আমাদের দেশে ফুটপাথ থেকে অভিজাত হোটেল রেস্তোরাঁ পর্যন্ত প্রায় সবখানেই পচা বাসী নোংরা এবং ভেজাল খাবার বিক্রি হয়। অবশ্য ব্যতিক্রমও আছে। সব শ্রেণী পেশার মানুষ যেমন খারাপ নন ঠিক তেমনি সব খাদ্য-ব্যবসায়ীদেরকেও এক পাল্লায় ঠেলে দেয়া উচিৎ হবে না। নোংরা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের পাশাপাশি টয়লেট আর রান্নাঘর একসাথে থাকা, পুরানো তেল, মেয়াদ উত্তীর্ণ উপকরণ, টেস্টিং সল্ট, কাপড়ের রং, পোড়া মুবিল ব্যবহার করা। আলাদা এবং যথাযথভাবে মাছ মাংশ মশল্লা এবং অন্যান্য উপকরণ সংরক্ষণ না করা। উন্মুক্ত পরিবেশে বা ব্যস্ত সড়কে অবস্থিত হোটেল রেস্তোরাঁর সামনে উন্মূক্তভাবে দ্রব্য সামগ্রী তৈরি করা সহ নানান ধরণের জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকী সরূপ কাজগুলো প্রকাশ্যে এবং প্রশাসনের নাকের ডগায় ঘটে চলেছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে থাকে। এবং জেল জরিমানাও করে থাকে। কিন্তু দ্বিতীয় বার অভিযান কালে দেখা যায় ঐ সব হোটেল রেস্তোরাঁর অবস্থা তথৈবচ। পূর্বেকার অবস্থার কোন পরিবর্তনই ঘটেনি এবং মন-মানসিকতাও রয়ে গেছে পূর্বের ন্যায়। তাছাড়া পানির বোতলের দামও একেক জায়গায় একেক রকম এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ পানি যে বিক্রি করা হয়না তাও নয়।
মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন ব্যবসাকে হালাল করেছেন এবং সুদকে করেছেন হারাম। পাশাপাশি ওজনে কম না দেয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছেন। কথায় বলে চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী ! মানুষ বাঁচুক বা নাইবা বাঁচুক যেভাবেই হোক কতিপয় অসাধু নৈতিকতা এবং মানবতা বিবর্জিত মানুষের যেভাবে হোক মুনাফা করতেই হবে। পচা বাসী ভেজাল খাবারের কারণে মানুষ নানাবিধ জটিল রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। মানব দেহের কিডনি, হার্ট, ফুসফুস, চোখসহ স্পর্শকাতর বিভিন্ন অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। অনেকে আবার দৃষ্টি শক্তি পর্যন্ত হারিয়ে ফেলছে। পেটের পীড়া, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ-রোগ, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদী রোগে আক্রান্ত হয়ে জীবন মৃত্যুর কঠিন সংগ্রামে লিপ্ত রয়েছে। ভোক্তা-অধিকার আইন আছে কিন্তু তার যথযথ প্রয়োগ নেই। চাইলে ভোক্তা-অধিকার আইন এবং দেশের প্রচলিত আইনে অপরাধী বা দোষী খাদ্য ব্যসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো যৌথভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে জন-স্বাস্থ্যের জন্য বিরাট হুমকী নোংরা পচা বাসী ভেজাল এবং উচ্চমূল্য গ্রহণকারী দোষী খাদ্য ব্যসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ, সুষ্ঠু এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। পাশাপাশি ভ্যাট, টেক্সসহ দেশের রাজস্ব আয় ঠিকভাবে আদায় হচ্ছে কিনা তাও খতিয়ে দেখবেন ।
ছবিঃ সংগৃহীত ।
১৬টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
কঠোর আইন প্রয়োগ একমাত্র সমাধান।
আইনের উপ্রে ঔষধ নেই!!
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
হ্যাঁ ভাইয়া। আইনের ওপরে ঔষধ নেই। ধন্যবাদ ভাইয়া।
উর্বশী
দেশ ডিজিটাল যতই হোক সঠিক আইন কানুন না থাকলে বা সকলে না মেনে চললে এই ধারা অব্যাহত থাকবেই।
সঠিক সমাধান যারা দিবেন তারাই তো মাঝে বেঠিক কাজ করে থাকেন।কঠোরতার কোনো বিকল নেই।এবং হওয়া উচিৎ সমষ্টিগত ভাবে। বাস্তবমুখী সুন্দর লেখা।
আন্তরিক শুভ কামনা রইলো।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
আপা আপনার গুরুত্বপূর্ণ মতামতের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। সুস্থ আর ভালো থাকবেন। শুভ কামনা রইলো।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী তাই যত ই আইন দেখান, কঠোর ব্যবস্থা নিন এরা যদি নিজেদের চরিত্র না বদলায় তাহলে কারো বাপের সাধ্য নেই এসব ঠেকানোর। কত আইন হলো কিন্তু এরা রুপ বদলিয়ে এসব দুই নাম্বারী করে যাচ্ছে। মানুষের জীবন হুমকির মুখে পড়লে তাতে তাদের কি ? নিজের আপন জন গেলে , ক্ষতিগ্রস্ত হলে তখন হয়তো বুঝতো। এসব মনুষ্যত্ব হীনদের কাছে কিছু আশা করা ও ভুল এরা তো সবি জানতেছে, বুঝতেছে তবুও এমন করে যাচ্ছে। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট দেয়ার জন্য
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
দিদি সঠিক বলেছেন — “চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী তাই যত ই আইন দেখান, কঠোর ব্যবস্থা নিন এরা যদি নিজেদের চরিত্র না বদলায় তাহলে কারো বাপের সাধ্য নেই এসব ঠেকানোর”।
সুস্থ আর ভালো থাকবেন। শুভ কামনা রইলো।
আরজু মুক্তা
এজন্য এদের ভুড়ি হাসরের ময়দানে খসে পরবে।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যখন ঘুষ খায়
তখন পাত্তা দেয় কে?
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
আপা আপানার মতামতের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
রোকসানা খন্দকার রুকু
অনেক বড় একটি সমস্যা আমাদের দেশের। যার প্রতিকার করার জন্য অবশ্যই কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে। শুভ কামনা সবসময়।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
আপু আপনার সুন্দর মতামতের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। সুস্থ আর ভালো থাকবেন।
বোরহানুল ইসলাম লিটন
সামগ্রিক সচেতনতাই সমাধানের পথ।
সুন্দর আন্তরিক সৃজন।
আন্তরিক শুভ কামনা রইল সতত।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
জ্বি সামগ্রিক সচেতনতা ছাড়া এ সমস্যা থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়। ধন্যবাদ।
হালিমা আক্তার
ভেজাল খাবার আমাদের দেশের অনেক বড় সমস্যা।দিন দিন এ সমস্যা বেড়েই চলেছে। আইনের কঠোর প্রয়োগ কিছুটা কমাতে পারলেও। আমাদের চরিত্রের পরিবর্তন না হলে সমাধান সম্ভব নয়। শুভ কামনা রইলো।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
আপা আপনার গুরুত্বপূর্ণ মতামতের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। শুভ কামনা রইলো।
সাবিনা ইয়াসমিন
কঠোর আইন এবং এর যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে। এছাড়া বিকল্প পথ নেই। অসাধু ব্যক্তি/ব্যবসায়ীদের কানে নীতিবাক্য প্রবেশ করে না।
শুভ কামনা 🌹🌹
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
আপু আপনার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। সুস্থ আর ভালো থাকবেন।