ছোটবেলায় দেখতাম আমাদের গ্রামে একটা বাড়ি ছিল। বাড়িটার নাম ছিলো জুগিবাড়ি, জুগি হলো আমাদের হিন্দুধর্মের একটা জাত বা সম্প্রদায় । জুগি সম্প্রদায়ের কাজ ছিল বস্ত্র তৈরি  করা, তাঁরা যেই মেশিন বা কল দিয়ে কাপড় তৈরি করতো সেটাকে বলা হতো তাঁত । সেই তাঁত চালিয়ে যারা  কাপড় উৎপাদন করতো, তাদের বালা হতো তাঁতি বা জুগি । কোন-কোন জায়গায় এসব তাঁতিদের ভিন্নভিন্ন নামেও ডাকা হতো, এখনো তাঁতিদের একএক জায়গায় একএক নামে নামে ডাকা হয় অঞ্চল ভেদে । কোন জায়গায় তাঁতি, কোন জায়গায় ঝোলা, কোন জায়গায় কারিকর নামেও ডেকে থাকে এই বস্ত্র তৈরি করার জাদুকর তাঁতিদের । তাঁত শিল্প বা বস্ত্র শিল্প নিয়ে কিছু লিখতে হলে তার আগে সেই শিল্পের জন্মকথা বা ইতিহাস তুলে ধরতে হয় ।

এই তাঁত শিল্প বা বস্ত্র শিল্পের জন্মলগ্ন আমার জানা না থাকলেও আমি খুব অল্প বয়স থেকেই এই শিল্পের সাথে জরিত, আর আমার বাবা, কাকা, জেঠা, বড়দা সবাই এই তাঁত শিল্প বা বস্ত্র শিল্পের সাথে আমার জন্মের বহু আগে থেকেই সম্পৃক্ত ছিলেন । আমাদের সংসার চলতো এই শিল্প থেকে শ্রমের বিনিময়ে  উপার্জিত অর্থ দিয়ে, যার কারণে আমি বড় হয়ে নিজেও এই শিল্পের সাথে জরিয়ে যাই বংশগত ভাবে । তাই আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকেই এই তাঁত বা তাঁতি নিয়ে কিছু লিখতে চাই, কারণ আমি নিজেও একজন তাঁতি বা বস্ত্র তৈরির কারিকর ছিলাম, কোন একসময়।

তাঁত (weaving) হচ্ছে এক ধরণের যন্ত্র বা মেশিন, যা দিয়ে তুলা (cotton) হতে উৎপন্ন সূতা (yarn) থেকে কাপড় (cloth) বানানো হয় । তাঁত বিভিন্ন রকমের হতে পারে বা দেখাও যায়, খুব ছোট ছোট তাঁতও আছে আমাদের দেশে, যা দিয়ে দেশীয় গামছা আর ওড়না তৈরি করা হয় । এসব তাঁত আমাদের দেশের বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন নামে পরিচিত, তাহলো জাপানি কল, পিট লুম, টেপ লুম, ঠকঠকি, hand loom. (হাত তাঁত) এসব কল বা মেশিনগুলি হাতে চালানো হয় । এরপর যুগের সাথে তাল মিলিয়ে কাপড় উৎপাদন বৃদ্ধি করতে বৈদ্যুতিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করা হয় পাওয়ার লুম (power loom machine) যা বিদ্যুতের সাহায্যে চলে । এই পাওয়ার লুমের মধ্যেও বর্তমানে বহু প্রকার কাপড় তৈরি করার মেশিন আছে, যেগুলি বিদেশিদের দেখাদেখি আমাদের দেশে তৈরি করে তার নাম বাংলা মেশিন বা বাংলা লুম ।

আর যেগুলি সরাসরি বিদেশ থেকে আসে সেগুলি বিভিন্ন নামে পরিচিত, চায়না লুম, জাপানি পাওয়ার লুম, কুরিয়ান লুম, সুইজারলেন্ডি লুম, যেই দেশের মাশিন সেই দেশের নামটা মেশিনের আগে ব্যবহার করা হয় । তারপরও আরো আছে রিপিয়ার মেশিন, যেই মেশিন সূতার নুলি সংযুক্ত(মাকু ছাড়াই চলতে সক্ষম । আছে সেরোয়ার ফাইভ হান্ড্রেড, এই মেশিনটা রিপিয়ার মেশিনের মত, প্রতি মিনিটে পাঁচ’শ’ বার বাইনের সূতা জুড়তে সক্ষম বিধায় এর নাম রাখা হয় সেরোয়ার ফাইভ হান্ড্রেড । আছে সোলজার মেশিন, এগুলি সবই রিপিয়ার (repair machine) পরিবারের বংশধর । আরও আছে এয়ারজেট, ওয়াটারজেট মেশিন, এয়ারজেট মেশিন সূতার নলি (bobbin winder) মাকুর (seattle) পরিবর্তে বাতাস দ্বারা মাকুর কাজ করে বিধায় তার নাম এয়ারজেট । আর ওয়াটারজেট মেশিন হলো সূতার নলি মাকুর পরিবর্তে পানির সাহায্যে মাকুর কাজ করা হয় বিধায় তার নাম রাখা হয় ওয়াটারজেট ।

যেই বস্তুটাকে কাজে লাগানোর জন্য এসব মেশিনের আবিস্কার তা হল তুলা, তুলা থাকেই হয় সূতা, সূতা দিয়ে তৈরি করা হয় কাপড় । কাপড় ছাড়া এই সুন্দর পৃথিবীর কোন মানুষের লজ্জা নিবারণ হয় না, সে হোক না-কোনো রাজা বাদশা, হোক কোনো দেশের প্রধানমন্ত্রী, হোক কোনো রাষ্ট প্রধান । লজ্জা নিবারণের জন্য সবার এক টুকরো কাপড় লাগবেই লাগবে । সেই কাপড় তৈরির মেশিন তাঁত (loom) আর কারিকর হলো তাঁতি (weaver) ।

আমার ধারণা পৃথিবীতে কাপড়ের আবিষ্কার;(cloth inventory)

আমার ধারণা এই সুন্দর পৃথিবীতে বস্ত্র আবিস্কার হয়েছিল শীত থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য । কারন; আদি যুগে লজ্জা কোন বিষয় ছিলো না, আমার মনে হয় তখন লজ্জা কাকে বলে তখনকার দিনের মানুষ তা বুঝত না । তখন তাঁরা সবসময় থাকত ক্ষুধা নিবারণের জন্য হতাশ আর ভয়ে থাকত দৌড়ের উপর । যেখানে ঝড়-তুফান আর প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবিলা করতে হতো তাদের দিন-রাত চব্বিশ ঘন্টা, যেখানে-সেখানে ওত পেতে থাকত বনের জীব জন্তু । সেখানে এই লজ্জা নামক জিনিসটার নামই তখন ছিল না, আর লজ্জা কী সেটা তখনকার মানুষ তা বুঝতোও না, তারা শুধু বুঝতো বেঁচে থাকার লড়াই । তখন তাঁরা জীবনধারনের জন্য ছুটে বেড়াতো শুধু খাদ্যের সন্ধানে, সারাদিন খাদ্যে সংগ্রহ করে রাতে বনের হিংস্র প্রাণীদের আক্রমন হতে নিজেকে বাঁচানোর জন্য গাছের উচু জায়গায় বা কোনো পাহাড়ের গুহায় আত্মরক্ষা করতো ।

মনে হয় তখন তাদের লজ্জা কোন প্রয়োজনীয় বিষয় ছিল না, যা এখনো দেখা যায় ব্রাজিলের আমাজন রেইন ফরেস্টের কিছু ভিডিও দেখলে । আদিযুগের মানুষের ছিল শুধু খাদ্যে আর রাতযাপনের চিন্তা । খাদ্য যাই পেতো তাই খেতো, কিন্তু শীতের হাত থেকে বাঁচার প্রয়োজনে তখন তাঁরা গাছের ছাল বা পশুর চামড়া ব্যবহার করে জীবনধারণ করতো । এভাবেই চলতে চলতে মানুষ শীত থেকে বাঁচার উপায় খুঁজে বের করে ফেলল, তা ছিল গাছের তুলা থেকে বহু কষ্টে সূতা তৈরি করে।  সেই তূলা তুলা থেকে একদিন সূতার আবিস্কার করে ফেলে । সেই সূতা থেকেই তৈরি করা শুরু করে দেয় হাতে বুনা কাপড় । সেই আদি যুগের মানুষ যখন ধীরে-ধীরে সভ্য জগতে পা রখতে শুরু  করলো, তখন তাদের কাপড় তৈরি করাও উন্নতির দিকে অগ্রসর হতে লাগল ।

গাছের তুলা সংগ্রহ করে সেই তুলার আঁশ হতে হাতে পাঁক দিয়ে সূতা তৈরি করে, সেই সূতা এক থেকে দেড় হাজার সূতা সারিবদ্ধ ভাবে একসাথ করে ২০গজ বা তারও বেশি লম্বা একটা বড় রুলার (ঘুড়ি উড়ানোর নাটাই এর মতো) তৈরি করতো । (বর্তমানে সেই রুলার কোনকোন জায়গায় টানা বা ভীম (veeam) বলে পরিচিত) সেই টানা বা ভীমের মোট সূতাগুলিকে আলাদা আলাদা করে ১০/১১/১২/বা ১৩ ইঞ্চি লম্বা (rings) ‘ব’ বা ‘বয়া’মাঝখানে সুইয়ের ছিদ্রের মতো থাকে এমন, সেই ছিদ্রযুক্ত জায়গা দিয়ে একটা একটা করে সূতা ভরে সাজানো হয়। এই কাজটাকে বলে ‘ব’গাঁথা বা ড্রয়ার বা রিচিং করা, কোনকোন জায়গায় এই কাজটাকে হানা ‘ব’ বলে হয় (নরসিংদী আর পাবনায়) । আমি নিজেও টেক্সটাইল মিলের একজন ড্রয়ারম্যান ছিলাম। 

এই বয়াগুলো দুইভাগে বিভক্ত বা ১০/১২ ভাগে বা তারও বেশি ভাগে বভক্ত থাকে বা থাকতে পারে (কাপড়ের ডিজাইনের ওপর নির্ভর করে) । এই সারিবদ্ধ বয়াকে বলে ঝাপ বা (ring frame) বয়ের ফ্রেম। এই ‘ব’ বা বয়ার ভিতর দিয়ে সূতাগুলো শানা বা হানা বা রিড এর ভিতরে সমান ভাগে ভাগ করে শানার (reide) ভিতরে ঢুকায় । এই রিড বা শানা বা হানা ঘন-পাতলা আছে, ১০ কাউন্ট হতে শুরু করে ২৫০ কাউন্টের শানাও আছে । যত বেশি কাউন্টের শানা বা রিড, তত তার শলা বা ঘর । যদি ৫০ কাউন্টের শানা বা রিড হয়, তবে প্রতি ইঞ্চিতে শানার ঘর বা ফাঁক বা শলা থাকবে ৫০ এর অর্ধেক ২৫ ঘর বা ২৫ শলা একএক ঘরে দুই সূতা করে হলে প্রতি ইঞ্চিতে সূতা থাকবে ১০০ সূতা, ৫০ ইঞ্চি কাপড়ের জন্য সূতার প্রয়োজন হবে ৫০০০ হাজার সূতা, আর ‘ব’ বা বয়াও থাকবে ৫০০০ হাজার বয়া ।

যখন তাঁত চালূ দেয় বা চালায় তখন এই ‘ব’ বা বয়ার ঝাপ বা ফ্রেম ওপর-নীচ হয়ে দুইভাগে ভাগ হয়ে ওঠা-নামা করতে থাকে, তখন ভীমের সূতাগুলিকে মাঝখানে সুরুঙ্গ বা ফাঁক করে দেয়। সূতার এই ফাঁক দিয়ে তখন আলাদা একটা সূতার নলি সহ মাকু, ওই ফাঁক হওয়া সুরুঙ্গ দিয়ে আসাযাওয়া করতে থাকে। আর শানা বা রিড ওই সূতাগুলো চাপ দিয়েদিয়ে একসাথ করে দেয়, তখনই তৈরি হয়ে যায় কাপড় । কাপড়ের গায়ে যেই নকশি বা ডিজাইন দেখা যায়, সেই নকশি বা ডিজাইন করা হয় জাপানি জ্যাকেট বা ডবির সাহায্যে, ডবি বা জ্যাকেট বহুরকমের হয় । যা দিয়ে তৈরি করা হয় জামদানি বা টাঙ্গাইল শাড়ী বা পর্দার কাপড়, সময়সময় জামা, পেন্ট, তোয়ালে, গেঞ্জির টিকেট, ও মকলম কাপড় তৈরি করতেও ডবি বা জ্যাকেটের প্রয়োজন হয় । জ্যাকেট বা ডবি হল একটা ছোট মেশিনের মতো যা তাঁত বা পাওয়ার লুমের উপরে সেটিং করা থাকে । ২৪ লিভারের ডবিও আছে, লিভার হল যা দিয়ে সূতার ঝাপগুলি টেনেটেনে ওঠা-নামা করায় তাকেই বলে ডবি বা জ্যাকেটের লিভার । শাড়ি কাপড় তৈরি করতে হলে জ্যাকেট ছাড়া কিছুতেই সম্ভব নয় ।

আমরা যখন আদর্শ কটন মিলে থাকতাম, তখন মিলের ভিতরে গিয়ে দেখতাম আমার বড়দাদা বসে-বসে বয়ের ভিতরে সূতা ঢুকাচ্ছে একজন হেলপার সাথে নিয়ে । আমিও শখ করে হেলপারের জায়গায় বসে আমার বড়দাদার সাথে সূথা গাঁথতাম, সেই থেকে আমার কাপড়ের মিলে বা টেক্সটাইল মিলে তাঁতের কাজ শিখা, (আমি নিজেও একজন ড্রয়ারম্যান)। সেসব বড়-বড় মিলে কাপড় তৈরির সব মেশিনপত্র থাকতো, তুলা থেকে সূতা, সূতা থেকে কাপড় তারপর কাপড়ে রং করে পরে বাজারে বা বিদেশে রপ্তানি কারা পর্যন্ত । সেসব মিলে তুলা আসতো নৌকায় বা বাইরোডে, প্রথমে তুলা যেত ব্লু রুমে । ব্লু রুমে তুলাকে রিচার্জ করে আসতো স্প্রিং ডিপার্টমেন্টে, স্প্রিং এ তৈরি হতো সূতা, সূতা হয়ে চলে যেত (warping) ওয়ারপিং এ । সেখান থেকে ভীম হয়ে চলে যেত সাইজিং (সূতা মাড় করার মেশিন) থেকে সূতা মাড় হয়ে বা ভীম হয়ে আসে তাঁতে,তাঁত থেকে কারিকর বা তাঁতিরা তাঁত চালাইয়া তৈরি করতো কাপড় , সেই কাপড় আবার রং কারার জন্য চলে যেত ডাইং-এ, ডাইং থেকে কাপড় রং হয়ে চলে যেত হাটবাজারে বা বিদেশে ।

কিছুদিন আগে আমাদের নারায়ণগঞ্জের ফতল্লায় একটা প্রাইভেট টেক্সটাইল মিলে গিয়েছিলাম একজন পরিচিত তাঁতির সাথে দেখা করতে, গিয়ে দেখি সেখানে আমার পরিচিত অনেক তাঁতিরা কাজ করছে । তাদের জিজ্ঞেস করলাম, কেমন কী অবস্থা বর্তমানে টেক্সটাইল মিলের? উত্তর পেলাম, না-দাদা-না ভালো না, কাজ করলে দিনকার রোজ হয় না করলে আর হয় না ।  https://www.youtube.com/watch?v=63tpwYJfUCc”<তাদের পঢ়নে দেখলাম জীর্ণকাপড়, জীর্ণদেহ' সবমিলিয়ে একেবারে দুরবস্থা, সেই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তাঁতে কাজ করে এখনো ঠিকমতো সংসার চালাতে পারছে না পরিচিত তাঁতিরা, অথচ তাঁত চালিয়ে মানুষের লজ্জা নিবারণের জন্য কাপড় তৈরি করে যাচ্ছে দিনের পর দিন রাতের পর রাত, আমিও সেই কাপড় তৈরির কারিকর তাঁতি ও ড্রয়ারম্যান ।

বর্তমানে এই কাপড় ছাড়া কোনো দেশের রাজা-বাদশাদেরই লজ্জা নিবারণ হয় না, আমরা এই কাপড় তৈরি করার কারিকর বা তাঁতি। আজ আমি গর্ব করে বলতে পারি, আমি সারা দুনিয়ার মানুষের লজ্জা নিবারণের কারিকর বা তাঁতি, আমি বা আমরা পরের লজ্জা নিবারণের জন্য বস্ত্র বা কাপড় তৈরি করে আমি আজ নিজেই টাকার অভাবে বস্ত্রহীন ভাবে থাকতে হয় সময়সময় । আমার মায়ের শরীরে পেঁচানো থাকে ছেঁড়া কাপড়, নিজের স্ত্রীর থাকে ছেঁড়া কাপড়, ছেলে-মেয়ের পঢ়নে থাকে ছেঁড়া কাপড় । আর দিনদিন থাকি না খেয়ে, সময়সময় কাজে বা মিলে ডিউটি করতে যেতে হয় না খেয়ে । সারা বছর থাকতে হয় ঋনের বোঝা মাথায় নিয়ে, একগজ কাপড় তৈরি করে পাই দুইটাকা, সারাদিনের মুজুরি গড়ে পাই ২৫০/৩০০ টাকা, বিদ্যুৎ না থাকলে মুজুরি নাই, ঈদ/পূজায় বোনাস নাই, বাৎসরিক কোনো ভাতা নাই, প্রাইভেট কোনো মিলে চাকরির নিশ্চয়তা নাই, তবু আমি পৃথিবীর শ্রেষ্ট শিল্পের কারিকর বস্ত্র কারিকর, সকলের লজ্জা নিবারণের কারিকর, আমি তাঁতি, আমি গর্বিত তাঁতি ।

0 Shares

৩৫টি মন্তব্য

  • নীলাঞ্জনা নীলা

    তাঁত সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা ছিলোনা আমার। উপস্থাপন চমৎকার ভাবে করেছেন।

    যারা নিজেদের পেশাকে সম্মান করে, তাদেরকে আমি স্যাল্যুট দেই।

    • নিতাই বাবু

      “সম্মানিত সজীব দাদা”

      দাদা এই লেখার কোনো তথ্য বাহিরে থেকে সংগ্রহ করা নয়। এই লেখার সাথে আমার জীবন আর ঐতিহ্য মিশে আছে প্রায় তিন-যুগ ধরে। এই লেখা আমার বাস্তব জীবনে অভিজ্ঞতা থেকে অর্জন করা তথ্য দাদা। আমার এই লাখা পড়ে ভালো লাগা বা না-লাগা প্রিয় পাঠক আর আমার সহ-ব্লগারবৃন্দদের ব্যাপার। আমি আমার কর্মজীবনে অর্জন করা তথ্য সমৃদ্ধ কাপড় তৈরির এতিহাস এখানে লিপিবদ্ধ করে রেখেছি মাত্র।

      লেখার শিরোনামের ভুলটা হয়েছে দাদা তাড়াহুড়ার কারণে। যখন এই লেখাটা পোস্ট করি তখন রাত প্রায় ৩ টা। লেখাটা প্রকাশের জন্য জমা দিয়ে দুএকবার দেখাছি ঠিক, কিন্তু এত বড়ো ভুল যে হয়ে রইল তা একটুও খেয়াল করতে পারি নাই। সেই ভুল আপনি হহরিয়ে দিলেন দাদা, কৃতজ্ঞ আপনার কাছে। সেজন্য আপনাকে আমি আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

      তাড়াহুড়ার কারণ ছিল ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে মার একটা লেখা নিয়ে। গত ৫ মার্চ রোজ রবিবার আমাদের নারায়ণগঞ্জ সিটি মেয়র সম্মানিত ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর কাছে গিয়েছিলাম আমরা বিডি ব্লগের ক’জন সম্মানিত মেয়রের আমন্ত্রণণে। সেখানে গিয়ে সম্মানিত মেয়রের হাতে পৌঁছে দিলাম আমাদের লেখা বই ‘নগর নাব্য-মেয়র সমীপেষু’। সেই লেখাটা প্রকাশ পেয়েছে গতকাল, তারপর মোবাইলে লেখা শুরু করেছি আমার কর্মজীবনের এই লেখাটা। আশা করি ভুল হোয়ার কারণটা বুঝতে পেরেছেন দাদা।

      আর একটা কথা নাবললে হয় না। কথা হলো দাদা, আমার শিরোনামে যে ভুলটা হয়েছে দাদা, সেটা যদি ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে হতো, তবে ব্লগ সংকলক লেখা প্রকাশের আগে তা সংশোধন করে প্রকাশ করতো। এখানে কিন্তু তা নেই। তবে দাদা এখানে একটা মজার ব্যাপার আছে। তাহলো লেখা প্রকাশের পরও লেখা সম্পাদন করা যায়, যা ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে নাই। সেজন্য সোনেলা ব্লগটিমকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

      ব্লগে বা অন্যকোন অনলাইন ভিত্তিক লেখার জায়গায় লেখা প্রকাশের পর সম্পাদনার বিষয় নিয়ে আমি এই ব্লগে একটা পোস্ট লিখবো দাদা।

      ধন্যবাদ দাদা, আবার পরে হবে দেখা। ভালো থাকবেব আশা করি।

      • নিতাই বাবু

        “সম্মানিত সজীব দাদা”

        দাদা এই লেখার কোনো তথ্য বাহিরে থেকে সংগ্রহ করা নয়। এই লেখার সাথে আমার জীবন আর ঐতিহ্য মিশে আছে প্রায় তিন-যুগ ধরে। এই লেখা আমার বাস্তব জীবনে অভিজ্ঞতা থেকে অর্জন করা তথ্য দাদা। আমার এই লাখা পড়ে ভালো লাগা বা না-লাগা প্রিয় পাঠক আর আমার সহ-ব্লগারবৃন্দদের ব্যাপার। আমি আমার কর্মজীবনে অর্জন করা তথ্য সমৃদ্ধ কাপড় তৈরির এতিহাস এখানে লিপিবদ্ধ করে রেখেছি মাত্র।

        লেখার শিরোনামের ভুলটা হয়েছে দাদা তাড়াহুড়ার কারণে। যখন এই লেখাটা পোস্ট করি তখন রাত প্রায় ৩ টা। লেখাটা প্রকাশের জন্য জমা দিয়ে দুএকবার দেখাছি ঠিক, কিন্তু এত বড়ো ভুল যে হয়ে রইল তা একটুও খেয়াল করতে পারি নাই। সেই ভুল আপনি হহরিয়ে দিলেন দাদা, কৃতজ্ঞ আপনার কাছে। সেজন্য আপনাকে আমি আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

        তাড়াহুড়ার কারণ ছিল ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে মার একটা লেখা নিয়ে। গত ৫ মার্চ রোজ রবিবার আমাদের নারায়ণগঞ্জ সিটি মেয়র সম্মানিত ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর কাছে গিয়েছিলাম আমরা বিডি ব্লগের ক’জন সম্মানিত মেয়রের আমন্ত্রণণে। সেখানে গিয়ে সম্মানিত মেয়রের হাতে পৌঁছে দিলাম আমাদের লেখা বই ‘নগর নাব্য-মেয়র সমীপেষু’। সেই লেখাটা প্রকাশ পেয়েছে গতকাল, তারপর মোবাইলে লেখা শুরু করেছি আমার কর্মজীবনের এই লেখাটা। আশা করি ভুল হোয়ার কারণটা বুঝতে পেরেছেন দাদা।

        আর একটা কথা নাবললে হয় না। কথা হলো দাদা, আমার শিরোনামে যে ভুলটা হয়েছে দাদা, সেটা যদি ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে হতো, তবে ব্লগ সংকলক লেখা প্রকাশের আগে তা সংশোধন করে প্রকাশ করতো। এখানে কিন্তু তা নেই। তবে দাদা এখানে একটা মজার ব্যাপার আছে। তাহলো লেখা প্রকাশের পরও লেখা সম্পাদন করা যায়, যা ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে নাই। সেজন্য সোনেলা ব্লগটিমকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

        ব্লগে বা অন্যকোন অনলাইন ভিত্তিক লেখার জায়গায় লেখা প্রকাশের পর সম্পাদনার বিষয় নিয়ে আমি এই ব্লগে একটা পোস্ট লিখবো দাদা।

        ধন্যবাদ দাদা, আবার পরে হবে দেখা। ভালো থাকবেব আশা করি।

    • নিতাই বাবু

      “সম্মানিত মজিবর দাদা”

      দাদা এই তথ্য সবই আমার নিজের অভিজ্ঞতার ফসল, চেষ্টায় মানুষকে অনেক-দূর এগিয়ে নিয়ে যায় দাদা । আমি যখন টেক্সটাইল মিলে কাজ শিখি, তখনামার নেশা আর দিশা ছিল টেক্সটাইলের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো শেখার দিকে । আমি শিখেছি কাপড়ের ডিজাইন কীভাবে করে, শিখেছি এক পাউন্ড সূতায় কাপড়ের কস্ট (পর্তা) কত পড়ে, শিখেছি জেনেছি তাঁতের রোগ নিরাময় কীভাবে সারে । সর্বশেষ এই তাঁত আমাকে পঙ্গু করে দেয় ( তাঁতের মাকু আমার ডান কানে আঘাত করে আমাকে চিরজীবনের জন্য শ্রবন শক্তিহীন করে দেয় দাদা। তবু তাঁতের প্রতি আমার কোনো রাগ নাই বা রাগ করিও না।

      ধন্যবাদ দাদা ভালো থাকবেন আশা করি । আর হ্যাঁ, আমিও আপনাকে প্রিয়তে নিয়েছি দাদা, কারণ আপনিতো আমার প্রিয় মানুষ তাই দাদা।

      • মোঃ মজিবর রহমান

        তাত শিল্প আদি শিল্পের বাঁ মানুষের লজ্জা নিবারনের জন্য প্রয়োজনের তাগিতে এটা হয়েছে। এই এই শিল্প বাঁ কাপড় ব্যাবসা ব্যাবসায়ের মধ্যে উত্তম, এখানে এই শিল্পের মধ্যে রাগ বাঁ লজ্জার থেকে আরও গর্বের গুরু।
        আপনাকে লাল সালাম।

    • নিতাই বাবু

      “সম্মানিত প্রহেলিকা”

      আগেই জানতে চাইবো আপনি দাদা না দিদি? ছদ্মনামে কাউকে চেনা জায়না বিধায় প্রশ্ন রেখেছি বলে মনে কোনো কষ্ট নিবেননা ।

      আমরা কাপর পড়ে থাকি, কাপড় পড়ে ইজ্জত রক্ষা করি । আর সেই মহামুল্যবান শিল্পের কথা জানবোনা তা-কি-হয়? জানা বিদ্যা বিফল হয় না । আমার পোস্টের লেখা পড়ে কাপড়ের বিষয়াদি জানলেন বলে আমি ধন্য হলাম । সাথে মন্তব্যের জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ জানাই ।ভালো থাকবান আশা করি ।

  • ইকরাম মাহমুদ

    আমাদের টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি বিশ্বজুড়ে
    সমাদৃত। টাংগাইলের কালিহাতি উপজেলায় কয়েকটা গ্রামে এখনো তাঁত শিল্প, তাঁতি পরিবার রয়েছে।খুব ছোটবেলা থেকে সুতায় রং করে রোদে শুকাতে দেওয়া, চরকায় সুতা সাজানো, ঠকঠক শব্দে কাপড় বোনার শব্দ শুনে আসছি। এখন অবশ্য সেই ঠকঠক শব্দ শুনিনা। মেশিনে বোনা হয় তাঁত শাড়ি। আপনি নিজেকে নিয়ে গর্ব করেন শুনে ভালো লাগছে আর আমরা টাংগাইলবাসী আপনাদের সৃষ্টিকর্ম নিয়ে গর্ব করি। আপনার লেখাটা পড়ে অনেক কিছুই জানতে পারলাম। স্যালুট আপনাদের, আমাদের ঐতিহ্যের কারিগর হিসেবে আজও তাঁত শিল্পকে ধরে রেখেছেন বংশ পরম্পরায়।

    • নিতাই বাবু

      “সম্মানিত ইকরাম মাহমুদ” দাদা”

      দাদা আমি আপনাদের টাঙ্গাইল এলেঙ্গা থেকে একটু ভেতরে অনেক তাঁতের মিল দেখেছি দাদা । আমি সিরাজগঞ্জ বেলকুচিতে অনেকদিন কাজ করে এসেছি । সেখানকার মালিকরা আজও আমাকে ডাকে, আমি যাইনা দাদা । কেন-না, আমার এখন চোখের খুবই সমস্যা দাদা, গেল কিছুদিন আগে চোখের সমস্যা নিরাময়ের জন্য ঢাকা চক্ষু বিজ্ঞান হাসপাতালেও গিয়েছি চিকিৎসার জন্য । কিন্তু দাদা কাজের কাজ কিছুই হয় নাই । এখনো সেই সমস্যায় আমি ভুগছি । দেখতেই পারছেন যে, আমি যখন মন্তব্য সেই তখন বানানে অনেক ভুল হয়ে যায় । সবই চোখের সমস্যার কারণে দাদা, যা এই ব্লগের সম্মানিত মজিবর রহমান দাদা ভালো জানে ।

      মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দাদা ভালো থাকবেন ।

      • ইকরাম মাহমুদ

        দোয়া করি আল্লাহ আপনার চোখের সমস্যা থেকে মুক্ত করুন। যেন আপনি আপনার পেশায় পূর্ণ মনোযোগ দিতে পারেন। বল্লা, আউলিয়াবাদ গ্রামে অনেক তাঁতের মিল আছে। এখনো পুরোনো পদ্ধতিতে তাঁতের শাড়ি বোনার কাজও চলে। টাংগাইল আসবেন আবার।

  • শুন্য শুন্যালয়

    এই ই তো হয় ভাইয়া, চালের গুদাম ভরা থাকে কৃষক মজুরি পায়না, মৃৎশিল্পের কারিগর পারিশ্রমিক পায়না, তাঁতিদের এই অবস্থা। আমাদের সব শিল্পগুলো একদিন হারিয়ে যাবে। আর শিল্প বেঁচে যারা ধনী হবে তারা দেশ ছাড়বে।
    কতকিছু জানলাম আপনার লেখা পড়ে। নিজের পেশা এবং সকল পেশাকেই সম্মান দেয়া উচিৎ সে ছোট হোক কী বড়। বেশ গুছিয়ে লেখা।

    • নিতাই বাবু

      “শুন্য শুন্যালয়”

      আগেই জানতে চাইব আপনি দিদি না দাদা? জানতে চেয়েছি বলে আপনি মনে কোনো কষ্ট নিবেননা কিন্তু! ব্লগ লেখার চেয়ে মন্তব্য করা বহু কঠিন । ব্লগে একটা মন্তব্যে একজন লেখকের সাথে মধুর সম্পর্ক গড়ে ওঠে, আবার মন্তব্যে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায় । তবে হ্যাঁ আমি ব্লগে খুবই কম লিখে থাকি, কিন্তু মন্তব্য দিতে বেশি ভালোবাসি । আমার এসব কথাগুলো উপদেশ হিসেবে নিবেননা কিন্তু! ভাই হিসেবে একটু খেয়াল করে দেখুন আমি কথাগুলো ঠিক বলেছি কিনা ।

      “মুল কথা”
      হ্যাঁ, আমি আমার পেশাকে এখনো সম্মান করি, এখনো আমার সাথের সহ-তাঁতিদের সাথে মাঝেমাঝে দেখা করি, খবর নেই । কারণটা হলো, এই কাজ করে কোনএকদিন আমি আমার সংসার চালিয়েছি তাই সম্মান করি ।

      ‘পরিশেষে”

      সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে আমার অশেষ পক্ষ থেকে থেকে ধন্যবাদ ।

      • শুন্য শুন্যালয়

        না না মনে কষ্ট নিবো কেন? আপনি নতুন তাই জানতে চাওয়াই স্বাভাবিক। আমি দিদি।
        হ্যাঁ মন্তব্যে সম্পর্ক গড়েছে, ভেঙ্গেছে এই নজির আমাদের ব্লগেই আছে, আপনি ভুল বলেননি ভাইয়া।
        আপনার সুন্দর লেখার অপেক্ষায় থাকবো। ভালো থাকবেন।

  • ছাইরাছ হেলাল

    এ শিল্পটি সম্পর্কে এত বিস্তারিত জানা ছিল না,
    একটি কাপড় তৈরির পিছনে এত্ত কিছু থাকে শুনে অবাক হলাম।
    তাঁতিদেরকে আমি শিল্পী মনে করি, নিপুন কারিগর, তাদের দুরবস্থার শুনলে ভাল লাগে না।
    যদিও বাস্তবতা নির্মম।

    • নিতাই বাবু

      ‘ছাইরাছ হেলাল’

      সম্মানিত দাদা আমার পোস্টের প্রতিটি লেখায় আপনি মন্তব্য দিয়ে থাকেন, আমি কিন্তু এখনো আপনার লেখায় একটি মন্তব্যও দিতে পারি নাই, শুধু সময়ের কারণে দাদা । তারজন্য আপনার কাছে আমি ক্ষমা চেয়ে নিলাম দাদা । সম্মানিত দাদা আমি খুবই ব্যস্ত মানুষ, এই ব্যস্ততা আমার জীবনের সঙ্গী হয়ে আছে । এই ব্যস্ততাকে আমি কিছুতেই তাড়াতে পারছিনা, তাই সময়সময় অনেক কিছু মিস করে ফেলি । আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন, আর না বুঝার কোনো উপায় নেই দাদা । কারণ আমি একজন খেটে খাওয়া মানুষ ।

      আর আমাদের দুরবস্থার কথা তো দাদা, যাদের চাকরি করি তারাই বুঝেনা, অন্যে বুঝবে কী করে? এটাই আমাদের জন্য নির্মম বাস্তবতা ।
      আমাদের দুঃখে সমবেদনা জানানোর জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ জানাই । ভালো থাকবেন আশা করি ।

  • ইঞ্জা

    এতো কিছু জানাই ছিলোনা, যা আজ জানলাম, আসলে তাঁতিদের কল্যাণেই আজ আমরা গায়ে কাপড় দিচ্ছি যার জন্য আমাদের অবশ্যই তাঁতিদের ধন্যবাদ দেওয়া উচিত।

  • মৌনতা রিতু

    ব্যস্ততা কাটিয়ে পোষ্টটি পড়ব অবশ্যই।
    এই বিষয়ে আমারও কিছু অভিজ্ঞতা আছে শেয়ার করব আপনার পোষ্টেই। ভাল থাকবেন ভাই।

    • নিতাই বাবু

      ‘মৌনতা রিতু’

      শুরুতেই জানাই মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ । সম্মানিত দিদি, আপনার মন্তব্যখানা পড়ে আমার খুবই আনন্দ লাগছে ।কারণ এই কাপড় তৈরির ব্যাপারে আপনার বাস্তব অভিজ্ঞতা আমার লেখায় শেয়ার করবেন তাই । যদি শেয়ার করেন তো খুবই ভালো হয় দিদি, পাঠক জানুক এই লজ্জা নিবারণের কাপড় তৈরির কাহিনী বা তথ্য ।

      ধন্যবাদ দিদি, তাহলে দেরি না-করে তাড়াতাড়ি করে শেয়ার করুন ।

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ