গল্পঃ- “মেঘের আকাশ ত্যাগ”

হাবিব শুভ ৩ আগস্ট ২০১৬, বুধবার, ০১:৩৩:৩৬অপরাহ্ন বিবিধ ২ মন্তব্য

নিলা বাসস্টপে দাঁড়িয়ে আছে। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর আশেপাশে ডানদিক-বামদিক তাকিয়ে ব্রেঞ্চে বসে আবার উঠে একটু উঁকিঝুঁকি মেরে আবার বসছে। বসেই আবার উঠে যায় যেন ব্রেঞ্চের তলায় কেউ আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বসলেই কাপর জ্বলে যাবে, গায়ে ফুসকা পড়বে। সামনে গিয়ে আবার একবার পিছনে তাকায় কাপরের ব্যাগ টা আবার না চুরি হয়ে যায়। আজকাল চুরেরা ভদ্রলোকের কাপর পরে আগেকার দিনের চুরেরা ছিল ক্ষেত টাইপের। গায়ে তেল দিত, লুঙ্গি প্যাচ মেরে দুই হাটু উদলে থাকতো। দেখেই চোখ বুজে বলা যেত "এই চুরের বাচ্ছা চুর" আমার ব্যাগ বের করে দে। কিন্তু এখনকার যুগের চুরেরা শার্ট, প্যান্ট পরে ইন করে অফিশিয়াল ড্রেস পরে বাস্টপে এসে বসবে। যদি বাস আসার আগে অমৃত পেয়ে যায় তাহলে আর কষ্ট করে বাসে উঠতে হবে না, তা না হলে বাসে উঠে অমৃত পান করার চেষ্টায় থাকবে। সামনে থেকে চুরি করবে কিন্তু কিছু বুঝা যায় না। যাকে বলে চোখে আঙ্গুল দেয়া। প্রেমিক-প্রেমিকার ভাষায় "দাগা" দেয়া। চুরেরা বিভিন্ন নামের হয়, জিনিশপত্র চুরি করে পালিয়ে গেলে বলা হয় "ছেঁচো চুর", আর মন চুরি করলে বলা হয় "রোমিও/ জুলিও" আর মনের সাথে দেহ চুরি করে পালিয়ে গেলে বলা হয় "দাগাবাজ"।
কিছুক্ষণ ঘাস ফড়িং এর মতো ছটফটের পর নিলা নিশ্বাস একটু বড় করে ছাড়লো। নিশ্বাস বড় করে ছাড়া হয় দুই কারণে। একটা স্বস্তির আর আরেকটা অস্বস্তির। নিলার নিশ্বাস টা স্বস্তির। মনে হচ্ছে এতক্ষণ যার জন্য অপেক্ষা করছে সে এসে গেছে। নিলা চট করে ব্যাগ থেকে আয়না বের করে ঠোঁটে পাতলা করে আর ও একবার লিপস্টিক আর মুখে ফেইস পাউডার লাগিয়ে নিলো। ঘামে কালো হয়ে যাওয়া মুখ আবার ঝকঝকে হয়ে গেলো। হলুদ দাত টুথপেস্ট দিয়ে ঘষানোর পর যেমন টা হয় ঠিক সেরকম। প্রিয় কারো সামনে যেমন তেমন ভাবে যাওয়া যায় না। যেমনতেমন ভাবে যাওয়া যায় শুধু তাদের সামনে যাদের সামনে শো-অফ করার কোন দরকার হয় না। এই পারসন গুলো হলেন হয় চোখের মণি তা না হলে চোখের বালি।
হাসান হাঁপাতে হাঁপাতে নিলার কাছে এসে বললো, "সরি ফর লেইট" রাস্তায় অনেক জ্যাম ছিল।
এটা কমন এক্সকিউজ। যত দোষ নন্দ ঘোষ। যে কারণেই লেইট হোক না কেন লেইট হলেই একটা কথাই বলবে, রাস্তায় অনেক জ্যাম ছিল। এখন স্কুলের বাচ্চারাও স্কুলে লেইট করে গিয়ে বলে , সরি স্যার রাস্তায় অনেক জ্যাম ছিল।
নিলা ওর হাতঘড়ি দেখিয়ে বললো, কয়টা বাজে খেয়াল আছে?? চারটায় আসার কথা ছিল কিন্ত এখন বাজে সাড়ে চারটা। আধঘণ্টা লেইট।
হাসান বললো, বাংলাদেশী ত।
: তুমি এটা কি পরে এসেছো??
: গেঞ্জি।
: গেঞ্জি কেন?? আজকের এমন একটা দিনে কেউ গেঞ্জি পরে আসে??
: তাহলে কি পরবো?
: এট লিস্ট একটা পাঞ্জাবি পরে আসতে পারতে। তুমি কি কখনো দেখছো বিয়ের দিন কেউ গেঞ্জি পরে এসেছে।
: তাতে কি হয়েছে এটা ত রাজপরিবারের মতো বিয়ে হচ্ছে না যে ফিটফাট হয়ে আসতে হবে।
: So what? বিয়ে ত। যাও পালটে এসো।
: এখন কোথায় পাল্টাবো? আবার গিয়ে আসতে আসতে গেঞ্জি পাল্টানোর সাথে দিন ও পালটে যাবে।
: হয়েছে। থাক। এখন আমাকে কোথায় নিয়ে যাবেন। নিয়ে গিয়ে উদ্ধার করেন মহারাজ।
হাসান আর নিলা রিকশায় উঠলো। দুজনে পাশাপাশি বসে আছে। নিলা রিকশার হুড বারবার তুলছে আর হাসান বারবার রিকশার হুড নামিয়ে নিচ্ছে।
হাসান বললো, কি হলো একটু পর আমরা বিয়ে করছি। তারপর হবো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সুখী দম্পতী। এখন আড়ালে থেকে কি হবে।
নিলা চুপচাপ বসে আছে।
: কি হলো শান্ত কেন??
: কাজ টা কি ঠিক হচ্ছে??
: কি কাজ?
: এভাবে বিয়ে করাটা।
: টেনশন নিও না। বিয়ের পর একটু ঝামেলা হবে তারপর আবার বিন্দাস। Everything Will Be Ok.
রিকশাওয়ালা আস্তে আস্তে রিকশা চালাচ্ছে। হাসান বললো, ভাই আরও একটু জোরে চালান। এভাবে চালালে ত বিকেল গিয়ে সন্ধ্যা হয়ে যাবে।
রিকশাওয়ালা পেছন হাসানের দিকে চেয়ে মুখে এক গামলা হাসি নিয়ে বললো, জ্বে স্যার চালাচ্ছি। আজ দুপুরে খাই নি ভাড়াটা একটু বেশাইয়া দিবেন।
দিনমজুরেরা সুযোগ সন্ধানী থাকে ওরা ঝোপ বুঝে কুপ মারে। তাই ঠিক সময়ে ঠিক জায়গায় কথাটা বলেছে।
অন্যসময় হলে সহজ বাক্যে না বলা যেত কিন্তু এখন একটা শুভ কাজে যাচ্ছে আর নিলাও পাশে তাই বাধ্য হয়ে বললো, আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে এখন চালান।
নিলা রিকশাওয়ালা কে বললো, আপনার নাম কি??
সাধারণত রিকশাওয়ালার নাম কেউ জিজ্ঞেস করে না। ওদের একটা না অনেকটা নাম হয়। বল্টু, ছল্টু, মিন্টু যে যে নামে ডাকতে চায় সে নামেই ডাকে। এদের ডাকতে নামের প্রয়োজন ও হয় না। এদের সাথে প্রথম কথাই হয় "এই রিকশাওয়ালা যাবে?? এমন বাক্যে।
রিকশাওয়ালা সুন্দর করে বললো, আমার নাম "সাদিকুর রহমান আকাশ"। যদি হাসান নাম টা জিজ্ঞেস করতো তাহলে হয়তো স্ট্রেটকাট বলতো, আকাশ। নিলা মেয়ে বলেই এত সুন্দর করে গুছিয়ে নাম টা বললো।
নিলা বললো, বাহ নাম টা ত খুব সুন্দর। কে রেখেছে নামটা, আপনার মা??
না আপা আমি রাখছি।
নিলা অবাক হয়ে বললো, তাহলে আপনার মা কি নাম রেখেছেন,
"আজগর আলী" সবাই অজগর অজগর বলে ক্ষেপাতো তাই পালটে আকাশ রাখছি।
: আকাশ কেন রাখলেন?? আরও কত নাম ত আছে।
: একদিন এক আপা আমার রিকশায় উঠে আপনার পাশে বসা ঐ ভাইয়ার মতো এক ছেলেকে বলছে যে উনার আকাশ নাম খুব পছন্দের। তাই ভাবলাম আকাশ নাম টা বোধহয় সুন্দর।নাম টা সুন্দর না আপা??
: হে সুন্দর। আপনি সামনের দিকে চেয়ে রিকশাটা চালান।
নাম টা সুন্দর বলার পর রিকশাওয়ালা বারবার পিছন দিকে নিলার দিকে চেয়ে মুচকি হাসে ত দুই প্যাডেল দেয় ত আবার নিলার দিকে চেয়ে মুচকি হাসি দেয়।
হাসান ধমক দিয়ে বললো, কি মিয়া রোমান্স জাগছে মনে সামনের দিকে চেয়ে চালান।
নিলা হাসানের কথা শুনে হা হা করে হেসে দিল।
হাসান নিলাকে বললো, কি হলো হাসছো কেন??
নিলা মুখে উড়নার আচল দিয়ে হাসি চেপে বললো, না কিছুনা।
হাসান সামনের কাজীঅফিসে রিকশাওয়ালাকে থামতে বললে রিকশাওয়ালা রিকশা থামায়। ওরা নামার পর হাসান রিকশাওয়ালাকে ৫০ টাকা দিয়ে বললো, ৩০ টাকা আপনার ভাড়া আর ২০ টাকা বকশিস রেখে দিন। রিকশাওয়ালা চলে গেলো। যাওয়ার আগে আবার একবার পিছনে নিলার দিকে চেয়ে দুঠোঁট মেলিয়ে হাসতে হাসতে চলে
গেলো। হাসানের ইচ্ছে করছে বেটাকে গিয়ে ঠাশ ঠাশ করে একগালে চড় মেরে আসতে। এক গালে মারবে যাতে আর বিয়ে না হয়। ছোটবেলার এই প্রবাদ টা এই বেটাকে দিয়ে পরিক্ষা করে নিতে মন চাইছে কিন্তু আজ একটা শুভ দিন। শুভ দিনে ঝামেলা জড়িয়ে লাভ নেই। শেষে উলটো ওর বিয়েটাই ভেস্তে যাবে।
নিলা আর হাসান কাজী অফিসে ঢুকলো। ঢুকতেই গলায় গামছা আর মাথায় টুপি পরা এক লোক এসে বললো, কি চাই??
হাসান বললো, আমরা বিয়ে করবো। কাজী সাহেব কি ভিতরে আছেন??
: হে আছেন। আপনাদের সিরিয়াল কার্ড টা কোথায়?? কত নম্বর সিরিয়াল??
: আমরা ত সিরিয়াল কাটি নি। কাজী অফিস ত আর ডাক্তারের চেম্বার না এখানেও সিরিয়াল কাটতে হবে।
: হে সিরিয়াল কাটতে হবে। সিরিয়াল কাটার জন্য ২০ টাকা লাগবে। স্পেশিয়াল সিরিয়াল কাটতে হলে ৫০ টাকা লাগবে।
: স্পেশিয়াল কোনটা??
: আপনার সিরিয়াল একটু এগিয়ে দেয়া হবে।
হাসান বুঝলো এখানেও ধান্ধা চলে। সে ১০০ টাকা দিয়ে বললো, আমাদের টা একটু আগেভাগে করার চেষ্টা করিয়ে দিলে ভাল হয়।
: ঠিক আছে আপনারা বসেন আমি আসছি।
: আমাদের সিরিয়াল নাম্বার টা দিলেন না যে??
: লাগবে না। আমি কাজী সাহেবের সাথে আলাপ করছি। কেউ জিজ্ঞেস করলে বলবেন গত এক মাস আগে আপনারা সিরিয়াল বুকিং করে রেখেছিলেন।
হাসান বললো, আপনার নাম জানতে পারি ??
: ছোট কাজী রফিক মিয়া।
: ছোট কাজী মানে??
: উনার পরে আমি কাজী হবো তাই উনি বড় আর আমি ছোট কাজী।
আধঘণ্টা পর রফিক মিয়া এসে বললেন আপনারা আসেন। হাসান আর নিলা রফিক মিয়ার পিছন পিছন একটা রুমের ভিতর গেলেন। রুমে বিভিন্ন নব বর-কন্যার কার্টুন আঁকা। এই রুম টাতে বিয়ে পড়ানো হয়।
রুমের ভিতরে একটা সুফার মতো চেয়ারে সাদা-লাল রঙের লম্বা দাঁড়ি ওয়ালা আর একটা সাদা আলখাল্লা পরে একজন মৌলভী চোখ বন্ধ করে বসে আছেন। রফিক মিয়া হাসানকে বললেন, সালাম দও। হুজুরের রুমে এসে উনার সাথে সালাম দিয়ে কথা শুরু করতে হয়। উনি ই আপনাদের বিয়ে পড়াবেন।
হাসান আর নিলা একসাথে সালাম দিলো, "আসসালামু আলাইকুম"
রফিক মিয়া হাসান কে বললেন, আপনার হবু বিবি কে বলুন মাথায় কাপর দিতে। হুজুর পর্দা পছন্দ করেন।
নিলা মাথায় কাপর দিলো।
কাজী সাহেব চোখ খুলে বললেন, "ওলাইকুম সালাম"। বসেন আপনারা।
সাথে সাথে রফিক মিয়াও বললেন, হুজুর আপনাদের বসার জন্য বলেছেন । বসেন।
নিলা আর হাসান চেয়ারে বসলো।
কাজী সাহেব বললেন, আপনারা বিয়ে ভাঙ্গতে না বিয়ে করতে এসেছেন।
সাথে সাথে রফিক মিয়াও বললেন, হুজুর বলছেন যে, আপনারা বিয়ে ভাঙ্গতে না করতে এসেছেন।
হাসানের ইচ্ছে হচ্ছে রফিক মিয়ার মাথায় একটা রড দিয়ে বারি মারতে। বেটার শর্ট টাইম মেমরি লস আছে হয়তো। একটু আগে যে কাজের জন্য টাকা নিলো আর এখন বেমালুম ভুলে গেছে।
হাসান বললো, বিয়ে করতে।
কাজী সাহেব বললেন, সাক্ষী লাগবে। সাক্ষী এনেছেন?? তিনজন সাক্ষী লাগবে।
: না আমরা ত সাক্ষী আনি নি।
: ঠিক আছে। আমাদের লোক সাক্ষী দিবে। জন প্রতি ১০০০ টা দিতে হবে।
: ৫০০ করে হয় না??
: না হয় না। এগোলা ফিক্সড রেইট।
: জ্বি আচ্ছা।
: আপনারা মালা আনেন নি?? দুই টা মালা লাগবে।
: না আমরা ত আসলে এতকিছু আনি নি।
: কোন সমস্যা না। মালার ব্যবস্থা আছে। আমার দোকান থেকে মালা এনে দিবো। দুই টা মালা ৫০০ টাকা। একেবারে তাজা ফুলের মালা। সদ্য তোলা পদ্মার ইলিশ মাছের মত টাটকা।
সাক্ষী তিনজন সহ ফুলের মালা আনানো হলো। কাজী সাহেব টেবিলের উপর থেকে একটি ফাইল খুলে একটি কাগজ হাসান আর একটি নিলাকে দিয়ে বললেন, এখানে আপনাদের নাম, ঠিকান আর মা-বাবার নাম লিখেন।
হাসান চট করে ফর্ম পূরণ করে ফেললো। কিন্তু নিলার মন নিশপিশ করছে। হাত কাঁপছে, চোখে জল। চোখ তুলে তাকালেই যেন চোখের জল টেবিলের রাখা ফর্ম এর উপর পড়বে।
হাসান নিলার কাঁধে হাত রেখে বললো, কি হয়েছে??
নিলা চুপচাপ।
হাসান নিলার মুখের দিকে চেয়ে বললো, কাঁদছো কেন??
নিলা তখন কাঁদোকাঁদো স্বরে শুধু একটা কথাই বললো, পারবো না। আমি এই বিয়েটা করতে পারবো না I am sorry Hassan.
আমি আসার সময়, আমার প্যারালাইজড রোগী বাবা আমাকে উনার হার্টের ঔষধ দেখিয়ে বলেছিলেন, মা আমার হার্টের ঔষধ টা শেষ হয়ে গিয়েছে আরও কয়েকটা এনে দিবি মা?? দুদিন ধরে বুকে খুব ব্যথা হয়।
আমি বলেছি, ঠিক আছে বাবা।
ছোট ভাই এসে জড়িয়ে ধরে একটা ক্রিকেট ব্যাট কিনে দেয়ার জন্য দু গালে দুই টা চুমু দিয়েছিল।
দরজা থেকে বের হওয়ার সময় মা বলেছিলেন, তাড়াতাড়ি আসিস মা। সন্ধ্যায় অনেকদিন একসাথে বসে চা খাই নি। তুই আসার পর চা খাবো একসাথে।
হাসান হয়তো আমার বাবার বুকের ব্যথা টা বেড়েছে কিন্তু ঔষধ নেই বলে মা ও বাবাকে ঔষধ খেতে দিতে পারছেন না।
ছোট ভাইটা বসে আছে হয়তো তার ক্রিকেট ব্যাটের আশায়,
আর মা হয়তো বারান্দায় গিয়ে বারবার দেখছেন আমি ফিরছি কি না।
আজ যদি আমি না ফিরি তাহলে যদি আমার বাবার কিছু হয়ে যায় তাহলে আমি নিজেকে ক্ষমা করতে পারবো না।
হাসান আমাকে ক্ষমা করে দাও বলে নিলা চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ালো।
হাসান কিছু বলছে না। কিছুক্ষণের জন্য রুমের সবাই চুপ। নিরব রুমে ঘড়ির কাটা ঠিক ঠিক করছে সেটাও পর্যন্ত শোনা যাচ্ছে।
নিলা চলে যাচ্ছে কিন্তু হাসান আটকাচ্ছে না। অনেক সময় বিবেকের কাছে নিজের চাওয়াটা সামান্য হয়ে যায়। হাসানের চোখেও জল। হাসান লক্ষ্য করলো, এই রুমে যারা উপস্থিত তাদের সবার চোখের জলের চিহ্ন। নিলা চলে গেলো।
পরিশিষ্টঃ-
নিলার ওর মা-বাবার পছন্দ করা এক প্রবাসী পাত্রের সাথে বিয়ে হয়ে বিদেশ চলে গেছে। মাসে মাসে নিলার হাজব্যান্ড নিলার পরিবারের জন্য দায়িত্ব থেকেই কিছু টাকা পাঠায় আর হাসান একটা প্রাইভেট ফার্মে জব নেয়ার পর বিয়ে করে। ওর একটা মেয়ে হয়েছে যার বয়স ৬ মাস। মাত্র মা-বাবা বলে ডাকতে শুরু করেছে। হাসান ওর মেয়ের নাম রাখে নিলা। ওর ধারণা নিলা নামের মেয়েরা মা-বাবা আর পরিবার কে খুব ভালবাসে। পরিবারের সুখের জন্য নিজের সুখ কেউ পিছনে ফেলতে পারে। প্রাণের অস্তিত্বে মেঘের আকাশ ত্যাগের মতো।

0 Shares

২টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ