প্রতিদিন কতো লক্ষ লক্ষ গাছ কেটে সাফ করে ফেলা হচ্ছে, মালয়েশিয়াতে পাম তেলের ব্যবসার জন্য হাজার হাজার গাছ কেটে সাফ, পৃথিবীর ফুসফুস আমাজন বন কেটে সাফ করা হচ্ছে কাঠ ব্যবসার জন্য, বিভিন্ন দেশে ইন্ডাস্ট্রিলাইজেশনের নামে, নগরায়নের নামে গাছ, বাঁশ, বন কেটে সাফ করা হচ্ছে, বেশি দূরে নয় আমাদের দেশে রাস্তা বানানো, প্রশস্ত করণ, কাঠ ব্যবসা, মেট্রো রেল সহ বিভিন্ন কারণে গাছ কাটা হচ্ছে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়ার জন্য গাছ কাটা হচ্ছে, উপরন্তু রামপাল বিদ্যুতের নামে বিশ্ব সংস্থারর নিষেধ অমান্য করে সুন্দরবনকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে কিন্তু এমন একদিন আসবে যেদিন আর কোন গাছ নামক কিছু ছিলো তাও কেউ মনে রাখবেনা, জলবায়ু বিপদসংকুল হয়ে উঠবে, জীব জন্তু থেকে শুরু করে মানুষ সহ সব ধবংস হয়ে যাবে, আমরা না দেখলেও হয়ত আমাদের সন্তানরা দেখবে কিন্তু আমরা কালকের কথা চিন্তা করবো কেন, আমাদের সন্তান, ভবিষ্যত বংশধর বাঁচুক না বাঁচুক কিন্তু আমাদের ইচ্ছা মতো আমরা গাছ কেটে সব সাফ করে পকেট ভরবো আর ওরা যাক জাহান্নামে এই হলো আমাদের চিন্তা।
কিন্তু হে মানুষ, চিন্তা করা কি আমাদের উচিত না?
২২টি মন্তব্য
নীলাঞ্জনা নীলা
হ্যান্ডপাম্প ভাই আমি কয়েকটি লাইন লিখেছিলাম সেই ২০১১ সালে।
কবর হয়ে গেছে অরণ্য আমার কংক্রিটের বিলাসিতায়
প্রকৃ্তি ধর্ষিত হয়েছে বহুবার
ভয়ে কুঁকড়ে থাকি
যদি বিলুপ্ত ডাইনোসরের মতো জীবন্ত ফসিল হয়ে যায় সবুজের দল
আমি কার বুকে যাবো !—–এ প্রশ্নের উত্তর আজও খুঁজে পাইনি। আর ১৯৯১ সালে লিখেছিলাম,
অঙ্কুরিত হইনি এখনও, তবু মাথার ‘পরে ছাদ
প্রস্ফুটিত হবার পরে কোন বুকে থাকবো আমি ?—–তার উত্তর খোঁজা থামিয়েই দিয়েছি। আপনার ছোট্ট লেখা, অথচ কি গভীরতা! চিন্তা করা উচিৎ। আমার একটা ব্যালকনি আছে, কিন্তু এ দেশে গ্রীষ্মকালেই গাছ লাগানো যায়। তবে আমি ঘরের ভেতর বেশ অনেক গাছ লাগিয়েছিলাম। যেসব গাছ শীত-গ্রীষ্ম দুটোতেই বাঁচে। কিন্তু হাসপাতালে থাকার সময় অনেক গাছের মৃত্যু হয়েছে। আমার মতে প্রত্যেকের উচিৎ ঘরের ভেতর গাছ লাগানো। ফুলের গাছ কম বাঁচে, তাই উচিৎ বেশী করে পাতাবাহার কিংবা বনসাই লাগানো। অন্তত ঘরের ভেতর সবুজ প্রাণ থাকুক।
ধন্যবাদ সুন্দর লেখাটির জন্য।
ইঞ্জা
আপু সবারই উচিত গাছ লাগানো আর তার যত্ন নেওয়া আর যাদের বাড়ী আছে কিন্তু উঠোন নেই তাদের উচিত ছাদে বিভিন্ন সবজি আর ফল ফুলের গাছ লাগানো, এতে ফ্রেস খাবার যেমনি পাওয়া যাবে, তেমনি জলবায়ুর উন্নতিতেও কাজে লাগবে, আবার চাইলে আপনার মতো ঘরের ভিতর, বারান্দাতেও গাছ লাগালে অসুবিধা তো নেই, ধন্যবাদ আপু আপনারা সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আবু খায়ের আনিছ
পৃথিবী গোল্লায় যাক, আমরা গিয়ে মঙ্গলে বাসা করব।
আমার পূর্ববতীরা ভুল করেছে, আমরা তার শাস্তি ভোগ করছি, আর আমরা ভুল করব আমাদের পরবর্তীরা ধ্বংস হবে।
বির্বতণের সাথে মানিয়ে নিতে পারলে তেলাপোকা না পারলে ড্রাগন। কত সব মুখোরচক কথা বলে যায় মানুষ, অন্য দিকে তলে তলে সব সাফ করে দিচ্ছে।
যারা এই ধরণের কাজ করছে তাদের একদিন করে বদ্ধ একুরিয়্যামে রেখে দেখেতে ইচ্ছা করে কি করে তারা।
ইঞ্জা
ওরা বুঝেনা কতো ভয়ানক হতে চলেছে এই ভূমন্ডলের।
ছাইরাছ হেলাল
নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মেড়ে যাচ্ছি,
সচেতন চিন্তার জন্য ধন্যবাদ।
ইঞ্জা
একদম ঠিক বলেছেন ভাইজান কিন্তু ভূমণ্ডল তো জাহান্নাম হলো। 🙁
নিহারীকা জান্নাত
গাছ কাটার আগে গাছ লাগানো উচিত। কিন্ত আমরা তা করি না। নিজেদের স্বার্থ দেখতেই ব্যাস্ত আমরা।
ইঞ্জা
দাদী আপনি যে সব কাজ করেন তা কি আপনার স্টুডেন্ট পারবে, পারবেনা আর তেমনি বড় গাছ যে কার্বন শুষে নিতে পারবে তা বাচ্চা গাছ পারবেনা, আমার মতে সারা বিশ্বে আগামী পঞ্চাশ বছরের জন্য গাছ কাটা নিষিদ্ধ করা উচিত।
নিহারীকা জান্নাত
আমি তা বুঝতে চাইনি। বলতে চেয়েছি যে পরিমান গাছ আমরা কাটি সে পরিমাণ গাছ লাগাই না। বলতে গেলে লাগাইই না। সেটা পুরণ করতেই গাছ কাটার আগে গাছ লাগাতে বলেছি।
ইঞ্জা
সহমত দাদী।
স্বপ্ন নীলা
সচেতনমূলক পোস্ট –
আমরা পরিবেশের চিন্তা আর করছি না, যতটুকু সামনে পাচ্ছি সমান তালে ভোগ করছি — হায়রে অভাগা মানুষ আমরা —
ইঞ্জা
ধন্যবাদ, আমাদের উচিত (সবার) নতুন নতুন গাছ লাগানো এবং অন্যকেও উৎসাহ দেওয়া।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
গাছ যে মানুষের বেচে থাকার অক্সিজেন বহন তা বোধ হয় এখনো আমরা বুঝে উঠতে পারিনি তবে একদিন মানুষ নিজের প্রয়োজনেই গাছকে মাথায় করে রাখবে এটাই আশা -{@
ইঞ্জা
তখন গাছের বিজও থাকবে কিনা সন্দেহ আছে আমার।
শুন্য শুন্যালয়
গাছের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম তাই গাছ কাঁটা চলবেই। লাগাতে হবে তিনগুন, কিন্তু কেউই তা করেনা। জানিনা অদূরে কী আছে। গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট ভাইয়া।
ইঞ্জা
এই ডিজিটাইলেজেশনের যুগে মানুষ চাইলে কিনা করতে পারে কিন্তু গাছ বাঁচাতে পারেনা এই দুঃখ আপু।
জিসান শা ইকরাম
অন্য সবাই কি করে জানিনা, আমি আমার কর্তব্য পালন করি,
প্রচুর গাছ লাগাই আমি 🙂
একসময় গাছ হতে চেয়েছিলাম তো, তাই গাছের প্রতি মায়া খুব।
ইঞ্জা
অসাধারণ মন্তব্য করলেন ভাইজান, এক সময় গাছ হতে চেয়েছিলেন, বাহ, আসলেই আমাদের সবার উচিত মনে মনে গাছ হওয়া, গাছ হয়ে জীবন যাপনের চেষ্টা করা, তাহলেই আমাদের দ্বারা সম্ভব হবে এই জলবায়ুর বদলে যাওয়াকে বন্ধ করা।
লীলাবতী
নিজের স্বার্থ দেখে জনগন, পরিবেশ এর কথা ভাবেই না। সুন্দর পোষ্ট।
ইঞ্জা
আমাদের এখন থেকেই ভাবা উচিত আপু, যেখানেই জায়গা পাওয়া যায় সেখানেই গাছ লাগানো উচিত।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
আমরা বুঝেও বুঝিনা। কতক সুবিধাবাদী স্বার্থপর ব্যবসায়ীর কারণে পরিবেশ বিপর্যয়ের ফলে দেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে।
ফলে দেশ মরুভুমিতে পরিণত হবে। ছোটকালে শুনেছিলাম মাঘের শীতে বাঘ চিৎকারে। আর এখন মাঘ মাসে ফ্যান ছাড়া ঘুমানো যাচ্ছে না। এটা পরিবেশের ভারসাম্যহীনতার কারণেই।
ইঞ্জা
সহমত ভাই।