নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে থাকি
------------------------------------
যখন হাত পেতে রাখি
শূন্য করতলে রেখাচিহ্ন চোখে পড়ে।
যখন মুঠো করি হাত
ভাগ্যরেখা পুরোটাই ঢেকে যায়, এবং
তাদের জন্য করুণার অস্ফুট শব্দ ভাষা পায়।
কে জানে কেন, যতবার যাই, ফিরে আসি যতবার
ওই পুরোনো ধারার কাছে অজস্র কথা রেখে আসি
রেখে আসি দু’ফোঁটা চোখের জল।
হতে পারে সে জল কান্নার
হতে পারে আনন্দের অশ্রু
জানি না, তবুও রেখে আসি।
যতবার রেখে আসি, ততবার বোঝাতে চাই
সিঁড়ি, চৌকাঠ, চৌকাঠ পেরোনো ঘর
ফুলদানিতে শুকনো গোলাপের ঝরে পড়া পাঁপড়ি
এসব একসময় আমার ছিল।
আজও আছে, তবু যেন নেই।
তবু যেন পায়ের নিচের মৃত্তিকা
কোনো চিহ্ন না রেখে কোথাও না কোথাও
দু'টো ভাগ হয়ে গেছে।
দু'ভাগেই আমি দাঁড়াই, দাঁড়িয়েই থাকি, নিঃশব্দে।
২৫টি মন্তব্য
ইঞ্জা
যখন মুঠো করি, তখন হাতের রেখা সব ঢেকে যায়, অপূর্ব লিখেছেন আপু, মন্ত্রমুগ্ধ হলাম।
রেহানা বীথি
ভালো থাকবেন ভাইয়া।
অনেক ধন্যবাদ।
ইঞ্জা
আপনিও ভালো থাকবেন আপু
তৌহিদ
ভাগ্য কখনো কখনো বিড়ম্বিত হলেও বিধির বিধানেই সেই একই ধারার কাছে ফিরতে হয় আমাদের। এটাই নিয়তি। কখনো আসে সুখ কখনো আসে দুঃখ এটাকে মেনে নিয়েই সংসারে বিচরণ আমাদের।
দারুণ লিখলেন আপু। শুভকামনা রইলো।
রেহানা বীথি
অনেক ধন্যবাদ ভাই। শুভকামনা সবসময়।
বন্যা লিপি
ওই ফুলদানির নিচে ঝরে পড়া শুকনো ফুলগুলো আমার।
মুঠোবন্দি হাতের রেখাও আমার।
সবকিছুতেই আমি আছি……..
আমার শুধু আমিই থাকি!
কেবল মাত্র আমিই থাকি……
আমার যা সব শেষাবধি আমারই থাকে
থাকি, আমিও আমার হয়েই আমি।
দারুন লিখেছেন। মন ছুয়েছে।
রেহানা বীথি
ভালোবাসা জানবেন আপু
নিতাই বাবু
আপনার লেখা কবিতাটি পড়ি যতবার। অবাক হয়ে ভাবি ততবার। ভাবনা শুধু নিজেকে নিয়ে।
রেহানা বীথি
দাদা, ভালো থাকবেন।
শুভকামনা সবসময়।
আকবর হোসেন রবিন
“যখন হাত পেতে রাখি
শূন্য করতলে রেখাচিহ্ন চোখে পড়ে।
যখন মুঠো করি হাত
ভাগ্যরেখা পুরোটাই ঢেকে যায়, এবং
তাদের জন্য করুণার অস্ফুট শব্দ ভাষা পায়।”
“তবু যেন পায়ের নিচের মৃত্তিকা
কোনো চিহ্ন না রেখে কোথাও না কোথাও
দু’টো ভাগ হয়ে গেছে।
দু’ভাগেই আমি দাঁড়াই, দাঁড়িয়েই থাকি, নিঃশব্দে।”
কি চমৎকার শুরু, শেষ!
সুস্থ থাকুন। শুভকামনা আপনার জন্য।
রেহানা বীথি
অনেক ভালো থাকবেন। শুভকামনা সবসময়।
ছাইরাছ হেলাল
বাপ্রে, এতো অন্য রকম একটি লেখা পড়লাম।
আপনি সব সময়-ই ভাল লেখেন, তারপর ও বলি।
থাকা আর না থাকার এই টানাপোড়েন আমাদের আজন্ম সঙ্গী।
রেহানা বীথি
ভাইয়া, খুশি হলাম। শুভকামনা সবসময়।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
আশায় মানুষ বাঁচে, আশা বুকে বেঁধে বেঁচে থাকতে হয়।
তবে অমূলক আশাকে এবয়েট করা উচিত।
নিয়তির সিদ্ধান্তকে মেনে নেয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
আপনার মনের অশান্ত ব্যকুলতায় শান্তি ফিরে আসুক।
আপনার জন্য শুভ কামনা।
রেহানা বীথি
না ভাই, আমি আমার মনের ব্যাকুলতাকে তুলে ধরিনি। আর, বুদ্ধিমান মাত্রেরই মাত্রাজ্ঞান থাকে। কখনোই কোনও অলীকত্বে তাদের আকর্ষণ নেই। দুঃখিত, তবুও বলতে বাধ্য হচ্ছি, কবিতার মূলভাবটি অনুভব করতে আপনি ব্যর্থ হয়েছেন। আপনি, আমি সবাই, আমরা সর্বদাই দু’ভাগে বাস করি, করতে হয়। কোনও ভাগকেই আমরা উপেক্ষা করতে পারি না, পারা সম্ভবও নয়।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
লেখক যা লেখে পাঠক অনেক সময় তা বুঝতে না পারলেও নিজের মত করে বুঝে নেয়। আমি তাই করেছি। ইচ্ছে হচ্ছিলো আপনার লেখায় মন্তব্য করি। কয়েকবার পড়েও ফেরত গেছি মন্তব্য না করে। শেষে একরকম করেই ফেললাম, যা করে আল্লাহ!
রেহানা বীথি
ভালো থাকবেন। শুভকামনা সবসময়।
জিসান শা ইকরাম
বিষন্নতায় আচ্ছন্ন একটি কবিতা পড়লাম,
অনেক অনেক ভালো লেগেছে কবিতা আপু।
শুভ কামনা।
রেহানা বীথি
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
আরজু মুক্তা
সময়ের টানফোড়ন। মাটির সরলতাও ভেঙ্গে চৌচির।
অসম্ভব ভালো লেগেছে কবিতাখানি।
রেহানা বীথি
ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগলো ভীষণ
সাখিয়ারা আক্তার তন্নী
যতবার রেখে আসি, ততবার বোঝাতে চাই
সিঁড়ি, চৌকাঠ, চৌকাঠ পেরোনো ঘর
ফুলদানিতে শুকনো গোলাপের ঝরে পড়া পাঁপড়ি
এসব একসময় আমার ছিল।
অধিকার হারিয় ফেলার কষ্ট টা তো ভেতর জ্বালিয়ে /পুড়িয়ে নিজ সত্তা শেষ করে দেয়।
রেহানা বীথি
একদম।
ভালো থাকবেন।
শুভকামনা।
এস.জেড বাবু
দু’ভাগেই আমি দাঁড়াই, দাঁড়িয়েই থাকি, নিঃশব্দে।
চিহ্ন হয়ত থেকেই যায়,
কোথাও না কোথাও স্পষ্ট বা অস্পষ্ট অস্তিত্ব।
নইলে দুরন্ত সাহসীকতায়, দু’ভাগে দাড়ায় কি করে কেউ !!
এ যেন প্রতিটি জীবনের নিরেট বাস্তবতা।
শুভাশীষ রইলো ।
রেহানা বীথি
ভালো থাকবেন। শুভকামনা সবসময়।