল ব্লগারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ একটা পোষ্ট লিখবো।

      ভালো থাকুন,
      শুভ কামনা রইল দিদি ভাই।

  • Dr. Major Ariful Sany

    কখনো কখনো মনে হচ্ছে লেখাটা একটা মনস্তাত্ত্বিক,আবার কখনো মনে হচ্ছে বাস্তব দিক তুলে ধরা,
    অনেকেই অনেক কথা বলেছেন তাই নতুন করে আমি আর কিছু বলবো না,তবে একটা কথা না বললেই নয়, সেটা হলো নতুন লেখার অপেক্ষায় রইলাম।
    “শুধু শুভ কামনা নয় সাথে আরো অনেক কিছু”

  • সুপায়ন বড়ুয়া

    একে একে ৭২টি পর্ব লিখে খুব সুন্দর ভাবে আপনি আপনার উপন্যাস টি সমাপ্ত করলেন। শ্রেয়া দের মতো অনেকেই কারো নায়িকা হতে পারে না কিন্তু তাদের জন্য অনেকের গল্প অসম্পূর্ণ থাকে।
    আপনার ধৈর্য ও একাগ্রতার প্রশংষা করতেই হয়।
    একটি সুন্দর পরিসমাপ্তি টানলেন।
    শুভ কামনা।

    • সুরাইয়া নার্গিস

      ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় দাদা ভাই।
      সত্যি বলতে উপন্যাসটা এত সুন্দর করে লিখতে পারবো ভাবি নাই, লেখার শেষে আমি নিজেই মুগ্ধ। উপন্যাসের সব কৃতীত্ব আপনাদের সবার কারন আপনাদের উৎসাহ্ লিখার সাহস পেয়েছি ৭২ টা পর্ব শেষ করলাম।
      দাদা ভাই সকল ব্লগারের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ একটা পোষ্ট ব্লগে লিখছি সময় করে পড়ে নিবেন।

      ভালো থাকবেন,
      শুভ কামনা রইল দাদা ভাই।

  • সাবিনা ইয়াসমিন

    কিছু গল্প শেষ হয়েও সমাপ্ত হতে পারে না। এর রেশ রয়ে যায় পাঠকের মনে। ঠিক যেমন হয় মানুষের জীবন। সম্পুর্ন একটি উপন্যাস পরিসমাপ্ত করার জন্যে আপনাকে অভিনন্দন। এমন করে আরও অনেক গল্প/উপন্যাস আপনার কাছে পাওয়ার প্রত্যাশা বেড়ে গেলো। আগামীদিনের জন্যে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা। ভালো থাকুন। 🌹🌹

    • সুরাইয়া নার্গিস

      ধন্যবাদ মিষ্টি আপু।
      সবার ভালোবাসায় আমি সিক্ত সবাই আমার উপন্যাসটা এত সুন্দর ভাবে গ্রহন করবে ভাবতে পারি নাই। আমার প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি পেয়েছি অনেক ভালো লাগছে নিজেকে সফল মনে হচ্ছে।
      মিষ্টি আপু সোনেলার সকল ব্লগারদের প্নতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ একটা পোষ্ট করেছি সময় পেলে পড়ে নিবেন।

      ভালো থাকুন, শুভ কামনা রইল।

    • সুরাইয়া নার্গিস

      অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।
      দাদা আপনাদের সবার উৎসাহ পেয়ে উপন্যাসটা সুন্দর ভাবে শেষ করতে পারলাম।
      আমার ইচ্ছা আছে এখন বাকিটা আল্লাহ্ চাইলে বই বের করতে পারবো ইনশাল্লাহ্ দাদা।
      সোনেলার সকল ব্লগারের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার স্বরুপ ব্লগে নতুন একটা লেখা প্রকাশ করছি সময় পেলে পড়বেন।

      ভালো থাকুন,
      শুভ কামনা রইল।

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ