রোগ নির্ণয়ের টেস্টের উপর ডাক্তারের কমিশন (আইন করে) বন্ধ করে তা রোগীকে ছাড় দেয়া হোক
সরকারী হাসপাতালের ডাক্তারগুলো হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীর প্রতি যতই তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য, অবহেলা করুক না কেন তারা কিন্তু সন্ধ্যাবেলা নিজ নিজ চেম্বারে চরিত্র বদল করে ভাল মানুষটি হয়ে যান (ঢালাওভাবে সবাই নয়)। তখন তারা রুগির এত শুভাকাংখি হয়ে যান যে রোগির জন্য যেসব পরীক্ষার প্রয়োজন নেই সেগুলোও টেস্ট করাতে দিয়ে থাকেন। প্রেসক্রিসশনে কোথায় টেস্টসমূহ করাবেন সেটাও ডাক্তার সাহেবরা লিখে দেন। কিছু কিছু ভাল ডাক্তার আছেন যারা লিখে দেন ২৫% কমিশন ছাড় দেয়ার জন্য।
সব রোগী বিত্তবান, ধনী নয়। অনেক রোগী আছেন যারা জায়গা-জমি বন্ধক দিয়ে, হালের গরুটি বিক্রি করে দেন চিকিৎসার জন্য। কেউ কেউ দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করে চিকিৎসার খরচ যোগাড় করেন। তারা ডাক্তারের কাছে এসে, বিভিন্ন ডায়াগনষ্টিক সেন্টার নামের কশায় খানায় এসে আর্থিক, শারিরীক, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হন। সব ডাক্তার এবং সব ডায়াগনষ্ঠিক সেন্টার অবশ্য খারাপ নয়।
রোগীর রোগ নির্ণয় করতে না পারাটা রোগীর অপরাধ নয়, বরঞ্চ তা ডাক্তারের দূর্বলতা। টেস্ট করাতে ডাক্তারের কোন ভূমিকা নেই। তবুও কেন টেস্টের টাকা থেকে ডাক্তার কমিশন খাবেন? ডাক্তার তো রোগীর কাছ থেকে ফিস নিচ্ছেনই। এমন কি কোন কোন ডাক্তার টেস্টের রিপোর্ট দেখতেও ফিস নেন। আজিব দেশ আমাদের বাংলাদেশ।
ডাক্তারের ইনকামের সঠিক টেক্স(আয়কর) যদি রাজস্ব বিভাগ আদায় করতে পারে তাহলে বাংলাদেশ ৫ বছরেই স্বাবলম্বী হয়ে যাবে।
টেস্টের মূল্য কমিয়ে রোগীকে হেল্প করে ডাক্তারকে দেয়া কমিশন সিস্টেম আইন করে বন্ধ করা যায় কিনা ভেবে দেখার বিষয়।
১১টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ডাঃ পেশাটিই হচ্ছে সেবা।কেউ যদি এমননটি করে তখন অনৈতিক কাজ করল।সহমত আপনার পোষ্টের সাথে। -{@
চাটিগাঁ থেকে বাহার
সহমত পোষন করার করার জন্য ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন।
অরুনি মায়া অনু
ঠিক বলেছেন, অভিজ্ঞতার উপর এখনকার ডাঃ রা ভরসা করেন কম। রুগী দেখে আগেই টেস্ট ধরিয়ে দেন।এটা কিন্তু ঠিক নয়।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
সম্ভাব্য টেস্টগুলো দিলে না হয় মানা যায়, এমন সব টেস্ট দিয়ে বসে যেগুলো না দিলেও চলত। কমিশন বানিজ্য উঠিয়ে দিলে দেখা যাবে এই অপচয় আর হচ্ছে না। আপনাকে ধন্যবাদ। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
এই টেষ্টে যতো খরচ হয়, তাতে একজন সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে যায়।
ডিজিটাল দেশ শুধু নামেই, কাজের কাজে কিছুই না।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
অনেক গরীব অসহায় রোগী ভিটে মাটি বন্ধক দিয়ে পর্যন্ত চিকিৎসা করতে আসে। অতচ এমন সব বাড়তি খরচের ফাঁদে তাদের পড়তে হয় যাতে ওরা আরো অসহায় হয়ে পড়ে।
নীলাঞ্জনা নীলা
ঠিক বলেছেন। কিন্তু কে এসব নিয়ে কথা বলবে বলুন! যারা বলার তারাই তো মুখ বন্ধ করে রেখেছে।
নীরা সাদীয়া
ঠিক বলেছেন। সরকারী হাসপাতালেওতো প্যাথলজির নাম লিখে হাতে ধরিয়ে দেন। এর প্রতিকার চাই।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
প্রতিকার ব্যবস্থা নিতে হবে সরকারকেই। আশা করি সরকার এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবেন।ধন্যবাদ আপনাকে। -{@
ইঞ্জা
সহমত ভাই
চাটিগাঁ থেকে বাহার
ধন্যবাদ আপনাকে। -{@