পাবনার মেয়ে…

মনির হোসেন মমি ১৮ জানুয়ারি ২০১৪, শনিবার, ০৬:০৪:১৪অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি, বিবিধ ১৪ মন্তব্য

ক্ষণস্হায়ী অসার ধ্বংষাত্ত্বক পৃথিবীর মায়ায়

আমরা মুসাফির ক্ষনিকের মেহমান

চোখের পলকের আছে বিশ্বাস

হয়তো বিদ্যমান কিছু,মৃত্যুর নেই।

লোভ লালসার মায়ায় পড়ে

ভুলে যাই মনুষত্ত্বের ইতিহাস

গড়ে তুলি বিশাল অট্রেলিকা আর সম্পদের পাহাড়

তোমার বিদায়ে সব কিছু রবে পড়ে পৃথিবীর বুকে।

মানুষের শব্দার্থে মান এবং হুস

যাকে বলি আমরা মানবতার সর্বউৎকৃষ্ট উপাদান

আজ কাল বড়ই অভাব তা মানবের মাঝে

কঠিন পাথুরে শহরে মনটাও যেন কনংক্রিটের দেয়াল।

আলোর অপজিটে আধারের আলিঙ্গন

জন্মের অপজিটে মৃত্যুর চিরসত্য বাণী

খন্ডানো অসম্ভব স্রষ্টার লিখিত বিধাণ

তাই মেনে নাও মানবতা করে যাও স্বরণীয় কল্যায়ন যা

মরিলেও কাদিবে ভুবন তোমার কীর্তিতে।

ভারত উপমহাদেশে যুগে যুগে অনেক আন্দোলন হয়েছে বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলা ভাষা নিয়ে বাঙ্গালীদের সাথে পাকিদের যে আন্দোলন হয়েছিল তা বোধ করি পৃথিবীর আর কোন রাষ্ট্রে তেমন দেখা যায়নি।ভাষার জন্য আত্মত্যাগ ভাষার জন্য রক্ত ঝড়া মহান ব্যাক্তি সালাম রফিকের এ এক বিশ্ময়কর ইতিহাস।আমরা গর্বিত।এ ভাষার টানের গভীরতা অপরিমেয়।ভারতীয় চলচিত্র আজ বিশ্ব দরবারে সমাধৃত তার মূলে ছিল সে দেশের হাতেগুনা কয়েকজন অভিনয় শিল্পী যাদের নিরলস পরিশ্রমের ধারাবাহিকতায় বলিউডের আজকের এ অবস্হান।সে সব কালজয়ী অভিনয় শিল্পীদের মাঝে সুচিত্রা সেন অনন্য।তার মৃত্যুতে আমরা শোকাহত বিশেষ করে বাঙ্গালী জাতি।পাবনার মেয়ে হিসাবে সে আমাদের পাবনাকে করেছে প্রসিদ্ধ।শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের কিছু দিন আগে জন্মস্হানের গভীর মমতায় পাবনায় আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

শ্রদ্ধায় ও শোকে আচ্ছন্ন সবাই

সুচিত্রা সেন বাঙ্গালীর অহংকার

পাবনার সুচিত্রা

যেখানে সুচিত্রা অনন্য

১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল সুচিত্রা সেন বাংলাদেশের পাবনায় জন্মগ্রহণ করেন। তখন তিনি রমা দাশগুপ্ত নামেই পরিচিত ছিলেন। ডাকনাম ছিল কৃষ্ণা।

রমা ছিলেন বাবা-মায়ের সাত সন্তানের মধ্যে তৃতীয়। অশোক, উমা, রমা, হেমা, লীনা, রুনা ও গৌতম—এই ছিল করুণাময় দাশগুপ্ত ও ইন্দিরা দেবীর সাত সন্তান।

ঃ ১৯৪৭ সালে রমা দাশগুপ্তের বিয়ে হয়েছিল বালিগঞ্জ প্রেসের স্বত্বাধিকারী আদিনাথ সেনের ছেলে দিবানাথ সেনের সঙ্গে। রমা দাশগুপ্ত বিয়ের পর হলেন রমা সেন।

ঃ এর আগে পিনাকী মুখোপাধ্যায়ের সংকেত ছবিতে অভিনয় করার জন্য তিনি স্ক্রিন টেস্ট দিয়েছিলেন এবং পিনাকীর তা পছন্দও হয়েছিল। কিন্তু তখনো রমা সেন শ্বশুর শিল্পপতি আদিনাথ সেনের কাছ থেকে চলচ্চিত্রে অভিনয় করার অনুমতি পাননি। এরপর অনুমতি পেয়ে শেষ কোথায় নামে একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন, কিন্তু ছবিটি মাঝপথে থেমে যায়।

ঃ বাংলা চলচ্চিত্র জগতে সুচিত্রা-উত্তম সবচেয়ে জনপ্রিয় জুটি। ক্যারিয়ারের মাঝপথে উত্তমকুমারের ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়ায় বারবার ছবির শুটিংয়ে সময়মতো হাজির হচ্ছিলেন না উত্তম। তখন সুচিত্রা প্রযোজকদের বলেছিলেন, সিনেমার পোস্টারে উত্তমের আগে যেন তাঁর নাম থাকে। অর্থাৎ উত্তম-সুচিত্রা নয়, পোস্টারে থাকবে সুচিত্রা-উত্তম!

ঃ জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকতেই হঠাৎ করে সুচিত্রা সেন ১৯৭৮ সালে চলচ্চিত্র জগৎ থেকে সরে যান। এরপর আর কখনোই তিনি জনসমক্ষে কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নেননি। তবে শেষ জনসমক্ষে এসেছিলেন ১৯৮৯ সালে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ভরত মহারাজের মৃত্যুর পর।

ঃ সুচিত্রা অভিনীত শেষ হিন্দি ছবি গুলজার পরিচালিত আঁধি (১৯৭৪)। ১৯৭৮ সালে মঙ্গল চক্রবর্তী পরিচালিত প্রণয় পাশা সুচিত্রা অভিনীত শেষ বাংলা ছবি।

ঃ সুচিত্রা সেন একমাত্র শিল্পী, যিনি দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। কলকাতা থেকে নয়াদিল্লিতে যেতে হবে বলে এই পুরস্কার নিতে সম্মত হননি।

ঃ প্রথম ভারতীয় নারী অভিনেত্রী হিসেবে ১৯৬৩ সালে মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সাত পাকে বাঁধা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পান।

ঃ ১৯৭২ সালে পান পদ্মশ্রী পুরস্কার।

ঃ সত্যজিৎ রায় সুচিত্রা সেনকে নিয়ে দেবী চৌধুরানী ছবিটি নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন। সত্যজিৎ চেয়েছিলেন, এই ছবিতে কাজ করার সময় অন্য কোনো ছবির শিডিউল যেন না রাখেন সুচিত্রা। কিন্তু সুচিত্রা জানিয়ে দেন, পেশাদার শিল্পী হিসেবে তিনি তা করতে পারেন না। তাতে অন্য প্রযোজক-পরিচালকেরা মুশকিলে পড়ে যাবেন। এরপর সত্যজিৎ রায় আর দেবী চৌধুরানী ছবিটি নির্মাণ করেননি। তবে দীনেন গুপ্তের পরিচালনায় ১৯৭৪ সালে রঞ্জিত মল্লিকের বিপরীতে সুচিত্রা দেবী চৌধুরানী ছবিটি করেছিলেন।

ঃ বলিউডে দেবদাস ছবিতে দিলীপকুমারের বিপরীতে সুচিত্রাই ছিলেন প্রথম পার্বতী। ছবিটি ১৯৫৫ সালে মুক্তি পায়। ১৯৭৪ সালে সঞ্জীবকুমারের সঙ্গে আঁধি ছবিতে অনবদ্য অভিনয় করেন। এ ছাড়া ১৯৬৭ সালে হিন্দি মমতা ছবিটির জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারে মনোনয়ন পান। মোট সাতটি হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেন সুচিত্রা সেন।

ঃ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সর্বোচ্চ সম্মান ‘বঙ্গ বিভূষণ’ পান ২০১২ সালে।

ঃ স্বামী দিবানাথ সেন মারা যান ২৮ নভেম্বর ১৯৬৯। কন্যা মুনমুন সেন ও নাতনি রাইমা সেন ও রিয়া সেনকে নিয়েই ছিল সুচিত্রার সুখের সংসার।

রোমান্টিকতা আমাদের বাঙ্গালীদের জীবনে এক অবিচ্ছেদ্দ্য অংশ।ভালবাসা হীন জীবন যেন অসার নিরান্দ।ছোট বেলায় মুরুব্বীদের মাঝে রোমান্টিকের গল্প শুনতে গেলে এগিয়ে আসত উত্তম কুমার-সূচিত্রা সেন জুটি।ছবিতে রোমান্টিক অভিনয় যেন সূচিত্র-উত্তম ছাড়া জমতো না।তার বিদায় যেন রিয়েল রোমান্টিকে শোকের ছায়া।

তার অভিনীত আমার দেখা বেশ করেকটি রোমান্টিক গানের লিং দিলাম ইউটিউবের সৌজন্যে...

সুচিত্রা সেনের অডিও গান

সুচিত্রা সেনের ভিডিও গান

ক্লাশিক গান

 

সহযোগিতায়:প্রথম আলো এবং ইউটিউব

0 Shares

১৪টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ