ঘুম এক প্রকার মৃত্যু
অথবা, মৃত্যু এক প্রকার ঘুম
পার্থক্য এই যে,
ঘুম ভাঙে কিন্তু মৃত্যু ভাঙেনা।
গতরাতে ঘুমোবার পরে
ঘুম থেকে জেগে,
নিজেকে আবিষ্কার করলাম
হিমঘরে, ডিপফ্রিজারেটরের মাঝে
চতুর্দিকে আটকে দেওয়া বরফ দেয়ালে
অথবা, পেরেক ঠোকা কফিন হাউজে।
তারও আগে, ঠিক মধ্যরাতের দিকে
ছিলাম ডোমঘরে,
স্যাঁতস্যাঁতে হাওয়ায় ভেসে চলেছিল রাতভর
ডোমেদের কাঁটাকুটি খেলা।
কেউ হাত, কেউ বা পা
অথবা, কোন স্পর্শকাতর স্থানেও
চলেছিল নিবিড় কাঁটাকুটি খেলা!
তারপর এই এখানে ঘুম
নিগূঢ় ঘুমের যাপন অবিরাম
হয়তো এ ঘুম ভাঙার নয়।
তাং : ০৯.১২.১৫ ইং।
২৪টি মন্তব্য
ভোরের শিশির
ভিন্নভাবে মৃত্যুকে…
শুভেচ্ছা এবং অন্যদের পোস্টেও অংশগ্রহণ করার আমন্ত্রণ রইলো।
রায়হান আহমেদ
ধন্যবাদ ভাই!! চেষ্টা করব অন্যদের লেখায় অংশগ্রহন করতে। 🙂
ভোরের শিশির
অগ্রীম শুভেচ্ছা রইলো। -{@
আবু খায়ের আনিছ
আপনি ডাক্তার? লাশ ঘরের মৃত লাশ নিয়ে লেখা। ভয়ংকর এক দৃশ্য ভাসে চোখে।
রায়হান আহমেদ
জ্বি না ভাই, আমি ডাক্তার নই। 😀
তানজির খান
রায়হান ভাই, প্রতি রাতেই মাথা ওলট পালট করে দিচ্ছেন কবিতা দিয়ে। ঘুম আসুক, মৃত্যু দূরে থাকুক। শুভ কামনা।
রায়হান আহমেদ
তাই নাকি তানজির ভাই, মাথা ওলট পালট করে দিচ্ছি? এই লেখায় মাথা নষ্ট করতে পেরেছি জেনে কিন্তু বেশ ভালোই লাগছে। 😛
শুভেচ্ছা!!
তানজির খান
মাথা ওলট পালট হচ্ছে কারন কবিতার ভাবনা গিলে খায়। দারুণ ভাবনা ছিল কবিতায়। নান্দনিক সহজ ভাষা অথচ কি গভীর তার ক্রিয়া মনের উপর। শুভেচ্ছা আপনার পাওনা এমন দর্শন কবিতায় ফুটিয়ে তুলবার জন্য।
শুভ কামনা রইল ভাই
রায়হান আহমেদ
ভাষা হারিয়ে ফেলছি কিছু বলার। ভাই, দর্শন টর্শন কিছু না। নিজের মনের ভিতরে চলা অনুভূতি টুকুই ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি আর কিছুই না। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর মন্তব্য করে অনুপ্রানিত করার জন্যে!
আলমগীর মুহাম্মদ সিরাজ
‘মৃত্যুঘুম’ _হয়তো এ ঘুম ভাঙার নয়। সত্যি দারুণ বলেছেন। শুভকামনা থাকলো
রায়হান আহমেদ
অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা আপনাকেও!
মোঃ মজিবর রহমান
মৃত্যু ! ে এক অমঘ সত্য।
জিবনে কবিতায় ফুটিয়ে তুলেছেন।
দারুন!
রায়হান আহমেদ
সত্যিই এ এক অমোঘ সত্যি আমাদের জীবনে। মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ! 🙂
মোঃ মজিবর রহমান
ভাল থাকুন আর চাই।
অরুনি মায়া
মৃত্যু আসে বলেই তো জীবনের এত মূল্য |
ভাল লেগেছে |
রায়হান আহমেদ
হ্যাঁ, ঠিকই বলেছেন মৃত্যু আসে বলেই জীবনের প্রতি আমাদের এতো মায়া। আপনাদের ভালো লাগাই লেখার স্বার্থকতা। ধন্যবাদ!
নীলাঞ্জনা নীলা
মৃত্যু নিয়ে ঘুম। বেশ!
রায়হান আহমেদ
হ্যাঁ, তাইতো। সেজন্যেই মৃত্যুঘুম 🙂
ধন্যবাদ!
অনিকেত নন্দিনী
ঘুম ভাঙে কিন্তু মৃত্যু ভাঙেনা। ভাঙা উচিত নয়। কারণ মৃত্যু ভেঙে গেলে সবাই ভুতের ভয়ে অস্থির হবে।
অ.ট. কবি সাহেব কি এই কবিতা মরচুয়ারিতে বসে লিখেছেন? ;?
রায়হান আহমেদ
তা বটে। এই ঘুম ভেঙে গেলে সবাই ভুতের ভয়ে শেষ 😀
জ্বি না! ওখানে বসে লিখিনি, নিজের কুড়েঘরে বসেই লিখেছি। এই প্রশ্ন কেন বলুন তো?
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
অনিকেত নন্দিনী
“গতরাতে ঘুমোবার পরে
ঘুম থেকে জেগে,
নিজেকে আবিষ্কার করলাম
হিমঘরে, ডিপফ্রিজারেটরের মাঝে
চতুর্দিকে আটকে দেওয়া বরফ দেয়ালে
অথবা, পেরেক ঠোকা কফিন হাউজে।”
এই বিবরণ তো মরচুয়ারির বলেই ঠেকছে। ;?
রায়হান আহমেদ
আরে না। এগুলো বাস্তবে হলে আমি এখানে এখনো কি করে? o_O
ওগুলো সবই আমার আবোল তাবোল চিন্তা ভাবনার প্রতিফলন। এতো সিরিয়াসলি নেবার কিছুই নেই কিন্ত। 😛
শুভ মালাকার
প্রাণী কূলে “মৃত্যু আর ঘুম” অবশ্যম্ভাবি। তাই আপনার এই তাত্পর্যপূর্ণ কবিতা বাস্তবতার সাথে সাদৃশ্য পূর্ণ।
অনেক ভাল লাগল।
ভাল থাকবেন -{@
রায়হান আহমেদ
ধন্যবাদ!