প্রথমেই আপনি কমপক্ষে ১০-১৫ টা বিখ্যাত ব্লগ সাইটে  আইডি খোলেন । প্রতিদিন বিভিন্ন সামাজিক উদ্যোগ অসগঙ্গতি তুলে ধরে ঘরে বসে মুড়ি খাবেন আর ব্লগ লিখবেন একেক সময় একেক আইডি থেকে কমেন্ট করে হিট বাড়াবেন ।এর পরে কাজ হল মিডিয়া কে কব্জা করা যদি পারেন আরকি । যদি না পারেন তো আরেকটা সহজ বুদ্ধি আছে বিরাট একটা সংবাদ সম্মেলন ডাকবেন  তার পরে আমারে দাওয়াত দিবেন , আমি একটা ইয়ারগান নিয়া হাজির থাকবো , তার পরে আপনি ইসারা দিলেই  হাসপাতালে খবর দিয়ে সুযোগ বুঝে কাজ সেরে ফেলবো । প্রথমে জাতীয় তার পরে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় হাইলাইট  তার পরে আর আপনাকে কে ঠেকায় .................. । কথায়  আসি মালালার নোবেল পাপ্তি নিয়ে । আমি অনলাইন ঘুরে ঘুরে অনেক সাইট দেখলাম খুঁজলাম কোথায় ও দেখলাম না এমন একটা নিউজ যেখানে ...।

#মালালার উদ্যোগে বা কথায় উজ্জীবিত হয়ে পাকিস্থানের মেয়েরা মেয়েরা স্কুলগামী হয়েছে ।

#মালালা কোন একটি মেয়েকে অক্ষর জ্ঞান দান করেছে ।

#মালালার কারণে পাকিস্থানের মেয়েদের শিক্ষার হাড় বেড়েছে...।

#পাকিস্থানে আজ চারদিকে শান্তির সুবাতাস বইছে ।

উপরের একটিও সে করতে পারে নি । পাকিস্থানের মেয়েরা সেই আগের জাগাতেই আছে, তাদের অবস্থানের কোন পরিবর্তন ঘটে নি । বিশ্ব মিডিয়া কি এর অপরে কিছু প্রকাশ করেছিল ? কেউ জানলে জানাবেন । আমার প্রশ্ন হল মালালা তাহলে কোথায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করলো ? কিসের শান্তি প্রতিষ্ঠা করলো ? ও হ্যাঁ করেছে তার নিজের , তার  পরিবারের কারন সে ইউরোপ বিলাসি জীবন যাপনের সুযোগ পেয়েছে । কানাডা তাকে বিশেষ নাগরিকত্ব দান করছে । প্রথম থেকেই আছে এই মালালা কে ও তার পরিচয় নিয়ে বিতর্ক । তাকে যে গুলি করেছে সে নাকি ছিল ইতালিও ।আজকের লেখার উদ্দেশ্য তার পরিচয় খোঁজা নয় । এই যে এই মেয়ে শান্তিতে নোবেল পেলো, আপনারা কি কেউ দেখেছেন সে ফিলিস্থিনের একটি শিশুর জন্য আখেপ করে কিছু একটা বলেছে ? ইসরাইল যে অন্যায় ভাবে হাজার হাজার নিরপরাধ শিশু, নারী হত্যা করলো তার বিরুদ্ধে ? না বলে নি, বলবেন না।  কেন বলবে না ? উত্তর আপনি একটু খুজলেই পাবেন। শান্তিতে নোবেল নিয়ে এমন ইয়ার্কি চলছে কয়েক বছর থেকেই ।

এর পরে আসি ভারতের শিশু অধিকারকর্মী কৈলাস সত্যার্থী চাচারে নিয়া । তিনি কাজ করছেন শিশুদের নিয়ে শিশুস্রম বন্ধ করা নিয়ে । ‘বাচপান বাঁচাও’ আন্দোলন এর রুপকার ও তিনি । অথচ ভারতের মিডিয়ায় তিনি খুব একটা আসেন নাই ।তিনি নোবেল পাইলেন । আমার জানা মতে যারা  নিজেদের কর্ম দ্বারা বিশ্বব্যাপী পরিচিত হয়েছেন যা মানব কল্লানে তথা বিশবাসির দৃষ্টান্ত ও জন্য হিতকর তারাই নোবেল পাবেন । কিন্তু কি হল ?

 

এবার দেখেন মায়ানমারের সূচি সামরিক জান্তা তারে ঘরবন্দি একরকম জেলে রাখল । সে পাইল শান্তিতে নোবেল । অথচ তার দেশে কোথায় শান্তি নাই সে আজ পর্যন্ত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারে নি । এমন শান্তি সে মায়ানমারে প্রতিষ্ঠা করছে, যে দলে দলে রোহিঙ্গা জীবন বাঁচাতে নাফ নদি পার হয়ে বাংলাদেশে আসে জীবন বাঁচাতে । তারপরে হেনরী কিসিঞ্জারের কাহিনি তো আছেই । এমন দৃষ্টান্ত অনেক পাওয়া যাবে ।

বাংলাদেশে নোবেল আসছে, পাকিস্থানে আসছে , ভারতে নতুন করে আবার আসলো । আস্তে আস্তে সব দেশেই নোবেল যাবে বলেই আমার মনে হয় ।

ওরে  অ্যালফ্রেড নোবেল তুমি যে উদ্দেশে তোমার সম্পদ রেখে গেছ আজ সে উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হচ্ছে না । সব উদ্দেশ্যপ্রণোদিত , তুমি বাবু মাইন্ড খাইয়া মন খারাপ কইর না । তাঁরা তোমার সম্পদ দিয়া কয়লায় আরেকটু ফুউউউউউউ দিতাছে এই আর কি !!!!

আসল বিষয় কিছুই না দালালী আর পশ্চিমাদের এজন্দা বাস্তবায়ন । এর পক্ষে যারা কাজ করবে আর বাস্তবায়নে সাহায্য করবে তারাই হবে নোবেল পাপ্তির উপযুক্ত বেক্তি ।নোবেল কমিটি একটা রাজনৈতিক কমিটি যা হচ্ছে সব রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাপারটা পরিস্কার। শুধু you have to বুঝতে হবে ।

 

 

 

0 Shares

১৯টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ