অর্পিতা ১৯

সঞ্জয় কুমার ১২ জুলাই ২০১৪, শনিবার, ০২:১১:২৮অপরাহ্ন বিবিধ ১১ মন্তব্য

জয়: অর্পা তুমি ম্যানেজ কর আমি এর ভিতর নেই ।

মিলন: আরে বোকা অত ভয় পাওয়ার কি আছে উনি মানুষই তাই না । চল দেখিস আমি কিভাবে ওনাকে ম্যানেজ করি ।

নমস্কার আঙ্কেল ।

হুম

তোমার নাম কি ?

আমার নাম মিলন আর ওর নাম জয় ।

শুধু নিজের টা বল ওর টা ওই বলবে ।

হ্যাঁ ঠিকই বলেছেন ।

কি কর ?

পড়াশুনা করি স্টুডেন্ট

কোন ক্লাসে?

এই তো এবার সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পরিক্ষা দিলাম ।

রেজাল্ট ?

এখনো রেজাল্ট দেয় নি ।

অহ তার মানে এখন কিছুই কর না বেকার ?

হ্যাঁ আমি বেকার তবে ও মানে জয় চাকুরী করে ।

আবার ওর কথা বলছ ?

সরি ।

আচ্ছা ঠিক আছে তুমি তো সিভিল ইঞ্জিনিয়ার তাই না ?

হুম

ধর যদি আমি একটা দশ ফিট বাই দশ ফিট পাঁচ ইঞ্চি ওয়াল গাঁথুনি করতে চাই তাহলে আমার কতটা ইট লাগবে?

ইয়ে মানে আঙ্কেল একটা ক্যালকুলেটর হবে ?

ক্যালকুলেটর কেন ?
এতটুকু হিসাব করতে ক্যালকুলেটর লাগে?

তুমি পারবে? (জয়কে দেখিয়ে)

হুম
পাঁচশো টা ইট লাগবে ।

একটু বেশী হল না?

বারটা বেশী ধরা হয়েছে অপচয় হিসাবে । গানিতিক হিসাবে লাগে প্রতি স্কয়ার ফিটে ৪.৮৮পিস । আপনার মাপ অনুযায়ী দশ বাই দশ মানে একশ স্কয়ার ফিটে লাগবে ৪৮৮ পিস । অপচয় সহ মোট ৫০০টা ।

গুড । একদম পরিষ্কার মাথা ।
ওর চাকরী হবে ছাড়া কি তোমার হবে?

ওহ মনেই নেই তোমরা কার কাছে এসেছ?

রাজু: বাবা উনিই মাকে হাসপাতালে সিটের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন । দিদিকে রক্ত দিয়েছিলেন ।

অহ ।

যাও দুজনেই ঘরে গিয়ে বস ।
রাজু ওদের জলখাবার দিতে বল ।

ঠিক আছে বাবা ।

আপনারা এই ঘরে আসুন ।

দাদা কি খাবেন?

কিছুনা আগে এক গ্লাস জল দাও ।

তোমার দিদি কই ?

কি হয়েছে ?

রাজু: বাবা ওনাদের ইন্টারভিউ নিচ্ছিলেন । জয় দা পাশ করেছে ।

অর্পিতা: আসলে বাবা তো সারাজীবন মাস্টারি করেছেন । এখনো সবাইকে ছাত্র মনে করেন ।

মিলন: উনি কি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষক ছিলেন ?

চলবে......................................

0 Shares

১১টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ