মায়া ময় দুনিয়ায় মায়ার বন্ধনে আমরা একে অন্যের মাঝে বেচে থাকি সুখে দুঃখে।ক্ষণস্থায়ী ভুবনে অনিশ্চিৎ জীবনে সময়ের প্রয়োজনে অসংখ্য বিশ্বাসী অবিশ্বাসী মানুষের মধ্য হতে কিছু মানুষ আমার আত্মার সাথে মিশে গেছে।তার মধ্যে অন্যতম জিসান।পুরো নাম ফেবুক অনুসারে ইকরাম জিসান মোঃ শামছুল।একান্ত আপণ জনদের কাছে সে পিরু নামে পরিচিত।তিনি তার এলাকায় একজন বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী ও সমাজ সেবক হিসাবে পরিচিত।ব্লগের ক্লান্তিকাল ২০১২ সালের ২৩ শে সেপ্টেম্বর সোনেলা ব্লগ নিয়ে অনলাইন দুনিয়ায় হাজির হন বন্ধুদ্বয় জিসান ও হেলাল।এরপর হতে সোনেলা ব্লগটি দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্লগগুলোর কাতারে নিজ মহিমায় উজ্জ্বল হয়ে আজও রাজনৈতীক অসঙ্গতি,সামাজিক প্রেক্ষাপট,মুক্তিযুদ্ধ,সাহিত্যের আদি-অন্ত,সমসাময়িক বিষয়ের উপর লেখা নিয়ে বেশ এগিয়ে চলছে তার আপণ গতিতে।

একটি শিশুকে পিতা যখন হাটা শেখায় যেমন করে তেমনি করে ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা জিসান ভাইজান আমাকে শিখিয়েছিল একটি লেখাকে কি ভাবে কতটা আর্কষনীয় করা যায়,বানান সমস্যা,লেখায় লিংক দেয়া ইত্যাদি  পরম যত্নে শিখিয়ে আমাকে একজন দক্ষ ব্লগারের কাতারে পৌছে দেয়।শুধু আমি নই ব্লগে আরো অনেকে তার এবং সোনেলা ব্লগের সান্নিধ্যে এসে  সাহিত্যে নিজেকে করেছে প্রতিষ্ঠিত,হয়েছে অনলাইন জগতের পরিচিত একজন।কেউ কৃতজ্ঞতার স্বীকারে এখনো সোনেলাকে ভালবাসে লিখে চলছেন কেউ বা অকৃজ্ঞতায় স্বার্থপরের ন্যায় মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।

অনলাইন দুনিয়ায় বিশেষ করে বাংলাদেশের ব্লগের দুনিয়ায় একটি ব্লগ চালানো বেশ কষ্টকর তার উপর বিশেষ করে বিজ্ঞাপনহীন অ-লাভ জনক প্রতিষ্টান সোনেলা ব্লগটি চালানো বা  ছয় সাতটি বছর বীর দর্পে  এ যাবৎকাল চালিয়ে যাওয়ায় কখনো কখনো বেশ বেগ পেতে হয়েছে জিসান এবং হেলাল ভাইয়াদের।স্বার্থপর আর বিশ্বাস ঘাতকতার চরম শীর্ষে আমরা বাঙ্গালী জাতি যা জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধুর স-পরিবার এর হত্যার মধ্যে দিয়ে প্রমাণীত।এর কিছু নমুনা এক সময় সোনেলা ব্লগের বিপদগামী স্বার্থবাদী কিছু ব্লগারদের মাঝেও ছিলো। সোনেলা ব্লগের পরিচিতি এবং জিসান ভাইয়ের সহমর্মীতাকে পুজিঁ করে অনেকে ব্লগটিকে কয়েক বার বার ভাঙ্গনের চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়েছেন।সর্বোপরি জিসান এবং হেলাল ভাইয়া এবং ব্লগারদের ব্লগের প্রতি ভালবাসা,দায়ীত্ববোধ ব্লগটি এখনো আগের মতই সচল এবং ভবিষৎতেও সকল নতুন পুরাতন ব্লগারদের ভালবাসায় ব্লগের সুনাম অক্ষুন্ন রেখে  এগিয়ে চলবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা প্রতিশ্রুতি।

জিসান ভাই বরাবর আমাকে উৎসাহ দিতেন দেশে চলমান ঘটনা সম-সাময়িক বিষয় নিয়ে লিখতে কিন্তু কখনো ভাবিনি সেই ভাইজানকে শিরোনাম করে দেশে ঘটে যাওয়া সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ব্লগে লিখতে হবে।
গত ৩ রা আগষ্ট ২০১৯ সোনেলা গ্রুপ পেইজে জনপ্রিয় লেখক ব্লগার এম ইঞ্জা ভাইয়ের একটি পোষ্টে জানতে পারি জিসান ভাই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ল,মনে সাহসের সিড়িগুলো যেন এক এক করে যেন খসে পড়তে  থাকল।মনের আয়নায় তার সান্নিধ্যের স্মৃতিগুলো যেন আর বন্দি থাকতে চাচ্ছে না।অজানা এক ভয়ে মধুর সময়গুলো যেন ছবি হয়ে নয়নে ভাসছে।রক্তের সম্পর্ক ছাড়াও যে কিছু সম্পর্ক রক্তের চেয়েও আপণ মনে হয় এই প্রথম আমি জেনেছিলাম।

অবশেষে সকলের দোয়া ও আপণ জনদের উপযুক্ত সেবায় আজ সে ডেঙ্গু হতে মুক্ত।আমরা ব্লগাররা পরম দয়ালু আল্লাহর নিকট অশেষ শুকরিয়া জানাচ্ছি এবং তার শারীরিক দূর্বলতা কাটিয়ে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে আবারো আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন সেই কামনা ব্যাক্ত করছি।

ডেঙ্গু প্রসঙ্গঃ
মনে বিষন্নতায় ছেয়ে গেছে
ভয় এসে কাবু করছে মন!
এই বুঝি এলো সে-
উড়ছে ভন ভন শব্দে,
ডানে বায়ে হাতে পায়ে
কানের অতি সন্নিকটে!
অনুমানে দেই তাড়া,এই যা!
অন্য কোথাও যা,
উত্তরে কি দক্ষিনে যেথায় খুশি সেথায় যা-
এসিওয়ালা নেতাগো উঠোনে যা
যারা ক্ষমতা লিপ্সু
ক্ষমতা পেলে দায়ীত্ব জ্ঞান ভুলে
সততাকে বিক্রি করে তাদের কাঁমড়ে খা
তবুও..মাফ চাই,
কামড়ে দিসনে এ মোর গরীবের গা।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সী সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এর গত ৫ আগষ্ট এর তথ্য অনুযায়ী তার আগের দিন ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছিল ২০৬৫ জন।এ সংখ্যা সহ হাসপাতাল গুলোতে ডেঙ্গু রোগীর ভর্তির সংখ্যা সরকারী হিসাবেই ২৭,৪৩৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের মতন।কিন্তু বেসরকারী ও অন্যান্য সংস্থার জরিপে এ সব রেকর্ড আরো কয়েকগুণ বেশী।যেমন মৃত্যুর সংখ্যা ৮০ ছাড়িয়ে গেছে।

এই যে ডেঙ্গু জ্বরের বর্তমান মহামারীর মত আতংক বা মৃত্যুর মিছিল চলছে তার সৃষ্টি কিন্তু হঠাৎ করেই হয়নি।আগেও ছিলো ডেঙ্গু জ্বরের আতংক তবে তার প্রকোপটা ছিলো সীমিত।হঠাৎ এটি মহামারীতে রূপ নেয়ার বেশ কয়েকটি কারন আছে।
প্রথমত যতটুকু জানা যায় আমরা যে কীটনাশক ঔষধটি মশা মারতে ছিটাই তার কার্যকারীতাকে মশাদের কন্ট্রোল করার সক্ষমতা।একই ঔষধ যুগের পর যুগ ছিটানো আবার পকেটে মুনাফা ভরার আশায় ঔষধগুলোতে অন্য কিছু মিক্স করে ঔষধের কার্যক্ষমতা হ্রাস করা বা পর্যাপ্ত নয় ঔষধ ছিটানো যার কারনে এডিস বা অন্যান্য কীট ক্রমশত বৃদ্ধি পেতে থাকে।বলা বাহুল্য দেশের অধিকাংশ এলাকায় এ সব ঔষধও এখন আর ছিটাতে দেখিনা।তার বাজেটের পুরোটাই নেতা কর্মীদের পকেটে ঢুকছে জবাবহীন ভাবে।

দ্বিতীয় অন্যতম কারন হলো জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে অতি বৃষ্টিপাত ও অতিরিক্ত তাপমাত্রার দীর্ঘাস্থায়ীত্বতা থাকায় বহু কীট পতঙ্গের আর্বিভাব ঘটে।এর মধ্যে এডিস জাতীয় মশা অন্যতম।আর এ সব বিষয়ে নগর পিতার জ্ঞানের দূরদর্শিতার অভাব এ পরিস্থিতি ভয়া বহতার দিকে চলে যায়।

তৃতীয়তঃ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গবেষনার ফলাফল আমলে না নেয়া। তাদের ভাষ্য হল তারা মার্চ মাসে বর্ষার আগে যে জরিপ চালিয়েছিলো তাতে মশা এবং লাভার পরিমানের ধারনা দেয়া হয়েছিলো যে পরিমান তা বর্ষা এলেই কয়েকগুন বেড়ে যায়।এ সমস্ত গবেষনা রিপোর্ট স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সিটি কর্পোরসনের কর্মকর্তাদের নিকট পেশ করার পরও তারা কোন আলমে নেয়নি বা এর রিপোর্টের ভিত্তিতে কোন কাজ শুরু করেনি।

ঢাকা উত্তর এবং দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন মশক নিধনে গত অর্থবছর তাদের উভয়ের বাজেট ছিলো প্রায় ১৮ কোটি টাকা করে।কিন্তু প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও তারা সেই বাজেট হতে দীর্যকাল যাবৎ ক্রয়কৃত মাত্র দুটি প্রতিষ্ঠান হতে ক্রয়কৃত ঔষধ অকার্যকর হওয়ার পরও এ ব্যাপারে তড়িৎ কোন ব্যাবস্থা নেয়নি।এছাড়াও সিটি কর্পোরসনের রয়েছে কারিগরি ত্রুটি লোকবলের দায়ীত্বের অবহেলা,তাদের সীমাহীন দূর্ণীতির কারনে নগরবাসীর নাগরিক সুবিদাগুলো হতে বঞ্চিত হন।

এডিস মশা নির্মূলে সব চেয়ে কার্যকরী যে বিষয়টি যা আরো আগেই সিটি মেয়রদের করা উচিত ছিলো তা হল “এ বিষয়ে মানুষের মাঝে সচেনতা সৃষ্টি করা”।নগর পিতারা যখন যে ভাবে দলবল নিয়ে ভোটের সময় ভোটের জন্য বাড়ী বাড়ী গিয়ে ভোট ভিক্ষা করতেন ঠিক সেই ভাবে তারা বাড়ীতে বাড়ীতে প্রত্যাহ না হয় মাসে একবার কিংবা বছরের এমনি ক্লান্তি লগ্ন পরিস্থিতির আগেই ক্যাম্পেন করে জনগণকে সতর্ক করার উচিত ছিলো,বাড়ী ঘরের আশ পাশ পরিষ্কার রাখা,এডিস মশা জন্মানোর উৎসহগুলো সম্পর্কে জনগণকে অবহতি করানো।সারা বছর এমনি ভাবে প্রথমে সতর্ক করা অতপর জনগণ অবহেলা করলে তার পরিপেক্ষিতে জরিমানা করা।

ক্যাম্পেনে কিছু উৎসাহি ব্যাক্তি ঠিকই নেমেছিলো তবে ঝাড়ু হাতে যখন লাশের পাহাড় জমতে শুরু করল।এ যেন এক দিকে বিয়ের বাদ্য বাজনা বাজানো অন্য দিকে কবরে লাশ কবর দেয়ার শোকের মতন।জনগণ তা প্রত্যাখান করেন।

দায়ীত্বে থাকা ব্যাক্তিরা এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে যতটা না আন্তরিক ছিলেন তার চেয়ে বেশী কথায় পাকা ছিলেন।একজন বলেন “উত্তরে ঔষধ ছিটালে মশা দক্ষিনে যায় আর দক্ষিনে ঔষধ ছিটালে মশা উত্তরে যায়”

আবার স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছিলেন, “যেভাবে রোহিঙ্গা পপুলেশন বাড়ে আমাদের দেশে এসে, সে ভাবে মসকিউটো পপুলেশন বেড়ে যাচ্ছে।”মেয়রও জনগণকে পায়জামা পাঞ্জাবী পরিধানে পরামর্শ দিয়েছেন।

এডিস মশার ভয়ে পরিকল্পনা কমিশনে যেতে চাচ্ছিলেন না  অর্থমন্ত্রী। তার মতে “ওখানে বেশি মশা। এ পর্যন্ত দুই বার কামড় দিয়েছে, একবার চিকুনগুনিয়া ও আবার ডেঙ্গু!!এবার আপনিই কন এটা কি কোন  কথা হলো ?”ডেঙ্গু আর চিকুনগুনিয়া কি তাইতো তিনি জানেন না।তাই অর্থ মন্ত্রীর সার কথা “ডেঙ্গুর যন্ত্রণা কী, আমি তা বুঝি। আল্লাহ যেনো কারও ডেঙ্গু না দেয়।

এছাড়াও ঔষধের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্নের বাক-বিতন্ডতা এবং নতুন ঔষধ আমদানীতে রফায় রফায় সভা মিটিং বক্তিতা দিতে দিতেই সময় শেষ  এ দিকে জনগণের অবস্থা কাহিল।অন্য দিকে এ দেশের কিছু অসাধু হাসপাতাল ব্যাবসায়ী ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসায় জনগণের পকেট হতে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়, এক শ্রেণী ঔষধ ব্যাবসায়ী ঔষধ সংকট দেখিয়ে ঔষধের দাম বাড়িয়ে দেয় অথচ এ দিকে মেয়রদের কোন নজর নেই।শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ঔষধ সহ চিকিৎসার ফি বেধে দেয়া হয়।এ ছাড়াও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড- ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট, রিএজেন্ট এবং প্লাটিলেট ও প্লাজাম পরীক্ষার কিটের ওপর থেকে সকল আমদানিকৃত শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর, আগাম কর এবং অগ্রিম আয়কর অব্যাহতি প্রদান করে।

খোদ সরকারের উপকর কমিশনার চাঁদ সুলতানা চৌধু রানী তার ফেবুক ওয়ালে এক মর্মস্পর্শী স্ট্যাটাস দিয়েছেন-তা হুবহু তুলে ধরা হল: তিনি বলেন,
‘আমার মতে, প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারীর (উপকর কমিশনার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) মাধ্যমে গত অর্থবছরে রাষ্ট্র ৬৬৫ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ করতে পেরেছে। আমি রাষ্ট্রের দেয়া গুরুদায়িত্ব পালন করেছি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে। কিন্তু মাননীয় মেয়র, রাষ্ট্র কি আমার বাচ্চার নিরাপত্তা দিতে পেরেছে? ডেঙ্গু জ্বরে আমি আমার প্রাণের অধিক প্রিয় এক মাত্র ছেলেকে হারালাম! এখন আমিও ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ছয় দিন ধরে হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছি!! আমার মেয়ের ২ বছর বয়সে এক বার ডেঙ্গু হয়েছিল ! আপনি কি নিশ্চয়তা দিতে পারেন আমার মেয়ের আর ডেঙ্গু হবে না! সদ্য ছোট ভাই হারানো আমার ছোট্ট মেয়ে তার মাকেও যখন হাসপাতালের বেডে দেখছে তখন তার মনের অবস্থা অনুধাবন করার অনুভূতি কি আল্লাহপাক আপনাকে দিয়েছেন ? নাকি আমার এই লেখাটিও আপনার কাছে একটি গুজব!’(দা ডেইলী স্টার)


রাইয়ান মালিহা দুই ভাই বোন।মমিন সাহেবের আদরের দু সন্তানই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়।দুই ভাই বোনই ছিলো হাসপাতালে ডেঙ্গু চিকিৎসাধীন।রাইয়ান ডেঙ্গুর সাথে লড়াই করে অবশেষে মারা যায়।হতভাগা পিতা তার এক সন্তানকে কবর দিয়ে এসে হাসপাতালেই রেখে যাওয়া আরেক  সন্তানের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে মুখের ভাষা হারিয়ে ফেলেন।মেয়ে যখন বাবাকে জিজ্ঞাসা করে বাবা ভাইয়া কোথায়? তখন পিতা হয়ে তাকে কি ভাবে বলবে তার ভাইয়ার মৃত্যু হয়েছে।এমনি এক হৃদয় বিদারক পরিস্থিতে যখন গোটা দেশ পতিত তখন দায়ীত্বশীল নেতাদের এমন বেফাস মুখের কথন আর ফ্যাশানাভেল ক্যাম্পেন সত্যিই জাতি হিসাবে কতটা নীচ আমরা তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।অথচ বিশ্বে অসংখ্য নজির পানেতে চুন খসলেই দায়ীত্ব পালনে অপারগতায় স্বেচ্ছায় পদত্যাগ।এ দেশে দায়ীত্ব পালনে ব্যার্থদের বাশ দিয়া বাইরাইয়াও নামানো যায় না।এ দেশের রাজনিতীতে আছে টাকার গন্ধ আর বিদেশের রাজনিতীতে আছে মানবতার ছন্দ।
চেতনা আমাদের মাঝেও আসে তবে  ক্ষণস্থায়ী-দীর্ঘস্থায়ী নয়।আমাদের দেশে যখন একটা ঘটনা ঘটে তখন সেই ঘটনাকে নিয়ে পুরো দেশ মেতে থাকেন আরেকটি নতুন কোন ঘটনার অপেক্ষায়।এখন যদি একটা বড় কোন ভুমিকম্প বা প্রাকৃতিক দূর্যোগ হলে আমরা সবায় ঝাপিয়ে পড়ব এর মোকাবেলায় কার কি করণীয়,কার কি ব্যার্থতা ইত্যাদি।এরপর ঘটনা কিছুটা পশমিত হলে ভুলে যাই সব কিছু।যেমন এর মধ্যে আমরা ভুলে গেছি স্কুল কলেজের নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে দেয়া পরবর্তী কর্ম প্রতিশ্রুতি,ভুলে গেছি ধর্ষণে মহামারী রূপের প্রতিকার,ভুলে গেছি বনানী বহুতল ভবনে আগুনের কথা, ভুলে গেছি পুরনো ঢাকায় ভয়াবহ দুটো অগ্নিকান্ডের কথা।আমাদের দেশে ভবনগুলো ভুমিকম্পসহসীন করার কথা ছিলো ভুলে গেছি তা,অগ্নি নির্বাপণ ব্যাবস্থা ত্রুটিহীন করার কথা ছিলো,ছিলো আগুন লাগার পরবর্তী সেইফের মহড়া দেয়ার কথা, তাও ভুলে গেছি…তেমনি ভাবে এর সংকটের উত্তরণের এ মহড়া যেন আমরা ভুলে না যাই।

যাই হোক আল্লাহ আমাদের এ সব রোগ বালাই হতে মুক্তি দিক এই কামনাই করছি।আর মনে রাখতে হবে ডেঙ্গু আক্রান্ত হতে সেরে গেলেও ডেঙ্গুর জীবানু শরীর হতে পুরোপুরি চলে যায় না তাই পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে কিছুটা আলোপাত করা যেতে পারে।
অনেকে ডেঙ্গুকে অতি তাপমাত্রায় জ্বর হওয়াকে বুঝে আসলে তা কিন্তু নয়।আর এবারের ডেঙ্গুর বিষয়টি তা আর তাপ মাত্রার মাঝে সীমাবদ্ধ নেই।এবার যাদের ডেঙ্গু হচ্ছে তাদের মধ্যে জ্বর খুব একটা বেশি দেখা যায়না।যদি জ্বর উঠেও তা ২/৩ দিনের মধ্যেই নেমে যাচ্ছে।এবার যা হচ্ছে তা ডাক্তারদের ভাষায় “শকড সিনড্রোম”। তাই জ্বর নেমে গেলেই ডেঙ্গু নিশ্চিহ্ন তা বলা যাবে না।জ্বর কমে গেলেও চিকিৎসকদের পরামর্শে রোগীকে পরিচর্যায় রাখতে হবে।

ডেঙ্গু হলে রোগীদের মাঝে এবার যে জটিলতাগুলো দেখা যায় তা হলো রক্তের ভেতরের তরল অংশ বের হয়ে আসা, রক্ত ঘন হয়ে যাওয়া কিংবা রক্তের প্রেশার কমে যাওয়া- আর তাই এর চিকিৎসা হলো একটাই আর তা হল স্যালাইন দেয়া বা প্রয়োজনে শিরায় স্যালাইন দেয়া।আর একটি বিষয় হলো রক্তে প্লেটলেটের পরিমান অতিমাত্রায় কমে না গেলে এ নিয়ে আতংকিত হবার কিছুই নেই। তবে যদি প্লাজমা লিকেজ বা রক্তের তরল অংশ কমে যায় তবে চিকিৎসকের পরামর্শে স্যালাইন দেয়ার পাশাপাশি ডাবের পানি, ওরস্যালাইন, লেবুর শরবত এসব তরল জাতীয় খাদ্য প্রচুর পরিমাণে খাওয়াতে হবে যাতে প্রেশার কমে রোগী শক সিনড্রোম পর্যন্ত না যায়।আর রোগীকে এ সব সেবা ঠিক মত দিতে পারলে ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে ভয়ের কিছুই নেই।কথাগুলো বিবিসি বাংলায় বলেছেন ডাঃ তানভীর ইসলাম।তিনি আরো বলেন  জ্বর চলে গেলই যে ভালো হয়ে গেলেন তা কিন্তু নয়। পুরোপুরি বিশ্রাম নিতে হবে এবং প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার খেতে হবে।"

এবারের ঈদ যাত্রায় যদি কেউ ডেঙ্গু রোগ হতে মুক্তি পেয়ে থাকেন অথবা ডেঙ্গু জ্বরে আছেন তাদের নারীর টানে গ্রামে না যাওয়াই উত্তম।আর যারা যাবেন তাদের বাড়ীর কমোডে অবশ্যই ঢাকনা দিয়ে যাবেন। খোলা পানি ভর্তি পাত্র রেখে যাবেন না।ফুলের টবের ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন।

সবার ঈদ যাত্রা ও ঈদ পরবর্তী আগমন
শুভ হউক,হউক আনন্দের।
------------------------

তথ্য ও ছবি:
বিবিসি বাংলা
ও অন্যান্য অনলাইন মাধ্যম।

0 Shares

২৬টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ