১৪ ডিসেম্বর

জি.মাওলা ১৪ ডিসেম্বর ২০১৩, শনিবার, ০১:৫৭:৫৭পূর্বাহ্ন এদেশ, মুক্তিযুদ্ধ ১২ মন্তব্য

১৪ ডিসেম্বর

@@১৪ ডিসেম্বর কিঃ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস বলতে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময়টুকুতেই পাকিস্তানী হানাদারবাহিনী কর্তৃক পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের লেখক, বিজ্ঞানী, চিত্রশিল্পি, কন্ঠশিল্পি, সকল পর্যায়ের শিক্ষক, গবেষক, সাংবাদিক, রাজনীতিক, আইনজীবী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, স্থপতি, ভাস্কর, সরকারি ও বেসরকারি কর্মচারী, চলচ্চিত্র ও নাটকের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, সমাজসেবী ও সংস্কৃতিসেবী জ্ঞানী-গুণী ও মুক্তবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষদের হত্যা করাকে বুঝায়।
১৯৭১ এর ডিসেম্বর মাসে স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে এসে পাকিস্তান বাহিনী যখন বুঝতে শুরু করে যে তাদের পক্ষে যুদ্ধে জেতা সম্ভব না, তখন তারা নবগঠিত দেশকে সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও শিক্ষাগত দিক থেকে দূর্বল এবং পঙ্গু করে দেয়ার জন্য পরিকল্পনা করতে থাকে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৪ ডিসেম্বর রাতে পাকিস্তানী বাহিনী তাদের দেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর ও আল শামস বাহিনীর সহায়তায় দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নিজ নিজ গৃহ হতে তুলে এনে নির্মম নির্যাতনের পর হত্যা করে। এই পরিকল্পিত গণহত্যাটি বাংলাদেশের ইতিহাসে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড নামে পরিচিত। ১৯৭১ এর ১৪ ডিসেম্বরের নির্মম হত্যাকাণ্ডের কথা স্মরণ করে প্রতিবছর বাংলাদেশে পালিত হয় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস।
বিঃদ্রঃ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠার অমসৃন পথে দেশের জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আন্দোলনে জীবন দিয়েছেন তাদের সকলের স্মরণে এই শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। এই জন্য ডঃ মুহম্মদ শামসুজ্জোহাকে দেশের প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবি হিসেবে গন্য করা হয়।
(ডঃ শহীদ শামসুজ্জোহা (১৯৩৪-১৯৬৯) ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়-এর রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক (তৎকালীন রিডার)। আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের দায়িত্ব পালনকালে ১৯৬৯ সালের ১৮ই ফেব্রুয়ারী তাঁকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নির্মভাবে হত্যা করে।

ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান-এ তিনটি মৃত্যু দেশের আপামর জনতাকে পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলনে দৃঢ়ভাবে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি ছাত্রনেতা আমানুল্লাহ আসাদুজ্জামান, ১৫ ফেব্রুয়ারি সার্জেন্ট জহুরুল হক এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক ডঃ শহীদ শামসুজ্জোহার মৃত্যু দেশেবাসীকে স্বাধীনতা আন্দোলনের দিকে ধাবিত করে। ডঃ মুহম্মদ শামসুজ্জোহাকে দেশের প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবি হিসেবে গন্য করা হয়। ভাষা আন্দোলনের সময়ও তিনি প্রত্যক্ষভাবে আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন।)
@@নিহত বুদ্ধিজীবীদের তালিকাঃ

২৫শে মার্চ থেকে ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত বেশ কয়েকজন স্বনামধন্য বুদ্ধিজীবী পাকবাহিনীর হাতে প্রাণ হারান। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য:-
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকঃ
ডঃ গোবিন্দ চন্দ্র দেব (দর্শনশাস্ত্র)।
ডঃ মুনির চৌধুরী (বাংলা সাহিত্য)।
ডঃ মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী (বাংলা সাহিত্য)।
ডঃ আনোয়ার পাশা (বাংলা সাহিত্য)।
ডঃ আবুল খায়ের (ইতিহাস)।
ডঃ জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা (ইংরেজি সাহিত্য)।
ডঃ সিরাজুল হক খান (শিক্ষা)।
ডঃ এ এন এম ফাইজুল মাহী (শিক্ষা)।
হুমায়ূন কবীর (ইংরেজি সাহিত্য)।
রাশিদুল হাসান (ইংরেজি সাহিত্য)।
সাজিদুল হাসান (পদার্থবিদ্যা)।
ফজলুর রহমান খান (মৃত্তিকা বিজ্ঞান)।
এন এম মনিরুজ্জামান (পরিসংখ্যান)।
এ মুকতাদির (ভূ-বিদ্যা)।
শরাফত আলী (গণিত)।
এ আর কে খাদেম (পদার্থবিদ্যা)।
অনুদ্বৈপায়ন ভট্টাচার্য (ফলিত পদার্থবিদ্যা)।
এম এ সাদেক (শিক্ষা)।
এম সাদত আলী (শিক্ষা)।
সন্তোষচন্দ্র ভট্টাচার্য (ইতিহাস)।
গিয়াসউদ্দিন আহমদ (ইতিহাস)।
রাশীদুল হাসান (ইংরেজি)।
এম মর্তুজা (চিকিৎসক)।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকঃ
ডঃ হবিবুর রহমান (গণিত বিভাগ)।
ডঃ শ্রী সুখারঞ্জন সমাদ্দার (সংস্কৃত)।
মীর আবদুল কাইউম (মনোবিজ্ঞান)।
চিকিৎসকঃ
অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ ফজলে রাব্বি (হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ)।
অধ্যাপক ডাঃ আলিম চৌধুরী (চক্ষু বিশেষজ্ঞ)।
অধ্যাপক ডাঃ শামসুদ্দীন আহমেদ।
ডাঃ হুমায়ুন কবীর।
ডাঃ আজহারুল হক।
ডাঃ সোলায়মান খান।
ডাঃ আয়েশা বদেরা চৌধুরী।
ডাঃ কসির উদ্দিন তালুকদার।
ডাঃ মনসুর আলী।
ডাঃ মোহাম্মদ মোর্তজা।
ডাঃ মফিজউদ্দীন খান।
ডাঃ জাহাঙ্গীর।
ডাঃ নুরুল ইমাম।
ডাঃ এস কে লালা।
ডাঃ হেমচন্দ্র বসাক।
ডাঃ ওবায়দুল হক।
ডাঃ আসাদুল হক।
ডাঃ মোসাব্বের আহমেদ।
ডাঃ আজহারুল হক (সহকারী সার্জন)
ডাঃ মোহাম্মদ শফী (দন্ত চিকিৎসক)
অন্যান্যঃ
শহীদুল্লাহ কায়সার (সাংবাদিক)।
নিজামুদ্দীন আহমেদ (সাংবাদিক)।
সেলিনা পারভীন (সাংবাদিক)
সিরাজুদ্দীন হোসেন (সাংবাদিক)।
আ ন ম গোলাম মুস্তফা (সাংবাদিক)।
আলতাফ মাহমুদ (গীতিকার ও সুরকার)।
ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত (রাজনীতিবিদ)।
রণদাপ্রসাদ সাহা (সমাজসেবক এবং দানবীর)।
যোগেশ চন্দ্র ঘোষ (শিক্ষাবিদ, আয়ূর্বেদিক চিকিৎসক)।
জহির রায়হান (লেখক, চলচ্চিত্রকার)।
মেহেরুন্নেসা (কবি)।
ডঃ আবুল কালাম আজাদ (শিক্ষাবিদ, গণিতজ্ঞ)।
নজমুল হক সরকার (আইনজীবী)।
নূতন চন্দ্র সিংহ (সমাজসেবক, আয়ূর্বেদিক চিকিৎসক)।

@@শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা( সকলে)
অজিয়র রহমান
অতীন্দ্রনাথ ভদ্র
অনুদ্বৈপায়ন ভট্রাচার্য
অর্জুনচন্দ্র দে
অসীম শান্তি রায়
আ ন ম গোলাম মোস্তফা
আ. ন. ম. ফয়জুল মহী
আতাউর রহমান খান খাদেম
আতাউর রহমান
আতীকুর রহমান
আনোয়ার পাশা
আফতাবউদ্দিন আহমদ
আবু ফারুক চৌধুরী
আবু সালেহ মোহাম্মদ এরশাদুল্লাহ
আব্দুর নূর
আবদুর রহমান
আব্দুল আলিম চৌধুরী
আবদুল আহাদ
আব্দুল ওয়াহাব তালুকদার
আব্দুল কাদের মিয়া
আবদুল জব্বার
আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসুদ্দিন
আবুল খায়ের জিয়াউল হক
আবুল গাজী ওয়াহিদুজ্জামান
আবুল বাশার চৌধুরী
আবুল বাশার
আবুল হাশেম মিয়া
আমিনউদ্দিন
আমিনুল ইসলাম
আমিনুল হক
আয়েশা বেদৌরা চৌধুরী
আরজ আলী
আলতাফ মাহমুদ
আলতাফ হোসেন
আলাউদ্দীন মোহাম্মদ জাহীন
আলী করিম
আহমদ ওয়াহিদুর রহমান
আহমদুর রহমান
উইলিয়াম প্যাট্রিক ইভান্স
এ. এইচ. নুরুল আলম
এ. এন. এম. মুনিরিজ্জামান
এ. ওয়াই. মাহফুজ আলী
এ. কে. এম. নুরুল হক
এ. কে. এম. ফারক
এ. বি. এম. আবদুর রহিম
এন. এ. এম. জাহাঙ্গীর
এম. এ. গফুর
এস. এম. নূরুল হুদা
কসিমউদ্দিন আহমদ
কাজী শামসুল হক
কালাচাঁদ রায়
খন্দকার আবু তালেব
খন্দকার আবুল কাশেম
খাজা নিজামুদ্দিন
খালেদ রশীদ
গিয়াসউদ্দিন আহমদ
গোবিন্দ চন্দ্র দেব
গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী
গোলাম মোর্তজা
গোলাম রহমান
গোলাম সারোয়ার খান সাধন
গোলাম সারোয়ার
গোলাম হোসেন
জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা
জসিমউদ্দিন আহমদ
জহির রায়হান
জহিরুল ইসলাম
জালালুদ্দীন আকন্দ
জিতেন্দ্রলাল দত্ত
জীবনকুমার দাস
ড. আবুল খায়ের
ড. সিদ্দিক আহমদ
ডাঃ অমলেন্দু দাক্ষী
ডাঃ আজহারুল হক
ডাঃ আব্দুল জব্বার
ডাঃ এম. এ. হাফিজ
ডাঃ বদিউল আলম চৌধুরী
ডাঃ মোঃ খোরশেদ আলী সরকার
ডাঃ মোহাম্মদ ফজলে রাব্বি
ডাঃ শ্যামলকান্তি লালা
ডাঃ শামসুদ্দীন আহমেদ
ডাঃ শামসাদ আলী
ডাঃ হুমায়ুন কবীর
ডাঃ হাসিময় হাজরা
তরফদার আতিয়ার রহমান
তসলিমউদ্দিন আহমদ
তিমির কান্তি দেব
তোজাম্মেল হোসেন
দীনেশচন্দ্র রায় মৌলিক
দেবেন্দ্রনাথ পণ্ডিত
ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত
নইমুল ইসলাম
নগেন্দ্রনাথ নন্দী
নজরুল ইসলাম
নূরুল আবসার
নরেন্দ্রনাথ ঘোষ
নাসিরউদ্দীন আহমদ
নিজামুদ্দীন আহমদ
নিত্যানন্দ পাল
প্রতুল কর্মকার
প্রভাষকুমার বড়ুয়া
প্রিয়সাধন সরকার
ফজলুর রহমান খান
ফজলুর রহমান
ফজলুল হক চৌধুরী
ফজলুল হক
ফনীভূষণ দেওয়াঞ্জী
ফাদার লুকাশ মারান্ডী
ফেরদৌস-দৌলা খান বাবলু
বদরুল হক চৌধুরী
বাগীশ্বর বড়ুয়া
বাদশা আলম সিকদার
বাসের আলী
বীরেন্দ্রনাথ সরকার
বীরেন্দ্রলাল চৌধুরী
ভোলানাথ বসু
মুক্তাদির
মখলেছার রহমান চৌধুরী
মখলেছার রহমান
মতিউর রহমান
মুন্সী কবিরউদ্দিন আহমদ
মুনীন্দ্রকুমার সরকার
মুনীর চৌধুরী
মুনীরুজ্জামান
মফিজউদ্দিন খান
মসিউর রহমান
মুহম্মদ আকরাম হোসেন
মুহম্মদ আখতার
মুহম্মদ আবদুল মুকতাদির
মানিক কিশোর ন্যানাসী
মানিক শামছুল হক
মাহমুদ হোসেন আকন্দ
মেহেরুন্নেসা
মোঃ আফসার হোসেন
মোঃ আবদুল জব্বার
মোঃ ফজলুর রহমান
মোঃ শফিকুল আনোয়ার
মোকসদ আলী
মোকাররম হোসেন মুকুল
মোকাররম হোসেন
মোজাম্মেল হক চৌধুরী
মোজাম্মেল হক
মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী
মোহাম্মদ ইলিয়াস
মোহাম্মদ নূর হোসেন
মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী
মোহাম্মদ শফি
মোহাম্মদ সাদেক
মোহাম্মদ হানিক
মোহাম্মদ হেদায়েতউল্ল্যা
যোগেশচন্দ্র ঘোষ
রণদাপ্রসাদ সাহা
রামরঞ্জন ভট্রাচার্য
রাশীদুল হাসান
রেজাউর রহমান
লতাফত হোসেন জোয়ার্দার
লুৎফুন নাহার হেলেন
ললিতকুমার বল
লাডু ভাই
লে. ক. মোয়াজ্জম হোসেন
লে. ক. মোহাম্মদ আব্দুল কাদির
শ্যামশংকর চন্দ
শশাঙ্কপাল
শহীদ সাবের
শহীদুল্লাহ কায়সার
শামসুজ্জামান
শামসুদ্দীন আহমেদ
শামসুল হক খান
শিবাজীমোহন চৌধুরী
শিবেন্দ্রনাথ মুখার্জী
শেখ আব্দুস সালাম
শেখ মুহম্মদ রুস্তম আলী
শেখ মোঃ তাহাজ্জেদ হোসেন
শেখ মোঃ শামসুজ্জোহা
শেখ হাবিবুর রহমান
শেরাফত আলী
সুজাউদ্দিন আহমদ
সতীশচন্দ্র সরকার
সুধীরকুমার চক্রবর্তী
সন্তোষ চন্দ্র ভট্টাচার্য
সুপতিঞ্জন বড়ুয়া
সরোজকুমার নাথ অধিকারী
সুলতানউদ্দিন আহমদ
সাঈফ মিজানুর রহমান
সাদত আলী
সামসুল করিম খান
সায়ীদুল হাসান
সিরাজউদ্দিন হোসেন
সিরাজুদ্দীন হোসেন
সেকান্দার হায়াত চৌধুরী
সেলিনা পারভিন
সৈয়দ আকবর হোসেন
সৈয়দ সরওয়ার আলম সোহরাব
সৈয়দ সিরাজুল আবদাল
সোনাওর আলী
হবিবুর রহমান
হাবিবুর রহমান
হিতেন্দ্রনাথ চন্দ
হীরেন্দ্র মহাজন চৌধুরী
( আরো নাম না জানা অনেকে)
@@জড়িত ব্যক্তিবর্গঃপাকিস্তানী সামরিক জান্তার পক্ষে এ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী। আর তাকে তালিকা প্রস্তুতিতে সহযোগীতা ও হত্যাকাণ্ড বাস্তবায়নের পেছনে ছিল মূলত জামায়াতে ইসলামী কর্তৃক গঠিত কুখ্যাত আল বদর বাহিনী। বুদ্ধিজীবী হত্যার প্রধান ঘাতক ছিলেন বদর বাহিনীর চৌধুরী মঈনুদ্দীন (অপারেশন ইন-চার্জ)
ও আশরাফুজ্জামান খান (প্রধান জল্লাদ)।
১৬ ডিসেম্বরের পর আশরাফুজ্জামান খানের নাখালপাড়ার বাড়ি থেকে তার একটি ব্যক্তিগত ডায়েরী উদ্ধার করা হয়, যার দুটি পৃষ্ঠায় প্রায় ২০ জন বুদ্ধিজীবীর নাম ও বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের কোয়ার্টার নম্বরসহ লেখা ছিল। তার গাড়ির ড্রাইভার মফিজুদ্দিনের দেয়া সাক্ষ্য অনুযায়ী রায়ের বাজারের বিল ও মিরপুরের শিয়ালবাড়ি বদ্ধভূমি হতে বেশ কয়েকজন বুদ্ধজীবীর গলিত লাশ পাওয়া যায় যাদের সে নিজ হাতে গুলি করে মেরেছিল। আর চৌধুরী মঈনুদ্দীন ৭১ সালে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি অবজারভার ভবন হতে বুদ্ধিজীবীদের নাম ঠিকানা রাও ফরমান আলী ও ব্রিগেডিয়ার বশীর আহমেদকে পৌঁছে দিতেন।
এছাড়া আরো ছিলেনঃ
এ বি এম খালেক মজুমদার (শহীদুল্লাহ কায়সারের হত্যাকারী),
মাওলানা আবদুল মান্নান (ডাঃ আলীম চৌধুরীর হত্যাকারী),
আবদুল কাদের মোল্লা (কবি মেহেরুন্নেসার হত্যাকারী) প্রমুখ।
চট্টগ্রামে প্রধান হত্যাকারী ছিলেন ফজলুল কাদের চৌধুরী ও তার দুই ছেলে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং গিয়াস কাদের চৌধুরী।

0 Shares

১২টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ