শেষ থেকে শুরু_পর্ব এক

সুরাইয়া পারভীন ১৬ আগস্ট ২০২০, রবিবার, ০৫:৪০:৫৩অপরাহ্ন গল্প ২৩ মন্তব্য

ইদানিং সময় একদম ভালো যাচ্ছে না। অসহ্য লাগছে সব কিছু। পছন্দের অপছন্দের কোনো কিছুই ভালো লাগছে না। নাহ্ এটা সিরিয়াস কিছু নয়। কারণ মাঝে মধ্যেই এমনটা হয়। নিজের উপর প্রচন্ড অভিমান অভিযোগ, নিজের কাজকর্মের উপর বিরক্ত হয়েই থাকে। এর যথার্থ কারণ অবশ্য আবিষ্কার করা হয়ে উঠেনি। তবে এর রেশ বেশি দিন থাকে না তাই এই বিষয়টা অতো গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে নেওয়া হয় না কখনো।

 

সে যাক হোক

এই বার ব্যাপারটা ভয়াবহ যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অসহ্যের মাত্রা কয়েকশ গুণ বেড়ে গেছে। তাই সুনয়না মনে মনে ঠিক করলো সে মানসিক ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করবে এবং প্রয়োজনে এসাইলামে ভর্তি হবে। যেই ভাবা সেই কাজ

 

সুনয়না নেট ঘেটে একটা মানসিক ডাক্তারের খোঁজ বের করে ডিটেইলস জেনে সিরিয়াল দেয়। কাঙ্খিত দিনে সুনয়না ক্লিনিকে গিয়ে ওয়েটিং রুমে বসে অপেক্ষা করছে আর ভাবছে সে সত্যি সত্যিই একজন পাগলের ডাক্তারের সাথে দেখা করতে এসেছে! ব্যাপারটা অবিশ্বাস্য হলেও সুনয়না বেশ এক্সাইটেড এই ভেবে যে সে পাগলের ডাক্তারের সাথে কথা বলবে! নিজে নিজের মনেই ভাবছে কেমন হতে পারে ডাক্তারের সাথে কথোপকথন! এমন সময় কানে এলো সুনয়না, সুনয়না কে? সুনয়না হন্তদন্ত হয়ে ছুটে গিয়ে বললো আমি! সুনয়না ডাক্তারের চেম্বারে ঢুকলো। ডাক্তার কে সালাম দেবে এমন সময় চমকে গেলো আরে এতো শায়ন!

 

-সুনয়না তুমি এখানে?

-হ্যাঁ কিন্তু তুমি! তুমি শিমুল মানে শায়ন আহমেদ শিমুল ই তো। আমি ভালো করে খেয়াল করিনি।

-ভাগ্যিস খেয়াল করোনি তাই তো এতো বছর পর তোমাকে দেখতে পেলাম। তা তুমি এখানে কেনো? ঠিক আছো তো তুমি!

 

- সুনয়না মনে মনে ভাবছে, এই শায়নই আমার ক্লাসমেট ছিল। আমরা দুজনেই বিজ্ঞানের স্টুডেন্টস ছিলাম। একই সাথে একই বেঞ্চিতে পাশাপাশি দুই বছর বসেছি। ও শুধু আমার ক্লাসমেট ই ছিল না....

0 Shares

২৩টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ