দিবস পালনে কাজে আসেনা গতি, খাতা কলমে বন্দি। অন্তরে ঠাই না দিয়ে মুখের বুলিতে হবেনা উন্নতির কোন লক্ষন। আগে হ্রিদয়াত্ত্বায় ধারন করে হও আগুয়ান তবেই হবে জয় দেশমাতৃকার।
কাঁদো, বাঙ্গালি কাঁদো। আমার জানতে ইচ্ছে করে এইভাই কি নিজে বঙ্গবন্ধুকে অন্তরাত্তায় ধারন করে কেদেছেন?? কাদলে তাঁর স্বপ্ন বুকে নিয়ে দুর্নীতি অকাজ কুকাজে কেমনে লিপ্ত হন! তাই সামান্য খাওয়ার ছবিখানা এখানে দিলাম সংগ্রহ শ্রধ্বেয় জিশান শা ইকরাম ভায়ের পোস্ট থেকে। যারা সামান্য খাবার গরীব অসহায় মানুষকে বিলাতে পারেনা তারা কেমনে মহৎপ্রাণ হয়ে মানুষের সেবা করবে??? মানুষের পাশে দাঁড়াবে?? কিভাবে অন্যের বিপদে ঝাপিয়ে পড়বে??
বংগবন্ধু বেঁচে রয়েছে সকল বাংগালীর মনে প্রানে । বংগবন্ধু সবার সব বাঙ্গালির।
বছর বছর টাকা খরচ করে বিভিন্ন বাৎসরিক যা খরচ খাতা কলমে করেন তাঁর অর্ধেকও মানুষ সেবা পায় কি? মানুষের সেবা করার মন মানসিকতার মানসিক উন্নতি ঘটে না। তাতে মানুষের কি সেবা পাবে। বড় বড় ডায়ালগ ভাষণে বিবৃতে কাজে নয় কেন?
আয়কর অফিস দুর্নীতি করে আর এই সব মেলার আয়োজন করে লাখ লাখ টাকা খরচের খাতায় জমা করে তাতে সরকারের তহবিলে খচের পরিমান বাড়ায়। কেউ বেশি আয়কর দিলে তাকে অবৈধয় টাকার মালিকের ভয় দেখিয়ে অবৈধ আয়ের পথ খোচেন তাতে আওয়করদাতার টাকাও বাচান আবার নিজের তহবিল বাড়ান।
প্রতিবন্ধী সেবার নামে বিদেশ থেকে সুপথ বা কুপথে কোটি কোটি টাকা আনে দেশীয় এন.জি. ও গুলো তা কতজন অভাগা গরীব অসহায় পরিবার পায় তা জানিনা। কিন্তু এন.জি. ও গুলোর নির্বাহী পরিচালক, ডাইরেক্টর, চেয়ারম্যান ের সৈখিন জীবনযাপন করতে পারে। তবে হ্যা এই কিছু এন. জি. ও কর্মী বা সমাজকর্মী আছে যারা অন্তরাত্মা দিয়ে প্রতবন্ধীদের সেবা বা আদর করেন। আমি এই দেখেছি নালা পড়া প্রতিবন্ধীদের নালা নিজ হাতে পরিস্কার করে দেয় যা উদাহরন দেওয়া যায়না।
আন্তর্জাতিক নার্স দিবস পালন আর ক্ষমতায় থেকে নার্সদের অধিকারে রাস্তায় পেটান কি চমৎকার দেখা যায় নার্স রা মাইর খায়।
শ্শ্ররমিক দিবস পালন শ্রমিকদের উপহাস করার জন্যই। তাদের পেটপুর খাওয়ার জন্য শ্রমের মুল্য দেওয়া হয়না অথচ এই দিবসে ক্যাপ/ফেস্টুন গেঞ্জি দিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরানো গতরের শক্তি খরচের জন্য।
সাধারন জনগনের দুঃখ কস্ট কত টুকু লাঘব করে উনারাই ভাল জানে।
এই কৃষি ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার ভালই উন্নতি করেছে তাঁর ফল উৎপাদন বেড়েছে কৃষির প্রায় সকল ক্ষেত্রে।
ভ্যাট দেয় শিল্প, ব্যাবসায়ীরা ঘর/বিল্ডিং ব্যাংক ব্যালেন্স করে রাজস্ব কর্মকর্তারা।
২০টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
আপনি দেখছি আসল কথা বলে ফেলেছেন,
আমরা দিবসগুলোর ফাঁদে আঁটকে গেছি।
মোঃ মজিবর রহমান
ঠিক টাই বস।
নিহারীকা জান্নাত
দিবস পালন করে দায়িত্ব শেষ। বছরে ৩৬৫ দিনের মধ্যে ৪৬৫টা দিবস। কাজ করার টাইম কই?
মোঃ মজিবর রহমান
সব শেষ!!!!
আমরা বলিদান
নীলাঞ্জনা নীলা
এসব দিবস পালনে আমরা বাঙ্গালীরা একশ’ কদম এগিয়ে আছি মজিবর ভাই।
বলে কাজের কাজ কিছুই হবেনা। দিবসপালনকারীদের গায়ের চামড়া গন্ডারের থেকেও মোটা।
মোঃ মজিবর রহমান
দিবসপালনকারীদের গায়ের চামড়া গন্ডারের থেকেও মোটা।
আসলেই তাই,
প্ল্যাকার্ড ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে কখন দাড়ায়নি আপু। মাঝে মাঝে ইচ্ছে করত এখন লজ্জা পায়।
নীলাঞ্জনা নীলা
জীবনে একবারই মিছিল করেছিলাম ১৯৯০ সালে। ওই যে স্বৈরাচারী শাসক এরশাদের পতনের পর।
কি যে লাগছিলো। একটু লজ্জ্বা আবার মজাও। 😀
মিষ্টি জিন
ভাইয়া দিবস পালন করতে যে টাকা খরচ করা হঁয় তা দিয়ে সেই সংস্হার যে উন্নতি করা যায় সেদিকে কারো খেয়াল নাই।
ঐ দিবস পর্যন্ত ই শেষ । কাজের নামে ঠনঠন।
মোঃ মজিবর রহমান
রাইট। কাজের নামে ঠনঠন। \|/
মৌনতা রিতু
এই বিষয়ে আর কিছুই বলার নেই ভাই। এমনও হয়, এই খাবার নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানরা পর্যন্ত মারামারি করে। তা ঠেকাতে পুলিশ দরকার পড়ে।
দারুন সব ছবি মিলিয়ে বাস্তব কথাগুলোই বলেছেন।
মোঃ মজিবর রহমান
সব লোভী, সেবা নামে ঠন ঠন ।
জিসান শা ইকরাম
দিবস টিবসে কোনই কাজ হয়না,
এইসব ফালতু একটা বিষয়।
ভাল পর্যবেক্ষন।
মোঃ মজিবর রহমান
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ইঞ্জা
বঙ্গবন্ধু যদি আজ বেঁচে থাকতেন তাহলে নিশ্চয় এদের বেতিয়ে পাছা লাল করে ফেলতেন কিন্তু দুঃখজনক ভাবে উনার মেয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েও এইসবের মায়াজাল ছিন্ন করতে পারছেন না।
মোঃ মজিবর রহমান
ঠিক ভাই। কিন্তু বর্তমান ধর্মীয় ও আমাদের দেশীয় সামাজিক বিভিন্ন কারনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হয়ত ছাড় দিতে পারেন ধর্মে কিন্তু এখানে কেন?
ইঞ্জা
সহমত
শুন্য শুন্যালয়
কী কইবাম ভাইয়া? সবই তো হাছা কথা কইলেন। দিবস পালন না করলে প্রচার হবে ক্যাম্নে? আর প্রচারেই সব। উন্নতি দিয়া কী হবে, কাজ হাছিল হইলেই হইলো।
মোঃ মজিবর রহমান
হ্যা আপু, কাজ অবস্যি হয়, কর্মকর্তাদের পকেট মোটা, প্রচারে অর্থ ব্যয়।
হয় না যে উদ্দেশ্যে দিবস পালন হয় তাঁর আসল কাজ।
ম্যানেজমেন্টের ভাষায় আপনি হান্ড্রেড % ঠিক।
প্রচারেই প্রসার।
আমির ইশতিয়াক
এসব দিবস পালন করে কোন লাভ নেই।
মোঃ মজিবর রহমান
লাভ \|/ আর পকেত ভারী করা।