অভি খুলে বলতে লাগলো, আসলে আমি কতোদিন আমেরিকায় থাকবো জানিনা আর এইদিকে এজেন্ট, পোর্ট, ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার সহ অনেক টাকা বাকি পড়েছে যা বুঝে শুনে পে করতে হবে আবার হক শীপ এন্ড ডক ইয়ার্ডে তিনটা শীপ রেডি হয়ে রয়েছে তা ডেলিভারি দেওয়ার জন্য চাপাচাপি করছে ওরা, ওদেরকে পে করে শীপ গুলো ডেলিভারি নিতে হবে আবার তা ভয়েজের জন্য নতুন রিক্রুটমেন্ট আর ভয়েজের ব্যবস্থা না করলে কয়েকশো কোটি টাকা লস হয়ে যাবে।
আর এইসব কাজ অবণীকে দিয়ে কি সম্ভব, অবণীর বাবা প্রশ্ন করলো।
আনকেল আমি যখন কাজ শুরু করি তখন আমার বয়স সাতাশ ছিল আর আমাকে কেউ শিখাইনি, আব্বা হঠাৎ ইন্তেকাল করায় আমাকে দায়িত্ব নিতে হয় আর অবণী তো কাজ শিখেছে, ও আমার সাথেও ছিলো আর আপনার কাছ থেকেও কিছু আইডিয়া পেয়েছে।
আমি এইসব করবোনা, কোনভাবেই নয়, তোমার মাথায় আসলে কি চলছে বলতো, অবণী কাঁদতে শুরু করলো।
অভির মা অবণীর পাশে এসে বসলেন আর অবণীর হাতটা নিজের হাতে নিয়ে বললেন, অবণী মা আমার, আমি চাই অভির অবর্তমানে তুমিই আমার অভি হও।
অবণী হা করে অভির মার দিকে তাকালো তারপর বললো, আমি কি করে অভিকে একা ছাড়বো, ওর পাশে আমি না থাকলে ওর সুচিকিৎসা কিভাবে হবে?
কেন হবেনা, অভির সাথে তোমার বাবা যাচ্ছে, প্রিয় যাচ্ছে, কিছুটা কাজ ঘুচিয়ে তুমিও যেও।
ভাই, হাসি আপনারা মেয়েকে বোঝান, অভির মা বললেন।
আসলে আমরা কিছুই বুঝতে পারছিনা, অবণীর বাবা বললো।
ভাই অভি তো সব খুলে বললো।
আপা এতো বড় দায়িত্ব অবণীকে দেওয়া, আমার মন মানছেনা।
ভাই আমি আরো সহজ করে বলি আপনাদের, মেয়েটাকে আমাকে দিয়ে দিন, ও এখন থেকে আমার মা, আমার মেয়ে হিসাবে থাকবে যদি আপনাদের কোন আপত্তি না থাকে।
এতে আমাদের কোন আপত্তি নেই কিন্তু?
কিন্তু কি ভাই, এতো কিন্তুর কিছু নেই মেয়ে এখন থেকে আমার, অবণী মা আমার, আমাকে মা বলে ডাকতে পারবেনা?
অবণী কাঁদতে কাঁদতে অভির মার বুকে মাথা রেখে বললো, এরপরেও আমি অভিকে একা ছাড়বোনা।
অভির সাথে তো সবাই আছে, আমার সাথে তো কেউ নাই, এই অফিস আদালত সামলানো আমার দ্বারা কি সম্ভব, তুমিই বলো?
আর এই জন্যই এই ফাইলটা আজ থেকে তোমার বলেই অবণীর হাতে ধরিয়ে দিলো পাশে বসে থাকা অভি।
অভি প্লিজ তুমি আমার সাথে এমন করতে পারোনা, অবণী কাঁঁদতে লাগলো।
অনু তুমি কেন বুঝতে চাইছোনা?
তুমি বুঝো আগে।
অভি রেগে গেল আর রাগি কন্ঠেই বললো, তুমি এতো ফ্যাচ ফ্যাচ করোনা, তোমাকে আর বলবোনা আমি, কেন বলবো আমি কে তোমাকে বলার।
অভি রাগ করছিস কেন?
অভি চুপ করে রইলো।
কি হলো চুপ করে গেলি কেন, অভির মা জিজ্ঞেস করলেন।
কি বলবো মা, ও তো বুঝতেই চাইছেনা শুধু বাচ্চা মেয়ের মতো কাঁদছে।
অবণী ঝট করে উঠে দাঁড়ালো আর ওর বাবা মার উদ্দেশ্যে বললো, তোমরা চলো, আমার আর দরকার নেই ওর, আমি আর এক মিনিটও এইখানে থাকবোনা।
যাও যাও আর দরকার নেই তো আমার, জানোই যখন আমি আর ফিরে আসবোনা, তাহলে আমাকে আর দরকার কি তোমার, অভি চিৎকার করে বললো।
অবণী অবাক চোখে ফিরে তাকালো তারপর জিজ্ঞেস করলো, কি বললে তুমি?
অভির চোখ ছলছল করে উঠলো আর এক সময় চোখের পানি দুগাল বেয়ে গড়িয়ে পড়লো।
হাঁ অনু আমি জানি আমি এমন এক অপারেশনের মাঝে যাবো যা খুবই রিস্কি যেখান থেকে আমি নাও ফিরতে পারি আর যদিও ফিরে আসি এমনও হতে পারে আমার স্মৃতিশক্তি নাও থাকতে পারে, অভির চোখের পানি আর বাঁধ মানলোনা, গড়িয়ে পড়তেই লাগলো।
অবণী দৌড়ে গিয়ে অভিকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো আর বলতে লাগলো, কে কে বলেছে এইসব তোমাকে, এইসব মিথ্যে কথা, অভি অভি তুমি কাঁদছ কেন বলতে বলতে নিজের ওড়না দিয়ে অভির চোখ মুছে মুখ মুছে দিতে লাগলো।
অনু আমি জানি, আমাকে কি সান্ত্বনা দেবে তুমি বলো?
অভি প্লিজ তুমি এমন বলোনা, এইসব মিথ্যে সম্পূর্ণ মিথ্যে।
আমি জানি, আমার সাথে ডক্টর রিচার্ডসনের সাথে কথা হয়েছে বলেই অভি হাতের আঙ্গুল দিয়ে দুচোখ টিপে ধরলো চোখের পানি রোধ করার জন্য।
ঘরের সবার চোখে পানি, সবাই কাঁদছে, কেউ আর অশ্রু সম্বরণ করতে পারলোনা, প্রিয়ন্তী দুই হাত দিয়ে মুখ ঢেকে কাঁদছে, অভির মা, অবণীর মা শাড়ীর আঁচলে চোখ মুছছেন, অবণীর বাবা চোখের পানি আড়াল করতে ঘরের বাইরে চলে গেলেন।
অবণীই অভিকে বলতে লাগলো, তুমি এ নিয়ে একদম চিন্তা করোনা অভি আমি আন্টি মানে মা দুজনেই এখানকার ডক্টর আর আমেরিকান ডক্টর রিচার্ডসনের সাথে বারবার কথা বলে সিওর হয়েছি যে তোমার অপারেশনে কোন রিস্ক হবেনা আর অপারেশন করতে হচ্ছে তোমাকে বাঁচানোর জন্য, তুমি যেন আগের মতোই চলাফেরা করতে পারো, এই মূহুর্তে তুমি লাইফ রিস্কে আছো বলেই তোমার অপারেশন করা হবে এতে তোমার ভয় পেলে চলবেনা।
ঠিক আছে আমি তা বুঝতে পারছি কিন্তু আমাদের যে সব শেষ হয়ে যাবে এখানে, এর কি করবো বলো?
কিছু হবেনা, আমি তোমার ইচ্ছে পূরণ করবো।
তাহলে তুমি অফিস জয়েন করবে, কথা দাও, অভি হাত বাড়ালো, অবণী অভির হাতটা নিয়ে নিজের হাতে রাখলো।
মা, প্রিয় এদিকে এসো, অভি ডাক দিলো।
অভির মা আর প্রিয়ন্তী অভির সামনে গিয়ে দাঁড়ালো, অভি আরেক হাত দিলো মা আরর বোনের দিকে আর তাদের হাত নিয়ে অবণীর হাতে দিয়ে নিজেও ধরলো, অনু আজ থেকে তুমিই এই ঘরের অভি, ইনিই তোমার মা আর তোমার বোন, তোমার ওই ঘরের সবাই যেমন তোমার নিজের আজ থেকে এরা সবাই নিজের, বলতে বলতে অভির দুচোখ বেয়ে জল বেড়িয়ে এলো, আর তোমরাও অবণীকে সেইভাবে মেনে নেবে আর অনু আমার রুমটা এখন থেকে তোমার রুম, তুমি সেই রুমেই থাকবে, আজ থেকে এই ঘরের কতৃত্ব তোমার।
অভির মা অভি আর অবণীকে দুই হাতে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলেন।
পর দিন
→→→→
অবণী রাতে থেকে গিয়েছিলো অভিদের বাসায়, অবণী আর কান্না করে নাই, নিজের মনেই যেন নিজে পাথর বেঁধে নিয়েছে, খুব সকালে উঠেই অবণী চেক করলো অভির ব্যাগ গুলো ভুলে যদি কিছু মিস হয়ে যায়, সব চেক করে নিজে ফ্রেস হতে বাথরুমে গেল, একেবারে গোসল সেরে বাথরুমের লাগোয়া ড্রেসিং রুমে ড্রেস পড়েই বের হলো আর ততক্ষণে অভি উঠে বসেছে নিজের বিছানায়, অবণী বের হয়ে আসলে অবণীকে উপর নিচে দেখে আফসোসের সুরে বললো, ধ্যাত, ইচ্ছার মৃত্যু এখানেই হলো।
অবণী আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞেস করলো, কিসের ইচ্ছা?
শাওয়ারের আওয়াজ শুনে ভেবেছিলাম তুমি গোসল শেষে উপরে নিচে টাওয়াল জড়িয়ে বেরুবে আর আমি তাড়িয়ে তাড়িয়ে দেখবো তা আরর হতে দিলেনা, এইটা কিছু হইল?
অবণী এগিয়ে এসে অভির মাথার চুল নেড়ে উষ্কখুষ্ক করে দিলো আরর বললো, তুমি আমেরিকা থেকে সুস্থ হয়ে আসো তখন যত খুশি তত দেখো বলেই হেসে দিলো।
চলো উঠে ফ্রেস হয়ে নাও, আজ তোমার ফ্লাইট না?
হুম আর সিইও হিসাবে আজ তোমার প্রথম অফিস।
অবণী গম্ভীর হয়ে গেল, বড় একটা নিশ্বাস ফেলে এগিয়ে গেল অভিকে নিয়ে ফ্রেস হতে।
অবণী অভিকে নিয়ে চলে এলো ব্রেকফাস্ট করতে, অভিকে ধরে উঠিয়ে চেয়ারে বসিয়ে দিলো আরর জিজ্ঞেস করলো, কি খাবে বলো?
আজ পরটা আরর মিক্সড ভেজিটেবল খাবো সাথে চিকেন স্যুপ, অভি বাচ্চাদের মতো করে জবাব দিলো।
মা দেখলেন আপনার ছেলের ভাষা, অভির মার উদ্দেশে অবণী বললো।
অভির মা হেসে বললেন, ও তো বাচ্চা, আগে স্যুপ খেয়ে নে বাবা।
অবণী অভিকে স্যুপ দিয়ে প্লেটে ভেজিটেবেল আর পরটা দিলো আর নিজে নিলো একটা পরটা আর ভেজিটেবেল, যদিও নিলো কিন্তু একটু ছিড়ে নিয়ে খেলো বাকিটা নাড়াচাড়া করেই কাটালো।
প্রিয়ন্তীকে আসতে দেখে অভির মা বলে উঠলেন, কিরে তোর এত দেরী কেন, আয় আয় তাড়াতাড়ি আয়।
গাড়ী বারান্দায় গাড়ীর আওয়াজ শুনে অবণী উঠে গেল, জানে ঘরের সবাই এসেছে, একটু পর অবণীর বাবা মা আর বোনদের নিয়ে এসে ড্রয়িং রুমে বসালো, অভির মা উঠে এসে সবাইকে ব্রেকফাস্টের জন্য আমন্ত্রণ জানালে অবণীর বাবা বললো, আপা আমরা সবাই খেয়েই এসেছি, একটু পর অবণী অভিকে নিয়ে এলে অবণীর বাবা অভিকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি রেডি ইয়াং ম্যান?
জি আনকেল।
গুড, মা অবণী কনগ্রাজুলেশন, এখন থেকে তোমার দুইটা পরিবার আর সবাইকে দেখে রাখা তোমার দায়িত্ব।
আনকেল আমরা অবণীকে অফিসে নামিয়ে দিয়ে তারপর এয়ারপোর্টে যাবো, অভি বললো।
তাহলে যাওয়া যাক।
সবাই বেড়িয়ে এলো গাড়ী বারান্দায়, একটা গাড়ীতে শুধু অভিকে উঠানো হলো যেটাতে শুধু অবণী যাবে, বাকি গুলোর একটিতে অবণীর বাবা, মা আর অভির মা, আরেকটিতে প্রিয়ন্তী আর অবণীর বোন ফাল্গুনী আর শ্রাবণী।
অবণী অভির পাশে এসে বসলে গাড়ী গুলো একে একে বেড়িয়ে এলো অভিদের গেট দিয়ে, অবণী অভির কাঁদে মাথা রাখলো আর আরেকটি হাত দিয়ে অভির হাত ধরলো, অবণীর চোখ আর যেন বাঁধ মানতে চাইলোনা একসময় তা অঝোর ধারাই বেড়িয়ে এলো সাথে অভিও ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগলো, চোখে পানি নিয়ে অভি তাকালো অবণীর দিকে, অবণী মুখ ঘুরিয়ে তাকালো অভির দিকে, অভি নিজের হাত থেকে নিজের খুব প্রিয় প্লাটিনাম রিংটি খুলে নিলো আর অবণীর আঙ্গুলে পড়িয়ে দিলো।
কি এইটা, অবণী জিজ্ঞেস করলো।
এইটা আমি শখ করে কিনেছিলাম দীর্ঘ পাঁচ ছয় বছর ধরে পড়েছিলাম যা আজ আমার স্মৃতি হিসাবে তোমাকে দিয়ে গেলাম আর এই রিং যতদিন তোমার কাছে থাকবে ততদিন আমার ভালোবাসা তোমায় জড়িয়ে রাখবে।
কেন এমন বলছো অভি?
কারণ ভালোবাসি তোমায়।
আমিও ভালোবাসি তোমায়, বলেই অবণী কাঁদতে কাঁদতে জড়িয়ে ধরলো, অনেকক্ষণ ওভাবেই রইল দুজনে, গাড়ীর কাঁচের গ্লাসে নক শুনে সম্বিত ফিরে পেয়ে বাইরে তাকালো, দেখলো অভির অফিসের সামনে এসে দাঁড়িয়ে আছে।
অবণী নিজের চোখ মুখ মুছলো, অভি ভুলোনা আমায়।
অভির চোখ দিয়ে ঝড় ঝড় করে পানি পড়তে লাগলো।
অবণী গাড়ী থেকে নেমে গেল, অবণীর বাবা কাছে এসে মেয়েকে ঝড়িয়ে ধরলেন তারপর বললেন, ভাল থাকিস বলেই নিজজ গাড়ীতে গিয়ে উঠে পড়লেন, অভির মা অবণীর কাছে এসে ঝড়িয়ে ধরলেন আরর বললেন বাসায় তাড়াতাড়ি ফিরবে মা এরপর নিজে গিয়ে বসলেন অভির পাশে।
অবণী হাত নাড়তে লাগলো আর অভিদের বহন করা গাড়ী গুলো একে একে ছেড়ে গেল, অবণী অনেকক্ষণ চেয়ে রইল যতক্ষণ গাড়ী গুলো দেখা যায়, গাড়ী গুলো মিলিয়ে গেলে নিজের চোখ মুখ মুছে নিলো এরপর এগুলো অফিসের লিফটের উদ্দেশ্যে।
.
ছয় মাস পর
-----------------
অবণী রেডি হয়ে বেরুচ্ছে, ডাক দিলো মা মা কই আপনি, আমি বেরুচ্ছি।
আসছি, পাক ঘর থেকে জবাব দিলেন অভির মা, দৌড়ে এলেন ড্রয়িং রুমে, বলেন তুমি এমন কষ্ট করলে চলবে, এমন দিন নেই তুমি অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকোনা, বন্ধের দিনও বাদ যায়না।
মা আপনি তো জানেন সব কিছু এরপরেও, কি করবো বলুন?
তাও ঠিক।
অবণী ঝুকে অভির মার পা ছুঁয়ে সালাম করলো আর বললো, আসি মা।
আল্লাহ্ হাফেজ।
অবণী বেড়িয়ে গিয়ে গাড়ীতে উঠলো আরর নিজে ড্রাইভ করে বেড়িয়ে গেলো।
অভির মা ভিতরে এসে থমকে গেলেন এরপর জিজ্ঞেস করলেন, তুই কখন নেমে এসেছিস?
অভি ওয়াকিং বার দিয়ে হাটতে হাটতে সোফার ধারে গিয়ে সোফা ধরে বসে পড়লো আর বললো, তুমি যখন ওই মেয়েটাকে বিদায় দিচ্ছিলে তখন এসেছি, মা মেয়েটাকে?
তুই মনে করতে পারছিসনা?
না।
অভির মা বড় করে এক নিশ্বাস ফেললেন কারণ অভি যে তার গত দুই বছরে যা হয়েছে তা সব ভুলে গেছে।
.
সমাপ্ত
.
আরে সমাপ্ত হবে কেন, পাঠকরাই তো বাকি গল্প ভাববেন, হয়তো অভির সাথে অবণীর আবার প্রেম হতে পারে যা আরো অনেক খন্ড পর্যন্ত চলতে পারে, কি লিখতে পারবেননা অভি অবণীর প্রেম নিয়ে নতুন আরেকটা "ভালোবাসি তোমায়", নিশ্চয় পারবেন, তাহলে শুরু করুন, আমি বিদায় নিলাম হয়ত আবার দেখা হবে অন্য কোথাও, অন্য গল্পে।।
ছবিঃ Google.
১৮টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
যাক অভি যে বেঁচে আছে এটিই যথেষ্ঠ। অভি নতুন করে আবার অবনীর প্রেমে পড়ুক, একটি সুন্দর পরিনতি হোক।
এত ধৈর্য্য নিয়ে এত বিশাল একটি গল্প কিভাবে লিখলেন, তাই ভাবি আমি।
আবার শুরু হোক একটি নতুন কিছু দিয়ে।
শুভ কামনা।
ইঞ্জা
আমিও অবাক হই কিন্তু সত্য হলো আমার এক দাদাভাই যথেষ্ট উৎসাহ দিয়েছেন যার কারণে এতোদূর আসতে পেরেছি আর শেষ খন্ডে আপনার প্রথম মন্তব্য পেয়ে যারপরনাই আনন্দিত হয়েছি, দোয়া রাখবেন। (3 -{@
নীরা সাদীয়া
নতুন সৃষ্টির অপেক্ষায় রইলাম ভাই।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ আপু, শুভেচ্ছা জানবেন। -{@
ছাইরাছ হেলাল
প্রথম থেকেই এ সিরিজটির সাথে ছিলাম, কী করে চল্লিশ পর্ব হয়ে গেল ভাবতে বসলে অবাক
হতেই হয়, এখন শেষে এসে কিছুতেই ভাবতে পারি না আপ্নি প্রথম লিখতে শুরু করেছিলেন।
আমরা অবশ্যই অন্য কিছু পড়ার আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করতেই থাকব,
অনেক ধন্যবাদ, লেখককে সফল সমাপ্তির জন্য,
আপানার ধৈর্যের সত্যি প্রশংসা করছি।
ইঞ্জা
আমি নিজেই অবাক হই নিজের এই ধৈর্য দেখে, এর পরেও আপনাদের মতো পাঠকদের উৎসাহ ছাড়া এতদূর আসা আসলেই সম্ভব ছিলোনা যার জন্য অবশ্যই পাঠকদের কাছে আমি ঋণী, ধন্যবাদ ভাইজান দোয়া রাখবেন। -{@
মৌনতা রিতু
অভির এইটা কি হইল! কেন সব ভুলে গেল? যদি অন্য অবনি আসে? ধুর! অবনির কি এইটা পাওনা ছিল!
নাহ! এতো কষ্ট এতো পরিশ্রম।
হেলমেট
ইঞ্জা
ধুরর অভিরে তো কতল করি নাই তবুও যদি ধমকি দেন কোন মুই যায়। ;(
মোঃ মজিবর রহমান
সমাপ্ত!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
বলেলেয় হল কি করলেন ভাইজান। আমিতো মনে করেছিলাম বেশ পর্ব পাবে নিরাশ হোলাম। জাহোক এই প্রেম কাহীনি অনেক আকর্ষণীয় করে শেষ করলেন তারজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
এরকম নতুন গল্প চাই।
ইঞ্জা
ভালো লেগেছে জেনে আপ্লুত হলাম।
এই লেখাটাই আমার বড় গল্পের শেষ লেখা আশা করি, দোয়া রাখবেন ভাই।
নীলাঞ্জনা নীলা
এইসব কি!!!
তবে খুবই ভালো লাগছে। নাহ লেখকের উপর কোনো গুসসা নাই। ও হ্যান্ডপাম্প ভাই জানিয়ে দেবেন কিন্তু লেখককে।
অবশ্য আরোও গল্প চাই কিন্তু। এই নিন অপেক্ষায় বসলাম। ;?
ইঞ্জা
উরি বাবা বলে কি, তওবা আর নাই, থাকলেও ছোট খাটোতে আছি, দোয়া করবেন আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
ছোট-খাটো কেন বেটেও দিতে পারেন, সমস্যা নেই। 😀
ইঞ্জা
😀 \|/
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
এ ভাবে শেষ হয় না
বাংলা ছবির মতো নায়ক নায়িকার মিলন হতে হবে -{@
যাক নতুন কোন পোষ্টের অপেক্ষায় -{@
ইঞ্জা
হা হা হা বাংলা ছবির নায়ক নায়িকার মতো :D)
ধন্যবাদ ভাই, ভালো থাকবেন।
মিষ্টি জিন
এইটা কি হইলো?
অবনির এত কষ্টের কোন দাম ই দিলেন না।
সমাপ্ত ভাল হয়নাই।
হেলমেট রেডি তো? :@
ইঞ্জা
আরেহ কথা ছিলো মারবোনা এরপরেও যদি হুমকি ধামকি শুনতে হয় এর চাইতে অভিরে ট্যাঁ করে দেওয়া উচিত ছিলো। :p