: বরিশাল নগরীর সাগরদীতে এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ওপর নির্মম নির্যাতনের খড়গ চালানো হচ্ছে। সেখানকার সন্ত্রাস প্রকৃতির লাবু নামক বেপরোয়া লোকটি বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত রফিক উদ্দিন মুনশীর পরিবারের ওপর যতসব মেকানিজমের কারসাজি করে আসছে। সুযোগ সন্ধানী পাতি নেতা হিসাবে পরিচিত লাবু এলাকার একই বাড়ির দুই পরিবারের মধ্যে সন্ত্রাসী  স্টাইলের ছক একে পথ চলছে। দখল দারিত্বের মনোভাবে ইতোমধ্যে সন্ত্রাসী স্টাইলের হিংস্র আচরনের প্রদর্শনও ঘটিয়েছে। অজ্ঞতায় ভরপুর সংকীর্নমনা চেতনার সাগরদী এলাকায় বসবাসকারী স্বর্ন প্রতারক’র জনশ্রুতি থাকা কামাল পরিবারের সঙ্গে লাবু ও তার সহযোগীদের গোপন বুনিবনায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটিকে নি:শ্ব করে দেয়ার ষড়যন্ত্র বিরাজমান। বিস্ময়কর! মুক্তিযোদ্ধার সহধর্মীনি মাহমুদা বেগমকেও  করে টানা হেচরা। তাকে অমানবিক কায়দায় বর্বর আচরন করেছে উশৃঙ্খলকারীরা। জাতির শেষ্ঠ সন্তানের সহধর্মীনকে নাক্কারজনক লাঞ্চিতে হতবাক ! লাবুর সাঙ্গপাঙ্গদের হিংস্রতার লাঞ্চিত, এটা কোন বিবেগমান মানুষ মেনে নিতে পারে না,পারছে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী পরিবারের সন্তানদেরকে জিম্মি করে পূর্বপরিকল্পিতভাবে মেন্টাল এবং হেলথ  টর্চার তাও আবার একই চেতনা লালনকারী সরকারের আমলে ঘটছে। তাজ্জব বনে যেতে হয়।  গত ২৫ এপ্রিল বিকেলে এহেন বর্বরতার জন্ম দেয়া হয়। সময় সময় বিভিন্ন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে অনৈতিক পন্থায় অর্থ কামানা লাবু। অর্থাৎ লাবুরা ক্ষমতাসীন দলের নাম কে ব্যবহার করে ধান্ধাবাজী হাসিল করা চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের ছত্রছায়ায় থাকছে। এতে ঘটছে দলে বিতর্ক। প্রশ্ন হচ্ছে দল কি এসব দেখেও না দেখার ভান করছে। এমনও হতে দলের শীর্ষ নেতারা বিষয়টি অবহিত নয়। প্রশ্ন উঠতেই পারে দেশের জন্য বীর মক্তিযোদ্ধার সন্তানরা নিরাপত্তায় শংকিত ? ক্ষমতাধর কোন ব্যক্তির আর্শিবাদ আর অর্থের বিনিময়ে নাকি ? হতে পারে  আ’লীগের ইমেজ ক্ষুন্নের অপচেষ্টা করা। তাহলে এরা কি আদৌও দলের জন্য ! সংগঠন থেকেই ধুমায়িত হচ্ছে নানা প্রশ্ন। কথা উঠছে এরা দলের ক্ষতিকারক। মুলত এদের টার্গেট ই ক্ষমতাসীন দলের লোক জাহির করে অর্থনৈতিক ফায়দা লোটা। ফায়দালোটা লাবুদের অনেক দৃষ্টান্ত রচিত হয়েছে বরিশালে। দল কি সুযোগ সন্ধানী লাবুদের কর্মকান্ডে প্রশ্নবিদ্ধ ভুমিকায় অবতীর্ন হচ্ছে না ? এরকম প্রশ্ন সচেতন মহলে ঘুরপাক খাচ্ছে।
অপরদিকে আহতদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান শিক্ষক মো: মাঈনুল হাসান রাসেলকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে লাবুর ব্যবহারের পাত্র কামাল পরিবারটি অজুহাত তুলে তাদের এক “কন্যার স্বর্নের দুল খোয়া গেছে। এজন্য চালপড়া খাওয়ানোর ব্যবস্থা করে লাবুর ব্যবহারের শিকার পরিবার। চালপড়া খাওনোতো দোষী চিহ্নিত করে স্কুল পড়ুয়া এক শিশুকে। এরপর ছকনুযায়ী ২৩ এপ্রিল বিকেলে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের প্রতিবেশী ও ঘনিষ্ঠ মাহাতাব উদ্দিনের বাসা ভেঙ্গে শিশুটিকে অন্যত্র তুলে নিয়ে যায়। টর্চার সেলে নিয়ে শিশুকে ভয়ংকরভাবে মানষিক আঘাত করে। আতংকের বিভিন্ন অস্ত্র প্রদর্শন করে শিশুকে। এটা দিয়ে ওটা দিয়ে একবারে মেরে ফেলার ভীতি দেখানো হয়। হত্যার আতংক। এরপর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। শিশুটির নাম মাঈনুদ্দিন খান (১৩)। তার পিতার নাম মাহাতাব উদ্দিন। বাসা সাগরদী দরগা বাড়ি এলাকার আবদুল হামিদ সড়ক। তাদের আতংকিত প্রদর্শনে ভীত সন্তস্ত্র শিশুটি ! আতংকে জানান না দিয়ে নিরবও থাকছিল। তবওু মনে প্রতিবাদের দাগ কাটে। আবার আতংকও তাড়া করে ফিরে শিশুটির মাঝে। আতংক! কখন যে তাকে বা তার পরিবারকে জিম্মি করে ঘটনের জন্ম দেয়! আতংকে হাসপাতালে ভর্তি হতে কিছু সময় পেরিয়ে দেয়। ২৫ এপ্রিল রাতে হাসপাতালে ভর্তিরত শিশু মাঈনদ্দিন খান প্রতিবাদের ভাষায় তার ওপর মানষিক নির্যাতনের আদ্যপান্ত তুলে ধরে । একই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে আতংকের নির্যাতনের চিত্রও তুলে ধরে। পাশাপাশি প্রতিবাদী এই শিশুটি নির্যাতনের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী করে। মুক্তিদ্ধোর সহধর্মীর্নি মাহমুদা বেগম হাসপাতালে অশ্রসিক্ত নয়নে বলেছেন, আমার ছেলেদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে এলাকার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্তরা। তিনি বলেন,ওরা এতটাই বেপরোয়া আমার ওপরও টর্চার করেছে। বলেন, আমার পরিবার ও শিশুর অমানবিক নির্যাতনের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এদিকে, মুক্তিযোদ্ধার পরিবার ২৬ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯ টার দিকে বলছে, লাবু এলাকায় জাহির করে বেড়াচ্ছে যে এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে ফেন্সিডিল দিয়ে মক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ধরিয়ে দিবে।
লেখক : সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
Mail : ahmedjalalbsl@gmail.com

0 Shares

৫টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ