কিছু কাল আগেও যারা আল্লাহয় বিশ্বাস করতোনা তাদের নাস্তিক বলা হত।
এখন এই বাংলার জারজ সন্তান জামাত শিবিরের বিরুদ্ধে কিছু বললেই নাস্তিক বলা হয়, কিংবা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাইলে বলা হয় নাস্তিক। বিবর্তনের ফলে আজ নাস্তিকতার সঙ্গা এই। তবে বুদ্ধিবেশ্যা বা যেসব বুদ্ধিজীবি রাতের বেলায় ভাড়ায় কামলা খাটেন তাদের মতে শুধু রাজাকারের বিচার চাইলেই কাউকে পরিপূর্ন নাস্তিক বলা যায়না কাউকে পূর্নাঙ্গ নাস্তিক হতে হলে তার তিনটি গুন থাকতে হবে।
১# যদি সে রাজাকারের বিচার চায়।
২# যদি সে এই বাংলায় জারজদের সংগঠন জামাত শিবিরের বিরুদ্ধে কোন কিছু বলে।
৩# যদি সে ব্লগ লিখে।

প্রথম বা ২য় গুনটির জন্য কাউকে পূর্নাঙ্গ নাস্তিক বলা যায়না যদিনা সে ব্লগ লিখে। মানে প্রথম দুটি গুন যার ভিতরে আছে সে সোলেমানী নাস্তিক আর তিনটি গুন ই যার ভিতর আছে সে আসলী নাস্তিক। কুলাংগার জামাত, জারজ শিবির ও ভাড়ায় চালিত বুদ্ধিজীদ বা বুদ্ধিবেশ্যাদের ভাষায় নাস্তিকতার সঙ্গা “যদি ব্লগে লেখা লেখি কারী কেউ রাজাকারের বিচার চায় ও জামাত শিবিরের বিরুদ্ধে কিছু বলে তবে তাকে নাস্তিক বলে।”

আবার প্রধান বিরোধী দলের ভাষায় আপনি রাজাকারের বিচার চান কি চাননা তা ব্যাপার না, তার জন্য তারা আপনাকে নাস্তিক বলতেও পারে নাও বলতে পারে, অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাদের নাস্তিকতার সঙ্গা পাওয়া গেছে। তাদের মতে নিম্নের চারটি যে কোন একটি বা একাধিক গুনের অধিকারী কে নাস্তিক বলা যায় :
১# যদি কেউ রাজাকারের বিচার চায়।
২# যদি সে এই বাংলায় জারজদের সংগঠন জামাত শিবিরের বিরুদ্ধে কোন কিছু বলে।
৩# যদি সে ব্লগ লিখে।
৪# যদি কেউ সরকার পতন ও তক্তাবধায়ক সরকার পদ্ধতি না চায়।

অর্থাৎ বি এন পির ভাষায় “যদি ব্লগে লেখা লেখি কারী কেউ সরকার পতন ও তক্তাবধায়ক সরকার পদ্ধতি না চেয়ে রাজাকারের বিচার চায় ও জামাত শিবিরের বিরুদ্ধে কিছু বলে তবে তাকে নাস্তিক বলে।”

আর ইসলামি দলগুলার ভাষায় যে সব মুর্তাদ শাহবাগ গেছে বা তাদের সাথে একাত্বতা ঘোষনা করেছে বা তাদের সাথে একই মত পোষন করে তবে তাকেই নাস্তিক বলে।

আর এইসব দেখে স্ব ঘোষিত নাস্তিক আসিফ মহিউদ্দিন সহ বাকি নাস্তিকরাও তাদের ভূল ধরতে পেরেছেন। তাদের মতে সৃষ্টি কর্তায় অবিশ্বাসকারী কে কোনভাবেই নাস্তিকতার কাতারে ফেলা যায়না, এতদিন তারা যা করেছেন তা ভূল করেছেন ভূল বুঝে। তাদের মতে নাস্তিকতা আমাদের যার যার ব্যাক্তিগত অধিকার । এই স্বাধীন গনতান্রিক  দেশে এই অধিকার চর্চা আমরা সকলেই রাখি। কিন্তু শাহবাগীরা আমাদের সে সুযোগ দিচ্ছেনা , তারা আমাদের অধিকার চর্চায় বাধা দিচ্ছে । কোনভাবেই আমাদের শাহবাগের গন জাগরন মঞ্চে উঠতে দিচ্ছেনা । এটা বাক স্বাধীনতার জুলুমকারীদের নিষ্ঠুর নির্যাতন , এই অধিকার চর্চাই যদি আমরা স্বাধীন দেশে না করতে পারি তবে কিসের স্বাধীন আমরা ? স্বাধীনতা কেবল কাগজ কলমেই সীমাবদ্ধ।

আর আমাদের জনতার ভাষায় যে ব্যাক্তি সৃষ্টি কর্তায়ই বিশ্বাস করেনা তাকে নাস্তিক বলা হলেও আমাদের দেশের হুজুরদের ভাষায় আমরা আম জনতা কেন আমরা নিজেরা সৃষ্টি কর্তায় বিশ্বাসী বলে দাবী করি তাই আমরা নাস্তিক। মানে হুজুর যাকে ইচ্ছা তাকে নাস্তিক বলবেন আপনি কে নিজেরে আস্তিক দাবী করার?

এই বিবর্তনের ফলে যদি আগামীকাল জম্মাবে এমন শিশুকেও কেউ নাস্তিক বলে তবে ওই শিশুও নাস্তিক বলে মেনে নিতে হবে।
মোট কথা আপনি সৃষ্টি কর্তায় বিশ্বাসী না তবে আপনি নাস্তিক না , আপনি তখনি নাস্তিক যখন আপনি রাজাকারের বিচার চান, জামাত শিবিরের বিরুদ্ধে কোন কিছু বলেন, ব্লগ লিখেন কিন্তু সরকার পতন ও তক্তাবধায়ক সরকার পদ্ধতি চান না ।
আর ভবিষ্যতে এই সঙ্গা হবে আপনি যে শিশুটি জম্ম দিয়েছেন সেই নাস্তিক। কিন্তু তা হাম্বার দেশ পত্রিকা ও বাঁশের কেল্লা কর্তৃক সার্টিফাইড হতে হবে।

উপরের  সংজ্ঞাগুলোর সাথে মিলে গিয়ে যদি কাকতালীয় ভাবে নাস্তিক বনে যান তবে ধরে নিন আপনি ই সত্যিকারের আস্তিক । বাদবাকী সব আপনাকে বা আপনার পাশের জন কে বিভ্রান্ত করতে দেশ বিরোধীদের একটি যৌথ প্রচেষ্টা। এতে বিভ্রান্ত হয়ে যদি আপনি আস্তিক হয়ে যান তবে এটাই ১০০% সত্যি আপনিই নাস্তিক ও দেশ বিরোধী।

কেউ যদি মনে করেন এটা একপক্ষীয় স্ট্যাটাস বা কেন সরকার কে এতে আনা হয়নি তবে তাদের বলছি নাস্তিকতার বিষয়ে সরকার কিছুই বলেনি তাই তাদের গনায় ই ধরা হয়নি।

0 Shares

৭টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ