ঈদের দিন থেকে তরুর মন ভার হয়ে আছে। তমালের সাথে পারতো পক্ষে সে কোনো কথাই বলছে না। তমাল নিজেও খুব একটা কথা বলেছে তাও নয়। যাও-বা কিছু কথা হয়েছে সেগুলো সব মেহমানদের সামনে,তাদেরকে নিয়েই। ঈদের দিন থেকে এই দুইদিন ঝাঁকে-ঝাঁকে মেহমান সামাল দিতে হয়েছে দুজনকেই। রোজার ঈদে লোকজন শুধু ফোনেই ঈদের শুভেচ্ছা দিয়েছে, কিন্তু এবার সবাই সশরীরে হাজির হয়েছিলো।
আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, প্রতিবেশী, শুভাকাঙ্ক্ষীরা প্রায় সবাই এসেছিলো একেক করে। করোনার ভয় হয়তো কেটে গেছে মানুষের মধ্যে থেকে। তাই এবারের ঈদে ওদের ছোট্ট বাসায় লোকসমাগম ভালোই হয়েছে। তবে এতো কিছুর মাঝেও তমাল ঠিকই খেয়াল করছিলো তার প্রিয়তমা পত্নীর মন খারাপ! ঈদের ঝামেলা শেষ হতেই সে এবার তরুর দিকে মনোনিবেশ করার ফুরসত পেলো।
- তোমার কি হয়েছে বলোতো তরু? বাবার বাসায় যাওয়ার জন্য মন কাঁদছে? তাহলে চলো, কাল ঘুরে আসি।
= উহু, বাবার বাসায় ঈদের আগের দিনই গিয়ে এসেছি। মন খারাপ না।
- আমি দেখছি খারাপ, বলো কি হয়েছে?
= কেন বলবো? যদি মুখ দেখেই মনের খবর বুঝতে না পারো তাহলে বিয়ে করেছো কেন?
- রাইট!
তমাল তার চশমাটা ভালো করে মুছে চোখে দিলো। তারপর গালে হাত দিয়ে তরুর মুখের দিকে তাকিয়ে মনের খবর পড়ার (বোঝার) চেষ্টা করতে শুরু করলো।
কিন্তু তরুর মেজাজ ততোক্ষণে বিগড়ে গেছে। সে আপন মনেই ঘর ঝাড়ু দিচ্ছে আর বকবক করছে,
- উফফ ঢং। বউর মুখ দেখে বলতেই পারে না মন খারাপ কেন, আবার জিজ্ঞেস করে! আমার বয়েই গেছে তাকে বলার জন্যে। গত ঈদে জামা কাপড় কিচ্ছু কিনে দিলো না। আমাকেও মার্কেটে যেতে দিলো না। বললো দশটা না পাঁচটা না, তুমি আমার একটাই জানপাখি। এই ভাইরাসের মধ্যে শপিংয়ে যাওয়ার দরকার নেই। আগামী ঈদে দুইটা শাড়ি, অনেক গুলো চুড়ি, এক জোড়া পায়েল কিনে দিবো। আর এবার! ঈদ আসতেই বললো কিনা টাকা কম! বেতনের টাকায় এই ঈদে কুরবানী দিবো।
তমাল আর চুপ থাকতে পারলো না, সে আমতা-আমতা সুরে বলে উঠলো,
- কুরবানী করার নিয়ত কিন্তু তুমিই করেছিলে। আমি তোমার নিয়ত পুরণ করলাম, এখন আমার উপরেই ক্ষেপেছো?
= তো? সব টাকা দিয়ে কুরবানী দিতে কে বলেছে তোমাকে?
- তরু তুমি জানো না, করোনার কারণে এখন অফিস থেকে বেতনের চল্লিশ পারসেন্ট কম দিচ্ছে। তার উপর বাড়িওয়ালারা এক টাকাও বাড়ি ভাড়া কমায়নি। বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল পানির বিল, বাড়ি ভাড়া, সংসার খরচ সামলে বেতনের আর কয় টাকাই সেভিংস হয় বলো?
তরু মনে মনে একটা হোচট খেলো। আসলেই তো, এভাবে সে ভাবে নি। গত পাঁচ মাস ধরে তমালের বেতনের বেশির ভাগটাই চলে যাচ্ছে বাড়ি ভাড়া দিতে। তার উপর বাড়তি খরচ হিসেবে যোগ হয়েছে স্বাস্থ্য সরঞ্জাম। স্যানিটাইজার, মাস্ক, ঘর বাড়ি পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার জিনিস গুলো কিনে আনতে এখন এক্সট্রা টাকা খরচ করতে হচ্ছে প্রতিমাসেই। অফিসে যেতেও তমালের গাড়িভাড়ার খরচ বেড়েছে। আগে লোকাল বাসে/উবার-পাঠাও ভাড়া করে কোনো রকমে অফিসে যাওয়া আসা করতো। এখন বেচারী পাব্লিক পরিবহনে চড়তে ভয় পায়। মাত্র দুজনের সংসার ওদের, তাতেই সাংসারিক খরচ সামাল দিতে হিমসিম খাচ্ছে। তাহলে যাদের পরিবার বড়ো তাদের কেমন যাচ্ছে মহামারীর দিনগুলো! এসব ভাবতে-ভাবতেই তরু আনমনা হয়ে গেলো।
তমাল তরুর মন খারাপ ভাব একেবারেই সহ্য করতে পারে না। সে রাগী-রাগী তরুকেই বেশি করে চায়। তরু কাজ সেরে বিছানায় এসে বসতেই, তরুকে এক কাপ চা বানিয়ে আনতে বলে ল্যাপটপ নিয়ে বসলো তমাল।
- এতো রাতে চা খাবে? ঘুমাবে কখন শুনি? একটু অপেক্ষা করো, হাতের শেষ করে আনছি।
বলে রাগে গজগজ করতে করতে চা বানাতে কিচেনে গেলো।
মিনিট দশেক পরেই আবার ডাক,
- তরু,চা বানাতে হবে না। তোমাকে পদ্মানদী দেখাতে নিয়ে যাবো, বুড়িগঙ্গা দেখিয়ে আনবো। মাওয়া ঘাটে নিয়ে তাজা ইলিশ মাছ ভাজা খাওয়াবো। তারাতাড়ি ঘুমাতে এসো।
তরু অবাক! ব্যাপার কি! হঠাৎ এতো জায়গায় ঘোরার প্লান করছে কেন পতীদেব! রুমে এসে দেখে, তমাল নিজেই ল্যাপটপ অফ করে মশারী টানিয়ে, মোবাইল হাতে শুয়ে আছে। সেও খুশি খুশি মনে বিছানায় গিয়ে তমালের পাশে গিয়ে শুয়ে পড়লো। তরুর মুখে হাসি! তমাল তাকে জড়িয়ে ধরে বললো,
- আমি জানতাম, বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা শুনলেই তোমার মন ভালো হয়ে যাবে।
= তাই? কখন যাবো বেড়াতে?
- এই তো, এখনই
= মানে? এতো রাতে!
= হু, সোনা। বললাম না, তোমাকে পদ্মানদী, বুড়িগঙ্গা দেখাবো? এই দেখো, সব গুলো নদীর ছবি ডাউনলোড করেছি। দেখলে তুমি মুগ্ধ হয়ে যাবে..
- তমাল, তুমি ছবিতে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলেছো এতোক্ষণ ধরে? আর,আর কি খুঁজছো?
= জানুউউউ, তাজা ইলিশের ছবি গুলো পাচ্ছি না। ঐ গুলো যে কোন ফোল্ডারে সেইভ করলাম, ভুলে গেছি!
লাইট অফ , ওদের ঘর থেকে এখন ভীষণ ভাংচুরের শব্দ আসছে। মোবাইল ভাঙার সশব্দ আওয়াজ পাওয়া গেছে, আর কী কী ভাঙছে কে জানে! বেচারা তমাল, রাগী তরুকেই কেন যে সে ভালোবেসে বউ বানালো!..
★ছবি- নেট থেকে নেয়া 🙂
৩৫টি মন্তব্য
ফয়জুল মহী
অসাধারণ উপস্থাপন।অনেক অনেক ভালো লাগলো।
সাবিনা ইয়াসমিন
ধন্যবাদ মহী ভাই, ভালো থাকুন।
শুভ কামনা 🌹🌹
সুপায়ন বড়ুয়া
স্বপ্ন ৯ শেষ করতে না করতে মনে হয় নতুন স্বপ্ন ১০ !পড়ছি মন ভাল করার জন্য পার্থক্য শুধু ব্লগার দেন নাম নেই কোথাও। নদী ভ্রমনে গিয়ে সবার নাম বসিয়ে দিলে হতো।
যাক তবু ও ভালো যুগল সংসারে এবারের ঈদের বাস্তবতা উঠে এলো বলে। ধন্যবাদ আপু প্রাপ্য।
শুভ কামনা।
সাবিনা ইয়াসমিন
এটি স্বপ্ন সিরিজের গল্প নয় দাদা। ব্লগে লেখা আমারই ধারাবাহিক গল্পের পঞ্চম পর্ব। তরু আর তমালের যুগলবন্দী ভালোবাসা এই গল্পের প্রধান উপকরণ। পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, শুভ কামনা নিরন্তর 🌹🌹
সুপর্ণা ফাল্গুনী
কঠিন সময় পার করছে সবাই । করোনার প্রকোপ উঠে আসলো আপনার সুন্দর লেখনীতে। কিন্তু তার মধ্যেও তরু তমালের রোমান্টিক আবহ দারুন লাগলো। রাগী তরুকেই ভালোবেসে তমালের শেষপর্যন্ত এই অবস্থা হলো 😇😇। অনেক অনেক ভালো লেগেছে আপু। ভালোবাসা অবিরাম 💓💓
সাবিনা ইয়াসমিন
তমালের বাধভাঙ্গা অণুরাগে তরু রাগী হয়ে যাচ্ছে। আসলে তরু কিন্তু ভীষণ শান্ত মিষ্টি স্বভাবের মেয়ে।
আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা আপনাকে 🌹🌹
আলমগীর সরকার লিটন
আমাদের সময় ঈদ ছিল খুব স্বাধহীন একটু ভয় লজ্জা মেশানো। গল্পটা পড়ে সেই সব ঈদের কথা মনে পড়ে গেলো আপু
সাবিনা ইয়াসমিন
ধন্যবাদ লিটন ভাই। আপনার ভালো লাগায় অনুপ্রেরণা পেলাম। ভালো থাকুন সারাক্ষণ, শুভ কামনা 🌹🌹
মোঃ মজিবর রহমান
সুপায়ন দার টায় ঠিক। ৯ শেষ ১০ পড়ছি। আসলেও তাই।
আমি দেখছি একদম খেত বউয়ের মুখ দেখে কিছুই বুঝতে পারিনা।
বাকিটা পিরে আসবখন।
মোঃ মজিবর রহমান
আপনার গল্প ও কবিতার জস দারুন। মুগ্ধ হয়েই পড়লাম।
নিরিবিলি সময় হলনা তাই মনের মত মন্তব্য কপালে দিবার মত সক্ষম হলনা।
সাবিনা ইয়াসমিন
সোনেলায় আসার দিন থেকে আজ পর্যন্ত যাদের নিরবিচ্ছিন্ন স্নেহ আর অনুপ্রেরণা পেয়ে এসেছি তাদের মাঝে আপনার নামটিও উল্লেখিত। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই, সব সময় এভাবে পাশে থেকে আমার লেখনীতে গতি আনার জন্য। ভালো থাকুন সব সময়। শুভ কামনা 🌹🌹
সাবিনা ইয়াসমিন
হাহাহা, আপনি ক্ষেত! উহু বিশ্বাস হচ্ছে না মজিবর ভাই। যার মনে এতো কবিতা, সে কিন্তু বউয়ের মুখ না দেখেই তার মনের অবস্থা টের পায় 😉
মোঃ মজিবর রহমান
আলহামদুল্লাহ। বাহ! বেশ। দুই জনই সৌভাগ্যবান।
রেজওয়ানা কবির
আপু লেখাটি পড়ে মনে হল আমি একসময় তরু ছিলাম।ভালো লাগল। প্রতিচ্ছবি খুজে পেলাম প্রায় ৫ বছর আগের তরু।।।।।।
সাবিনা ইয়াসমিন
বাহ! পাঁচ বছর আগের তরু এলো কমেন্ট দিতে!
এতোদিনে যুগল লেখা সার্থক হলো মনে হচ্ছে 🤔
পাঠক যদি কোন লেখায় নিজেকে খুঁজে পায়, গল্পের চরিত্রে নিজের প্রতিচ্ছবি দেখতে পায়, তবে সেই লেখায় লেখকের তৃপ্তি আসে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকুন, শুভ কামনা 🌹🌹
রেহানা বীথি
টক- মিষ্টি ঝাল ঝাল, এমন না হলে সংসারের মজাটাই তো থাকে না। এই দুর্যোগে দুটো ঈদ পালন করলাম আমরা। কিন্তু কতজনের যে ঈদ হয়নি, তার খবর না জানলেও অনুমান করতে পারি।
সুন্দর লিখলেন আপু।
সাবিনা ইয়াসমিন
দুর্যোগের দিনে ঈদ এসেছে/গেছে সময়ের নিয়ম মেনে। শুধু দুর্যোগটাই গাট বেধে বসে আছে, যাওয়ার নামই নিচ্ছে না। ঈদ-উৎসব-পার্বণের উচ্ছাস আনন্দ তখনই আমাদের প্রকৃত আনন্দ দেয় যখন দেখতে পাই, আমাদের আশেপাশে থাকা মানুষ গুলোও সম-আনন্দের মাঝে আছে। হয়তো একদিন এই দুর্যোগ কাল শেষ হবে। আমরা সত্যিকার আনন্দ-খুশিতে ঈদের শুভেচ্ছা আদান-প্রদান করতে পারবো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ বীথি আপু। আপনার সুন্দর সুগঠিত মতামত পেয়ে লেখার সৌন্দর্য দ্বিগুণ হয়ে গেলো। ভালো থাকুন অবারিত ভালোবাসায় ❤❤
নিতাই বাবু
বছরের দুটো ঈদের বন্ধেই মেয়ের বাড়ি যেতাম, এই মাওয়া ঘাট দিয়েই। যাওয়ার সময় লঞ্চে উঠে প্রথমেই ইলিশ মাছা ভাজা দিয়ে এক প্লেট ভাত সাবাড় করে দিয়ে এক কোণে বসে থাকতাম। মেয়ের বাড়ি গিয়ে দুই-তিন দিন বেড়াতাম। নাতি-নাত্নিদের নিয়ে গ্রামের এই বাজার, সেই বাজার ঘুরতাম। ওঁদের ফোসকা, চটপটি খাওয়াতাম। কিন্তু দুই দুটো ঈদ গত হলো, করোনা’র জন্য যেতে পারলাম না। ওঁরা এখন ফোন করেই কেঁদে ফেলে। কিন্তু কী আর করা! নিরুপায় আমি! আপনার লেখা পড়ে লেখার বিস্তারিত বিষয়ে না গিয়ে মাওয়া মাওয়া শুনে মনের ভাব প্রকাশ করলাম, নিজের মতো করে।
শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় দিদি।
সাবিনা ইয়াসমিন
ঈদে-আনন্দের দিনে প্রিয়জনেরা পাশে না থাকলে দিন গুলো অসম্পূর্ণ লাগে। আর নাতি-নাতনীরাতো কলিজার টুকরো হয়। তাদেরকে ছেড়ে এই আনন্দ কিছুতেই উপভোগ্য হয় না।
আমি কখনো মাওয়া ঘাটে যাইনি। ঐ পথে আমাদের যাওয়া হয় না কখনো। গল্পের প্রয়োজনে স্থানটির নাম এনেছি। গল্প পড়ে নিজের সুন্দর স্মৃতিচারন করলেন। ভালো লাগলো আপনার আন্তরিকতা।
ভালো থাকুন দাদা, শুভ কামনা 🌹🌹
আরজু মুক্তা
হা হা! লকডাউন আর করোনায়, চলুক প্রেম এভাবে।
ইলিশের ছবি, আর ভাঙ্গাভাঙ্গির শব্দ দারুণ।
সাবিনা ইয়াসমিন
হাহাহাহা, আপনার কমেন্ট সব সময়ই মজাদার। ভাঙ্গা-ভাঙ্গির শব্দ দারুণ হয় আজকে জানলাম, এর আগে খুব ভয়ংকর মনে হতো 🙂
প্রেম চলুক লকডাউন আর করোনায়,,
ভালো থাকুন আপনি।
শুভ কামনা 🌹🌹
ছাইরাছ হেলাল
করল্লার স্বাদ তেঁতো হলেও কারো কারাও কান কোন রোগীদের পথ্য হিসেবে মন্দ না।
ইদের জম্পেস গল্প কেন যেন ভাবনায় আসছে না। বরং বেহাগের খোঁজ পাচ্ছি !!
সাবিনা ইয়াসমিন
রাইট! রোগীর কাছে করল্লা-পথ্য যেমন অমৃত, তেমনই তমালের কাছে তরুর প্রেম। আমরা দেখি তরুর রাগ, আর তমাল সেই রাগে পায় অণুরাগ 😉
আপনার মতো লিখতে পারলে জম্পেস/জ্যাম/জেলি গল্প লিখতে পারা কোনো ব্যাপারই হতো না, কিন্তু মুশকিল হলো এগুলো ক্যাম্নে লিখতে হয় তাতো জানি না!!
বেহাগী গল্প অতোটাও খারাপ না মহারাজ, শুধু বিবাগী না হলেই হয় 🤪🤪
সাজেদুল হক
একদম ঠিক কথা ভালবেসে বউ বানাতে নেই।
সাবিনা ইয়াসমিন
তাই নাকি!! ভাবছি তমালের কাছে আপনাকে পাঠিয়ে দিবো। লোকটা আপনার উপদেশ পেলে বর্তে যাবে 😀😀
ভালো থাকুন, শুভ কামনা 🌹🌹
তৌহিদ
আবারো রোমান্টিকতায় তমাল তরু! বাস্তব প্রেক্ষাপটেও লেখায় রোমান্টিকতার ছোঁয়া দিতে আপনার জুড়ি মেলা ভার। এ কারনেই আপনার লেখা আমার খুব পছন্দের।
বর্তমান করোনাকালে আয় উপার্জন কমে যাওয়ায় সীমিতকরণ করতে হয়েছে অনেক ইচ্ছেকেই। তারপরেও সুস্থ্য আছি এটাই প্রাপ্তি। কোরবানি দিতে পারেননি অনেকে। আবার মানুষজন যেভাবে একে অন্যের বাসায় যাচ্ছে মনে হচ্ছে করোনা বলতে কিচ্ছু নেই।
মন খারাপ করা সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রিয়জনদের নিয়ে একটু ঘুরতে গেলে মন্দ হয়না। এটাই উত্তম।
ভালো থাকুন আপু, শুভকামনা রইলো।
সাবিনা ইয়াসমিন
চেষ্টা করেছি গল্পে সমসাময়িক পরিস্থিতির আবহ রাখতে। আর রোমান্টিকতা! সংসারে এগুলো থাকেই 🙂
আপনার বিস্তারিত কমেন্ট গুলো লেখা-লেখির প্রতি আগ্রহ বাড়িয়ে তোলে। অনেক ধন্যবাদ ভাই।
ভালো থাকুন, শুভ কামনা 🌹🌹
রোকসানা খন্দকার রুকু।
মধ্যবিত্তের অভাব।একদিকে সামলাতে আর একদিক ফুরোয়॥ ভালোবাসা অফুরন্ত থাকার পরও মন চাইলেও করার কিছু থাকেনা। ঝগড়া ঝাটি আর ভাঙচুর করেই জীবন পার করতে হয়। অসাধারণ চিন্তন আপুনি॥ ইশ্ আপনার মত পারিনা কেন?????
সাবিনা ইয়াসমিন
আপনি অনেক ভালো লেখেন। আমার মতো আবোলতাবোল লিখে আপনার লেখার মান যেন নষ্ট না হয় এটাই চাই। 🙂 🙂
ভালো থাকুন, শুভ কামনা অবিরত 🌹🌹
রোকসানা খন্দকার রুকু।
আপনি আবোলতাবোল লিখেন।
তাহলে তো আর পড়া যাবেনা।
অযথাই সময় নষ্ট।।কি বলেন?
ভালো থাকবেন।আপনার জন্যও শুভকামনা।।।
সাবিনা ইয়াসমিন
হাহাহা, ভালো বুদ্ধি। এটাই করুন 🙂
জিসান শা ইকরাম
মুখ দেখেই তমালের বুঝে যেতে হবে তরুর কেন মন খারাপ!
কত দুস্ক অপেক্ষা করছে তমালের ভাগ্যে তাই ভাবছি।
যাক তমালের কুরবানি ঈদে কিছু কিনে দিতে না পারার যুক্তি যে তরু মেনে নিলো এটিই শান্তি।
ঘুরতে নিয়ে যাবে ছবিতে! এটি খুবই অন্যায়। সব মোবাইল ভেঙেছে তো তরু? 🙂
তরু তমালকে কুরবানি ঈদের শুভেচ্ছা।
গল্প ভালো লেগেছে খুব।
যুগলের আগের পর্ব গুলোর লিংক যুক্ত করে দিলে পাঠক উপকৃত হতো।
শুভ কামনা।
সাবিনা ইয়াসমিন
তমাল স্বেচ্ছায় নিজের দুস্ককে বরণ করে নিয়েছে, তার নাকি এভাবেই স্বর্গ সুখ!
আবার তরু যতই রাগ করুক, সে জানে তার তমালের যুক্তি অখণ্ডনীয় 🙂
হয়তো ভালোবাসা এমনই হয়, এভাবেই বেঁচে থাকে ভালোবাসার ঘর।
সুন্দর মতামতের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন, সুস্থ সুন্দর নিরাপদে থাকুন সারাক্ষণ। শুভ কামনা 🌹🌹
সুরাইয়া পারভীন
তমাল তার চশমাটা ভালো করে মুছে চোখে দিলো। তারপর গালে হাত দিয়ে তরুর মুখের দিকে তাকিয়ে মনের খবর পড়ার (বোঝার) চেষ্টা করতে শুরু করলো।
হা হা হা হা হা
তমাল কিন্তু বেশ রোমান্টিক আর বুদ্ধিবান
এই যে কী সুন্দর বুদ্ধি করে তরুর মন ভালো করতে গিয়ে পড়লো বিপদে। শেষে কিনা মোবাইলটায় গেলো ভোগে
সাবিনা ইয়াসমিন
তমালের রোমান্টিক মনটাই তরুকে বশে রাখে। বুদ্ধিমান তো বটেই 🙂
এমন সুন্দর কমেন্ট আপনার থেকেই পাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ আর শুভ কামনা 🌹🌹