গার্মেন্স শ্রমিক........!!!

ভোরের কাক ডাকা এবং মসজিদের মুয়াজ্জিমের আগেই বিছানা ছাড়তে হয় ওদের।

লক্ষ একটাই সারাদিন থাকতে হবে গার্মেন্স সেক্টর-এর ভিতরে,তাই ভোরে ঘুম থেকে উঠেই সকলের খাবার দুপুরের খাবার তৈরীতে ব্যাস্ত হয়ে যায় ঐ মানুষগুলি।

এদিকে হাতের কাজ শেষ হতে হতে ঠিক সকল ৮ টার আগেই তার কর্মস্হলে যেতে হবে কারণ লেট হলে সমস্যা হতে পারে।

তখন শিল্প এলাকার রাস্তার মাঝে দেখা যায় শুধু লোকে লোকারণ্য এবং সবাই ছুটছে আর ছুটছে..পিছনে ফিরে তাকানোর সময় নেই তাদের।

তখনেই বুঝে নিতে হবে এরা গার্মেন্স শ্রমিক।

...৮ টার ঠিক পর পরেই শুরু হয় তাদের কাজের গতিবিধি,মনোযোগ সহকারে করতে থাকে কাজ আর কাজ,মাথা তুলে দেখার সময় এবং সুযোগ দুটোই এখন তাদের মাঝে নেই।

কথা নেই বার্তা নেই কাজ আর কাজ।ঠিক যেন স্পিনিং এর Ring মেশিন DK28 মত।চলছে তো চলছেই।

স্বাভাবিক ভাবে কাজ করতে গেলে মানুষের ভূল হতেই পারে।তাই এদের ভূল ও মানুষের ভূল অনেক পার্থক্য।

এদের ভূল হলেই হলো একবার, যে ভূলটা করেছে শুধু সে না__তার বামা-মা থেকে শুরু করে চৌদ্দগুষ্টি সহ শুনতে হয় গালি/বকা।আবার গুনতে হয় তাদের ঐ দিনের মুল্যবান হাজিরাটুকু।

তাদের দিকে তখন সেই সময়ে যদি দুই চক্ষু অন্তর দিয়ে আপনি দেখেন তাহলে আইয়্যামে জাহেলিয়াতের ইতিহাস টুকুর কথা মনে আসবেই।

তখন তাদের দু-চোঁখ দিয়ে শুধু পানি ঝরানো ছাড়া আর কিছুই থাকে না।

আর আনি যদি এদেরকে একটু সহানুভূতি ও আদরের সহিত একটু দেখার চেষ্টা করেন তাহলে নির্ঘাত উচ্চপর্যায়ের লোকেদের কাছ থেকে আপনি পাঁগল বলেই ধাবিতব হবেন।

শুধু তারা তার পরেও বানিয়ে যাচ্চে তাদের অপরুপ মেধা-শ্রম দিয়ে হাজার হাজার পোষাক।

তাদের বানানো শেষ হলে ঐ পোশাকটির মুল্য কত এবং কি হিসেবে বাহিরের বাজারে বিক্রি হবে তাহা তারা মোটেও উপলব্ধি করতে পারেই না ।

আমার মতে একজন শ্রমিকের ৩ দিনের কাজের পোষাক দিয়ে তার পুরো মাসের বেতন পেয়ে থাকে। আর বাকি ২২ দিনের টাকা সরকার মালিক ওয়ারহাউজ/বাইং হাউজ এর কাছে চলে যায়।

এতে দেখা যায় কি হয় এদের এত কষ্ট করে? যদি তার শ্রমের মজুরী টুকুর জন্য রাস্তায় আন্দলন করতে হয়।

বাহ কি অপরুপ নাটক এই গার্মেন্স খাতে...কেউ এসি গাড়ি বাড়ি তে ঘুরে ঘুরে টাকা কামিয়ে বেড়ায় আবার কেইবা সারাদিনরাত পরিশ্রম করে তাদের পাওনা টাকার জন্য রাস্তায় আন্দলন ও অনশনে নামতে নামাতে বাধ্য করা হয়।

যাদের কারনে তাদের এতকিছু তারা হয়ে যায় শুধু Broken Hidden....

একজন গার্মেন্স মালিক জিএম ওয়ারহাউজেরা পেয়ে যায় মহুর্তের কাছেই সব কিছু,আর গার্মেন্স শ্রমিকরা পাওয়ার কল্পনাটাও স্বপ্নেও পেয়ে যায় না।

-এই মহুর্তে আমি মনে করি শ্রমিকদেয় ন্যায্য পাওনা শুধু তাদের আগে পাওয়াই উচিত্‍ কারণ এই শ্রমিকরাই আছে বলে একটু হলেই চলছে দেশের রপ্তানী....তাদের কারণেই আজ অর্জন করতে পারতেছি আমার বৈদিশী মুদ্রা, তাই আগেই তাদের পাওনা পরিশোধ করা উচিত্‍।

...একটা কথা সব সময়েই মনে রাখতে হবে সকল মালিকদের কে---একজন মালিক ও উচ্চ পর্যায়ের লোক কোম্পানিতে উপস্হিত না থাকিলে কোম্পানির যতটা ক্ষতি না হবে তরা চেয়ে ১০ হাজার শ্রমিকের মাঝে ২০ জন শ্রমিক অন-উপস্হিত থাকলে কোম্পানি এক দম অচল।

-তাই সবার আগে শ্রমিক

0 Shares

১০টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ