কাল বিশ্ব বন দিবস যতাযত ভাবে পালন করা হবে বিশ্বের সব দেশে, খুব খুশির মধ্যেও আমাদের খুশি উদাও হয়েছে কিছু সংবাদে তার একটি তো আমরা আগে থেকেই জানি, সুন্দরবনের পাশ ঘেঁষে নির্মাণ করা হচ্ছে দেশের বৃহৎ বিদ্যুত প্রকল্প রামপাল বিদ্যুতকেন্দ্র আর এতে বিপন্ন হতে চলেছে আমাদের দেশের ফুসফুস সুন্দরবন, এই সুন্দরবন বাঁচাতে সুন্দরবন বাঁচাও আন্দোলন চলছে বেশ কিছুদিন ধরে, এরি মধ্যে ঢাকা মেট্রোরেলের জন্য কয়েক লক্ষ গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যা ঢাকার জনগণের জন্য হয়ত ভালো হবে কিন্তু ঢাকা শহর থেকে উদাও হয়ে যাবে এই শহরকে অক্সিজেন সরবরাহের বৃহত অংশটি, যা আমাদের জন্য অবশ্যই বিপদজনক, সরকার বলছে, যা গাছ কাটা হবে তার দ্বিগুণ গাছ অন্য জায়গাই লাগানো হবে কিন্তু উনারা জানেননা বড় গাছে যতটুকু কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করতে পারে তা চারা গাছ কিন্তু পারেনা আর চারা গাছ উনারা কোথায় লাগাবেন তার জন্য ঢাকা শহরে জায়গা কই তাও উনারা বলেননি, এখন চোখ পড়েছে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের বনাঞ্চল, এই বনাঞ্চলের তেষট্টি হেক্টরের লক্ষ লক্ষ গাছে কেটে বিদ্যুত মন্ত্রানালয় ৪০০ কেবির বিদ্যুত সঞ্চালন লাইন নিয়ে যাওয়ার প্লান করেছেন যা এই বনাঞ্চলের জীব বৈচিত্র ধ্বংস করার বড় প্রকল্প হতে চলেছে যাহা নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ
সীতাকুণ্ড একটি পাহাড়ী অঞ্চল, যার মাঝে বয়ে চলেছে বেশ কয়েকটি পাহাড়ি ঝর্ণা, এই এলাকায় আছে চিরহরিৎ বন, লতাগুল্ম সহ বিভিন্ন জীববৈচিত্র, আছে বিভিন্ন কীটপতঙ্গ, বিভিন্ন জাতের বানর, এক ধরণের বুনো ছাগল যার তিরিশ কেজিরও বেশি মাংস, আছে কয়েক জাতের বিড়াল প্রজাতি, আছে বুনো মুরগী আর বিভিন্ন জাতের পাখি, আছে দেশের একমাত্র বড় ও দীর্ঘতম বৃক্ষ বইলাম, আছে বিভিন্ন প্রজাতির দুর্লভ বৃক্ষরাজী যা দেশের অন্য কোথাও পাওয়া যায়না।
কিন্তু এইখানেই চোখ পড়েছে বিদ্যুৎ মন্ত্রনালয়ে, উনারা বলছেন যত গাছ এইখানে কাটা পড়বে তার দ্বিগুণ চারা গাছ অন্য জায়গাই লাগানো হবে কিন্তু মাননীয় বিদ্যুত মন্ত্রী হয়ত বুঝতে ভুল করেছেন গাছের সাথে সাথে দুর্লভ লতাগুল্ম, কীটপতঙ্গ, জীবজন্তু সহ অনেক কিছুর উপর এই গাছ কাটার বিরুপ প্রতিক্রিয়া হবে যা হয়ত আর জীবনেও ফিরে পাওয়া যাবেনা, উপরন্তু জলবায়ুর বিরুপ প্রতিক্রিয়া তো আছেই যার জন্য সয়ং আমাদের প্রধানমন্ত্রী পুরা বিশ্বের সাথে লড়ছেন যেন জলবায়ুর বিরুপ প্রতিক্রিয়া রোধ করা যায় কিন্তু আমাদের বিদ্যুত মন্ত্রনালয় যেন পণ করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধাচরণ করবেন।
সুতরাং আমাদের অনুরোধ মাননীয় বিদ্যুত মন্ত্রী মহোদয়ের যেন মতিভ্রম ভাঙ্গে আর এইসব গাছ কাটার চিন্তা ভাবনা যেন এই মূহুর্তেই বন্ধ হয়, নচেৎ সাধারণ জনগণ এইসব কুচক্রীদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন, সুতরাং সাধু সাবধান।
২২টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
(y)
ইঞ্জা
(3
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
সহমত।সুন্দর উপস্থাপনা।একটি গাছ কাটলে আগে দুটি গাছ লাগিয়ে কাটবেন নতুবা এই আমরাই সব চেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হব। -{@
ইঞ্জা
ভাই সরকার গাছ কাটে ঠিকই কিন্তু গাছ লাগায় তা আর শুনা যায়না, তার মানে হলো উনারা গাছ আর লাগায় না কিন্তু দুঃখজনক হলো, সীতাকুণ্ড পাহাড় এলাকায় যেইসব গাছ আছে তা বিভিন্ন ধরণের আর এইসব গাছ কাটা মানে লক্ষ কোটি গাছকে মেরে সাফ করে ফেলা যা আমাদের পরিবেশের জন্য মারাত্মক।
নীহারিকা
যত গাছ কাটবো তার দ্বিগুণ গাছ লাগাবো। কিন্ত আমরা তা করি না।
ফলাফলঃ ভবিষ্যৎ অন্ধকার।
ইঞ্জা
ভবিষ্যৎ অন্ধকার শুধু নয়, তারা আমাদের মেরেই ফেলবে দাদিজান।
হৃদয়ের স্পন্দন
দাঁড়ানোর কেউ নাই, এসব বলেও লাভ নাই। আওয়ামীলিগ , বিম্পি যে সরকার ই আসুক, তারা প্রতিটা প্ল্যান বাস্তবায়নের পূর্বে লক্ষ্য রাখে এইটাতে শ দুয়েক মানুষ মরবে, তাতে কার কি? শ দুয়েক থেকে তিন চার টা পুলিশ যেতে পারে, বাকিগুলা অতি উঠসাহী, দরকার নাই, মাইরা ফালা। আন্দোলন, আমি ভাই এইসবে নাই, দু চারটা ফেবু পোষ্ট দিয়েই ক্ষান্ত
ইঞ্জা
প্রতিটি কথাতেই সমর্থন জানাচ্ছি ভাই কিন্তু আন্দোলনে না থাকলেও প্রতিবাদে তো নিষেধ নেই ভাই, প্রতিবাদ করুন নিশ্চয় ফল পাবেন একদিন।
জিসান শা ইকরাম
ভাল পোষ্ট ইঞ্জা ভাই,
তবে কথা হচ্ছে যে, আপনি পোষ্ট দিয়েই অনেকের মত উধাও হয়ে যান কেন? 🙂
শুভ কামনা।
ইঞ্জা
ভাইজান আপনি আমার দোষ ধরলে হবে, আপনি জানেন আমি একটা গ্রুপের বিশেষ একটা দায়িত্বে আছি, প্রায় সময় আমি বিভিন্ন সিটি আর দেশে যেতে হয়, এরপরেও প্রিয় সোনেলায় ঢু না মারলে যে আমার ভাত হজম হয়না জানেন আপনি, এরপরেও যখন সময় পাই গল্প, কবিতা আর সামাজিক বিষয় নিয়ে লেখালেখি করি, এখন আপনাদের দোয়া ছাড়া আর কি ভাবে চলবো ভাইজান। ;(
প্রহেলিকা
**গাছের সাথে সাথে দুর্লভ লতাগুল্ম, কীটপতঙ্গ, জীবজন্তু সহ অনেক কিছুর উপর এই গাছ কাটার বিরুপ প্রতিক্রিয়া হবে যা হয়ত আর জীবনেও ফিরে পাওয়া যাবেনা, **
সহমত, এই বিষয়টিই অনেকে বুঝতে চায় না। ভালো লেগেছে পোষ্ট।
ইঞ্জা
আমরা যদি এখনই না বুঝি তাহলে এইদেশ মানুষ শুধু নয় ভুতেও বাস করতে পারবেনা ভাই।
নীলাঞ্জনা নীলা
হ্যান্ডপাম্প ভাইয়া কেউ নেই এসব শোনার, ভাবার। যাদের এসব শোনা উচিৎ, বোঝা উচিৎ তারা এসির বাতাসে ঘুমোচ্ছে।
ব্যাপার কি ভাইয়া লুকোচুরী খেলছেন কেন? ;?
ইঞ্জা
সহমত আপু কিন্তু কতোদিন এসিতে ঘুমাবে তারা, তারা যা শুরু করেছে আর বেশিদিন নেই এইদেশ মরুভূমি হতে।
কি লুকোচুরি খেলছি আপু, বুঝলাম না, খুলে বলুন প্লিজ।
নীলাঞ্জনা নীলা
সারা পৃথিবীতেই এখন বাতাসে অক্সিজেন সঙ্কট হ্যান্ডপাম্প ভাইয়া।
আরে ভাইয়া নেগেটিভ কিছু বলিনি কিন্তু। লুকোচুরী মানে ব্লগে পোষ্ট এতো কম কেন দিচ্ছেন? লেখার সাথে টুক্কি খেলার কথা বলেছি আর কি! 😀
ইঞ্জা
ঠিক বলেছেন আপু, এই মূহুর্তে আমাদের উচিত যত বন আছে সব বন কাটা বন্ধ করা, সাথে সাথে বনায়ন বাধ্যতামূলক করা।
আপু, নিজ জীবনে খুব ব্যস্ততায় আছি, আমার কাজ হলো পুরা দেশ যেখানে আমাদের ডিলার আছে, তাদের ভিজিট করা, সাথে সাথে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেসও আমি দেখি, প্রায় দেশের বাইরেও যেতে হয়, এরপরে আছে ফ্যামিলি ম্যাটার, সব কিছু সেরে তারপর আসে ব্লগিং আর ফেইসবুকিং, তাই একটু সমস্যা হয়, দোয়া রাখবেন আপু। -{@
আবু খায়ের আনিছ
প্রকৃতির সাথে এই খেলা প্রকৃতি কতক্ষণ সহ্য করবে এখন এটাই বড় বিষয়। সচেতন নাগরিক মহল নিরব, কেউ কিছু বলবে না, একটা অজানা ভয় এদের মনে কাজ করে সব সময়। জানিনা সরকার কেন দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা ভাবনাগুলো করতে পারে না, ওরা কি শুধুই ক্ষমতার রাজনীতির জন্য এমন চিন্তা ভাবনা করে?
ইঞ্জা
এইখানে লোভও কাজ করে ভাই, যা গাছ কাটা পড়বে তার বিক্রয়লব্ধ টাকার কমিশন কয়েক কোটি টাকা পকেটে যাবে তাদের।
ছাইরাছ হেলাল
এমন সচেতনতায় আমরা কবে ফিরব কে জানে!!
ইঞ্জা
আল্লাহ্ মালিক এখন আমাদের। :T
চাটিগাঁ থেকে বাহার
যেখানে সরকার বন সংরক্ষণ করবে সেখানে নিজেরাই যদি ভক্ষণ করে তাহলে কার কী করার আছে বলুন!
ইঞ্জা
সহমত, আমাদের সরকারকেই আইন করতে হবে বন কাটা বন্ধ করার।