কিছু কথার বুনন:

ইফতি হাবিব (অভিন) ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, সোমবার, ০৯:৫৯:৫১পূর্বাহ্ন সাহিত্য ১০ মন্তব্য

ঐতরিয় আরণ্যকে নিহত ছিলো অবসৃত বিসর্জন, অতট বিহ্বল ক্ষৌণী স্যাঁতস্যাঁতে ব্যাসল্টে প্রতিমার হিতার্থ শিলালিপি খোদাই করে এক নিরঙ্কুশ দূরত্ব নিয়ে। আমাদের কাছে ছিলো শতকোটি পবিত্র গ্রন্থ, আমাদের ছিলো হাজার কুঠিবাড়ি, অগ্রহায়ণ মৃগয়ালব্ধ ছায়ায় অসদগ্রাহী বৃষলতা এঁকেছিল বলে নরক নৃলোকে নামতে পারেনি। বর্ণী ভাষাংশ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নব প্রাণে অস্থিরতা ব্রজ্যা অবলীতে বাহিত হয়েছে অর্ধস্বর কন্ঠে, ফিনকী'তে জমে ছিলো একগাদা নোনা ঘাম। অপেয় বিশেষণ আত্মাজলে ঘৃণার অনুতে সমাহিত, তোমাদের অসাড়তা শুধু ফেনিল ঢেউয়ে বিধ্বংসী, শুকনো নেত্রে একফোঁটা নেশাতুর ছায়াকর কুঞ্জে গুনগুন করেনি, করেনি অর্ধমৃত কবিয়ালের অসম্পূর্ণ কবিতায়। অশেষবিধ বিধায়ীত কুয়াশা প্রাণপণে আঁকড়ে রেখেছে জামার আস্তিন, ঝুলে থেকেছে স্মৃতির অববাহিকায়। প্রস্থিত অপপ্রয়ানে শ্রবশ্রুতি চারক শেকড়েরা অন্তঃ আলোতে আলোকীয় নশ্বরতা নিয়ে স্বরবর্ণ স্বর্গ্য খোঁজে, অধুনাতনী এই প্রাচীন দেয়ালে ইঁটেরা কান্নাসৃত নিঃস্বনে অনতুন চর্যাপদে নতুন ছন্দ সাজায়, ঋষিজ অপ্রতিভ অনুকম্পে দৃকশক্তি ওপারের খোঁয়াড় পরিপাটি ঘাম নিয়ে সাগর নাব্যতা সৃত করে স্বয়ং দেবত্ব ভূমিকায়। আহাজারিতে ভার হয়ে ওঠা অবনী গোলক তাড়িত হয়ে ফেরারি হয় সংশপ্তক সংজ্ঞার উদাহরণ অনুমিত প্রহরীর বেশে। অযুত চিৎকারে নিযুত তারার পতন অমণ্ডলীয় চক্রে বাহিত, কেউটের নিঃশ্বাসে নীলাভ অরব সবুজ, মহাশূন্যের প্রস্থান সাঁঝবাতিতে। শতপ্রদীপের অশাশ্বত আলো মধ্য অনুতে অর্ঘ যেন কাঁসার থালায়, তামার সোনালু রং বরণ করে অতীত। এই অবিচ্ছিন্ন নৈঃশব্দ ঝিঁঝিঁরা তখনো গুবরে পোকা হয়ে ওঠে, চড়ে বসে তোমাদের বেজন্মা অনুপ্রাসে।

কথ্যক শব্দগুচ্ছ বালিয়াড়ির নর্দিত পথের কাছে সহসা জ্ঞান হারায়, সহস্র উজ্জ্বল টেরাকোটায় নতুন বার্তা, এই অমেয় দিন অদিনের কাছে অবগত, এই নিঃসাড় চেতনা ভ্রান্তিযুক্ত!!

#Ovin
18-02-19

0 Shares

১০টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ