বিবর্ণ হতাশা

মাছুম হাবিবী ২৩ জুলাই ২০১৯, মঙ্গলবার, ১০:৫২:৫১অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ১৪ মন্তব্য

ছোট বেলায় অনেকটাই সুখে ছিলাম। কোনোদিন বুঝতে পারিনি কষ্ট কী? কিন্তুু যত বড় হচ্ছি তত কষ্ট আর হতাশা বেড়েই চলছে ক্রমাগত। কোথায় এই বয়সে লম্বা শ্বাস ফেলে নিজের মত জীবনটাকে উপভোগ করবো। তা না করে দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে আর হাঁপাতে হাঁপাতে জীবন শেষ! কেন অাজ নির্লজ্জের মত বেঁচে থাকতে হবে? কেন মুখবুঝে সহ্য করে নিতে হয় সমস্ত অপবাদ, অন্যায়, অবিচার?

 

আমাদের জীবনটা ফুটবলের মত! শুনতে অনেকটা হাসি পেলেও কথাটা সত্য। যে যেভাবে পারে সেভাবেই শট করে। আমরা শুধু ঘুরতে ঘুরতে মাঠের বাহিরে গিয়ে পড়ি। বলার সুযোগ নেই আমারো কষ্ট হয়! এসব হতাশা আর দুর্দশার জন্য আমি সমাজ কিংবা রাষ্ট্রকে দায়ী করিনা। কারণ, সমাজ পরিবর্তনশীল। সমাজ, রাষ্ট্র এসব সাধারণত সময়ের গতিতে চলে। কিন্তুু মানুষের জীবন কখন যে কোথায় গিয়ে থমকে দাঁড়ায় তা কেউ বুঝতেও পারেনা। আমি আমার ভাগ্য আর কষ্টের জন্য সৃষ্টিকর্তাকে একশোবার দায়ী করবো।।

 

অনেকেই বলবে ভাগ্য নিজেকেই গড়তে হয়। হ্যাঁ, ভাগ্য নিজেকেই গড়তে হয়। ধরুন আপনার বয়স ১০ থেকে ১২ বছর। তখন যদি অাপনাকে বলা হয় নিজের মত চলতে হবে। নিজে আয় করে খেতে হবে। নিজের জীবন নিজেকেই চালিয়ে নিতে হবে! তখন আপনি কী করবেন? আপনার উত্তরটা ঠিক কেমন হবে? শুধু তাই নয়। বর্তমান সময়ে ১০ থেকে ১২ বছর কী তারচে আরো কম বয়সের ছেলে-মেয়েদের সংসার চালানোর দায়িত্বটা কাঁধে তুলে নিতে হয়!!

 

আর যদি এসব কষ্ট বা দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে না পারে তখন কি বলবেন? ছেলেটা নিজের ভাগ্য নিজে গড়তে পারেনি। ভাগ্য গড়ার সময় কখন আসে জানেন? যখন আপনি অনেক কষ্ট করে একটা অবস্থান তৈরী করবেন। তারপর, থেকে আপনার ভাগ্য তৈরীর সময় অাসবে। তখন আপনার ইচ্ছ অনুযায়ী কাজ করবেন, অারাম করবেন, মজা করবেন ইত্যাদি -ইত্যাদি।

 

কিন্তুু ছোটবেলা থেকেই যদি একটা ছেলেকে তার ভাগ্য গড়ার জন্য পরিবার কিংবা সমাজ থেকে চাপ দেয়া হয় তখন ছেলেটাই বা কি করবে। আমি সৃষ্টিকর্তাকে এজন্যই দায়ী করি! কিছু মানুষকে এত কষ্ট না দিয়ে সোজা তোমার কাছে নিয়ে গেলেই পারো। সহ্য করা যায় না কিছু কিছু অাঘাত, অপমান, অহীনা। যখন চিৎকার করে কাঁন্না করার পরও মনে শান্তি লাগেনা তখন বেঁচে থাকাটা একদম অকেজো!

0 Shares

১৪টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ