ধর্ষিত জননী জন্মভুমি

মনির হোসেন মমি ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, মঙ্গলবার, ০৩:৫৪:৫০অপরাহ্ন সমসাময়িক ৩১ মন্তব্য

একটা জনমে একটা মানুষের আর কত টাকা হলে জীবন চলে বলেনতো ? বছরে ১০০কোটির উর্ধেতো নয় ! তাহলে এরা এসব কেন করছে?একশ,হাজার লক্ষ-কোটি টাকার পরও শুধু তাদের টাকা চাই ভাবনাটা মনে থেকেই যাচ্ছে কিন্তু কেন? টাকা আসুক বৈধ কী অবৈধ! সবটুকুই সে হালাল ভাবেন আবার হালাল ভেবেই আমরা মসজিদ মাদ্রাসায় তাদের ডুনেট লই।সমাজ জানে তার এ দানকৃত অর্থ হারাম নাকি হালাল অথচ তার অবৈধ টাকায় গড়া মসজিদ মন্দির গীর্জায়  আমরা স্রস্টার নাম নিয়ে তার অবৈধ টাকা উপার্জনকে আমরাই বৈধতা দেই।লেবাস যাই হোক তা মুখ্য নয়,তার অপরাধটাই মুখ্য।স্বাস্থ মন্ত্রনালয়ের সামান্য একজন ড্রাইভারের যদি কোটি কোটি টাকার সম্পদ থেকে থাকে তাহলে মন্ত্রনালয়ের অন্য সব বড় কর্মকর্তাদের কত শত কোটি টাকার সম্পদ আছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

আজ মরলে দুনিয়ায় কালকেই তুই পর তাহলে এতো অবৈধ সম্পদের পাহাড় করে কার জন্য রেখে যাবি বল?!

মেজর সিনা হত্যা!ওসি প্রদীপের অপরাধী রাজত্য,আমার সিদ্ধিরগঞ্জ নারায়ণগঞ্জের সেভেন মার্ডার এখন স্বরণেও আসেনা।আসামীরা জেলে আছেন রাজার হালে; তাদের আশা একদিন এ শৃখল খুলবে-ভাঙ্গবে তালা-এ আমার স্বদেশের চিরাচরিত যেন নীতিমালা।
তনু হত্যা যার ইতিহাসটাও স্পষ্ট নয় কারন হত্যাটা হয়েছিল দেশের স্বনামধন্য কুমিল্লা সেনানিবাসে,মামলার সঠিক রায় পাওয়াতো দূরের বাক্য শেষ পর্যন্ত মামলা বহাল থাকবে কীনা এটাই সন্দেহ।
ক্যাশিনোর অপরাধীরা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশ পাচার করছে,সমাজকে একটা জুয়ার রাজ্য বানিয়ে দিচ্ছে।সরকার তাদের ধরছেন তাদের নামে মামলা দিচ্ছেন,সম্পদ ক্রোক করছেন-এটা ভাল কথা কিন্তু মামলার রায় এর মেয়াদ যেন শেষ নেই!যেন ছাড় পাবার কোন এক সুখকর সুযোগের অপেক্ষায়।

স্বাস্থখাতে দূর্ণীতি থাকলে দেশের জনগনের মৌলিক অধিকার আর থাকল কই! বিদ্যুত,গ্যাস ফিল্ডে দূর্ণূতি! জনগনের টাকায় খাবেন পড়বেন আবার জনগনকে হুগাও মারবেন-তা কী সয়! কয়দিন আগে নারায়ণগঞ্জ তল্লার মসজিদে গ্যাস পাইপ বিস্ফোরনে ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা।প্রায় ৩৫ জনের মৃত্যু,দুজন আশংখাজনক অবস্থায় বেচে আছে।মসজিদ কমিটি এবং গ্যাসের দূর্ণীতিবাজদের কবলে এতোগুলো মৃত্যুর দায় এবার কে নিবে ? আগুনে পোড়ে যাওয়া দেহের কী যে যন্ত্রণা বা ব্যাথা হয় তা কেবল ভুক্তভোগীরাই অনুভব করতে পারেন।জনগনের চাকর হয়ে জনগনের সাথে টুপাই কামাইয়ে অবৈধ গ্যাস লাইনের ব্যাবসা এখন ওপেন সিক্রেট।গ্যাস,বিদ্যুত,ভুমি অর্থাৎ দেশের প্রায় সব নয় বলা যায় সরকারী সব মন্ত্রনালয়গুলোতে আশপাশে থাকা কুকুরগুলোও কয়েক দিনেই আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে যায়।এটা এদেশের এটকা চিরাচরিত সিষ্টেম।চাকুরীতে সিষ্টেমে নিয়োগ পান তেমনি সিষ্টেমেই নিজের গরীবত্বকে বদলান।

আমার কেবলি মনে হয়- গোড়ায় যদি পচন ধরে সেটা সারাতে অনেকটা বেগ পেতে হয়।আমাদের সমাজে চার পাশে যে সব অন্যায় অত্যাচার হয় বা হচ্ছে তার সবটাই আমরা সবাই জানি।আমাদের চোখের সামনেই হয় এসব ন্যাক্কারজনক ঘটনা তা আমরা প্রতিবাদ করতে পারিনা।সমুহ বিপদ থেকে বেচে থাকার একটা আত্ম কেন্দ্রিক মনোভাবে থাকি।আর এ সুযোগে অপরাধীরা অপরাধ করেই যাচ্ছে।সরকারের পাশাপাশি আমাদেরও সচেতন হতে হবে,প্রতিবাদে পাল্টা আঘাত করতে হবে।

তেমনি সম্প্রতি একটি ঘটনা এখন অনলাইনে ভাইরাল।সিলেটের এমসি কলেজে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীর সম্ভ্রমহানি। এটা চলমান! যেন সিনেমার দৃশ্যের চিত্রায়ন।স্বামীকে কয়েকজনে আটকে রেখে স্ত্রীকে আরো কয়েকজনে তুলে নিয়ে গিয়ে কলেজের ক্ষমতাসীনদের ছাত্রাবাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।এ যেন স্যালুলয়ের ফিতায় এক একটি খন্ড নাটক যা দেখার কিছুক্ষণ পর আর ভাববার সময় থাকে না।এক সময় ভুলে যাই আমরা আরো একটি নতুন দৃশ্য চিত্রায়নের অপেক্ষায়।কিন্তু কেউ ভাবেন না এ রাষ্ট্রটির গোড়াপত্তনের ইতিহাস!কেউ মনে রাখেনা-না আমি,তুমি না রাষ্ট্রের বাঘা বাঘা নেতা নেত্রীরা।ঘটনার অন্তরালে ভুলে যাই সবাই।মাদ্রসার ছাত্রী নূসরাতকে পুড়িয়ের মারার দৃশ্য এখনো আমরা ভুলি নাই,রায় কার্যকরে বাচতে আইনের ফাকফুকরে বের হয়ে যাওয়ার মানষিকতায় এখনো ঝুলন্ত।

এদেশে নারীরা সব সময় সর্বো ক্ষেত্রেই অবহেলিত উপেক্ষিত।সামাজিক ভাবে কিংবা রাষ্ট্রীয় ভাবে নারী হয়ে জন্ম নেয়া যেন আজন্ম পাপ।একটা সংসারে পর পর কয়েকটা কন্যা সন্তান জন্ম নিলে দোষ পড়ে গিয়ে নারীর উপর আবার সংসারে কোন সন্তান না হলেও দোষ পড়ে গিয়ে নারীর কাধেই,ধর্মান্ধ মুসলিম পরিবারে নারীরাই হয় গৃহ বন্দী,কর্মক্ষেত্রে পুরুষরা স্বাভাবিক ভাবে কাজ করতে পারলেও পুরুষের মন মগজে একজন নারী হয় ভোগবিলাসীতার বস্তু কিন্তু কেন?এ দেশের সর্বোত্র পুরুষদের স্বাধীনতা থাকলেও নারীদের কেন নয় ?

অনলাইনে পাওয়া মুক্তিযুদ্ধ এবং বর্তমান স্বাধীন বাংলাদেশ পাওয়া নারীর ভুমিকার কিছু ত্যাগ তিতিক্ষার ইতহাস জানার চেষ্টা করব।

যুদ্ধ চলছিলো পুরো নয় মাস।মাত্র এই নয়টি মাসে একটি দেশ স্বাধীন করে বিশ্ব মানচিত্রে একটি নতুন দেশ স্থান নিবে এটা কিন্তু কম সহজ নয়।বিশ্বে বহু জাতি আছে যারা বছরের পর বছর যুদ্ধ করেও স্বাধীনতার মুখ দেখতে পাচ্ছেনা অথচ আমরা মাত্র নয় মাসেই ম্যাজিকের মতই আমরা যুদ্ধ করে একটি দেশ স্বাধীন করে ফেলেছি।এটা ভাববার বিষয় ! এতোটা সহজে বঙ্গালী জাতির স্বাধীনতার মুখ দেখা আমি পুরো কৃতিত্বের মাঝে ৮০ ভাগ দেব নারীদের আর ২০ ভাব দেব পুরুষদের।এটা কী কইলাম যদি ভাবেন তাহলে পড়ুন আর একটু ভাবুন কথাটার যুক্তিযুদ্ধ কোথায়।

অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন স্যারের লেখা বীরাঙ্গনা ৭১ বইটিতে মুক্তিযুদ্ধে নারী নির্যাতন,নির্মম হত্যা কান্ডের জরিপে কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন।দেশের প্রায় ৪২টি জেলার ৮৫টি থানার পাঠ পর্যায়ে নির্বাচীত ২৬৫ জনের তথ্যের ভিত্তিতে যে তথ্য উঠে এসেছে তা বেশ ভয়ংকর- উৎকণ্ঠার বিষয়।তার জরিপে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতিত নারী সংখ্যা ছিলো ২,০২,৫২৭ জন।নির্যাতীত নারীদের মধ্যে মুসলমান ৫৬.৫০%,হিন্দু ৪১.৪৪%,খ্রিস্টান ও অন্যান্য জাতি ছিলো ২.০৬% এরা সবাই এদেশের সহজ সরল নারী।এদের মধ্যে বিবাহীত নারী ৬৬.৫০% এবং অবিবাহীত ৩৩.৫০% এর মধ্যে ভারতে আশ্রয় নেয়া নির্যাতীত নারীর সংখ্যা ছিলো ৪৪%।স্বামী বা নিকট আত্মীয়দের সামনে নির্যাতীত নারীর সংখ্যা ছিলো ৭০%।স্পট ধর্ষণ বা গণ ধর্ষণ ছিলো ৭০%।কারাগার ও অন্যান্য ক্যাম্পে ছিলো ১৮%।অন্যান্য অবস্থায় নির্যাত ১২%।

নির্যাতন ধর্ষণের পর এ দেশের মা বোনদের শারীরিক সমস্যা অথাৎ শ্বেতস্রাব ৮০%,তলপেট ব্যাথা ৬৬%,রক্তস্রাব ৩৪% এবং মাসিকের সমস্যা ছিলো দীর্ঘকাল।বিষাদগ্রহস্ত ছিলো ৮০%,গ্লানি ও দুঃস্বপ্নতে ভুগেছেন ৯০%,মানষিক রোগী হয়েছিলেন ৮০%।

এবার আসি যুদ্ধ পরবর্তী সামাজিক ভাবে গ্রহন বর্জনের বিষয়ে আরো ভয়ংকর রূপ উঠে আসে যা আমাদের মোটেই কাম্য নয়।অধিকাংশ নির্যাতীত নারীরা সামাজিক ভাবে হেয় অবাঞ্চিত হয়েছেন,হয়েছেন পরিবার স্বামী দ্বারা তিরস্কীত-অনেকে তিরষ্কারের জ্বালা সইতে না পেরে গলায় ফাঁস বা জলে ডুবে নিজের জীবন দিয়েছেন।অনেক নারীকে বিবাহ দিতে পরিবারকে নিতে হয়েছে গোপনীয়তা অথবা নিজ ভিটা ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে অন্যত্র।

এতো গেল যুদ্ধে নির্যাতীত নারীর উপর পাকিদের অমানবিক নির্যাতনের কিঞ্চিৎ তথ্য কিন্তু যে তথ্যের ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বের বড় বড় নেতাদের তরিৎ নজর কাটে তা হল-এ সব নির্যাতীত ধর্ষিত লোমহর্ষকর তথ্যগুলো।যা পূর্ব বংলার অতি সহজ সরল মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধ জয়ের অভাবনীয় সহযোগী হয়।

৴মুক্তিযুদ্ধের সময় বিদেশে পিআর ক্যাম্পেন করার সময় সেসব ধর্ষিত নারীদের ছবি ও নির্যাতনের ভয়ংকর সব ঘটনা বলে প্রকাশ করেন।

৴ আমেরিকার সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডির লেখা একটি আর্টিক্যালে মিসেস কেনেডির রেফারেন্সে জানা যায়-নিজেদের দেশ আমেরিকার পররাষ্ট্রনীতির বিপক্ষে গিয়ে একমাত্র নারীদের নির্যাতন আর অমানবিক গণ ধর্ষণের কারা তারা আমাদের পক্ষ নিয়েছিলেন।

৴বোন রওশনারা পাকিদের ট্যাংকের সামনে বোমা ফাটিয়ে আত্মহুতি দেন জয় বাংলা বলে, এমন কিছু কল্পকাহিনীর ভিত্তিতে কোলকাতায় পিআর ক্যাম্পেনের পর লেখক সূনীল গাংগুলী বলেছিলেন-ঐ ঘটনার পর পুরো কলকাতায় প্রতিবাদের ঝড় উঠে-পাড়ায় মহল্লায় রাজ পথে মিছিল বের হয় যেখানে ছিলো অধিকাংশই ভারতীয় কবি সাহিত্যিক।তারা বিশ্ব নেতাদের মাঝে নারী নির্যাতন ও গণধর্ষণের কথা বলে চিঠি চালাচালি করেন।

৴ দেশের নরীদের নিয়ে যুদ্ধের সময় যে শুধু পিআর ক্যম্পেন হয়েছিলো তা কিন্তু নয়!যুদ্ধের পরেও নির্যাতীত ও ধর্ষিত নারী সংখ্যা নিয়ে মিথ্যাচরের বিরুদ্ধেও এই সব নারীদের নিয়ে পিআর ক্যাম্পেন করতে হয়েছিলো।

৴পাকিদের যুক্তি বা তথ্য ছিলো ৭১ যুদ্ধে নারী নির্যাতন বা ধর্ষণ ১০০ কী ২০০ জনের বেশী নয় আর নিহত বিশ একুশ হাজারের বেশী নয় কিন্তু এই সব মিথ্যে বলে প্রতিবাদ জানান ম্যাসিভ ওয়্যার ক্রাইমস।

৴পাকিদের তথ্যকে মিথ্যে বলে অবহিত করা বা খন্ডানো আমাদের পক্ষে সম্ভব ছিলো না কারন আমাদের সে সময় তথ্য সংরক্ষনের তেমন কোন ব্যাবস্থাই ছিলোনা-যুদ্ধের সময় অসংখ্য বিদেশী স্বদেশী সাংবাদিক বুদ্ধিজীবিদের দেয়া পাকিদের নারী নির্যাতন ও গণধর্ষণের ভয়ংকর পুরো তথ্য বিশ্ব জেনে গিয়েছিলো আগবাগে তাইতো প্রতিবাদ করেছিলো WHO,IPP সহ বিশ্বের বিভিন্ন আন্তজার্তিক সংস্থগুলো।তারা বলেন পাকিদের দেয়া নারী ধর্ষণ ১০০ কিংবা ২০০ জন নয় যুদ্ধের সময় ও যুদ্ধের পর লক্ষ লক্ষ নারীর গর্ভপাত হয়।৩ মাসেই কেবল ৩০ হাজার যুদ্ধশিশু জন্ম নেয় বলে স্বীকার করে জাতিসংঘের নির্মিত রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার।

৴অষ্ট্রেলিয়ান ডাক্তার জিওফ্রে ডেভিস জানান তার চেম্বারেই কেবল ধর্ষিতা নারীর প্রায় ৫০০০জনকে এবরোসন করা হয়েছে।তার সহকর্মীদের রিসার্চে বিশ্বকে এটাও জানান যে ৭১ যুদ্ধে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ পাকিদের তথ্য ১০০/২০০ জন কিংবা বাংলাদেশের তথ্য মতে ২ লক্ষও নয় ধর্ষিতা হয়েছেন লক্ষ লক্ষ তিন লক্ষেরও বেশী।লোক লজ্জা আর সামাজিকতার বাধ্যবাধকতায় অনেক ধর্ষিত নারী প্রকাশ্যে আসেননি।

এভাবেই নারী নির্যাতন ও ধর্ষিতা নারীদের সাইনবোর্ড বানিয়ে যুদ্ধকালীন পাকিদের তোপের মুখে ফেলতে বিশ্ব মোড়লদের নজর কাটেন পূর্ব বাংলা এবং যুদ্ধাস্ত বাংলাদেশের স্বীকৃতি লাভে সব চেয়ে বেশী সহায়ক হয়।

এরপর বর্তমানে এ দেশের সব চেয়ে বড় অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখছেন দেশের নারীরা। গার্মেন্টসে হাজারো লক্ষ নরীদের কর্ম সংসারে আর্থীক ভাবে পুরুষের অনেকটা সহায়ক।দেশে ও আন্তজার্তিক ভাবে বিভিন্ন মেধাবী অঙ্গণে গৌরবের স্বাক্ষর রাখছেন এ দেশের নারী সমাজ।এরপরও এদেশের নারীদের চলার পথে এতো বাধা কেন?কেন তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে?
ভাবতেও অবাক লাগে ধর্ষণ-নির্যাতনের সেই একই ঘটনার পূণরাবৃত্তি যেন এখনো হচ্ছে।এখনো আমি আমার মেয়ের নিরাপত্তার বিষয়ে বড় উৎকন্ঠার মধ্যে আছি।যে ভাবে,যে হারে লোক চক্ষুর আড়ালে ধর্ষণের মহড়া হচ্ছে তাতে জগৎ শ্রেষ্ট মা জাতি বিষয়ে নতুন করে ভাববার সময় এসেছে।যে দেশটার খুটি দাড়িয়েছিলো নারীদের ইজ্জতের বিনিময়ে সে দেশে নারীরাই আজও অবহেলিত,উপক্ষেতিত,ধর্ষিত-এটা ভাবতেই অবাক লাগে।

এই টুকুতো আশা করতে পারি যেখানে দেশের জন্মদাতা বঙ্গবন্ধু কন্যা এবং বাংলার মেহনতি মানুষের,আমজনতার ভরসার একমাত্র প্রিয় মুখ বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায়ণে- এর শেষ কোথায় তা দেখে যেতে।অন্ততঃ দেশের ভেতরে বাহিরে যেন আর কোন ধর্ষক -তা হউক নারী নিরাপত্তায় এবং  আড়াঁলে সরকারী মন্ত্রনালয় কিংবা কিংবা ব্যাক্তি বিশেষ দেশ ও জনগনের ক্ষতি সাধনে লিপ্তরা যেন ফের জননী জন্মভুমিকে ধর্ষণে সাহস না পায়-এমন একটি কঠিন এবং দ্রুত দৃষ্টান্তমুলক বিচার দেখার আমরা অপেক্ষায়।

তথ্যসুত্রঃ
বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা,ওয়েভ সাইট।
বিশেষ কৃতজ্ঞতায়ঃ হাসনাত
ছবিঃঅনলাইন সংগৃহীত

0 Shares

৩১টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ