পরিচ্ছন্নতা নিয়ে কয়েকদিন ধরেই লিখব বলে ভাব ছিলাম আর সব চেয়ে মজার বিষয় হোল আমরা পরিচ্ছন্নতা কি সবাই জানি কিন্তু মানিনা,বিশেষ করে আমরা বাঙ্গালিরা তো যেন পণই করেছি যেন পরিচ্ছন্ন না থাকার। যেমন উদাহরণ স্বরূপ আমরা যত্রতত্র ময়লা ফেলতে কার্পণ্য করিনা, ঘরের এঁটো আমরা ঘরের পাশেই কোথাও ফেলে দিই, বাদাম, ছোলা, সিগারেটের প্যাকেট ইত্যাদি যখন যেভাবে খুশি যেভাবেই খুশি ফেলে দিই, সবাই ফেলছে আর আমি ফেললে কিবা আসবে যাবে, খাওয়ার আগে শুধু পানি দিয়েই হাত কি ধুইলাম না ধুইলাম রাক্ষসের মত খেতে বসে গেলাম আর খাওয়ার পরও তদ্রূপ আর এতে যে আমাদেরই স্বাস্থ্যহানি হচ্ছে তা কে বা বুঝার দরকার?
কক্সবাজার সি বিচের কথায় ধরুন, বিশ্বের সর্ব বৃহৎ সি বিচ, দেশ বিদেশে কত নাম, গর্বে বুক এই ফাটে। তো ঐ ফাটে কিন্তু সেখানকার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে কখনো ভেবে দেখেছেন কি? ডাবের খোসা, চিনা বাদামের খোসা, খাবার দাবারের এঁটো, সিগারেট ও সিগারেটের প্যাকেট, পলিথিন কিনা ফেলি আর এতে যে আমাদের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, সমুদ্রের দূষণ হচ্ছে তা কে কেয়ার করে কিন্তু এতে যে ক্ষতিটা যে আমাদেরই হচ্ছে তা কি সবাই জানেন, না মনে হয়।
তাহলে আসি সমুদ্র দূষণে আমাদের কি ক্ষতি হচ্ছে তা একটু বলি, সুমদ্রের মাছ, কচ্ছপ, সমুদ্রের কোরাল সব এখন বিপদে আছে, মারা যাচ্ছে লাখে লাখে, কোরাল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াতে সমুদ্র এখন ময়লায় পরিপূর্ণ, হয়ত খেয়াল করেছেন এই সমুদ্রে গোসল করলে গা চুলকায় আর ভবিষ্যতে এই সমুদ্র আমাদের আর কিছুই দিতে পারবেনা, সামুদ্রিক মাছ তখন সোনার হরিণই হবে আমাদের জন্য।
আমাদের পরিবেশের কথা চিন্তা করেই আমাদের এখনই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দেওয়া উচিত, নিজের পরিচ্ছন্নতা যেমন জরুরী তেমনি আমাদের আসে পাশের পরিচ্ছন্নতাও জরুরী আর এর জন্য বেশি কিছু নয়, ঘরের ময়লাগুলো যথাযথ ও নির্ধারিত স্থানে ফেলুন, যত্রতত্র কোন কাগজ, আধখানা সিগারেট, প্যাকেট, খাদ্য দ্রব্য, কাগজ বা যে কোন ময়লা ডাস্টবিনে ফেলুন এবং অন্যকেও পরিচ্ছন্নতা মেনে চলার পরামর্শ দিন, প্রতিদিন নিজে পরিষ্কার থাকুন আর পরিচ্ছন্নতা মেনে চলুন অন্যদেরও উৎসাহিত করুন, থুতু, কফ নির্ধারিত স্থান ছাড়া ফেলবেন না কারণ এতে রোগবালাই বেশি ছড়াই আর আসুন আমাদের সমুদ্র ও আসে পাশের পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন রাখি, আর এতে আমাদের শুধু নয় আমাদের ভবিষ্যৎ বংশধররাও সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ উপহার পাবো।।
২৮টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
এটা অলসতা ছাড়া কিছুই না।
সুন্দর বিষয় লেখার জন্য ধন্যবাদ।
ইনজা
এই আলস্য ত্যাগ করার জন্য আমাদেরই চেষ্টা করা উচিত।
ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
জিসান শা ইকরাম
আমরা মনে হয় বিশ্বের সবচেয়ে অপরিচ্ছন্ন জাতি।
যেখানে ইচ্ছে ময়লা ফেলি, হাসপাতালের ওয়াল পর্যন্ত পানের পিকে বোঝাই
ঢাকা শহর বিশ্বের সবচেয়ে অপরিচ্ছন্ন শহর, ডাষ্টবিনে ময়লা ফেলার অভ্যাসই নেই আমাদের।
নিজের একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি , ইন্দোনেশিয়ার বালি গিয়েছিলাম একবার, পর্যটন শহর।
জনগন নিজেরা গাছের পাতা পর্যন্ত কুড়িয়ে ডাস্টবিনে ফেলে
তাদের শহর যেন বিদেশিদের কাছে ঝকঝকে থাকে।
ভালো লিখেছেন ইঞ্জি ভাই।
ইনজা
সহমত পোষণ করছি ভাইজান, জানিনা সেই দেশ কবে হবে যখন সব বাঙ্গালির মন পরিচ্ছন্ন হবে। 🙁
জিসান শা ইকরাম
আমিও জানিনা, এখন আশা করতেও ভয় লাগে।
সোনেলায় নিয়মিত হয়েছেন দেখে ভালো লাগছে 🙂
ইকবাল কবীর
আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। একটু সচেতনটা আমাদের পুরো পরিবেশটা বদলে দিতে পারি।
ইনজা
সহমত ভাই।
অনিকেত নন্দিনী
যথাযথ বিষয় নিয়ে লিখেছেন। (y)
আমরা প্রচন্ড অলস আর নোংরা। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এমন কোনো বাঙালিকে খুঁজে পাওয়া যাবেনা যে নিজের বুকে হাত রেখে জোর দাবিতে সত্যি বলতে পারবে, “আমি এই জীবনে কখনো কোথাও রাস্তাঘাট বা মাঠেময়দানে ময়লা ফেলিনি।” 🙁
ইনজা
একদম ঠিক বলেছেন আর আমাদের উচিত এই মূহুর্ত থেকেই আমাদের নিজেকে বদলিয়ে ফেলা আর বাকিদের উৎসাহ দেওয়া।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমরা এমনই এক জাতি ময়লা করতে ওস্তাদ, ময়লা তুলতে না।
এমন এক বিষয় নিয়ে লিখেছেন (y)
ইনজা
যদি আমরা আমাদের না বলাই ক্ষতিটা আমাদেরই যা আমাদের বুঝা উচিত।
মেহেরী তাজ
ভাইয়া আপনি? সোনেলায়? দেখে ভালো লাগছে ভাইয়া! কিন্তু এটা কার ম্যাজিক ঠিক বুঝতেছি না! ;?
আর আপনার লেখার সাথে একমত। 🙂
লীলাবতী
এই যে তাজ ম্যাডাম, আপনাকে চেনা চেনা লাগছে, কোথায় দেখেছি বলুন তো, মনে করতে পারছি না 🙂 ম্যাজিক শেখাবেন নাকি? :p
মেহেরী তাজ
হা হা হহা ম্যাজিক? হা হা হা! ও সব পারি না আমি! 🙁
লীলাবতী
কেউ কেউ পারে :p হা হা হা
ইনজা
যেভাবে বন্দুক তাক করেন আপনি তাতেই তো কলজে কেঁপে উঠে আর লীলাপুর ধমকি এইসবের ভয়েই চলে এলাম আপু।
মেহেরী তাজ
ভালো করছেন ভাইয়া…. 🙂
লীলাবতী
পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা আমাদের ভালো লাগেনা 🙂 ভালো লিখেছেন ভাইয়া, আপনার লেখার সাথে একশত ভাগ সমমত পোষন করছি।
ইনজা
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য, আসুননা আমরাই পরিচ্ছন্নতা শুরু করি। 🙂
লীলাবতী
আমি রাস্তা ঘাটে কোনকিছু ফেইলা না ভাইয়া। ছোট একটি পলিথিনে সব কিছু রেখে ব্যাগে নিয়ে নেই 🙂
স্বপ্ন
জন সচেতনতা মুলক লেখা। আমাদের নিজেদের পরিবেশ সুন্দর রাখার জন্য পরিচ্ছন্ন থাকতেই হবে।
ইনজা
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অপরিসীম ধন্যবাদ
সঞ্জয় কুমার
গুরুত্বপূর্ণ মুল্যবান বিষয় । তবে এতে আমাদের ইচ্ছা এবং অলসতা দুইটাই বেশী
ইনজা
অলসতা দূর করে চলুন নিজের ঘর আর মন থেকেই শুরু করি। 🙂
মৌনতা রিতু
আমি সমুদ্রকন্যা। মানে বঙ্গোপসাগরের কোলঘেসেই আমার বাড়ি। জোয়ারভাটার খেলা দেখেছি প্রতিনিয়ত। সেই সাথে ময়লা যেতে। কি যে ভয়াবহ অবস্থা ভাই কি বলব!
আমার ছেলেদের আমি অভ্যাস করাচ্ছি, যে কোনো কাগজ, পলিথিন বাদামের খোসা নির্দিস্ট যায়গা ফেলো না পারলে পকেটে রাখ তক না হলে মায়ের ব্যাগে রাখ। অভ্যাস হোক। ও অন্তত ওদের বাচ্চাদের শিখাবে।
ইনজা
একটা কথা বলি কানে কানে “আমিও সমুদ্রপুত্র” চট্টগ্রামের কর্ননফুলি দিয়ে কি পরিমানে যে ইন্ডাস্ট্রিয়াল বর্জ পরিবাহীত হয় তা বলেই কাউকে বুঝানো যাবেনা আর এর ক্ষতি ঢাকার বুড়িগঙ্গার উদাহরণ হলেও কম বলা হবে, চাক্তাই খাল তো ভরাটই হয়ে গেল আর চট্টগ্রাম শহর এখন প্রতি বর্ষাষায় তো পানির নিচেই থাকে আর এর জন্য আমরাই দায়ী।
শুভকামনা।
সকাল স্বপ্ন
লেখা– অনেক ভালো —– সচেতনতার অংশ —!
আশা রাখি আমরা সবাই— নিজ নিজ স্থানে সচেতন থেকে আশপাশ এর সবাই কে সচেতন করতে সজাগ হবো—–
অন্য কথা—– লিখাটি আরেক টু বড় আর কিছু পয়েন্টের এর দিক ভাল ভাবে বেশি ব্যাখ্যা করলে হয়তো ভালো হতো—-
ধনবাদ— সচেতনতায়-
ইনজা
ধন্যবাদ আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য আশা করি ভবিষ্যতে আরও ব্যখ্যাবহুল লিখণীতে সমাদৃত লেখা লিখব।