রাতের গভীর অন্ধকার ভেঙ্গে আলোর কুন্ডলির ভিতর থেকে বেরিয়ে এলো এক শিশু রোবট।তা দেখে বিষ্ময়ে ওদের চোখ বড় হয়ে গেল।মনের ভিতর অজানা আতংকের ভয় আবার কৌতুহলী মন দৃশ্যের শেষ দৃশ্যটি দেখার অপেক্ষা।শিশু রোবটটিকে স্কুল মাঠে ফেলে রেখে আলোর কুন্ডলি দ্রুত আকাশে মিলিয়ে গেল।ওরা লক্ষ্য করল শিশু রোবটটি স্কুলের একটি রুমে মানে ওদের ক্লাশ রুমটির দিকে হাটি হাটি পা পা করে এগুচ্ছে।রুম সহ পুরো স্কুলটিই তালা বদ্ধ অবস্থায় ছিলো তা শিশু রোবটটির হাতের তালু হতে নির্গত হওয়া আলোর রশ্মি দ্বারা খুলে ফেলল এবং ক্লাশ রুমের ভিতরে প্রবেশ করে।কিশোরদের কৌতুহল আরো বেড়ে গেল।রাতের গভীরতা ভয় আর বাড়ী ফেরার কথা যেন তারা বেমালুম ভুলে গেল।
রোবটটি ভিতরে প্রবেশের পর ওরাও চুপিসারে অনেকটা কমান্ডো স্টাইলে রুমের ভিতরে ঢুকে ক্লাশের বেঞ্চের নীচে লুকিয়ে রোবটটি কি করছে তা দেখছিল।রোবটটি শ্রেনী কক্ষের ব্লাক বোর্ডে পাশেই রাখা চক মাটিটিকে হাতের পঞ্চ অঙ্গুলি দিয়ে ধরে গাণিতিক ধারায় খুব দ্রুত লিখল পৃথিবীতে তার মনের যত বাসনা ছিল।শিশু রোবটটির হাই বা উচ্চতা ব্লাক বোর্ড থেকে অপেক্ষাকৃত কম বা খাটো হওয়ায় মাষ্টার সাহেবের বসার চেয়ারটির উপর দাড়িয়ে রোবট অজয়,নয়ন,অয়ন স্মৃতি আর আলো নামগুলো লিখল।এবার সে লুকিয়ে থাকা তাদের সম্মুখ বরাবর নিজেকে মুভ করে ভাঙ্গা ভাঙ্গা শব্দে নাম ধরে ডাকছে,,,,
-অজয় নয়ন অয়ন আলো স্মৃতি…তোমরা বেরিয়ে এসো আমি এই পৃথিবীতে এসেছি শুধু তোমাদের জন্য।ভয় নেই আমি তোমাদের নতুন আরেক খেলার সাথী বন্ধু হবো।
বেঞ্চের নীচে লুকিয়ে থাকা ওদের একজন ফিস ফিস করে বলছে।
-ও’ আমাদের নাম জানলো কি করে?আর সে যা বলছে তা কি সত্যি!’ও কি আমাদের বন্ধু হবে!
-এই শোন ও’যখন আমাদের নাম  জানে তবে ও নিশ্চয় জাদুও জানে!তাই আমার মতে ভাল হয় ও’র সাথে সাক্ষাত করা বলল আলো।বের হতে দেরি দেখে রোবটি আবারো তাদের ডাকলো।তাই ওরা অন্য কোন উপায় না ভেবে ওদের প্লান মত বের হয়ে ভয়ে ভয়ে রোবটটির সামনে গিয়ে দাড়াবে সিদ্ধান্ত নিল।
-তাই হউক।বলে অয়ণ নয়ন ও অজয় প্রথমে গেল মেয়ে দুটো রয়ে গেল লুকায়িত অবস্থা্য় ওদের পর্যবেক্ষণের খাতিরে।কিন্তু বুদ্ধিমান রোবট বুঝে ফেলল।সামনে আসা ওদের দিকে তাকিয়ে ওদের সমস্থ ডাটা মেমোরি স্কেন করে নিজ সংগ্রহে রাখল।এবং এক এক করে নাম বলছে আর হাত মিলাচ্ছে বন্ধুদের সাথে।ওরা অবাক এতো নিদিষ্ট করে নির্ভুলে ওদের নাম বলছে কি করে আর চিনলো বা কি করে।
-হ্যালো অজয়,,,হ্যান্ডসেকের জন্য হাত বাড়িয়ে দিল রোবট।অজয় কিছুটা ভয় সাহসের সহিত হাত বাড়িয়ে করমোর্দন করল।তার পর বাকীদের সাথে করমোর্দন করে জানতে চাইলো মেয়ে দুটো কেনো তার কাছে আসছে না।
-আলো আর স্মৃতিকে ডাকো আমি তোমাদের সাথে  কিছু জরুরী কথা বলব।
অজয় মেয়ে দুটোর সামনে গিয়ে অভয় দেখিয়ে রোবটের সামনে এনে দাড় করাল।
-ভয়ের কিছু নেই আমি মানুষ না হলেও আমি তোমাদের মানুষের মত নির্দয় নই।তোমরা সবাই প্রথম বেঞ্চে বসো আমি কিছু লিখবো তার উত্তর তোমরা দিবে যেটা না পারবে তার সমাধান আমি করব।
ওরা সবাই বেঞ্চে গিয়ে বসল।রোবটটি চেয়ারের উপর উঠে সুন্দর হস্তাক্ষরে বাংলায় লিখল।
-তোমাদের এ দেশ স্বাধীন হয়েছিল কবে?
-জি ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর।
-গুড! স্বাধীনের আজ কত বছর চলল?
- ফরটি সিক্স ইয়ারস!বলল অজয়।
-গুড!তুমিতো দেখছি ইংরেজীও বলতে পারো!
-জি ওর আব্বু এ দেশের একজন বড় আবিষ্কারক তাই ওর আব্বুর কাছ থেকে কিছু কিছু শিখেছে আর তা ছাড়া আমরা এখন সবাই ক্লাশ এইটে পড়ি।বলল নয়ন।
-গুড!অজয়ের আব্বু মিঃ হেদায়েদউল্লাহ্!
-হ্যা!তুমি নাম জানলে কি করে!,বলল অজয়।
-আমাদের মেমোরির ক্ষমতা বলে।সে অনেক বিষয় ধীরে ধীরে সব জানতে পারবে।আমি তোমাদের বন্ধু যখন হয়ে গেছি তখন আমি তোমাদের আমাদের ইতি বৃত্ত সব জানাব।এখন কাজের কথায় আসি।জাতি গঠনে এই মুহুর্তে তোমাদের বড় সমস্যা কি?যদিও আমি জানি তবুও তোমাদেরও জানার প্রয়োজন আছে।বলো দেখি শিক্ষা ক্ষেত্রে এ দেশে বর্তমানে সব চেয়ে বড় সমস্যা কি?
(y) এক বাক্যে উত্তর দিল অজয়,,,,,প্রশ্ন পত্র ফাস।এর সমাধান কি বন্ধু?
রোবট খুব খুশি মেজাজে বলল-আর কি কোন সমস্যা?তাদের কেউ কিছু কথা না বলাতে রোবট ব্লাক বোর্ডে দেশের সমস্যাগুলো তুলে ধরল।তারপর সে বলতে লাগল।
-সবতো আর এক সাথে সমাধানের পথ দেখানো সম্ভব নয় তাই এক এক করে সমাধানের পথে এগুতে হবে এমনো হতে পারে আমরা শুরু করলে অন্যেরা এর সমাধান করবে বা পরবর্তী প্রজন্মরা সমাধানের পথে চলবেন।
এই যে সমস্যাগুলো যেমন ধরো প্রশ্ন  পত্র ফাস,এর সমস্যা সমাধানে কোথাও যেতে হবে না,এর মুল হোতা দু একটারে ধরে প্রকাশ্যে ফাসিতে ঝুলালে বাকীরা ভয়ে এ পথ ছেড়ে দিবে আর প্রিন্টগুলো বা প্রশ্ন পত্র তৈরীতে খুব সতর্কতায় থাকতে হবে আর সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল তোমরা যারা ছাত্র,তোমাদের  শিক্ষা গ্রহণ করাটা হতে হবে জ্ঞান আহরণে,দেশ ও দশের সেবায়,কেবল মাত্র সিম্পল পাশ  মার্ক নয় এই মানষিকতা তোমাদের কচি মনে গেথে দিতে পারলেই এ সমস্যা  থেকে চিরতরে বের  হয়ে আসা সম্ভব হতে পারে কারন  ভোক্তারা যখন কোন বস্তু গ্রহণ করবে না তখন ধীরে ধীরে তা বিলিন হয়ে যাবে।
আমি জানি দুদিন পর তোমাদের এ স্কুলেই বসবে এসস এস সি পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে প্রথম বাংলা বিষয়ে পরীক্ষা হবে তারও প্রশ্ন পত্র ফাসের সমস্ত আয়োজন শেষ করেন বাকী আছে এখন প্রিন্ট করা।অপরাধী দলটি তা চড়া দামে প্রকাশ করবে এটিকে ধরে দেয়ার জন্য আমার এ পৃথিবীতে আগমন।এখন আর সময় অপচয় করা ঠিক হবে না তোমাদের সাথে আমি আছি।তোমরা রেডি তো?
-হ্যা বন্ধু আমরা রেডি,,,,
শিশু রোবটটি শিক্ষকের স্থান হতে সরে নীচে তাদের সামনে এসে দু হাত পাখির ডানার ন্যায় মেলে দিয়ে ইশারা করল ছয় মাথা এক সাথে করতে।ওরা তাই করল আর সঙ্গে সঙ্গে ওরা অনুভব করতে লাগল তাদের শরীরে মন মেজাজে কিছু একটা পরিবর্তনের আভাস।ছয় মাথা এক হওয়াতে রোবটের সমস্থ প্লান ওদের মগজে ঢুকে গেল।রোবট অজয়ের গলায় একটি রকেট ঝুলিয়ে দিয়ে বলল,
- এই নাও এটা তোমাকে দিলাম যখনি আমার প্রয়োজন পড়বে তখন এই রকেটটিকে আকাশের দিকে মেলে ধরলে আমি তৎক্ষণাত এসে হাজির হবো।তবে আমাদের এ কাজে তোমার বাবা হেদায়েত স্যারকে লাগবে।বলে রোবটটি অদৃশ্য হয়ে গেল।
ঘুমে অচেতন অজয় বাবা বাবা করে চিৎকার শুনে হেদায়েত সাহেব ছেলের রুমে গিয়ে দেখলেন যে ছেলে ঘুমে বিভোর তার গরম ল্যাপের ভিতরে থেকে বার বার আব্বু আব্বু বলে ডাকছিল।হেদায়েত সাহেব ছেলেকে জাগিয়ে তুলতে সক্ষম হন বেশ কয়েববার ডাক দেবার পর।অজয় আধো ঘুমে বাবাকে দেখে অতপর চোখ মেলে চারপাশে তাকাতে লাগল।দেখলো ওর বন্ধুরাতো কেউ এখানে নেই,নেই  সেই জমিনও তাছাড়া সেই রোবটিতো নেই এখানে,এ দিকে তার বাবা তাকে স্বপ্ন দেখছে বলে আবারো ঘুমিয়ে যেতে বললেন।কিন্তু অজয় বাবার কোন কথাই কানে না নিয়ে বাবাকে প্রশ্ন করে বসলেন।
-আচ্ছা বাবা তুমি কি কখনো ভিন  গ্র্রহের আজব জীবগুলোর কাউকে কখনো বাস্তবে দেখেছো?
-এই রাত দুপুরে তোমার এমন প্রশ্ন করার কোন মানে হলো?
-তুমিইতো বলেছিলে যখনি মনে কোন প্রশ্ন আসবে তখনি এর সমাধান খুঁজবে নতুবা ভুলে যাবে।কারন মানুষ মাত্রই ভুলে  যায় ভুলে করে।।
-তা তোমার এমন প্রশ্নের মানে কি?স্বপ্নে কি কোন কিছু দেখেছো?
-হ্যা,না,,,পরক্ষণে মনে পড়ল রোবট তার গলায় পড়িয়ে দেয়া রকেটটির কথা।আর তখনি সে গলায় হাত দিয়ে বাস্তবে রকেটটি দেখে অবাক হয়।মনে মনে ভাবেন আমি যদি ওটা স্বপ্নই দেখলাম তবে বাস্তবে এ রকেট এলো কি করে?তবে রোবট এ রকেট সম্পর্কে কাউকে কোন কিছু বলতে নিষেধ করিছিল তাতে এর কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাবে।তাই তার বাবার নিকটও এ তথ্য লুকিয়ে রাখল।পরক্ষণে বাবাকে আবারো প্রশ্ন করল।
-আচ্ছা আব্ববু এ পৃথিবীতে যত ধরনের রহস্য্যময় ঘটনা ঘটে তার সব রহস্যের বেড়াজাল হতে বের হতে পারে বা পেরেছে কখনো?।
-না,পৃথিবীতে এমন কিছু ঘটনাও ঘটে যা  রহস্য্য বৃত্তেই থেকে যায়  বলতে পারো সেই সব ঘটনাগুলো অলৌকিত ভাবেই ঘটে।,,,,আর কোন প্রশ্ন নয় এবার লক্ষী ছেলের মত ঘুমাও।ছেলে মাথা নেরে আদর দিলেন তার পর এক সময় সে ল্যাপমুরি দিয়ে আবারও ঘুমিয়ে পড়ল।হেদায়েত সাহেব রুমের লাইট নিভিয়ে দিয়ে প্রস্থান নিলেন।

ঘুম আসছে না অজয়ের এটা কি দেখলো!স্বপ্ন নাকি বাস্তব।বাস্তবই যদি না হয় তবে এ রকেট তার গলায় এলো কি করে?কিছুটা ভয় কিছুটা সংশয়ে রকেটটি হাতে নিয়ে উপরের দিকে মেলে ধরতেই রোবট এসে হাজির।
-তোমার ঘুম আসছে না তাইতো?
-হ্যা তা তুমি বুঝলে কি করে!আরেকটা কথা হল  আমার বন্ধুরাও সে সময় আমাদের সাথে ছিলো,ওওরা কোথায় কি ভাবে গেল?
-ওওরাও তোমার মতই ভাবছে তবে সে সময়টিতে ওরা সবাই ছিলো।আমিই ওদের নিজ নিজ বাসায় তোমারি মতন করে ঘুমের রাজ্যে রেখে এসেছি।এবার বলো তোমার বাবা কি বলে গেলেন?
-বাবাকেতো কিছুই বলিনি আর বললেও  তা  বিশ্বাস করবে না।
ঠিক সে সময় আবারো পিতার আগমনের আন্দাজ পেয়ে অজয় বিছানা থেকে উঠে রোবটকে কোথাও লুকাতে বলল।রোবট তাতে নারাজ।
-না আমাকে লুকাতে হবে না তোমার আব্বুকে আমি চিনি এ দেশের একজন বড় মাপের স্পেস গবেষক।সে আমার সম্পর্কেও জানেন। দরজা খোলে দিয়ে তাকে আসতে দাও।

হেদায়েত সাহেব রুমে প্রবেশ করে দ্রুত দরজা জানালা সব লাগিয়ে  ঘরের  লাইট জ্বালিয়ে দিলেন।।কারন অন্ধকার ঘরে  রোবটের দেহের আলোর রশ্মি তীরের ন্যায় ছিদ্র ভেদ করে বাহিরে চলে গিয়েছিল।তাই রোবটের তীব্র আলোটাকে ম্লান করতেই তার লাইট জ্বালানো।রোবটের কাছে গিয়ে হেদায়েত সাহেব তার দেহের আপাদমস্তক দেখলেন।
-আপপনি আমমাকে ওমন করে  কি দেখছেন আমিই সেই যাকে আপনি খুঁজছেন।আমার পৃথিবীতে আসার আগেই আপনি জানতেন যে  আমি এ  পৃথিবীতে এক দিন আসব।তবে আপনার কাছে ধরা দেয়ার আগে আমি আপনার ছেলেকে কিছু ভাল কাজে  সহযোগিতা করব বলে কথা দিয়েছিলাম..কাজ  গুলো হল নাম্ভার ওয়ান প্রশ্ন পত্র ফাস চিরতরে বন্ধ,নাম্ভার টু চাকুরীর বানিজ্যে ঘোষ বন্ধ,নাম্ভার থ্রি মাদক সেবক ও বিক্রয়  সব বন্ধ করা,নাম্ভার ফোর এ দেশকে দুর্নীতি মুক্ত দেশ হিসাবে গড়া,নাম্ভার ফাইভ  রাজনৈতিক দলগুলোর ভিতর জাতীয় স্বার্থে ঐক্যমত গড়ে দেশ প্রেমে উদভুদ্ধ করা এমন সব জাতীয় যত সমস্যা আছে সব বিলিন না করা পর্যন্ত আপনি আপনার গবেষনার জন্য আমাকে এখনিই ব্যাবহার করতে পারবেন না।আর আপনি যদি আমাদের সহযোগিতা করেন তবে আপনিও আপনার গবেষনা অনেক তথ্য পেয়ে যাবেন এখান থেকে।আজকের কথা এখানেই সমাপ্তি আমাকে এক্ষুণিই যেতে হবে।আবারো নিমিশেই অদৃশ্য হল রোবটটি।

আর ক’দিন পরই এস এস সি পরীক্ষা।তাই পরীক্ষার্থীরা সব আতংকে আছেন।গত বারের মত এবারো কি পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন পত্র ফাস হয়ে যাবে!চিন্তিত হেদায়েত সাহেব অজয় ও তার বন্ধুরাও।অজয় ও তার বন্ধুদের ভাবনা জাতি ধ্বংসের এ প্রশ্ন পত্রের ফাসঁ যদি এখনি রুখতে না পারি তবে আমরাও বা পরবর্তী যত শিক্ষার্থীই আছেন সবাই ভুল পথেই পা পাড়াবেন।এটা যদি চলতে থাকে তবে লেখা পড়ার করে মানুষের জ্ঞান অর্জনে বাধা আসবে তাতে জাতি হবে মেধা শুণ্য।এখন উপায়?বন্ধুদের সাথে অজয় এমন ভাবনার মত প্রকাশের এক পর্যায় অয়ণ কথা বলে।
-অজয় তুই এক্ষুনি রোবট বন্ধুকে ডাক আমরা পরামর্শ করব।নিশ্চয় সে কোন একটা উপায় বের করে দিবেন।
-ঠিক কইছোস তবে এখানে নয় নিরিবিলি স্থানে যেতে হবে তারপর ওকে ডাকতে হবে।
পরক্ষণে মনে হলো কয়েশ বছরের পুরনো একটি দূর্গের কথা যেখানটা এখন কেবলি ইতিহাস কথা কয়।সেখানে তেমন কোন লোকজনে আনাগোনা নেই বললেই চলে।
-চল ঐ খানে যাই।
ইট খষে ক্ষয়ে পড়া আধা ভাঙ্গা ইটের দেয়ালে ঘেরা এক বিশাল দূর্গ যেখানে ভয়ে কেউ পা রাখে না সম্ভবত কয়েশ বছরের মুগল স্থাপনা এটি তার ধ্বংষাবশেষ।ওরা পাচ বন্ধু ছোট ছোট গাছ গাছালি ডিঙ্গিয়ে,কখনো বা তা মুড়িয়ে হাত দিয়ে মাকড়শার বাসা ভেঙ্গে এগিয়ে গেলেন তাদের পূর্ব ঠিক করা নিদিষ্ট স্থানে।স্থানটি এতো গভীরে যে বাহির থেকে কেউ আর আচ করতে পারবে না যে এ গহীন দুর্গম দূর্গে কে কি করছেন।প্রায়  আধ ঘন্টার জংলি পথ অতিক্রম করার পর তারা একত্রে মিলিত হয়ে হাফিয়ে উঠল।
অজয় শরীরের ঘাম হাতের আঙ্গুলে মুছে রকেটটি উপরের দিকে ধরল।সাথে সাথে আঁলাদিনের চেরাগ ঘর্ষণের মতন দৈত্যের ন্যায় রোবটটি এসে হাজির।
-আমি জানতাম তোমরা আমাকে ডাকবে আমিও সব তথ্য নিয়েই এসেছি।
-তথ্য!কিসের তথ্য?সবাই অবাক!অতপর রোবট বলল।
-কি ভাবে  কখন কে বা কারা প্রশ্ন পত্র ফাসঁ করার ধান্দায় নামবেন।শোন সবাই,এক মাথা হও,, আমি তোমাদের মগজে ঢুকিয়ে দিচ্ছি সব কিছু।
রোবটকে মাঝ খানে রেখে ওরা পাচ বন্ধু  একে অন্যে মাথাগুলোকে লাগিয়ে নীচে জমিনের দিকে তাকিয়ে রইল।রোবট তাদের মাথার সাথে তার মাথাটি মাঝ খান দিয়ে লাগালেন।এভাবে দশ মিনিট থাকার পর রোবট বিচ্ছিন্ন হতে ইশারা করল।
-ঠিক আছে যে কথা সেই কাজ।ও হে তার আগে এ সব বিষয়ে  কাউকে কিছুই বলবে না।ঠিক আছে?
সবাই মাথা নাড়ল।
চলবে///

গত  পর্বটি পড়ুন

0 Shares

৯টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ