যত বৈচিত্র্য আছে প্রকৃতিতে, মানব জিবনে বৈচিত্র্য কোন অংশেই কম কিসে?  সবই আছে মানুষের খাচে খাচে জিবনের পরতে পরতে।

বিয়ে হয়ত জিবনের একটি অন্যতম একটি অধ্যায়। যা প্রত্যেক যুবক-যুবতীর আকাঙ্ক্ষিত, জিবনে এই পর্বে যাওয়ার ইচ্ছা থেকে থাকে।

শিশুকাল, বালক তাঁর পর আসে যুবকত্ব। সে মহিমায় গ্রাচুয়েট বা গ্রাচুয়েত্তর পড়ার সময় অনেক অনেক রঙ্গিন ও ডানাকাটা স্বপ্ন বীজ বুনতে থাকে ভবিতসৎ আসা কাঙ্ক্ষিত জীবন নিয়ে। বন্ধু মহলে প্রেম পিরিতি নিয়া চলে হাসিতামাশা আনন্দ উৎসব আড্ডা রাস্তায় হাটাহাটিতে।  জিবনে ভালবাসার শরাব পান কে না করেছে, কেউ বাদ যাননি। হয়তো বিয়ের পূর্বে বা বিবাহোত্তর। তাতে রসায়নের কমতি থাকে, থাকে না। পারিপারিক জিবনে যদি রস আনার মত মানসিক ইচ্ছাশক্তি থেকে থাকে। বাবা-মা , ভাই-বোন, চাচা-চাচী, নানা-নানী অদাদা-দাদী সকল সম্পর্কেই ভাল বাসায় ভরপুর।

দেশের দুই অঞ্চলের দুইজন ঘনিস্ট বন্ধু শিক্ষা জিবনে আবার জীবন সংগ্রামেও থাকার সুবাদে আবার মিলিত হয় ঢাকায়। কিন্তু পড়া হয় একই শিক্ষা প্রতিস্টহানে। বিভিন্ন কারনে খনিক সময়ে একই ম্যাচের বাসিন্দা দুইজন কোন এক সময়।  বেকারত্ব ঘুচিয়ে চাকরি এলো জিবনে জর্জের। দুই তিন মাস না যেতেই বলে বিয়ে করব। অপর বন্ধু তাঁকে বলে দোস্ত এইমাত্র চাকরি পেলি একটু আর্থিকভাবে স্বাবলম্বি হ, তাঁরপর বিয়ের কাজ কর।

মেয়ে দেখে পাগল বিয়া করবে। নেগেটিভ পজেটিভ নিয়া সম্পূর্ণ।

না, তাঁর সহ্য হলনা। একদিন বলে মেয়ে দেখে এলাম। মানে সে বিয়ে করবেই অপর বন্ধু আর কিবাই বাঁধা দেবে। বাঁধা দেওয়ার কারন একটি মেয়েটির পূর্বে একটি বিয়ে হয়েছিলো। এটা জানার পর সেই মেয়েকে বিয়া করা অযৈক্তিক মনে করা। আরো কারন মেয়ের বাবা মেয়ের ইচ্ছার বাহিরে বিয়ে দিয়েছিল, তাই সে সংসার করেনি। বন্ধুর কথা হল আবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে অন্য ছেলের সংগে যদি সংসার না করে তখন কি হবে?

 

এই করতে না করতে ঈদের ছুটিতে গিয়া না বলেই বিয়া করে ঢাকায় হাজির চাকরীর সুবাদে।

বিয়ের ভালোমন্দ দুই বন্ধুর মাঝে আলাপ। জর্জ কয় আমার শাশুড়ি আমাকে খুব পছন্দ করেছে। এই রকম জামাই হয়না। কিন্তু বন্ধুর মনে হাজারো প্রশ্ন। কি হচ্ছে?

ঢাকায় এসেই বলে বউ বলেছে এই মোবাইল নাম্বার চেঞ্জ করতে হবে। বন্ধুর কথা, কেন?  বউ বলেছে। সে তাও রাজি। তাঁকে আর কি বলার আছে। বন্ধু কি বলে তোর কোন অপরাধে নাম্বার পরিবর্তন করতে হবে। বন্ধুর কথায় পাত্তা না দিয়ে করে সিম চেঞ্জ।

বউ ঢাকায় চাকরি করে। একদিন মেসে হাজির। হাই। হ্যালো। পরিচয় পর্বও। খাওয়া-দাওয়াও হল। তারা একসঙ্গে বাসা নিলো। থাকছে। একদিন বলে বউ বেতন এনে তাঁর হাতে দিতে বলেছে। বন্ধুর উত্তর- দিচ্ছিস যখন যা আছে সব খুলে দে আমাকে বলার কি আছে?

একদিন বলে প্রতিদিন অফিসে যাওয়ার পথে কনভেয়েন্স চাইতে ভাল লাগে ? না লাগার কি আছে  বউয়ের কথায় চলছিস চল। আমি কিছু করতে পারবনা, বলে বন্ধু ফোন রেখে দিল।

ের মাঝে সে চাকরি চলে গেছে, কয়েকমাস বেকার সময় পার করে আবার একটি কোম্পানি পেয়েছে কোনমতে।

জর্জ ছিল অলস যেনতেন হলেই হল কাজের কুয়ালিটি মাপা প্রয়োজন মনে হল কাজ হোক বা না হোক। যেমন- অফিসে যাবে সময় মেইন্টেনেন্স না করা। স্যান্ডেল পায়ে অফিস করা। অফিস টাইম পার হচ্ছে তবুও রাস্তায় দাঁড়িয়ে সিগারেট ফুকা।

অন্য বন্ধু একদিন বলে কিরে জর্জকে দেখলাম রাস্তায় দাঁড়িয়ে সিগারেট খায় আমি বললাম কিরে অফিসে যাবিনা।  বলে যাব। আবার বন্ধুর প্রশ্ন অফিস কয়টায়। জর্জ  ৯.০০।  তোর এখন বাজে ৯ টা আর তুই এখন দাঁড়িয়ে ? এই যাব।

গোলাকার ঢাকায় অফিস শেষে চলতি পথে আবার একদিন দেখা দুই বন্ধুর। কথা দুঃখ সুখের। ের মাঝেই বউয়ের কল। এক আংগুলে  ঠোটে চেপে কথা বলে। চুপ হয়ে বন্ধু থাকে। কথা শেষে  বন্ধুটি বলে কিরে আমাকে চুপ থাকতে বললি কেন? জর্জের উত্তর, বউ কোন বন্ধু সঙ্গে কথা বলতে নিষেধ করেছে। বন্ধুর উত্তর তবে বলিস কেন? জর্জ চুপ থাকে।

বন্ধুটি, জর্জকে বলে তুই আর আমার সঙ্গে কথা বল্বিনা। বন্ধুটি, তাই সোজা চলে যাই।

একদিন জর্জের কল বন্ধুকে। আমার বউ চাকরি বদলি করে জেলায় গেছে চলে। কেন তোর সাথে পরামর্শ করেনি? না।

বন্ধুর উত্তর তুই কি করবি?

জর্জের – আমাকে চাকরি ছেড়ে যেতে বলেছে জেলায় যেতে।

বন্ধ তোর কি ইচ্ছা?

জর্জ- আমিও যাব।

বন্ধু- চাকরি ছাড়া যাবি ওখানে কি করবি।

জর্জ – একটি ম্যানেজ করে নেব। তাহলে আমাকে জানাস কেন? চলে যা।

বেশ কয়েক বছর ও  মাস পরে ঢাকায় এসে কল।

বন্ধু- কিরে কি বল?

জর্জ- ঢাকায় আবার আসলাম।

বন্ধু- কেন? কি কারনে?

জর্জ- চাকরি খুজতে হবে।

বন্ধু- খোজ। কাটকাট জবাব।

দুই একবছর থাকছে ঢাকায়। এক কোচিং সেন্টারেই পড়ান ও বসত। একদিন অর বউ আসলে ডাকল অইচ্ছা থাকলেও গেল বন্ধুটি  কিন্তু বন্ধুর বউয়ের লগে দেখা করবনা এই শর্তে। এইভাবে দিন মাস বছর যাচ্ছে। একদিন আবার দেখা।

জর্জ বলে আমার এক ঘনিস্ট বন্ধু একটি ভিডিও পাঠিয়েছে। আমি বললাম কিসের ?

জর্জ বলে আমার বউয়ের। আমি বললাম আমি কি করব?

জর্জ- বলে দেখ।

বন্ধু -কিসের ভিডিও, কেন আমি দেখব?

জর্জ বলে আমার বউ যার সঙ্গে দৈহিক মিলামেশা করছে সেই ভিডিও।

আমি বললাম আমি দেখবনা। এটা উচিত নয়। আর তুই কি করবি?

জর্জ বলে ডকুমেন্ট।

বন্ধুটি বলল কি করবি?

জর্জ বলে মানুষ(শশুর-শাশুড়ী) কে দেখাব।

আমি বললাম কি লাভ?

জর্জ বলে তালাক দেব।

বন্ধুটি বল্লে,  তোর বউ তালাক দিলে ভাল কিন্তু তুই তালাক দিতে গেলে তো তোর মেয়ের ভরণপোষণ ও দেন মহরের টাকা লাগবে । তুই এতো টাকা কোথায় পাবি?

জর্জ চুপ! একটি পুরুষের আর কি অসহায়ত্ব হতে পারে এর চেয়ে।

তাঁর পর বন্ধুটি গ্রামে গিয়ে কোচিঙয়ে পড়ায় আর খায়। নিঃসঙ্গ জীবন। সব আছে কিছুই নাই। বিয়েও করতে পারেনা।দূর বহু দূর মৃত্যু যে পরে আছে জিবনের শেষ প্রান্তে...............।।

ঘটনাটি বাস্তব। কিছুই মিত নই। আমি সাজিয়ে গল্প লেখার সাধ্য নাই। তাই অখাদ্য হবে নিশ্চিত।

0 Shares

১৪টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ