আমি তোমার জন্য এসেছি-(পর্ব-৭১)

তুমি নামাজ পড়তে যাও আমি আসছি, শ্রেয়া চলে গেল।ততক্ষনে আজাদ,মিরা নামাজ পড়ে ফিরল।আরাফ যাও ভোর রাত ৪.৪০মিনিট নামাজ পড়ে একটু ঘুমিয়ে নেও শরীরটা বিশ্রাম পাবে।না আঙ্কেল! পিচ্চি প্রিয়ার ঘুম ভেঙ্গে যাবে বলে আরাফ শুয়া থাকে এক চুলও সরল না।বাবা তুমি যাও আমরা প্রিয়ার কাছে আছি বলে মিরা জুতা ছেড়ে বিছানায় ওঠে প্রিয়ার পাশে বসল।

আরাফ প্রিয়ার মাথাটা মিরার কোলে রেখে বললো আন্টি প্রিয়াকে দেখে রাখবেন।আজাদ হেসে বললো পাগল ছেলে বাবা মায়ের কাছে সন্তান নিরাপদ থাকে তুমি যাও।আসছি আঙ্কেল বলেই আরাফ ওর রুমে চলে গেল, একটু ঘুমিয়ে নেও তোমার শরীরটা দূর্বল।মিরার কথা শুনে আজাদ প্রিয়ার পাশে শুয়ে পড়ল দুদিনে মেয়েটার মুখটা শুকিয়ে গেছে।চোখের নিচে খালি পড়েছে খাওয়া নেই,ঘুম নেই আরাফ,আরাফ করে পাগল হয়ে যাচ্ছে বলেই আজাদ মন খারাপ করলো।মিরা তুমিও ঘুমাও প্রিয়া তো ঘুমাচ্ছে সকাল হলেই আমরা বাসায় ফিরব,,,

চারপাশ নিরবতা হয়ত সবাই ঘুমিয়ে পড়ছে,প্রিয়া আজাদ ঘুমাচ্ছে মিরাও চোখ বন্ধ করলো।গুন্ডা ছেলে তুমি কোথায় বলেই ঘুম থেকে চিৎকার ওঠে প্রিয়া।কি হয়েছে মা স্বপ্ন দেখছিস বলেই মিরা প্রিয়ার দিকে তাকায়! আজাদের ঘুমটা ভেঙ্গে যায়।আপনারা কে? এখানে কি করছেন.? আমার বন্ধু গুন্ডা ছেলে কোথায়?আমাদের চিনতে পারছিস না আমি তোর বাবা বলেই আজাদ নিজের দিকে ইশারা করে।প্রিয়া চিৎকার করে বিছানা ছেড়ে নিচে নেমে আসে গুন্ডা ছেলে আমাকে বাঁচাও ওরা আমাকে মেরে ফেলবে।শেখর সাহেব স্ত্রী সহ,ফরিদ সাহেব ওনারা ভোরে চলে গেছেন, মিতু, রোহান পরে প্রিয়াদের নিয়ে যাবে।

প্রিয়ার চিৎকারে মিতু দৌড়ে এল,কে তুমি?কি করছো?মিতু নিজের পরিচয় দেয় প্রিয়া চিনতে পারে না।সারা বাসা জুড়ে আরাফকে খোঁজতে থাকে, রিতা,আরমান কেউ প্রিয়াকে শান্ত করতে পারে না।অমি দৌঁড়ে যায় মম মিষ্টি আন্টি কাঁদতেছে তুমি চল দেখবে।শ্রেয়া কিচেন থেকে তাড়াতাড়ি প্রিয়ার রুমে যায় প্রিয়া চিৎকার করছে গুন্ডা ছেলে তুমি কোথায়..শ্রেয়াকে ১ পলক দেখা মাত্রই প্রিয়া আজাদের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে ছুড়ে মানে।

আমাকে বাঁচাও মারতে আসছে বলেই শ্রেয়াকে ইশারা করে।একটুও জন্য প্রিয়ার ছুঁড়া ঢিলে মনোয়ারার শখের ফুলদানিটা ভেঙ্গে যায় শ্রেয়া আঘাত পায়নি।মনোয়ারা প্রিয়ার চিৎকার শুনে আসে কি হয়েছে মামনি... প্রিয়া কাঁদতে কাঁদতে বলে বুড়ি মা তুমি আমার গুন্ডা ছেলেকে এনে দেও।হ্যাঁ মা তুমি কেঁদো না আমি তোমার গুন্ডা ছেলেকে ডাকছি বলেই মনোয়ারা এদিক ওদিক তাকাল।রহিমা শ্রেয়া কোথায়? খালাম্মা ভাবি মাত্র এখানে আসছিলো আপামনি তাকে দেখলে ভয় পায়, মাত্র ঢিল ছুঁড়ে মারছিলো।অল্পের জন্য বেঁচে গেছে,বলিস কি?না মা ও কিছুনা আপনি বলুন,কেন ডাকছেন।বউমা আরাফের ঘুম ভেঙ্গেছে?না মা ও ঘুমাচ্ছে।

সমস্যা নেই আমি ডেকে পাঠাচ্ছি বলেই শ্রেয়া ওর রুমের দিকে চলে গেল।প্রিয়া কি হয়েছে বলেই রিতা ভাবী প্রিয়ার সামনে এসে দাঁড়াল।ওরা সবাই আমাকে এভাবে দেখছে কেন বলেই প্রিয়ার চিৎকার বাড়ে,মা আপনারা দয়া করে আমাকে ক্ষমা করুন। বলেই আজাদ হাত জোর করে সবার কাছে ক্ষমা চায়,মিরাও লজ্জিত ভাবে সবার দিকে তাকায়।ভাবী মেয়েটার পাগলামীর জন্য আমরা দুঃখিত বলেই মিরা মনোয়ারার হাত চেপে ধরে।তুমি থামো আমার কিছুই ভালো লাগছে না প্রিয়ার অস্বাভাবিক আচরন আমাকে চিন্তিত করে ফেলতেছে।ওগো শুনছো হুম,তাড়াতাড়ি ওঠ বলে শ্রেয়া আরাফকে তাড়া দেয়, প্লীজ যাও বিরক্ত করো না।

আরেকটু ঘুমাই বলেই আরাফ কোলবালিশ জড়িয়ে ঘুমাতে চায়,শ্রেয়া বালিশ কেড়ে নেয় ওঠতে বলছি ওঠ।আবার শ্রেয়ার প্রতি বিরক্ত হয়ে প্রশ্ন করে এসব কি হচ্ছে?প্রিয়ার ঘুম ভেঙ্গেছে সে গুন্ডা ছেলে বলে চিৎকার করেছে।আরাফ চোখ খুলে কে চিৎকার করছে?পিচ্চি প্রিয়া!ওহ্ সীড। আগে বলবে তো বলেই আরাফ বালিশ ফেলে জুতা রেখে পাগলের মতো মায়ের রুমের দিকে ছুটে যায়।পিচ্চি প্রিয়া বলেই হাঁপাতে হাঁপাতে দরজায় দাঁড়ায়, জীবন ফিরে পাওয়ার আনন্দে প্রিয়া দৌড়ে আসে।আরাফকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে শুরু করে, গুন্ডা ছেলে তুমি কোথায় ছিলে?

ও স্যরি পিচ্চি প্রিয়া আমি একটু ওয়াশরুমে গিয়েছিলাম ফ্রেশ হতে।প্রিয়া আরাফের সার্টের বোতাম কচলাতে কচলাতে বললো আমাকে বলে গেলে না কেন?আমার কত কষ্ট হচ্ছিল তুমি জানো! পিচ্চি প্রিয়া তুমি তো তখন ঘুমাচ্ছিলে বলবো কেমন করে?তাতে কি,আবার যখন যাবেআমাকে ডেকে বলে যাবে।আচ্ছা তুমি যা বলবে তাই হবে,এবার প্রিয়া হেসে দিল চল গুন্ডা ছেলে আমরা এ বাড়িতে আর থাকবো না।

সবাই অবাক দৃষ্টিতে প্রিয়ার দিকে চেয়ে আছে, পিয়া আরাফকে নিয়ে কোথায় যাবে?রিতা ভাবীর এমন প্রশ্নে রহিমা হেসে বললো আপামনি ছোট ভাইজানকে নিয়ে পালাবে।চুপ করো তুমি সব সময় রসিকতা করবে না,জ্বী ভাবী বলে রহিমা চুপ হয়ে গেল।পিচ্চি প্রিয়া আমি কোথায় যাব,এটা তো আমার বাড়ি বলেই আরাফ হা হা হা করে হেসে দিল।বুঝছি তুমি ওই মেয়েটাকে ছেড়ে যাবে না বলেই প্রিয়ার কান্না শুরু।কান্না করো না বলো কোন মেয়েটা?ওই যে ছোট বাবুর মা যে আমাকে মারতে চায়।জানো গুন্ডা ছেলে আজ সকালে আমি তাকে মেরেছি বলেই প্রিয়া হি হি হি হি করে হেসে দিল।

আচ্ছা সব বাদ তুমি কিছু খেয়েছো?নাহ্ আমাকে ওরা খেতে দেয় না।দাঁত ব্রাশ করেছো?না তাড়াতাড়ি চল ফ্রেশ হয়ে খাব রহিমা পিচ্চি প্রিয়াকে নিয়ে ওয়াশরুমে যাও।নাহ্ আমি রহিমার সাথে যাব না তোমার সাথে যাব বলে বায়না ধরল।আরাফ নিরুপায় হয়ে প্রিয়াকে হাত,মুখ ধুয়ে ডাইনিংয়ে নাস্তা খেতে বসল সেখানেও শ্রেয়াকে দেখে রাগ দেখাল।আরাফ অনেক কষ্টে সবটা ম্যানেস করছে,নিজে না খেয়ে আগে প্রিয়াকে খাইয়েছে পরে নিজে খেল।প্রিয়া অমির সাথে কিছুটা ভাব হলো দুপুরে খাওয়ার পর প্রিয়া অমির সাথে ছাদে খেলতে গেল।

আজাদ শুয়ে টিভি দেখতাছে,মিরা মনোয়ারা, রিতা সবাই গল্পে মশগুল, রহিমা,শ্রেয়া বিকালের চা,নাস্তা তৈরি করতেছে।আরাফ এসে আজাদের পাশে বসল আঙ্কেল আপনার শরীর কেমন আছে?হ্যাঁ বাবা ভালো আছি ডাক্তার বলছে টেনশন ফ্রি থাকতে অথচ মেয়েটাকে দেখলে কষ্ট হয় টেনশন বাড়ে।আঙ্কেল আপনি চিন্তা করবেন না আমাদের বাসায় কয়েকদিন থাকুন সব ঠিক হয়ে যাবে।বলেই শ্রেয়া আজাদের হাতে চায়ের কাপটা এগিয়ে দিল,মারে টেনশন আমাকে ছাড়ছে না।আঙ্কেল শ্রেয়া ঠিকই বলছে।নাহ্ বাবা অনেকদিন হলো আসছি এবার বাসায় ফিরতে চাই।আজ তোমার মায়ের অনুরোধে থাকলাম কাল বাসায় ফিরতেই হবে বললেন মিরা।কালকের টা কাল দেখা যাবে নাস্তা করো,চা নেও ঠান্ডা হয়ে যাবে বলেই মনোয়ারা চায়ে চুমুক দিল।আন্টি কত বছর পর এবাসায় আসলেন থাকুন না কয়েকদিন মায়ের মনটা ভালো থাকবেন বলে রিতা পাশে বসলেন।প্রিয়াকে ডাক আমাদের সাথে নাস্তা করবে,রহিমা যাও প্রিয়াকে নিয়ে আস।

মা আমি যাই বলেই শ্রেয়া সামনে এসে দাঁড়াল,না বউমা প্রিয়া তোমাকে দেখলে ভয় পায়।মনোয়ারার কথা শুনে শ্রেয়া মন খারাপ করে কিচেনের দিকে চলে গেল।আরাফ বুঝতে পারল শ্রেয়ার মন খারাপ হয়েছে, শ্রেয়া তুমি ছাদে যাও। অমি প্রিয়া দুজনকেই বলবে আমি ডেকেছি নিচে আসতে।শ্রেয়া দায়িত্ব পেয়ে কয়েক লাফে ছাদে চলে গেল।সবার চা,নাম্তা করা শেষ শ্রেয়া এখনো অমি,প্রিয়াকে নিয়ে ফিরল না আরাফের চিন্তা বাড়ল।কোন ঝামেলা হচ্ছে না তো ভাবতে ভাবতেই আজাদ প্রশ্ন করে।আরাফ তোমার জাপানের ব্যবসার কি খবর,আবার জাপান যাবার চিন্তা ভাবনা আছে নাকি?

না আঙ্কেল আর জাপার যাব না দেশের ব্যবসা গুলোতে সময় দিব আরাফ কথা শেষ করার আগেই।ছাদ থেকে প্রিয়া,অমির চিৎকার শোনা গেল, আরাফ এক লাফে বিছানা  থেকে নেমে সিঁড়ির দিকে গেল।কেউ কিছু বুঝতে পারল না অসুস্থ শরীরে আজাদও  সিঁড়ির দিকে গেল।মিরা,মিতাও পিচু নিল তোমরা কোথায় যাচ্ছো প্রশ্ন করে মনোয়ারা।মা একটা ছাদ থেকে আসছি আপনি চা খেতে থাকুন, রহিমা মায়ের কাছে আস বলেই রিতা চলে গেল।

আরাফকে দেখেই অমি দৌঁড়ে এসে জড়িয়ে ধরল পাপা মিস্টি আন্টিকে বাঁচাও বলে কাঁদতে লাগলো।প্লীজ তুমি প্রিয়াকে নামতে বলো আমাকে দেখেই প্রিয়া ভয় পেয়ে পালাতে চাইছে বললো শ্রেয়া।আমার কাছে আসলে আমি লাফ দিব বলেই প্রিয়া ছাদের রেলিংয়ের উপর দাঁড়িয়ে আছে।আরাফ চিৎকার করে ডাকলো পিচ্চি প্রিয়া নেমে আস প্লীজ আমার কাছে আস।আজাদ ছাদে ওঠে প্রিয়াকে দেখেই আতকে ওঠল মা মারে নেমে আয়। প্রিয়া বলেই মিরা চিৎকার করলো,রিতার গলা শুকিয়ে গেল। দুদিন ধরে যা কান্ড করছে প্রিয়া মনে হয় পাগল হয়ে গেছে বলেই রিতা আরাফের পিচনে দাঁড়াল।প্লীজ ভাবী তুমি চুপ করো এমন কথা বলোনা প্রিয়ার কিচ্ছু হইনি।পিচ্চি প্রিয়া নিচে আসো আমরা আজকেই এবাড়ি ছেড়ে চলে যাব।

প্রিয়া হি হি হি হি করে হেসে দিল সত্যি বলছো ওই মেয়েটার কাছে আমরা থাকবো না।ও তোমাকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিবে বলেই রেলিং থেকে নেমে আরাফর কাছে আসল।শ্রেয়া তুমি সবাইকে নিয়ে নিচে যাও আমি পিচ্চি প্রিয়াকে নিয়ে পরে আসছি।শ্রেয়া সবাইকে নিয়ে নিচে নেমে গেল, অমি মিষ্টি আন্টির হাতটা ধরো বলেই আরাফ সামনে হাঁটলো।পাপা মিষ্টি আন্ট হাত ধরতে দেয় না, আমাকে মারছে বলেই অমি কান্না শুরু করে।

আরাফ ধমক দেয় পিচ্চি প্রিয়া তুমি অমিকে মারছো কেন?আমি অমিকে বলছি তোমার হাতটা ধরে নিয়ে আসতে।

প্রিয়া জবাব দেয় না অভিমানি মুখ করে বলে তুমি হাত না ধরলে আমিচ রেলিং থেকে লাফ দিব।আরে নাহ্ আমি তোমার হাত ধরব বলেই আরাফ প্রিয়ার একটা হাত ধরে, অন্য হাতটা প্রিয়া অমির দিকে এগিয়ে দেয়।অমি খুশি হয়ে প্রিয়ার হাত ধরে নিচে নেমে আসে।রাতের খাবার টেবিলে আবার প্রিয়ার পাগলামি প্লেট,ফুলদানি ভেঙ্গেছে তারপর শ্রেয়া,রহিমাচ সবাইকে দৌঁড়ের উপর রাখছে।টিভির রিমোট নিয়ে মনোয়াকে ঢিঁল ছুঁড়ে মেরেছে,প্রিয়ার আচরন সবাই বিরক্ত।

প্রিয়ার যত রাগ,যত ভয় সব আমার উপর কেন তা জানি না আমার মনে হয় প্রিয়াকে একজন ভালো সাইকোলজিস্ট দেখানো দরকার।শ্রেয়া এসব তুমি কি বলছো? অবাক হয় মিরা।আন্টি মন খারাপ করবেন না আমি একজন ডাক্তার প্রিয়ার অস্বাভাবিক আচরনের জন্যই বললাম।ছোট বউমা এসব কি কথা প্রিয়াকে তুমি পাগল বলছো বলেই মনোয়ারা শ্রেয়ার দিকে তাকায়।আজাদ মাউমাউ করে কেঁদে ওঠে মিরা আমার প্রিয়া,ওর কিছু হলে আমরা কাকে নিয়ে বাঁচব।আঙ্কেল,আন্টি প্লীজ শান্ত হওন প্রিয়ার কিছুই হবে না আমি বলছি তো বলেই আরাফ মনোয়ারার পাশে বসল।

রিতাও সেখানে উপস্থিত মা আমরা সকালে চলে যাব রন্টির কলেজ খোলা ক্লাস চলছে।যাবেই তো তোমাদের আটকানোর ক্ষমতা আমার নেই বলেই মনোয়ারা আঁচলে চোখ মুছল।মা কি ছেলে মানুষি হচ্ছে তুমি তো একা নও শ্রেয়া,আরাফ ওরা আছে। আর আমি সময় পেলেই তোমাকে দেখতে আসব বলেই আরমান মায়ের গলা জড়িয়ে ধরল। হ্যাঁ মা আমিও রন্টির কলেজ বন্ধ হলে কয়েকদিনের জন্য আসবো।রাত অনেক হলো যাও সবাই ঘুমিয়ে পড়ো বলেই মনোয়ারা বিছানায় শুয়ে পড়ল।বড় ভাইজান আমি প্রিয়ার বিষয়ে কিছু কথা বলতে চাই বললো শ্রেয়া। শিওর বলো কি বলবে বলেই আরমান সোফায় সাইড হয়ে বসে শ্রেয়ার দিকে তাকাল। ভাইজান প্রিয়া এ বাড়িতে আসার পর থেকে খুব অস্বাভাবিক আচরন করছে। আজ বিকালে ছাদে গিয়েছিলো তারপর সব ফুল গাছ ছিঁড়ে ফেলছে, ফুলের টব ভেঙ্গে ফেলছে।

আরো অনেক ঘটনা রেলিং থেকে লাফ দিতে চাইছিলো আরাফ না থামালে হয়ত আরো খারাপ কিছু হয়ে যেত।বলো কি বলেই আরমান আর্চয্য দৃষ্টিতে সবার দিকে তাকাল, লক্ষন তো ভালো না।আজাদ প্রিয়া কি আগেও এমন আচরন করতো? না আমার প্রিয়া খুব লক্ষি মেয়ে, সে একজন ম্যাজিস্ট্রেড তোমরা এটা ভুলে গেছ!

......চলবে।

0 Shares

১৮টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ