চিয়ার্স , ইঞ্জয় ইয়োরসেলফ....
যাপিত জীবন....

(একান্ত ব্যক্তিগত কিছু অনুভূতি,লেখাটি একটু লম্বা কিন্তু যারা সারা লিখা পড়বেন, কিছুটা হলেও নানাবিদ বিষয়ে-জানতে পারবেন )
আজ সারা দিন অখণ্ড অবসরে কাটাব |আজ সকাল থেকে প্রিয় শহর ম্যানচেস্টার আকাশ জুড়ে মন খারাপ করা কালো কালো মেঘ ভাসছে। দল বেধে মেঘরা উড়ছে।

শুভ্র ভোরের মিষ্টি আবেশ গায়ে মেখে খোলা বারান্দায় বসেছি | সকালের চা হাতে নিয়ে বেশ কয়েটা পত্রিকার শিরোনামগুলো পড়ি।

আমাদের দেশে যেমন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ও বিপক্ষের পত্রিকা আছে ; বিলেতেও লেবার ও রক্ষনশীলদের পক্ষের বিপক্ষের পত্রিকা আছে |
রক্ষণ শীলদের দুটি পত্রিকা আমার খুব পছন্দেই ইন্ডিপেডেন্ট আর গার্ডিয়ান | প্রায় প্রতিদিনই আমি তাদের নিউজ গুলো -বিশেষ করে ভিতরের আর্টিক্যাল গুলো মনোযোগ দিয়ে পড়াটা অভ্যাস হয়ে গেছে | লেবারের মিরর ভাল লেখে কিন্তু আর্টিক্যালের মান আমার তেমন ভাল লাগে না |বলে রাখা ভাল,
আমার অনলাইনের সব পত্রিকা পড়া -লেখা লেখি -ভিডিও ডাউন-লোড -এডিটিং সব কিছু মুঠো ফোন আইফোন থেকে |নিতান্তই ভালবাসার সঙ্গী এটি |
আজ দেশে ঈদ,গত কাল ছিল আমাদের এখানে (লন্ডনে )|ঈদের দিনের সারাটা বিকাল একান্ত নিজেস্ব পেশাগত কাজে খুব ব্যস্ত ছিলাম |কিন্তু ব্যবসা -পাতি বিষয়ে বিরাট অভিজ্ঞতা হয়েছে গত কালকের মিটিংএ | গত কালকের ব্যবসায়িক এই ছোট খাট মিটিংএ আমি ছিলাম সব চেয়ে ইয়াং- এশিয়ান ব্যবসায়ী |

এখানে স্থানীয় কাউন্সিলের কিছু লোক ছিল | ইউরোপ থেকে বের হয়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের সাপোর্ট দেওয়ার জন্য স্থানীয় কান্সিলের অধীনে ব্যবসা -বাণিজ্য কে অনলাইনে প্রসার করার জন্য ফ্রী ট্রেনিং এর এক দিনের একটা প্রোগ্রাম করার সিদ্ধান্ত হয় |

আমার মূলত এটিতে বেশ অগ্রহ ছিল | দেখা যাক কি শিখি তাদের কাছ থেকে ; কেন জানি মনে হয়; ওরা যা যা শিখাবে তা মনে হয় আমি জানি | আমি ব্যক্তি গত ভাবে বিশ্বাস করি জ্ঞানের বিশাল ভান্ডার ইন্টারনেট |

ইন্টারনেট এখন কেবল যোগাযোগেরই মাধ্যম নয়। এর সঙ্গে সংযুক্ত থাকা মানে পৃথিবীর সব সার্ভারের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত রাখা। বিশাল এক ভার্চুয়াল জগতে ঘুরে বেড়ানো |জগতকে নিজের মুঠোয় নিয়ে আসার এক মহাদিগন্ত।

তার পরেও কোর্স টা করব | সম্ভত অক্টবর / নভেম্বরের দিকে হবে | অবশ্যই যাপিত জীবনে আপডেট দেব | যারা আগ্রহী জানতে পারবেন |

ব্যবসা বাণিজ্য যারা আছেন -বা করবেন তাদের জন্য আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে কিছু টিপস -

এর আগে প্রিয় হুমায়ুন আহমেদের একটা প্রিয় উক্তি বলে রাখতে চাই ;"যা করতে তোমার ভাল লাগে তা অবশ্যই করবে। কে কি বলছে বা বলছে না তা নিয়ে মাথা ঘামাবে না। কারণ একটা জিনিস মনে রাখবে- তুমি আছ বলেই পৃথিবী টিকে আছে। তুমি নেই পৃথিবীও নেই।"

সময়ের সাথে নিজের কত পরিবর্তন,মাঝে মাঝে ভাবিয়ে তোলে |

এখন ব্যবসায় আসছি --
ব্যবসায় অন্যতম একটা শর্তই বলা যায় ব্যাকআপের জন্য সঞ্চয় | নিজের খুব বিপদের দিনে এগুলো খুবই কাজে লাগে | সঞ্চয় কিভাবে করা যায় এবিষয়ে পরে আসছি |

বিশেষ করে বিলেতে কিংবা উন্নত রাষ্টে ব্যবসা করতে হলে তিনটা ভাল বন্ধুর দরকার | যারা
আপনার মহা বিপদের দিনে ভ্যানগার্ড হিসাবে পাশে থাকবে |

সেই তিনটা হল,
১.আপনার ব্যাংক ম্যানেজার আপনার ভাল
বন্ধু হতেই হবে |

২. ভাল একজন একাউটেন্স আপনার ভাল
বন্ধু হতে হবে |

৩.ভাল একজন সলিসিটর/আইনজীবী আপনার ভাল বন্ধু হতে হবে |
#এই তিনটা মানুষ
বিগ বিজনেসের জন্য খুবই,খুবই জরুরি ;বিগ বিজনেসে নানা বিদ সমস্যা থাকে, ওরা তখন ভ্যানগার্ড হিসাবে কাজ করে |
আবার আসছি সঞ্চয়ে ---

আমাদের সবাই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বাঁচার পথ তৈরি করা উচিত। হোক ব্যবসায়ী কিংবা যে কোন পেশার লোক |

এ জন্য প্রতিমাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা সঞ্চয়ে রাখা যেতে পারে। আর এটা করা গেলে আর্থিকভাবে দিনকে দিন সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাওয়া সহজ হবে।

সঞ্চয় মানুষের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সবারই সঞ্চয় করা উচিত। নিজের ও পরিবারের জন্য সঞ্চয়ের মানসিকতা থাকলে ভবিষ্যত আনন্দদায়ক হয়ে উঠতে পারে। কারও কারও মতে, সঞ্চয় ছাড়া চলা হালবিহীন নৌকায় ওঠার মতো।
ব্যবসায় সঞ্চয়ের অন্যতম শর্ত হচ্ছে বাজেট করে চলা। বাজেট নিজের ও পরিবারের সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তোলার অন্যতম উপায়। সেক্ষেত্রে মাসের শুরুতেই বাজেট তৈরি করে নিতে হয়।

ব্যবসায় বাজেটের পাশাপাশি ব্যক্তিগত খরচের একটা বাজেট থাকা জরুরী। বাজেট করার আগে আয়ের উৎস ও ব্যয়ের তালিকায় চোখ বুলিয়ে নিতে হয়। কারণ আয় ও ব্যয়ের পরিমাণ না জানলে সঞ্চয় করা সম্ভব হয় না।

বাজেট থাকলে কোন্ খাত থেকে কত সঞ্চয় করা যাবে সেটা পরিষ্কার হয়ে ওঠে।

অনেকে বলে থাকেন যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরোয় তাদের আবার সঞ্চয়! কিন্তু তা সত্ত্বেও ভবিষ্যতের কথা ভেবে নিরাপদ জীবনযাপনের জন্য সামান্য হলেও সঞ্চয় করা বুদ্ধিমানের কাজ।
যাই হোক,
আজ দেশে ঈদ !প্রিয় দেশ তোমাকে খুব মিস করব |কি যে মজাহত ঈদের আগের রাতে ;বন্ধু কী খবর বলো, দেখা হয়নি কত দিন!’

কোলাকুলি-আড্ডায় গভীর হয় রাতের মিলনমেলা। সন্ধ্যার পর থেকে ভিড় বাড়তে থাকে সেলুনগুলোতে। এক মাসের খোঁচা খোঁচা দাড়ি বিসর্জন দেওয়ার পালা হত মিদুলের দোকানে | মিদুরা এখন কি করে মাঝে জানতে
ইচ্ছা করে |

আর দেশের ঈদের বিকাল তো ছিল অন্যরকম |দেশের সব বন্ধুদের পবিত্ৰ ঈদের আন্তরিক শুভেচ্ছা |
খরস্রোতা নদীর মতো বহমান জীবনের বাঁক পরিবর্তন হয় বারবার। মানুষের জীবনে নানা ঘটনা থাকে। অঘটনও থাকে। যেমনই হোক জীবন কেটে যায় আসলে জীবনেরই নিয়মে।

লক্ষ্য আর চেততার জায়গায় সেই প্রথম দিনের মত স্থির | পেশা গত জীবনে আমি একজন ফুলটাইম ব্যসায়ী |কাজেই আমি আমার পেশাকে খুবই গুরুত্ব সহ করে দেখি |ঘুম থেকে উঠেই মাথার মধ্য ব্যবসা খেলা করে |

একসময় সক্রিয় ছাত্র রাজনীতি করলেও বর্তমানে রাজনীতি করার আপাদত কোন ইচ্ছা নেই |মনে প্রাণে চাই রাজাকার মুক্ত আধুনিক বাংলাদেশ |রাজাকার ইসুত্যে সব সময় জিরো টলারেন্স !রাজাকার কিংবা তার পক্ষের লোক গুলো আমার কাছে দানবের মত |

তাই সব ব্যস্ততাকে ফাকি দিয়ে দেশের জন্য ২ /৪ লাইন মাঝে মাঝে লেখি |এর চেয়ে বেশি কিছু না | যত দিন আল্লাহ পাক হায়াত দেন ইনশা আল্লাহ এই চেতনা অব্যাহত থাকবে |
আবার নিজের একান্ত গল্পে আসি ;
আজ সারাদিন বাসায় থাকব | একটা লম্বা ঘুম দিয়ে ; গান শুনব !! গান-কবিতা -বই-পত্ৰই আমাকে বেশি আনন্দ দেয় |গান এমন একটা জিনিস ; যা মানুষকে সব সময় ভাল রাখে |

এত কথা আছে, এত গান আছে, এত প্রাণ আছে মোর, এত সুখ আছে, এত সাধ আছে - প্রাণ হয়ে আছে ভোর।। কী জানি কী হল আজি, জাগিয়া উঠিল প্রাণ - দূর হতে শুনি যেন মহাসাগরের গান। ওরে, চারি দিকে মোর এ কী কারাগার ঘোর - ভাঙ্ ভাঙ্ ভাঙ্ কারা, আঘাতে আঘাত কর্। ওরে আজ কী গান গেয়েছে পাখি, এসেছে রবির কর।।

আজ সন্ধ্যার দিকে জিমে যাব |আমি মনে করি,জীবনযাপনে শৃঙ্খলাবোধের জন্য সবাইকে নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত |পুরো রমজান মাসে মাত্ৰ দুই দিন রাতে জিমে গিয়েছিলাম ; অনেক মোটা হয়ে যাচ্ছি ; এতে কোন সন্দেহ নাই | কাজেই যত ব্যস্তই থাকি এখন থেকে নিয়মিত জিমে যাব ইনশা আল্লাহ |

আমরা সুন্দর আগামীর স্বপ্ন দেখি !অনেক সময় সময়ের নিষ্ঠুর আঘাতে আমাদের অনেকেই পরাজয় মেনে নিতে হয় ,তারপরেও আমি মনে করি যারা লেগে থাকেন -- তাদের জীবনের লাইফ স্টাইল তাদের পক্ষে আসবে |

বিষয়টা একারণেই বলাম ,একা, একা যে কোনও জিনিস করাই খুব বোরিং। ভীষণ মনের জোর দরকার। দেশের বাহিরে অনেক জিম গুলো ২৪ ঘন্টা ওপেন থাকে ; সময় করে একাই যেতে হয় | সব সময় সঙ্গী মিলেনা |
আমাদের সমাজে একটু বয়েস হলেই অনেকের ব্লাড সুগার, ওজন কমানো ,রক্তচাপ নানাবিদও সমস্যায় তড়িঘড়ি জিম জয়েন করেন |

অনেকে মধ্যে দেখেছি সুন্দর পরিবর্তন প্রথম দিন জিম করে, দ্বিতীয় দিনই ও মুখো না হওয়ার ইচ্ছের বিরুদ্ধে সাংঘাতিক লড়াইটাই সব থেকে বড় লড়াই করে টিকে গেছেন |আর, এক বার যদি রোজ দাঁত মাজার মতো অভ্যেস করে ফেলতে পারেন তাহলে তো কথাই নেই! জীবাণুও মরবে, উপরি পাওনা একটা ঝকঝকে, কনফিডেন্ট মন আর শরীর |

আমার মনে হয়,দিনের রুটিন অনুযায়ী জিমের রুটিন তৈরি করা ভাল | না হলেই দেখবেন সংসারের কাজ বাকি পড়ে থাকছে, অফিসের কাজে ব্যাঘাত ঘটছে।

প্রিয় বন্ধুরা লেখাটি বেশ লম্বা হয়ে যাচ্ছে -
এক লাইনে এখন শেষ করব... আমি বিশ্বাস করি--

#ভাল থাকার পাসওয়ার্ড হল নিয়মানুবর্তিতা |

চিয়ার্স , ইঞ্জয় ইয়োরসেলফ....

0 Shares

৫টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ