প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার প্রতিযোগিতায় মেধা হারাচ্ছে আগামী প্রজন্ম। কারো মনে জন্ম নেবে না আর মুক্ত চিন্তা।
বয়সের তুলনায় মাত্রাতিরিক্ত মেধার উপর চাপই এই শিশুদের মৃত্যুর কারণ। কারণ প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার এই প্রতিযোগিতার সাথে পাল্লা দিচ্ছে মা-বাবারা; তারা শিশুর মেধার উপর পরাশোনার অতিরিক্ত বোঝা চাঁপিয়ে দিচ্ছে। তাদের প্রত্যের মনেই এক বাসনা: আমার সন্তানকে প্রথম হতে হবে।অথবা আমার সন্তানকে ভালো স্কুলে ভর্তি হতে হবে।
স্কুল থেকে কোচিং থেকে প্রাইভেট থেকে আবার বাসা--- এভাবে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নির্বিচারে-নিভৃতে চলে এ শোষন। শিশুরা আজ ক্লান্ত। তাদের বয়সের তুলনায় পরাশুনার অতিরিক্ত চাপ ধ্বংশ করে দিচ্ছে এদের স্বাভাবিক বুদ্ধিবৃত্তি। মুক্তধারার চিন্তাশক্তিও এদের নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে কিন্ডারগার্টেন ও ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোতে মাত্রাতিরিক্ত পরাশুনার চাপ সহ্য করতে পারছে না এই কোমলমতী শিশুগুলো।
শিশুদের জন্য নেই পর্যাপ্ত খেলার মাঠ। খেলার জন্য নেই সময়। তাই দিনে-দিনে এরা শারিরীক ও মানসিকভাবে অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে শহরের আধুনিক ফ্ল্যাট বাড়িতে থাকা শিশুগুলোর মানসিক বিকাশ ক্ষীন, এসব আধুনিক শিক্ষালয়ে অধ্যায়নরত শিশুগুলো যেন একেকটি ব্রয়লার মুরগীর মতন; অপরদিকে মুক্তভাবে বেড়ে ওঠা শিশুগুলো খুবই দুড়ন্ত। এই দুড়ন্তপনাই এদের ভবিষ্যৎ বুদ্ধিবৃত্তির সহায়ক। আর একদিন এই দুড়ন্ত শিশুগুলোই জয় করবে আগামীর বিশ্বকে!
আসুন, শিশুদের রক্ষার জন্য এই সামাজিক আন্দোলনে সকলে হাতে হাত রেখে কাজ করি।

0 Shares

৭টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ