বিশ্বাস

শিরিন হক ২৩ জুন ২০১৯, রবিবার, ১১:৪৫:২৩অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ২৩ মন্তব্য

বিশ্বাস শব্দটা সম্পর্কের উপর ভিত্তি করেই গড়ে ওঠে। সৃষ্টি কর্তার কিছু নিদর্শন দেখে অদৃশ্য বিধাতার উপর বিশ্বাস এনে আরাধনা করে মানব জাতি মনেপ্রাণে।

ভূমিষ্ঠ শিশুর হাত মায়ের হাতে রাখে ভাবে এই তার নিরাপদ হাত।তারপর থেকে বিপদ আপদে দৌড়ে গিয়ে মুখ লুকায় মায়ের বুকে তার বিশ্বাস বাবা মাই তাকে রক্ষা করবে। সত কষ্ট কে উপেক্ষা করে পিতা মাতা রক্ষা করে আদরের সন্তানদের, জীবন দিতে ও তারা দ্বিধা করেনা। এ বিশ্বস সন্তানের আছে কারণ তারা শিশুকালে থেকে এখানেই নিরাপদ আশ্রয় পেয়েছে।

ভালোবাসার মানুষ দেখে যতটা গভীরতা পায় ভালোবাসা তার চেয়ে গভীরতা পায় বিশ্বাসে।যে যত বিশ্বাস দিতে পারবে ভালোবাসার গভীরতা তখন বাঁধা মানবেনা। বিশ্বাস করে ঘর ছেড়ে চলে যেতে দ্বিধা করে না প্রেমিক মন।

বিয়ের আগে প্রতিটি পরিবার ভাবে তার ছেলে বা মেয়ে যেনো একটা ভালো পাত্রী বা পাত্রের হাতে পরে। লক্ষ কথার মধ্য দিয়ে যাচাই বাছাই করে সিদ্ধান্তে আসে এখানে ছেলে মেয়ে সুখী হবে। এখানে বিশ্বাসের উপর নতুন সম্পর্ক শুরু হয়।

বিবাহিত জীবনকে সুন্দর করার জন্য বিয়ের প্রথম দিনেই একে অপরের কাছে ওয়াদা বা বিশ্বাস দিতে চেস্টা করে সবাই। প্রতিজ্ঞা বদ্ধ হয় একে ওপরের জন্য।
সুন্দর একটা পরিবার গড়তে বিশ্বাস দেওয়া বা করা দুটোই দায়িত্ব হয়ে দাঁড়ায়।

জন্ম থেকে মৃত্য অবধি বিশ্বাস নিয়ে বাঁচে সবাই।
আমরা কখনো ভাবিনা সেই বিশ্বাস ভেঙে গেলে অপরের কতটা কষ্ট হয়।
অবুঝ শিশু যখন দেখে মা ছেড়ে গেছে তাকে।
প্রিয় ভালোবাসার মানুষ যখন দেখে যা ভেবেছে সে সব ভুল।
স্বামী স্ত্রী কেউ বিশ্বাস দিচ্ছে না একে অপরকে।

তখনি কেউ হয় বেপরোয়া, ভারসাম্যহীন আবার কেউ নির্বাক কারো বা চোখের পানি শুকিয়ে যায় কেঁদে কেঁদে। কেউ বা ঘর ভাঙ্গে।
তবুও সম্পর্ক চিরকাল তার আপন ধারায় চলে যায় এক ছাদের নিচে অবিশ্বাসের দেয়াল যে বিশ্বাস ভাঙ্গে তাকেই বিশ্বাসের দেয়াল তৈরী করতে হয়।এর নাম ভালোবাসা।

0 Shares

২৩টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ