আমার জীবনে ১৯৮৫ সালের মে মাসের ১০ তারিখ থেকে ১৯৯৩ সালের জানুয়ারী পর্যন্ত গ্রামের বাড়ীতে মা বাবার সাথে থাকা হয়েছে হ্যা আমি কিন্তু উপরেই জম্ম তারিখ উল্লেখ্য করে দিয়েছি, ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত আগারগাঁও তালতলা স্কুলেই প্রাথমিক, বাসা ছিলো আগারগাঁও পাকা মার্কেট সংলঘ্ন কোয়ার্টারে আমি ছিলাম এইচ টাইপে ১৯৯৩ - ১৯৯৫ পর্যন্ত তারপর চলে যাই শেওড়াপাড়ার শামীম স্মরনীর বন্ধন নীড়ে, সেখানেই ১৯৯৮ পর্যন্ত পার করে দিয়ে চলে আসি ফেনীর গ্রামের বাড়ীতে, ভালোই যাচ্ছিলো দিনকাল একসময় এলো ২০০১ সাল বি এন পু তখন পুরা দস্তুর ক্ষমতায়, আমাদের পরিবার যেনো বি এন পির ক্ষমতায়নের ফলে সাক্ষাত দোজখ দেখে নিলো, এলাকায় থাকার একটা উপায় ছিলো তখন, জামাতের ভাড় প্রাপ্ত আমীর ফেনীর সন্তান মকবুল হোসেনের ভাগীনা গিয়াস উদ্দিন কে মাসিক ২০০০ টাকা করে দিলে এলাকায় থাকা যাবে আর ৫০০০ টাকা করে দিলে গ্রামের বাজারে উঠা যাবে, কিন্তু কোন রাজনৈতিক কর্মকান্ড চালানো যাবেনা, বি দ্রঃ এই আইন শুধু চার দলীয় জোটের লোকজন ছাড়া বাকীদের জন্য প্রযোজ্য, যারা উপরোক্ত চাদা প্রদানে ব্যার্থ হতেন তারা হয়ে যেতেন বিভিন্ন মামলার আসামী, মামলা খুজে না পেয়ে অনেকেই হয়ে যান সৌভাগ্যবান মিষ্টি কুমড়া ও কাঠাল চুরির মামলার আসামী আর গার তেরামি করে যারা এলাকায় থাকতেন তাদের সুযোগে পেলে হাড্ডি মাংশ গুড়া করে পুলিশে (উল্লেখ্য তত্কালীন নির্বাচিত মেম্বার বাহার মিয়াকে জড়ানো হয়েছিলো কাঠাল চুরির মামলায় আর ডাক্তার আলম কে মিষ্ট্য কুমড়া চুরির মামলায়) জড়ানো হত জয়নাল হাজারী গং কর্তৃক জাজড়া করে দেয়া বহুল আলোচিত চন্দ্রপুর হত্যা মামলায়, হ্যা এটি সেই আলোচিত ঘটনা যার খেসারত তত্কালীন আওয়ামিলীগ কে দিতে হয়েছিলো, হাসিনা সরকার সমালোচিত হয় যেই ঘটনায় এটি সেই চন্দ্রপুর ট্র‍্যাজেডি যার দরুন জয়নাল হাজারীও এলাকা ছাড়া হতে বাধ্য হয়েছিলো। আপনি গিয়াস মামাকে চাদা দেননি কিন্তু আপনার সন্তান কে স্কুলে পাঠিয়েছেন তা হবেনা স্কুলেই ডুকেই আপনার সন্তান কে সাইজ করবে মামার দল।এলাকার প্যারা কমান্ডো জসিম ভাইয়ের ছোট ভাই মোস্তাফিজ আর স্কুল শিক্ষক নূর মোহাম্মদের সন্তান ফারুক কে স্কুলে ডুকেই পিটানো দুটি উদাহরন যোগ্য ঘটনা, কারন একটাই মোস্তাফিজের বড় ভাই শামীম আওয়ামিলীগার যেমনটা ফারুকের বাবা যদিও ফারুকের বাবা, কোন এক অজানা কারনে তিনি প্রথমে হুমায়ুন(মরহুম আব্দুল জলিল এম পির ব্যাংক পার্টনার ও বন্ধু) লীগ করলেও এখন কঠোর জামাতি হয়তো নিজের ও সন্তানদের জীবনের মায়ায়, নাহ এভাবে তো আমার দিন যেতে পারেনা, না স্কুল না বাহির পরিবার স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সাথে বোঝা পোড়া করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় আমার স্কুল করা অসম্ভব পড়লাম মহা বিপাকে তখন ক্লাস টেনের ছাত্র সময়কাল ২০০২ অন্য স্কুলে ভর্তি হলে ইয়ার লস প্রধান শিক্ষকের সাথে ফের আলোচনা পরিক্ষা দিতে পারবো তবে ক্লাশ করতে পারবোনা স্যার অনেক ধপা রপা করেন তত্কালীন নেতাদের সাথে, কি আর করা পড়া লেখাতো থামিয়ে রাখা যায়না চলে যেতে হল গ্রাম ছেড়ে ফেনীর মহিপালের বাসায় যেটি বর্তমানে হলিক্রিসেন্ট স্কুলের ফিছনে জয়নাল হাজারীর সাবেক পি এস মামুনুর রশীদ মিলনের বাসার পাসে অবস্থিত, আর এখানে এসেই আমার পরিচয় ঘটে মহামান্য রাসেল ভাইয়ের সাথে, না কোন বিশেষ ঘটনা নিয়ে পরিচয় ঘটেনি, খুব সিম্পল ব্যাপার ভাইয়ের বাপজান আর আমার চাচা ছিলেন মুখ পরিচিত লোক চাচার দোকানে ভাই উনার বাপের সাথে এলেই পরিচয় পর্ব সারা হয়, তারপর পথে ঘাটে সামান্য ভাব বিনিময় ভাই তার মহান অবস্থান তুলে ধরতেন এলাকায় তার অবদান নিয়ে জ্ঞান দিতেন। আর কোব্বাদ চেয়ারম্যানের খালী জমিতে ক্রিকেট খেলতে খেলতে ভাইয়ের খুব কাছের লোক হয়ে যাই সোহাগের দোকানের সামান্য চা বিস্কিট ও কপালে জুটত ভাই আসলেই একজন দিলদরিয়ান ভালো লোক আমাদের খাওয়্তেন এ জন্য নয় আরো অনেক অনেক কারনে ভাই আসলেই একটা জিনিস বনে যান। ভাই ছিলেন আমাদের শ্রদ্ধার পাত্র। বাকি টুকু আগামীকাল।

0 Shares

৪টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ