রাজনাধীর উত্তরায় একটি প্রাইভেট মেডিকেলে পড়া এক কাশ্মীরি মেয়ে বাংলাদেশি বীরপুরুষদের(!) হাতে ধর্ষনের স্বীকার হয়েছেন। কাশ্মীরি মেয়েটা বোকা না। বুঝে লাল সবুজের সেই সর্বশ্রেষ্ঠ শোনার (!) বাংলায় বিচার পাওয়া যাবে না। তিনি বাংলাদেশ ছেড়েছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে মনে
মেয়েটির কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলাম কারণ এই নিকৃষ্ট, অন্যায়, অত্যাচার, অবিচারে ভরা এই ফালতু রাষ্ট্রটিতে আমার জন্ম হয়েছে এবং তিনি আমার দেশেই ধর্ষনের স্বীকার হয়েছেন।
একটি বিপজ্জনক ব্যাপার হচ্ছে আমাদের অনলাইনে যেমন দেশপ্রেমিকের অভাব নেই তেমনি অফলাইনেও দেশপ্রেমিকের অভাব নেই। পত্রিকা পড়ে জানতে পারলাম কলেজ কতৃপক্ষ এবং আমাদের রাষ্ট্র এই ধর্ষনের ঘটনা চেপে গেছে কারণ এই ধর্ষনের সাথে আমাদের দেশের মানসম্মান জড়িত!
আমার দেশে কোটি কোটি দেশপ্রেমিক আছে। ভেবে দেখতে পারেন? যারা দেশের মানস্মানের কথা চিন্তা করে একটি মেয়ের উপরে ধর্ষনের মত নিরপরাধ ঘটনাও চেপে যায়। অনলাইন অফলাইন মিলিয়ে দেশপ্রেমের যে এটম বোমা তৈরি হচ্ছে একদিন যদি এই এটম বোমা ব্লাস্ট হয় তাহলে আশা করি বাংলাদেশ আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।
ওদিকে এক মারমা গর্ভবতী মেয়েকে স্বাধীনতার মাসে ধর্ষন করেছে তাঁর স্বামীকে আটকে রেখে স্বামীর সামনেই। আর বাংলাদেশের স্মরনীয় বিজয় উদযাপন করতে গিয়ে ধর্ষন করা হয়েছে আবার এক কিশোরি চাকমা মেয়েকে। মহান স্বাধীনতার মাসে অনন্য অর্জন! এমন দেশটি কোথাও খুঁজে
পাবে নাকো তুমি! কবি যথার্থ বলেছেন।
আর এসব নিয়ে মাথাব্যথা নেই পাছা বন্দক রাখা প্রজন্মের, একালের অনলাইন যোদ্ধাদের (কখনো আবার একালের মুক্তিযোদ্ধাও বলা হয়)। তারা
ইন্ডিয়াকে রেপিন্ডিয়া ডেকে সুখ খুঁজে পাচ্ছে। শুধু একটু পিছনে তাকিয়ে দেখে না যে নিজের পাছাতেই কাপড় নেই। কাশ্মীরি মেয়ের ধর্ষনের ঘটনার মতো পাহাড়িদের উপর ধর্ষনের ঘটনাও অধিকাংশ সময় চেপে যায় সরকার। বহির্বিশ্বে যেন বাঙালির সুনাম(!) ক্ষুন্ন না হয়। আশা করি সামনে সমতলের মেয়েদের উপর ধর্ষনের ঘটনা মিডিয়া চেপে যাবে। বাংলাদেশে কোন ধর্ষনের ঘটনা পৃথিবীর মানুষ জানবে না। তারা জানবে বাংলাদেশে কোন ধর্ষন হয় না।
আপনারা তো দেশপ্রেমিক। আপনারা তো দেশের সুনামই দেখতে চান, নাকি?
১১টি মন্তব্য
শিশির কনা
অবাক হলাম খুব।এমন জঘন্য ঘটনা চেপে রাখা হলো! কোথায় যাচ্ছি আমরা?
জুলিয়াস সিজার
এটা নাকি দেশপ্রেম!
ব্লগার সজীব
‘ বাংলাদেশের স্মরনীয় বিজয় উদযাপন করতে গিয়ে ধর্ষন করা হয়েছে আবার এক কিশোরি চাকমা মেয়েকে।’ এটি জেনেছি অন লাইনে।অন্য দুটো ঘটনার কথা জানিই না।আমরা দিন দিন মনুষ্যত্ব বিসর্জন দিয়ে পশু হয়ে যাচ্ছি।এ ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষাও জানা নেই।
জুলিয়াস সিজার
প্রতি মাসে অন্তত একজন আদিবাসী নারী ধর্ষিত হয়। এসব মিডিয়া ছাপায় না পত্রিকায়। ধর্ষিতাদের মেডিকেল টেস্ট করতে পাঠালে উপর থেকেই বলে দেওয়া হয় নেগেটিভ রিপোর্ট দেওয়ার জন্য। কারণ এসব ধর্ষনের ঘটনা প্রমাণ হলে নাকি সহিংসতা হবে। বাংলাদেশও একটি দেশ।
জিসান শা ইকরাম
এমন লেখায় কি মন্তব্য করবো জানিনা
এই নারীদের কাছে ক্ষমা চাইবারও শক্তি নেই
লজ্জায় মাথা নত থাকলাম শুধু।
জুলিয়াস সিজার
সবচেয়ে বড় লজ্জার ব্যাপার হচ্ছে সরকার এটা গোপন রেখেছে দেশের মান চলে যাবে। আহা আমাদের মান, আমাদের সম্মান।
কৃন্তনিকা
দিন দিন এদেশের মানুষের ভেতরের পশুটা খোলস ছেড়ে বের হয়ে আসছে…
কি জানি দেশটা চিড়িয়াখানা হয়ে যায় কিনা…
শুন্য শুন্যালয়
পশুরা ছিলো, আছে, থাকবে। কয়টা সঠিক বিচার হয়েছে আজ পর্যন্ত এতো খুন, ধর্ষণের?
আমরাও যে পশু এটা প্রমান করতে হবেনা!!!
জুলিয়াস সিজার
আমাদের মহান দেশ এই ধর্ষনের ঘটনা গোপন রেখেছে দিদি। আহা আমাদের দেশপ্রেম! লুল!
ইমন
🙁
জুলিয়াস সিজার
হুম।