একুশ ঘন্টা পর সকাল সাতটার কিছু পর এমিরেটস এয়ারলাইন্স ল্যান্ড করে ঢাকার এয়ারপোর্টে, সকাল আটটা পঁচিশে অবণী বেড়িয়ে আসে, বেড়িয়েই এদিক ওদিক তাকাতে লাগলো কেউ এসেছে কিনা, দেখল ওর বাবা এগিয়ে আসতে আর ও দৌড়ে গিয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরলো আর কাঁদতে জিজ্ঞেস করলো, আব্বু অভি কেমন আছে?
এখনো অভির জ্ঞান ফিরেনি মা, আচ্ছা চল আগে, বলেই অবণীর বাবা অবণীর লাগেজ গুলো নিয়ে নিলেন আর মেয়েকে নিয়ে বেড়িয়ে এসে গাড়ীতে উঠলেন।
ড্রাইভার চাচা হাসপাতালে চলেন, গাড়ীতে উঠেই অবণী বললো।
আরে আগে বাসায় চল, গোসল সেরে খাবি, রেস্ট করবি তারপর না হয় হাসপাতালে যাবি, অবাক হয়ে বললেন অবণীর বাবা।
আব্বু তুমি আমাকে বাধা দিওনা প্লিজ।
অবণীর বাবা চুপ করে গেলেন, জানেন উনার এই মেয়েটি বেশ জেদি, যা বলবে তাই করবে।
গাড়ী ছুটে চলেছে অবণীদের গাড়ী,অবণী আর ওর বাবা দুজনেই অনেক ক্ষণ চুপচাপ, অবণীর বাবাই নিরাবতা বাঙ্গলেন।
শুনলাম তুই নাকি চাকরি ছেড়ে এসেছিস?
হুঁ, ছোট করে জবাব দিলো অবণী।
এতো ভালো চাকরি ছেড়ে দিলি?
হুঁ।
এইটা কি ঠিক হলো?
জানিনা আব্বু।
ডাক্তার সাহেব, কেমন আছে আমার ছেলে, অভির মা চিন্তিত হয়ে জিজ্ঞেস করলেন।
দেখুন, উনার যা অপারেশন করার দরকার ছিলো তা আমরা করেছি, এখন বাকিটা আল্লাহ্র হাতে।
জ্ঞান ফিরছে না যে?
আশা করা যায় যে কোন মূহুর্তে জ্ঞান ফিরতে পারে তা আজ হোক বা অন্য কোনদিন, এরপরে আমরা বলতে পারবো উনার কি অবস্থা।
আমার ছেলে সুস্থ হয়ে উঠবে তো, উৎকন্ঠা নিয়ে তাকালেন ডাক্তারের দিকে অভির মা।
আল্লাহ্র কাছে দোয়া করুন, আমি আসি বলেই ডাক্তার সাহেব লিফটের দিকে চলে গেলেন আর অভির মা আবার কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন, প্রিয়ন্তী আজ পরীক্ষা দিতে গেছে, উনি ধপ করে সোফায় বসে গেলেন আর ঠিক সেই সময় অবণী লিফটের দরজা খুলে গেলে বেড়িয়ে এলো লিফট থেকে আর দেখলো অভির মার কান্না আর ধপ করে বসে যাওয়া, অবণী দ্রুত এগিয়ে গেল অভির মার কাছে আর পাশে গিয়ে বসে অভির মার হাতটা নিজের হাতে টেনে নিলো আর সাথে সাথে অভির মাও ফিরে তাকালো আর অবণীকে দেখে অবাক হলেন আর এর সাথে কান্নার বেগটাও বেড়ে গেলো উনার উনি ঝাপটিয়ে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলেন আর বলতে লাগলেন তুমি চলে এসেছো, দেখো আজ আমার কি অবস্থা, জানিনা আজ কিসের সাজা পাচ্ছি আমি, আমার ছেলের আজ এই অবস্থা কেন, বলেই ফোঁফাতে লাগলেন।
আন্টি আপনি এইভাবে কাঁদলে হবে, আপনি আল্লাহ্র কাছে অভি স্যারের জন্য দোয়া চান, ইনশা আল্লাহ্ অভি স্যার ঠিক হয়ে যাবেন, বলতে বলতেই অবণীও কেঁদে দিলো।
এসো মা, অভিকে দেখে যাও বলেই অভির মা অবণীর হাত ধরে উঠে দাঁড়ালেন সাথে অবণীও উঠে দাঁড়িয়ে অভির মার পিছন পিছন অভিকে রাখা আইসিইউর গ্লাসের সামনে এসে দাঁড়ালো, অভিকে চেনায় যাচ্ছেনা, সারা শরীরে আর মাথা মুখে ব্যান্ডেজ, অভির এই অবস্থা দেখে অবণীর দুচোখ বেয়ে চোখের জল পড়তে লাগলো।
অবণী গ্লাসের পাশেই এক নাগাড়ে দাঁড়িয়ে রইল আর গ্লাসের অপর পাশে অভি অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে, অবণী বিড় বিড় করছে আর বলছে, দেখ দেখ আমি এসে গেছি অভি উঠে যাও, প্লিজ উঠে যাওনা, প্লিজ উঠে যাও, দেখবেনা, তুমি চোখ খুলে তাকাওনা, দেখ আমি দাঁড়িয়ে আছি তোমারই পাশে। অবণীর চোখ দিয়ে অঝোর ধারায় জল গড়িয়ে পড়ছেই তো পড়ছেই, কখন যে ওর বাবা পাশে এসে দাঁড়িয়েছে ও খেয়ালই করেনি,
ওর বাবা কাঁদে হাত দিলে ও চমকে উঠে পাশে তাকালে ওর বাবা বললো, অবণী চল মা, বাসায় চল।
না আব্বু, আমি থাকবো, আমি আর এইখান থেকে এক পাও নড়বোনা।
এই কথা বললে চলবে মা, তুই এতো জার্নি করে এলি, তোর তো জ্যাট ল্যাগ হচ্ছে আমি জানি।
বাবা তুমি যাও।
বড় একটা নিশ্বাস ফেললেন অবণীর বাবা তারপর উনি নিজেই গিয়ে সোফায় বসে পড়লেন।
দুপুর দুইটার দিকে অবণীর মা আর প্রিয়ন্তী একি সাথে এলেন, দ্রুত পায়ে এসে অবণীকে জড়িয়ে ধরলেন আর বললেন, কিরে তুই বাসায় এলিনা কেন?
কিভাবে যায় বলো?
হুম, ঠিক আছে, সবাই চল, ক্যান্টিনে গিয়ে বসি, হাতের দিকে ইশারা করে বললেন আমি সবার জন্য খাবার নিয়ে এসেছি, আসলে গত তিনদিন ধরে সকালের নাস্তা ছাড়া লাঞ্চ আর ডিনারের খাওয়া উনার বাসা থেকেই পাঠাচ্ছেন উনি যদিও অভির মা প্রবল আপত্তি করেছিলেন কিন্তু উনি কোন কথা শুনতে রাজি না, শেষে অভির মা পরাজয় বরণ করে নেন।
অবণী মাকে ছেড়ে দিয়ে প্রিয়ন্তীকে জড়িয়ে ধরলো আর বললো কেমন আছো তুমি?
প্রিয়ন্তী অবণীকে জোড়ে চেপে ধরে কাঁদতে লাগলো, আপু তুমি কখন এসেছো, ভাইকে দেখেছো, আপু ভাইয়া বাঁচবে তো, বলতে বলতে কাঁদতে লাগলো।
তোমার ভাইয়া ইনশা আল্লাহ্ ঠিক হয়ে যাবে, ওকে অবশ্যই বাঁচতে হবে আমাদের জন্য বলেই থমকে গেল অবণী।
আসো সোফায় বসবে প্রিয়ন্তীকে নিয়ে গিয়ে সোফায় বসিয়ে দিলো।
আপু, ফাল্গুনী বলেছিলো তুমি কানাডাতে ভালো চাকরি করছো।
করছিলাম, ছেড়ে দিয়েছি আসার আগে।
ছেড়ে দিয়ে চলে এসেছো, অবাক হয়ে তাকালো প্রিয়ন্তী চোখ বড় বড় করে।
অবণী শুধু মাথা নাড়লো।
অবণীর বাবা সবাইকে ডেকে নিলেন খাওয়ার জন্য আর অবণীকে জোড় করে নিয়ে গেলেন ক্যান্টিনে, সবাই মিলে খেতে বসলে সেই সময় প্রিয়ন্তীর ফোন বেজে উঠলো, প্রিয়ন্তী ডায়ালে দেখে রিসিভ করলো আর অপর প্রান্ত থেকে মোনালিসার কন্ঠ ভেসে এলো।
হ্যালো প্রিয়ন্তী কেমন আছো, অভি কেমন আছে?
আমি ভালো আর ভাইয়া আগের মতোই আছে, খাট্টাখোট্টা জবাব দিলো প্রিয়ন্তী।
আহা বেচারার জন্য দুঃখ হচ্ছে।
দেখুন আপনি ওই মেকি কথা বাদ দিন প্লিজ, আপনার সহানুভূতি আমাদের দরকার নেই, আমি রাখছি।
আরেহ তুমি রাগ দেখাচ্ছো কেন, আমি কি করলাম?
আপনি কি করেছেন সেইটা নিয়ে আমার মাথা ব্যাথা নেই বলেই ফোন কেটে দিলো প্রিয়ন্তী।
কার সাথে কথা বলছিলি প্রিয়, অভির মা জানতে চাইলেন।
আর কে, যে মেয়েকে ঘরের বউ বানাতে চেয়েছিলে সে।
আহা মেয়েটার সাথে এইভাবে কথা বলার কি আছে?
দেখ আম্মু, যে মেয়ে আমার ভাইকে এই অবস্থায় রেখে চলে যায়, সে মেয়ে সার্থপর ছাড়া আর কিছুই নয়, সে মনে করেছে আমার ভাই বাঁচবেনা আর এই চিন্তা করেই ব্যবসার ব্যস্ততা দেখিয়ে সরে পড়েছে, যাক সে আর তুমি, তুমি ওই মেয়েকে আমার ভাইয়ের বউ বানানোর চেষ্টা করলে খুব খারাপ হবে এই বলে দিচ্ছি।
অবণী চমকে উঠলো এই সব শুনে।
আচ্ছা আচ্ছা, ঠিক আছে, এখন তুই ঠান্ডা হয়ে খাবার খেয়েনে।
অবণীর বাবার পাশেই ছিলো উনি প্রিয়ন্তীর মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন আর বললেন, মামনী এই ভাবে রাগ করলে কি চলে?
আনকেল আপনি জানেন না মেয়েটি ভাইয়ার এক্সিডেন্টের কথা শুনে বাপ মেয়ে দুজনেই চট্টগ্রাম থেকে দৌড়ে এলো আর ভাইয়ার অবস্থা দেখে পরদিনই চলে গেল ব্যস্ততা দেখিয়ে আর এলোনা।
আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে, মাথা ঠান্ডা করো, আসো এখন খেয়ে নিই।
সবাই খেতে শুরু করলে এক সময় প্রিয়ন্তী অবণীকে জিজ্ঞেস করলো, আপু তুমি কি আবার চলে যাবে?
দেখি, অভি স্যার সুস্থ হয়ে উঠুক তারপর চলে যাবো।
সালামালেকুম ম্যাডাম।
অবণী সহ সবাই এক যোগে তাকালো আর দেখলো জিএম সাহেব দাঁড়িয়ে আর সাথে সাথে অবণী দাঁড়িয়ে সালাম দিলো আর সবার সাথে খাওয়ার আমন্ত্রণ জানালো।
জিএম সাহেব অবণীর বাবার পাশে বসে জিজ্ঞেস করলেন, অবণী ম্যাডাম কেমন আছেন, কখন আসছেন?
এইতো সকালেই এসেছি।
আপনি স্যারের খবর পেয়েই চলে এসেছেন?
অবণী চুপ করে রইল।
আসলে আপনাকে দেখে আমি খুব খুশি হয়েছি, আসলে এই মূহুর্তে আপনাকে আমাদের কি যে দরকার ছিলো তা বুঝাতে পারবোনা।
কেন জিএম সাহেব, অভির মা জিজ্ঞেস করলেন আশ্চর্য হয়ে।
ম্যাম অভি স্যার না থাকাতে অফিসের কাজকর্ম স্থবির হয়ে আছে আর অবণী ম্যাডাম হয়তো জানেন না যা আমিও জানতাম না যা আজকে জানলাম, উনি আমাদের কানাডা অফিসে ম্যানেজার হিসাবে ছিলেন আর উনি গত পরশু ওখানে রিজাইন করে দেশে চলে এসেছেন আর বড় ম্যাডাম আপনি তো অফিসেই যাবেন না তাহলে উনাকেই আমাদের দরকার অফিস চালানোর জন্য।
জিএম স্যার দুঃখিত আমি জয়েন করতে পারবোনা, আমাকে অনুরোধ করবেন না, বলেই অবণী সবার উদ্দেশ্যে বললো, আপনারা ধিরে সুস্থে খান আমি নিচে যাচ্ছি, বলেই অবণী উঠে গেল।
আরে যাচ্ছিস কেন, তুই তো কিছুই খেলিনা, পিছন থেকে অবণীর মা ডাক দিলেন।
খিদে নেই আম্মু বলেই অবণী চলে গেল।
অবণী নিচে এসে আবার অভির গ্লাসের পাশে এসে দাঁড়ালো, আবার চোখ ছল ছল করে উঠছে, যে কোন সময় বাঁধ ভাঙ্গতে পারে, নিজেই ফিসফিসিয়ে বলছে, অভি প্লিজ চোখ খুলে দেখো আমায়, আমি চলে এসেছি, তোমার পাশেই আছি, থাকতে চাই আজীবন তোমার সেবা করে, প্লিজ চোখটা খুলো, প্লিজ দেখোনা আমায়। অবণী এক দৃষ্টীতে তাকিয়ে আছে অভির দিকে, হঠাৎ অবণীর মনে হলো অভির আঙ্গুল গুলো নড়ে উঠলো তারপর আবার বন্ধ হয়ে গেলো, অবণীর বুক ধুক করে উঠলো, অভির দিকে ভালো করে দেখতে লাগলো আর মনে মনে আল্লাহ্র কাছে ফরিয়াদ করতে লাগলো, কয়েক মূহুর্ত পর অভি চোখ খুললো, আবার বন্ধ করলো, আবার চোখ পিট পিট করে চোখ খুললো, তাকালো অবণীর দিকে, আবার চোখ বন্ধ করলো, আবার খুললো, চোখে যেন অজস্র ব্যাথা অভির চোখে কিন্তু তাকিয়ে রইল অবণীর দিকে, অবণী চিৎকার দিয়ে বললো, ওর জ্ঞান ফিরছে, ওর জ্ঞান ফিরছে, সিঁড়িতেই ছিলো প্রিয়ন্তী,অভির মা আর বাকি সবাই, আর ওরা সবাই হুরমুর করে চলে এলো অভির পাশের গ্লাস ঢাকা আইসিইউর পাশে, ডিউটি ডাক্তার, নার্সরা সবাই দৌড়ে এলো অভির বেডের পাশে, অভি এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে অবণীর দিকে, বড় ডাক্তাররাও এসে গেছে দ্রুত, ওরা একটা ইঞ্জেকসন নিলো অভিকে দেওয়ার জন্য, অভি মুখ নাড়লো, ডাক্তার নার্সকে কি যেন বললো, নার্স দ্রুত বেড়িয়ে এলো দরজা দিয়ে আর বললো, অবণী কে?
অবণী বললো, আমি।
আসুন আমার সাথে, জুতা খুলে নিন।
অবণী সবার দিকে তাকালো, অভির মা ওর হাত ধরে বললো, যাও মা, যাও।
অবণী দ্রুত জুতা খুলে রেখে নার্সের পিছু নিয়ে প্রবেশ করে অভির পাশে গিয়ে দাঁড়ালো, অভির মুখ নড়ছে হাল্কা হাল্কা, হাতটা বাড়িয়ে দিতে চাইলো, অবণী চট করে অভির ব্যান্ডেজ বাধা হাতে হাত দিয়ে ধরলো, এক ডাক্তার দ্রুত অভির হাতে ঘুম হওয়ার জন্য ইঞ্জেকসন দিলো, অভি অবণীর হাত ধরে রাখা অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়লো।
___________ চলবে
ছবিঃ Google.
১৯টি মন্তব্য
মিষ্টি জিন
এই পর্ব টা বেশ টাচি।চোখে পানি এসে গেল। অনেক ভাল হয়েছে।
ইঞ্জা
কি বলবো আপু, নিজেও যে কেঁদেছি।
ধন্যবাদ, খুশি হলাম পাশে পেয়ে। -{@
ব্লগার সজীব
মন খারাপ হয়ে গেলো এই পর্ব পড়ে। পরের পর্বের অপেক্ষায়।
ইঞ্জা
আমারো মন খারাপ হচ্ছিলো বারবার আর আপনাদের মন টাচ করতে পারছে গল্পটি এতেই আমার সারথ্যকতা।
মোঃ মজিবর রহমান
ইঞ্জা ভাই, আপনার কল্যানে আল্লাহর রহমতে অনেকদিন পর একটা টানা পড়ে জাচ্ছি ক্লান্ত হয়নি।
আপনাকে -{@
ইঞ্জা
আমি সম্মানিত ভাই, আমি আপ্লুত, ধন্যবাদ আপনাকে আমাকে ভালোবাসা দেওয়ার জন্য। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
এ পর্বটা পড়ে মনে বিষণ্ণ মেঘ উড়ছে হ্যান্ডপাম্প ভাই।
কি শেষ করে নিয়ে আসতে চাইছেন মনে হয়? একটা সাজেশন দিচ্ছি, শেষ যখন টানবেন তার রেশ এমনভাবে ছড়ানোর চেষ্টা করবেন, আমরা পাঠকরা যেনো চমকে যাই।
ফিরিতে(ফ্রীতে) আজকাল ছাজেছন(সাজেশন) দেয়া হয় না। বই কিনতে হয়, ঝানেন তো হ্যান্ডপাম্প ভাই?
😀
ইঞ্জা
;( ;(
কি বলেন আপু এই শেষ সময়ে চমকাইতে হপে, তাহলে তো দুইটার একটারে নইলে দুইটারেই টুস করতে হপে, নইলে আপনিই ইনবক্সে একটা প্লট দিন কারণ আমার মাথা তো আর কাজ করছেনা আপু। ;(
নীলাঞ্জনা নীলা
শেষ ভালো যার,
সব ভালো তার! 😀
আমি দেবো প্লট!!! আমার মাথায় এপার্টমেন্ট আগে থেকেই আছে। এখন প্লট কিভাবে দেবো?
এখন যদি কোনোভাবে আমার মাথার উপর এপার্টমেন্ট ভাঙ্গে, কনফার্ম প্রথম প্লট আপনার জন্যই বরাদ্দ রাখবো হ্যান্ডপাম্প ভাই। 😀
খালি মাইরা ফালার কথা কন ক্যা! অ্যা! ^:^
ইঞ্জা
ওরে বাবা, শেষে না হয় আমার মাথায় না ফ্ল্যাট ভাঙ্গেন, নাহ নাহ আমি নাই, আমি নাই, আমি এইমাত্র বেড়িয়ে গেছি। ^:^
অরুনি মায়া অনু
ঠিক এমন মুহূর্তগুলোতে আপন মানুষদের দোওয়ার খুব প্রয়োজন হয়। এমন মুহূর্তগুলো খুব কষ্টের। অভি ফিরে আসুক এটাই চাই।
ইঞ্জা
আপু লেখাটি প্রায় শেষের পথে, দোয়া করবেন। 🙂
শাহানা আক্তার
গল্প শেষের দিকে…দেখি গল্পকার অবনী আর অভিকে কোথায় নিয়ে দাঁড় করায়…শুভকামনা রইলো
ইঞ্জা
ধন্যবাদ আপু, পাশে থাকবেন। 🙂
ইঞ্জা
ধন্যবাদ আপু, পাশে আছেন এই আমার শ্রেষ্ঠ পাওয়া। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আরে আপনি তো অবণীকে ওয়াক ওভার দিয়ে দিলেন!
মাইর হবে মাইর, শব্দ হবে না, কিছু ছিঁচকাদুনেপনাও লাগিয়ে দিন!
ইঞ্জা
^:^ ^:^
আমি কই যাইতাম, আঁই হন্ডে যাইতাম? ;(
ছাইরাছ হেলাল
হা হা, যাওনের জায়গা নেই, ভাই।
ইঞ্জা
;?