জাতীয় পাখি দোয়েল কি বিলুপ্তির পথে?

জি.মাওলা ২১ নভেম্বর ২০১৩, বৃহস্পতিবার, ০৩:২৫:০৯অপরাহ্ন এদেশ ৯ মন্তব্য

জাতীয় পাখি দোয়েল কি বিলুপ্তির পথে?
═══ஜ۩۞۩ஜ═════ஜ۩۞۩ஜ═════ஜ۩۞۩ஜ═══

ஜ۩ প্রশ্নঃ আমাদের জাতীয় পাখির নাম কি?
► উত্তরঃ দোয়েল।
দোয়েল পাখি চেনেন না এমন কেউ বাংলাদেশে নেই। অথচ সুন্দর এই পাখিটি দিন দিন বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ছে। নানা কারণে প্রকৃতি থেকে আশঙ্কাজনকহারে কমে যাচ্ছে এই পাখি। নানা রকম সুরে ডাকাডাকির জন্য দোয়েল সুপরিচিত। অস্থির এই পাখীরা সর্বদা গাছের ডালে বা মাটিতে লাফিয়ে বেড়ায় খাবারের খোঁজে।মিষ্টি সুরের গানের পাখি হিসেবে দোয়েলের রয়েছে ব্যাপক পরিচিত। সাদা ও কালোর সংমিশ্রণে গায়ের রং। গ্রামগঞ্জের সর্বত্রই এক সময় দোয়েল দেখা যেত। তবে এখনও কমবেশি চোখে পড়ে দোয়েল। সাধারণত বন, চাষাবাদকৃত জমির আশেপাশে ও জনবসতিতে মানুষের কাছাকাছি এদের দেখতে পাওয়া যায়।
ஜ۩۞۩বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাসঃ
জগৎ/রাজ্য: Animalia
পর্ব: Chordata
শ্রেণী: Aves
বর্গ: Passeriformes
পরিবার: Muscicapidae
গণ: Copsychus
প্রজাতি: C. saularis
দ্বিপদী নামঃ Copsychus saularis
ஜ۩۞۩ বাসস্থান: সাধারণত কাঠসমৃদ্ধ বন, চাষাবাদকৃত জমির আশেপাশে ও জনবসতিতে মানুষের কাছাকাছি এদের দেখতে পাওয়া যায়। এরা গাছের কোটরে বা ছাদের কার্ণিশে মানুষের বসত বাড়ির আশে পাশে বাসা বানিয়ে বসবাস করে।

ஜ۩۞۩ প্রাপ্তিস্থানঃ নাতিশীতোষ্ণ দক্ষিণ এশিয়ায় মূলত: বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, চীনের দক্ষিণাঞ্চল ও ফিলিপাইনে এদের পাওয়া যায়। সাধারণত কাঠসমৃদ্ধ বন, চাষাবাদকৃত জমির আশেপাশে ও জনবসতিতে মানুষের কাছাকাছি এদের দেখতে পাওয়া যায়।
ஜ۩۞۩সনাক্তকরণঃ দোয়েল আকারে ১৫-২০ সেন্টিমিটার বা ৭ - ৮ ইঞ্চি লম্বা। এর লম্বা লেজ আছে যা অধিকাংশ সময় খাড়া করে রাখে। পুরুষ দোয়েলের শরীরের উপরিভাগ ও গলার নিচে কালো রঙের, পেট সাদা। ডানার দুই পাশে সাদা রঙের প্যাচ আছে। স্ত্রী দোয়েলের উপরিভাগ ও গলার নিচে ছাই-রঙা হয়। পেটের অংশ পুরুষ দোয়েলের মত উজ্জ্বল নয়, বরং কিছুটা ফিকে সাদা। দক্ষিণ এশিয়ায় দোয়েলের প্রজননকাল মার্চ থেকে জুলাই; আর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় জানুয়ারি থেকে জুলাই। প্রজনন সময় পুরুষ দোয়েলের শরীরের রঙ উজ্জ্বলতর হয়। গাছের ডালে বসে স্ত্রী দোয়েলকে আকৃষ্ট করার জন্য হরেকরকম সুরে ডাকাডাকি করে। ডিম দেয়ার এক সপ্তাহ আগে এরা গাছের কোটরে বা ছাদের কার্ণিশে বাসা বানায়। সাধারণত ৪/৫টি ডিম দেয়। ডিমের রং ফিকে নীলচে-সবুজ, তার উপর বাদামী ছোপ থাকে। স্ত্রী দোয়েল ডিমে তা দেয়; ৮ থেকে ১৪ দিন পরে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। প্রজননকালে পুরুষ দোয়েল আগ্রাসী হয়ে ওঠে। তখন বাসার আশেপাশে অন্য পাখিদের আসতে দেয়না।
ஜ۩۞۩খাদ্যঃ কীটপতঙ্গ, ছোট ছোট শুঁও পোকা, শস্যদানা এদের প্রধান খাদ্য।

ஜ۩۞۩ হারাতে বসেছি দোয়েলঃ গ্রামে সকালে যে পাখির একটানা সুরে ঘুম ভাঙ্গে পাখিটি হচ্ছে দোয়েল। যে পাখির সাথে আমাদের দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য স্মৃতি জড়িত রয়েছে।কিন্তু, দুর্ভাগ্যের বিষয এই হাজার বছরের পরিচিত পাখি দোয়েল আজ বিলুপ্তির পথে। ইকোসিষ্টেমের পরিবর্তন, ক্রমান্নয়ে মানুষের আবাসস্থল সৃষ্টি, চোরাচালান অবৈধ শিকার, কীটনাশক ঔষধ প্রয়োগ, ফলসে অতিরিক্ত কীটনাশক প্রয়োগের ফলে মৃত কীটপতঙ্গ খেয়ে মারা যায় অসংখ্য পাখি র মত দোয়েলও এবং প্রজনন ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলছে দিন দিন। ফলে দ্রুত এদের সংখ্যা কমছে। সরকারি-বেসরকারিভাবে সংরক্ষণের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ না করা হলে এক সময় ধ্বংস হয়ে যাবে দোয়েল পাখি।

✔ ✔ মন্তব্য: আমদের কি এগিয়ে আসা উচিত নয় এই বিপন্ন পাখিটির যত্নে।
✔ ✔ তথ্য সুত্রঃ বাংলাদেশের পাখি, ব্লগ, ফেসবুক, পত্রিকা ও বিভিন্ন সাইট।

0 Shares

৯টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ