যুদ্ধঅদি দ্বারা,
তোমার বিপক্ষে প্রাধিকার উসুল কোরতে পারিনি বোলে;
কেউ আমায় মেঘনাদ অভিধায় ডাকেনি!
আমি কুম্ভকর্ণের মতোন ছয় মাস ঘুমিয়ে থাকি—
তথাপি একদিন সুধাকর হয়ে জেগে উঠি ভাসান চরে।
অতর্কিতে অসাড় চটে গেলে;
হাতের কাছে তোমাকে পেলে,তোমায়ও ফণা তুলে সাবাড় করি।
এককালে আমি নারদ মুনির কাছ থেকে দার্শনিক পাঠ গ্রহণ কোরেছি—
কিন্তু;সাহিত্যে অবদানের জন্য,
রাজমহিষীর মতোন মৃত্যুদন্ড বাতিল কোরার কেউ থাকলো না!
যেদিন বুকের বিচ্ছিন্নকরণে তোমার মুখগহ্বর
দ্যাখতে পেয়েছি—
প্রভুভক্ত কুকুরের মতোন;আততায়ীর প্রতিটা ছুরির কোপ তোলে নিয়েছি নিজ গতরে।
ছারপোকারা উষ্ণ রক্তবিশিষ্ট রাতের রক্ত খেয়ে বেঁচে থাকে অনেককাল—
মাথার ভেতর উপবনে সাঁতার কাটে রাশিচক্রের দ্বাদশ রাশি!
বয়োজ্যেষ্ঠের আভা পেয়ে জ্বলন্ত চুরুটের মতোন,
মাটিতে ফেলে পায়ে পিষে দিয়েছো আমায়।
আমি স্টেশন-চত্বরের এদিক-সেদিক পড়ে থাকি!
৬টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, লোভ , লালসায় দিশাহীন পথচলা। স্টেশনে পড়ে থাকতে হয় শোষকের জাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে। চমৎকার উপমা সমৃদ্ধ কবিতা। চব্বিশ ঘন্টা মাথায় রেখে লেখা পোষ্ট করো কেমন! ভালো থেকো সুস্থ থেকো নিরন্তর শুভকামনা
কান্ত রায়
হ্যাঁ দিদিভাই চব্বিশ ঘন্টা খেওয়াল রেখেই পোষ্ট করবো! ভালো থাকবেন। 💜🌻
জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব
সুন্দর লেখা
শুভকামনা রইল সতত
কান্ত রায়
ভালোবাসা নিবেন প্রিয়!🌺❤
আরজু মুক্তা
কবিতা ভালো লাগলো
কান্ত রায়
ধন্যবাদ জানবেন প্রিয় আপু 🌼