হৃদয় আমার স্পন্দন তোমার

ভূমিহীন জমিদার ১৫ জুলাই ২০১৭, শনিবার, ০৮:৫৯:৫৮অপরাহ্ন গল্প ২০ মন্তব্য


সাজিদ বই প্রেমিক না । বই মেলায় প্রচন্ড ধূলো আর ধূলো থেকে সাজিদের এলার্জীর সমস্যা হয় জেনেও সাজিদ বই মেলায় এসেছে জাস্ট বন্ধুদের তালে পড়ে । বই পড়ার অভ্যেস না থাকলেও সমসাময়িক পলিটিক্স এবং মুক্তিযুদ্ধের উপর কোন বই পেলে সাজিদ গোগ্রাসে গেলে ।
বইমেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে বন্ধুদেরকে গিফট করার জন্য কয়েকটা বই কিনতে গিয়ে হঠাৎ দল ছাড়া হয়ে মেজাজ খারাপ হয়ে ছিল সাজিদের । ফোন করে করে কাউকেই না পেয়ে বের হয়ে যাওয়ার আগ মূহুর্তে একটা স্টলে সাজিদের দৃষ্টি আটকে যায় । স্টলে একজন লেখিকা তার বইতে অটোগ্রাফ দিচ্ছেন এবং পাঠকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন । একটু দূর থেকে সাজিদ অবাক হয়ে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে থাকে । সবুজ কামিজের সাথে ম্যাচ করে দুই হাত ভর্তি লাল সবুজ কাঁচের চুড়ি, কপালে বড় লাল টিপ, কাঁধে ঝোলানো লম্বা বেল্টের একটা কালো ব্যাগ, একটু এদিক ওদিক করতেই এক রাশ কোঁকড়ানো চুলের কতগুলো ফোঁস ফোঁস ফনা তোলা সাপের মত দুলে উঠছে আর জ্বলজ্বলে তারার মত চোখ দুটোয় হাসি খেলিয়ে সবার কথার জবাব দিচ্ছে । যখন ঠোঁট ফাক হয়ে দাঁত দেখা যাচ্ছিল তখন সাজিদের একটা করে হার্ট বিট মিস হচ্ছিল । সাজিদ মুলতঃ ওর হাসিই দেখছে আর ভেতরে ভেতরে অস্থির হয়ে উঠছে কলম হাতে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটার সাথে কথা বলার জন্য । সময় নস্ট না করে সাজিদ স্টলে গিয়ে একটা বই কিনে ফেলে মেয়েটার হাতে ধরা বইয়ের মলাট দেখে । তারপর অটোগ্রাফের জন্য এগিয়ে দেয় বইটা লেখিকার দিকে । অটোগ্রাফ দিয়ে বই কেনার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে লেখিকা বইটি সাজিদের হাতে তুলে দিতেই সাজিদ তার চোখের দিকে তাকিয়ে কিছু বলার অনুমতি চায় । একটু অপ্রস্তুত হলেও মেয়েটা হেসে ফেলে ।
- জ্বী বলুন ।
লেখিকার চোখের দিকে তাকিয়ে সাজিদ হাসি মুখে নিয়ে বলা শুরু করে,
- আপনার চোখ দুটো খুব সুন্দর । লাই ডিটেক্টর মেশিনকে ফাঁকি দেয়া যাবে কিন্তু আপনার চোখের দিকে তাকিয়ে কেউ মিথ্যা বলতে পারবেনা । আপনার কপালের টিপটাও খুব সুন্দর । এই টিপ ইজরাইলিদের নজরে গেলে এই টিপের বিনিময়ে তাদের মিলিটারি স্ট্রেটেজিক পয়েন্ট গোলান হাইটস ছেড়ে দেবে । আপনার কাঁচের চুড়ির রিনিঝিনি আওয়াজ যেটুকুন শুনেছি আমার বাকি জীবনে আর কোন অর্কেস্ট্রা শোনার প্রয়োজন হবেনা এবং সব শেষে আমাকে কথা বলার সুযোগ দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ’
নাগাড়ে বলে হা হয়ে থাকা লেখিকাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে গেটের দিকে পা বাড়ায় সাজিদ ।
সাজিদের কথা শুনে মেয়েটা একটু বিব্রত বোধ করলেও ঠাস করে হেসে ফেলে অবাক হয়ে সাজিদের দিকে তাকিয়ে থাকে । বিস্ময়ে নাকের দুই পাটা ফুলিয়ে একা একাই বলে ওঠে, ‘ক্রেজি, বাট সুইট !’
বই মেলার গেট থেকে বেরিয়ে মেয়েটির নাম জানার জন্য রাস্তার আলোতে বইটা খুলে নাম দেখে সাজিদ, ‘বীনিতা বন্যা’ ! এটা লেখিকার আসল নাম না লেখার জন্য নেওয়া ছদ্মনাম ধরতে না পেরে খানিক মেজাজ খারাপ হয় সাজিদের নিজের উপরে । 'ধ্যাত তখন নামটা ঠিকমত দেখলেই তো ঝামেলা হয় না'লেখক পরিচিতি পড়ে বুঝতে পারে ইনি আরো ডজন খানিক বই এর মধ্যেই লিখে ফেলেছেন । বেশ বেশ । বই বন্ধ করে এদিক ওদিক তাকায় কয়েকবার সাজিদ । নাহ, এই ভীড়ে আর বন্ধুদের খুঁজে পাওয়া যাবেনা । বাড়ি ফিরে যাওয়াই ভাল । বইটা হাতে দোলাতে দোলাতে টিএসসিতে এসে রিক্সায় ওঠে সাজিদ । কিন্তু একি ! ফেরার পথের প্রতিটি মূহুর্ত বীনিতা বন্যার চোখ, কপালের বড় টিপ, হাসি, কাঁচের চুড়ির রিনিক ঝিনিক সাজিদের মনকে আচ্ছন্ন করে রাখলো । এরও পরের দুই দুইটি দিনও সাজিদকে অস্থ্যির করে রাখলো !
অজানা এক আকর্ষণে বীনিতা বন্যাকে দেখার জন্যই দুই দিন পর সাজিদ এবার নিজ থেকে বই মেলায় উপস্থিত। স্টলে লেখিকাকে না দেখে হতাশ সাজিদ বুকের ভিতর চিন চিন করে একটা ব্যাথা অনুভব করে। স্টলের কাউকে জিজ্ঞাসা করবে কিনা ভাবতে ভাবতে আর একটু অপেক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়ে খাবারের দোকানের দিকে হাঁটা দেয় । খাবারের দোকানে ঢুকেই সাজিদের হার্ট বিট মিস হয় বন্যাকে দেখতে পেয়ে । বন্যা কয়েকজন বন্ধু নিয়ে ধুমসে আড্ডা দিচ্ছে । সাজিদ তাদের পাশের
টেবিলে বসে পড়ে বন্যার সাথে চোখা চোখি হবার অপেক্ষায় থাকে । খানিক বাদেই সাজিদের দিকে বন্যার চোখ পড়তেই সাজিদ হাত নাচায়, ‘হাই’
বন্যার চোখে স্পষ্ট বিস্ময় আর আনন্দ দেখে সাজিদ ।
বন্যা অবাক হলেও চোখে মুখে হাসি দিয়ে হাত তুলে বলে, ‘হ্যালো’
সাজিদ আজ ভীষন ডেসপারেট । বন্যার সাথে তার কথা বলতেই হবে । উঠে বন্যার টেবিলের কাছে চলে আসে,
- ইফ ইউ ডোন্ট মাইন্ড মে আই জয়েন উইথ ইউ?
সাজিদের পরনে ডিস্ট্রেস জিনস, গায়ে অলিভ কালারের পলো গেঞ্জি, হাতে হাল ফ্যাশনের বড় ডায়াল ঘড়ি, চোখে রিমলেস পাওয়ার চশমা । বন্যা সাজিদের আপাদ মস্তক দেখে বন্ধুদের দিকে তাকিয়ে কয়েক সেকেন্ড সময় নিয়ে বলে,
- শিওর, বসুন না ।
- আমি সাজিদ ’ বলে সবার দিকে তাকায় সাজিদ।
কয়েকজন হাসি মুখে একসাথে ‘হাই’ বলে উঠে দাঁড়ায় যাওয়ার জন্য । এরপরে মেলা ঘোরার অযুহাতে এক এক করে বাকিরাও কেটে পড়ে । সাজিদের বুঝতে অসুবিধে হয় না যে বন্যার সিগন্যাল পেয়েই সবাই কাট মেরেছে । বন্যাকে একা পেয়ে সাজিদ মহা খুশি কিন্তু বন্যার বন্ধুরা এক সাথে ওয়াক আউট করায় কিছুটা বিব্রতও ।
- আমি মনে হয় আপনাদেরকে ডিসটার্ব করলাম’ বিব্রত হয়েই বলে সাজিদ ।
- না না আমরা এমনিতেও অনেক্ষন আড্ডা দিচ্ছিলাম, ওরা এম্নিতেও উঠতো । তো? আপনি আমার বইটা পড়েছিলেন ?
সটান জবাব দেয় সাজিদ,
- নাহ পড়া হয়নি । সময় নিয়ে পড়তে হবে বলে ধরিনি’ বলেই সরাসরি বন্যার দিকে তাকায় । পারলে হাতটাই ধরে বসে । বন্যার রিএ্যাকশন দেখার জন্য পুরোনো কথা রিপিট করে আবার,
- আপনার চোখ দুইটা অসম্ভব সুন্দর, শব্দ না করেও এক সাথে এক হাজারটা কথা বলে ওগুলো ।
হঠাৎ চোখের প্রসঙ্গ আসায় থতমত খেয়ে বন্যা একটু লজ্জা পায় আবার সাজিদের সহজ সরল প্রকাশ বেশ ভালোও লাগে। নিজের বোকা চেহারাটা পাল্টানোর জন্যই বোধ হয় প্রসঙ্গ পালটায় বন্যা,
- সেদিন আপনার হাতে অনেক বই দেখলাম, খুব বই পড়েন বুঝি?
- জ্বীনা, আমার পড়ার অভ্যেস নেই । বন্ধুদের জন্য কিনেছিলাম ।
- বাহ ভাল তো ! তো আপনি কেন বই পড়েননা ?!
- বই পড়ার মত মেধা আমার নেই । মাই ব্রেন ভল্যুম ইজ বিলো এভারেজ । তবে কারেন্ট এফেয়ার্স এবং মুক্তিযুদ্ধের উপর লেখা বই পেলে পড়ি’ একটু উদ্ভট লাগলেও সাজিদের সরল স্বিকারোক্তিটাও খুব ভালো লাগে বন্যার ।
‘উফ! কি যন্ত্রনা! এই লোকের সব কিছুই দেখি তোর ভাল লাগছে?’ নিজেকে কষে একটা ধমক দিয়ে মুখে হাসি টানে বন্যা । সাজিদের দিকে সহজ হয়ে তাকানোর চেষ্টা করতে করতে জিজ্ঞেস করে,
- কোথায় আছেন আপনি? মানে, কি করছেন ?
- উল্লেখ করার মত কিছুনা তবে খেয়ে পরে বেঁচে থাকার জন্য যথেষ্ট । আপনি কি করেন? শুধুই লেখালিখি নাকি আরো কিছু??
লেখালিখি নাকি আরো কিছু??
- নাহ, পড়াশোনার পাট চুকিয়ে বাসায় বসে আছি আর একটু লেখা লেখির চেস্টা করি এই তো ।
- আই ডোন্ট রিড বাট আই ড্যু হ্যাভ হাইয়েস্ট রেসপেকট ফর রাইটার্স এন্ড রাইট নাউ ইট মেকস মি হ্যাপি দ্যাট আই এম টকিং টু এ রাইটার’ চোখ ভুরু নাচিয়ে নিজের সত্যি খুশিটা জাহির করার চেষ্টা করে সাজিদ ।
- আপনি আমাকে লজ্জা দিচ্ছেন । আমি এমনিতেই লিখি, আমি রাইটার ক্যাটাগরিতে পড়িনা মোটেই’ লজ্জায় লাল হয়ে ওঠে বন্যা ।
- শামসুর রহমান , হুমায়ুন আহমেদ কিংবা সমরেশ মজুমদার কিন্তু একদিনে তৈরী হয় নাই । অল ইউ নিড টু চেজ ইউর ড্রিম । বিলিভ মি, ড্রিমস কাম ট্র্যু ... ভালো কথা আমি কি আপনার সময় নস্ট করছি ?’ হঠাৎ ব্যাস্ত হয়ে বলে সাজিদ ।
- নাহ্, আমার হাতে সময় আছে, এখানে আসি মুলতঃ আড্ডা দেয়ার জন্যই । মেলায় কাজ তো নেই ... আপনি কি প্রায়ই মেলায় আসেন ?
- আমার জীবনে এবারই প্রথম মেলায় আসা । সেদিন এসেছিলাম বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে, আর আজ এসেছি আপনাকে দেখতে’ ভালো মানুষের মতন বন্যার চোখের উপরে চোখ ফেলেই কথা গুলো বলে সাজিদ অনায়াসে ।
কপট বিস্ময় চোখে টেনে বন্যাও ভুরু নাচায় ।
- আমাকে দেখতে মেলায় এসেছেন?! কেন?! আমি কি চিড়িয়াখানার চিড়িয়া?
চোখে মুখে দুষ্টু হাসি খেলছে বন্যার দেখে সাজিদ । ভেতরটা নড়ছে তবুও গম্ভীর হবার চেষ্টা করে ,
- কথাটা আপনি কি ভাবে নেবেন জানিনা, তবু আমাকে বলতে হবে । আপনার সাথে দেখা করার জন্য ভিতর থেকে একটা তাগিদ পাচ্ছিলাম । তাই এসে আপনাকে খুঁজে
বের করেছি । আজ থেকে আমি রোজ আসবো, এক নজর আপনাকে দেখার জন্যই আসবো । আপনি অনুমতি দিলে আপনার কুশল জেনে যাবো, না চাইলে আপনার সামনেও আসবোনা । দ্যাটস ইট ।
সাজিদের কথা শেষ হতেই টেবিলে রাখা বই এর প্যাকেট গুলো তুলে উঠে দাঁড়ায় বন্যা,
- আমাকে এবার উঠতে হবে সাজিদ সাহেব ।
- ওকে, কাল আসছেন ?
- আমি আসি বা না আসি আপনি তো আসছেনই, তাই না? আল্লাহ হাফেজ ’ বলেই বন্যা চলে যায় । সাজিদ ঠায় বসে থেকে বন্যার চলে যাওয়া দেখে ।
একদম দরজার বাইরে যাওয়ার পরে শেষ মূহুর্তে বন্যা ঘাঁড় ঘুরিয়ে একবার সাজিদের দিকে তাকিয়ে হাসে ।
দাঁত বের হয়ে যায় সাজিদের । বাচ্চা ছেলেদের মতন অজান্তেই‘ইয়েসসসস’বলে ডান হাতটা মুষ্ঠিবদ্ধ করে কয়েকবার ঝাঁকি দিয়ে ওঠে আনন্দে ।

চলবে......

0 Shares

২০টি মন্তব্য

  • মিষ্টি জিন

    স্বাগতম আমাদের সোনেলায় ভূমিভাই।
    সোনেলায় আপনাকে দেখে বেশ আনন্দ হচ্ছে।
    খুব সুন্দর মিষ্টি প্রেমের গল্প হবে মনে হচ্ছে।
    এক নিশ্বাসে পডে ফেলেছি।
    এমন জায়গায় এসে চলবে লিখলেন ,
    তাড়াতাড়ি বাকি পর্ব দিয়ে ফেলবেন।
    তর সইছে না।

  • জিসান শা ইকরাম

    কত বছর পরে আপনাকে আবার দেখলাম আপনাকে সোনেলায় 🙂 ভাল লাগছে আপনাকে দেখে।

    সাজিদ দেখি মহা পটাতক। এত সুন্দর করে প্রসংসা করলে বন্যা তো ছাড়, জগতের সেরা লৌহ মানবীও পটে যাবে।
    দেখার অপেক্ষায় আছি, সাজিদ বন্যার জলে কতটা ভেসে যায়।

    আপনার সম্পর্কে তো ধারনাই পালটে গেল ভুমি ভাই। আপনি এত ভাল গল্প লেখেন, এত কল্পনাই করিনি কখনো। এমন গল্পকার হয়ে পাঠকদের বঞ্চিত করা ঠিক না ভুমি ভাই।

    • ভূমিহীন জমিদার

      হুম্ম অনেকদিন পর এলাম । আসলে ব্লগে লেখার মত মেধা এবং সময় কোনটাই নেই । সময় বের করা যায় কিন্তু মেধার বড় অভাব । কিছু কিছু যায়গা আছে যেখানে যেতে হলে একটা মিনিমাম রিকোয়ার্মেন্ট বলে একটা কথা আছে । ব্লগ তেমনি একটা যায়গা । আপনি’তো জানেন ব্যাক্তিজীবনে আমি একজন ব্যাড়াছ্যারা মানুষ । কোন কিছুরই ঠিক ঠিকানা নেই । গল্পের সাজিদ খুব স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড এবং বোল্ড । কোন রাখ ঢাক নেই । মনের কথাটা অবলীলায় বলে যায় । কোন প্যাচগোছের মধ্যে নাই । সাজিদ সাঁতার জানেনা, বন্যার প্রেমের বন্যায় সাজিদকেমনে কি করে দেখি ।
      ভালো থাকবেন ভাই

  • ছাইরাছ হেলাল

    আপনার পুনরাগমনে চাকভুম চাকভুম আনন্দ হচ্ছে বলছি না, তবে দিল-থৈথৈ ( যদি এখনও থেকে থাকে) লাগছে
    তা মানছি।
    বেশ টৈ-টম্বুর ভালোবাসার গল্প পড়তে ভালই লাগছে, চলুক, চালু থাকুক, পাঠক একটু মৌজ-মাস্তির ফোঁকর খুঁজে নিয়ে
    আনন্দ-বিহ্বলতায় মাতুক তাই-ই চাই।

    ঈষৎ ত্যাড়া চৌক্ষে………………

    সাজিদ ফট করে লেখিকার কপাল বরাবর প্রেমের যে থান-ইট ফিক্কা মেরে দিল প্রথম দর্শনেই, দেখা যাক লেখক লেখিকাকে দিয়ে
    তা কী করে সামলায়, অপেক্ষায় রইলাম।

    • ভূমিহীন জমিদার

      ভাই আসেন এই উছিলায় লুঙ্গি ড্যান্স দেই । ভালো কথা আমার লেস ফিতা চুড়ির ব্যাবসার কথা মনে আছেতো । ভাই এই লেস ফিতা চুড়ির ব্যাবসা আমার এইম ইন লাইফ । আমি কিন্তু সিরিয়াস ।

      ঈষৎ ত্যাড়া চৌক্ষে……………… // কিছু কিছু পাখি আছে এক ডালে বেশীক্ষন বইয়া থাক্তারেনা , পা গরম হৈয়া যায় , মনে আছে ?
      প্রথম মোলাকাতেই সাজিদ লেখিকার কপালে সরদার ব্রিক ফিল্ডের জামা ইট ফিক্কা মারছে …… যায়গা মত লাগছে ভাই ।
      ভালো থাকবেন হেলাল ভাই ।

      • মিষ্টি জিন

        জমিদার সাবের লেস ফিতা চুড়ির ব্যাবসা এইবার সার্থক করে দিমু ইনশাআল্লাহ কি কন কুবিরাজ? তয় শর্ত, লিখতে হবে সোনেলায়। \|/ \|/ \|/
        সরদার এন্টার প্রাইজের ঝামা ইটতো ভালই কাজে লাগে দেখতাছি। আমি ও দুই এক খান ঝামা ইট আনছি কারো কারো মুখে ঘষার জন্যি। :D) :D)

      • ছাইরাছ হেলাল

        ড্যান্স দেয়ার সাহস নেই, লুঙ্গি উল্টাইয়া যাইতারে!!
        খালি চুড়ি ফিতা!! আরও কুন বাসনা থাকলেও অসুবিধা নেই, হপে হপে সবই হপে।
        অন্য মুখের ভাবনা বাদ দিয়ে নিজের খোমা তৈলাক্ত রাখুন, আখেরে কাম দিব।

      • মিষ্টি জিন

        লুঙ্গির কথা মানে লুংগি ড্যান্সের কথা শুইনা আমার কিন্তু মুখ চুলকাইতাছে। :D) :D) :D)
        আমার মুখ বরাবরই মাখনাক্ত তৈলে আমার এলার্জি । :D) :D)

  • শুন্য শুন্যালয়

    প্রিয় অলু ভাইয়াকে আবার সোনেলায় দেখতে পেয়ে খুবই খুশি হলাম। সুস্বাগতম ভাইয়া। -{@
    এবার বলুন কার গল্প কেটে পেস্ট করে দিয়েছেন? মানে, আপনি নিজেই তো বললেন, আপনি নাকি পুরা একটা বাক্যও লিখতে পারেন না। আর লিখলে নাকি তার কোন অর্থই বোঝা যায়না। আমরা কিন্তু অনেক পন্ডিত, হুম্মম্মম। খুব ভালো করে বুঝে গেছি গল্পের প্রথম পর্ব। এ লেখা আপনার হতেই পারেনা।
    আচ্ছা এমনে করে পটাতে হয় বুঝি? সাজিদ শুধু কারেন্ট না, পাস্ট, ফিউচার সব এফেয়ার্স পইড়া ফালাইছে মনে লয়। খুবই সুন্দর গল্প। চলবে টা কয় ঘন্টা পর আসতেছে জলদি বলেন।

    • ভূমিহীন জমিদার

      থ্যাংক ইউ শুন্য’ফা । ব্লগে সবাই যেতে পারেনা , ব্লগে যেতে হলে মেধার প্রয়োজন আছে কিন্তু মিস্টি ম্যাডাম বলতে গেলে আমার শার্টের কলার ধরেই এখানে এনেছেন । আসতে পেরে আমি খুশি , আমি এমনিতেই গুড বয় , লাস্ট বেঞ্চে চুপ চাপ বসে থাকবো ।
      দিন কাল খুবই খারাপ আপা তাই আজকাল নিজেরটাই নিজে কপি পেস্ট করি । আপা আগেও বলেছি , আবারো বলি – আই ক্যান্ট স্ট্রিং ফোর ওয়ার্ডস টুগেদার টু মেক এ মিনিংফুল মিনিং । ইট ইজ অল ওয়েস্ট অব ওয়ার্ডস । উপরে দুইজন বলেছে সাজিদ পটানোর ওস্তাদ আপনিও একই কথা বলছেন , …… হাহাহা সাজিদ পটায়না , সাজিদ যা বলে অন্তর থেকেই বলে । বাকিটা দিচ্ছি ভাই । আসলেও গল্পটা একটু বড় বলে ভাগ করতে হয়েছে । ভালো থাকবেন ।

      • মিষ্টি জিন

        আফনে কলার ওয়ালা শার্ট পড়েন যে কলার ধইরা টানুম.. :D) :D) :D)
        বাটারিং করতে করতে করতে তারপর জমিদার সাবের একখান গল্প পাইলাম।
        আমি কিছুদিন মাষ্টার করেছিলাম অভ্যাসটা এখনও রয়ে গেছে। লাষ্ট বেন্চের ছাত্র ফাস্ট বেন্চে আনতে আমি ভালু পাই। :D) :D)

  • ইঞ্জা

    আপনাকে দেখে খুব খুশি হলাম ভাইজান, শুনেছি আপনি সোনেলার প্রিয় একজন ব্লগার, এতোদিন পরে এসেছেন এবং গল্প চলবে দেখে খুব খুশি হলাম।

    গল্পটা প্রথম থেকেই চুম্বকীয়, অপেক্ষায় রইলাম বন্যা আর সাজিদের প্রেম জমে উঠার।

    শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ