বড় ছেলে সৌমিককে বাসার পাশেই একটা দোকানে পাঠিয়েছি কিছু জিনিস কিনে আনার জন্য। দোকানে গিয়ে সে ফোন করলো, আম্মু পাউরুটি, চিনি, লবন আর সাবান এই কয়টাইতো বলেছো আর কিছু কি লাগবে? তখনই আমার মনে হলো বাসায় তো দারুচিনি শেষ অন্য সময় বলতে মনে থাকেনা তাই বললাম, দারুচিনি পেলে নিয়ে এসো। সে জানতে চাইলো কতটুকু আনবো? আমি বললাম, আমিতো দাম জানিনা দাম কিরকম আগে সেটা দেখো, তারপর যে টাকা নিয়ে গেছো তা দিয়ে ব্যালেন্স করে নিয়ে এসো। সৌমিক এবার জানতে চাইলো, এক কেজি, নাকি দুই কেজি কতটুকু আনবো? ছেলের কথাশুনে আমিতো যারপরনাই অবাক!!
(উল্লেখ্য, সৌমিক চুয়েটে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ এবার দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছে। সে আসলে ভেবেছিলো সাধারণ চিনির মতো দারুচিনিও হয়তো একটা চিনি। বাচ্চাদের দোষ দিয়ে কি হবে, ওদেরকে নিয়ে যদি বাজারে যাওয়া না হয় তবে ওরা বাজার করা শিখবে কি করে??)
২২টি মন্তব্য
অরুনি মায়া অনু
হা হা হা তাও ভাল প্রশ্নটা করেছিল। নইলে আপনার কিচেন দারুচিনিতে ভরে যেত। আজকাল বাচ্চাদের ঘাড়ে স্কুল আর কোচিং এর বোঝা এমনভাবে চাপিয়ে দেওয়া হয় যে তারা এর বাইরে হাতে কলমে কিছুই শেখার সুযোগ ও সময় কোনটাই পায়না।
শাহানা আক্তার
সত্যিই তাই। হাহাহা একজন এই ঘটনা শুনে বললো যে, তাও ভালো যে জিজ্ঞেস করেনি কয় লিটার আনবে। হা হা হা
নীলাঞ্জনা নীলা
অনেক কিউট আপনার ছেলেটা। যারা খুব ইনোসেন্ট তারা কিন্তু এমনই থাকে।
সত্যি বলতে কি সন্তান বড়ো হয়ে গেলে মায়েরাই সবচেয়ে নিঃসঙ্গতাকে সঙ্গী হিসেবে পায়। কিন্তু এমন ইনোসেন্ট টাইপ সন্তান থাকলে মায়েরা কখনো একা হয়না।
শাহানা আক্তার
ধন্যবাদ আপু, দোয়া করবেন আমার বাচ্চাদের জন্য।
নীলাঞ্জনা নীলা
অবশ্যই দোয়া আছে আপনার সন্তানদের জন্য।
আসলে লেখাটা ভুলবশত ট্র্যাশে চলে গিয়েছিলো। আবার ফিরিয়ে এনেছি। এখন পাবেন।
শাহানা আক্তার
আপনার লেখা “এলোমেলো কিছু কথা” “একুশ” পড়তে গিয়ে খুঁজে পেলাম না। লেখাটি কি মুছে দিয়েছেন?
ব্লগার সজীব
এলোমেলো কথা একুশ আছে তো প্রথম পাতায়। মোবাইলে ব্যাক দিয়ে দিয়ে প্রথম পাতা পাবেন, এরপর পড়ুন আপু।
ছাইরাছ হেলাল
তাও কেজিতে গিয়ে ঠেকেছে!
ভাগ্যিস কত মণ আনবে জিজ্ঞেস করেনি!
এর দায়ভার কিন্তু আপনাদেরও আছে!
শাহানা আক্তার
হাহাহা ভালো বলেছেন। মণ এর কথা জিজ্ঞেস করাটাও অস্বাভাবিক কিছু ছিলোনা। অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে এর দায়ভার আমাদেরই।
মিষ্টি জিন
হা হা হা .. বাচ্চারা এমন ই হয়।
আমার মেয়েরাও এমন করে মাঝে মাঝে।
শাহানা আক্তার
বড় ছেলেটাই একটু বেশি অবুঝ। সে ই বেশি এরকম কথা বলে। ছোট ছেলে তাও ওর চাইতে একটু ভালো বুঝে।
আবু খায়ের আনিছ
প্রথমটা পড়তে হবে। অবাক হয়েছি আমি সৌমিক এর কথা শুনে।
শাহানা আক্তার
জি পড়ে দেখুন..খুশি হবো। ধন্যবাদ।
ব্লগার সজীব
আপু আপনি আমার কথা জানলেন কিভাবে? আমিও তো আমার আম্মুকে একই প্রশ্ন করেছিলাম :p ভাগ্য ভাল যে আমি সৌমিক নয়, তাহলে তো আপনাকে আপু ডাকতে পারতামনা 🙂
আমি এখন অন্নেএক বুদ্ধিমান হয়েছি আপু, সব্বাই জানে এটি 🙂
শাহানা আক্তার
আপনিও তাহলে একসময় সৌমিকের মতোই ছিলেন!!! যাহোক এরপর সৌমিক আর কি কি করবে তা আপনাকে দেখেই অগ্রীম জানতে পারবো
শুন্য শুন্যালয়
হাও সুইট। যতদিন এমন থাকবে ততদিনই থাকুক। এক সময় সব কিছুই শিখে যাবে, শিখে নিতে হবে। ছেলেটাকে অনেক আদর আপু।
শাহানা আক্তার
জি আপু দোয়া করবেন। আপনার আদর পৌঁছে দিবো।
ইঞ্জা
আবারো বলছি আপু, ছেলের বাপরে বলেন মাখে মাঝে ছেলেকে বাজারে নিয়ে যেতে সাথে যেন সে দেখে শিখে।
শুভকামনা রইল আপু, আরো লিখুণ এই কামনা রইল।
শাহানা আক্তার
জি ভাইয়া ওর বাবাকেও বলেছি মাঝে মাঝে বাজারে নিয়ে যেতে।
ইঞ্জা
\|/
জিসান শা ইকরাম
মজা পেলাম খুব, সন্তানরা আসলেই খুব কিউট হয় 🙂
শাহানা আক্তার
অনেক ধন্যবাদ। দোয়া করবেন