পুনরায় সারাদেশে লকডাউন। কোভিভ-১৯ সংক্রামক রোগের এভাবেই চলছে কখনো কঠোর লকডাউন, কখন আংশিক লকডাউন। করোনা ও লকডাউন আমাদের পিছু ছাড়ছে না। আর লকডাউন ঘোষণার আগেই গ্রামমুখী হচ্ছে এক শ্রেণীর মানুষ। যেন ঈদের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তারা গ্রামে যাচ্ছে কষ্ট করে, আর প্রশাসনকে দোষারোপ করছে প্রশাসন কেন গাড়ি-ঘোড়া বন্ধ রাখছে। তাদের যেতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।
গত ঈদের সময় দেখা গেছে মানুষ যে কোনো মূল্যে গ্রামে যাবার জন্য ছুটছেন। এদের অনেকেই বলেন শহরে বসে খাব কি। অথচ পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা খরচ করে গ্রামের বাড়ি যেতে পারছেন। এদের শতভাগই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। এরা অবশ্য আল্লাহকে ভয় পায় করোনা ভয় পায় না।
গত ফেব্রুয়ারির দিকে করোনা সংক্রমণ হার কমতে থাকলে, সরকার লকডাউন অনেকটাই উঠিয়ে নেন। খুলে দেন পর্যটন কেন্দ্রগুলো। মানুষ জন মুক্ত বিহঙ্গের মত পর্যটন কেন্দ্রে ভীর জমালো। কিছুদিনের মধ্যেই দেখা গেল সংক্রামক হার আবার বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকার পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ করতে বাধ্য হল। শুরু হলো আবার লকডাউন এর পালা।
আইইডিসিআর এর তথ্য মতে ঢাকা শহরে বস্তিবাসীর ৭১% এবং চট্টগ্রামে বস্তিবাসীর ৫৫% এর শরীরে এনটিবডি পাওয়া গেছে। আশঙ্কাজনক তথ্য। এ তথ্য থেকে বোঝা যায়, ইতিমধ্যেই তারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। বস্তিবাসীর এক পার্সেন্ট লোক ও মাস্ক ব্যবহার করে না। এ সম্পর্কে তাদের ভাষ্য। তাদের করোনা হয়না, তারা কেন মাস্ক পরবে। হাসপাতালগুলোতে ও মানুষ মাস্ক ছাড়া চলাফেরা করছে। অথচ বিশেষজ্ঞরা বলে আসছেন মাস্ক ব্যবহার করলে ৭০পার্সেন্ট করোনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আমাদের প্রশাসন ও এ ব্যাপারে নির্বিকার। এবারো লকডাউন আসছে। এবার নাকি কঠোর লকডাউন। কিন্তু এভাবে কতদিন চলবে। মধ্যবিত্তের অবস্থা করুণ। উচ্চবিত্তরা চলতে পারবে। নিম্নবিত্তরাও এক রকম চলতে পারে। মধ্যবিত্তের পেটে চর পড়লেও মুখ ফুটে না। তাঁরা অসহায় জীবন যাপন করছেন। জানিনা আমাদের মত মধ্যবিত্তের জীবন কোন অশনিসংকেত নিয়ে আসছে।
১৭টি মন্তব্য
বোরহানুল ইসলাম লিটন
সুন্দর তথ্য তুলে ধরেছেন।
সচেতন বিনে ঘটতে পারে বিস্ফোরণ
যা নিয়ন্ত্রনে আনা হবে খুবই কষ্টসাধ্য।
তাই প্রত্যেককেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন হতে হবে
সচেতন করতে হবে পাশের জনকে।
মুগ্ধতায় শুভ কামনা রেখে গেলাম আপনার জন্য।
হালিমা আক্তার
খুব কষ্ট হয় বাঙালি জাতির অসচেতনতা দেখে। জানিনা অদূর ভবিষ্যতে কি অপেক্ষা করছে। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। শুভ কামনা অবিরাম। ভালো থাকবেন।
আলমগীর সরকার লিটন
খুবি সত্যকথা বলেছেন আপু
হালিমা আক্তার
আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।
আরজু মুক্তা
লকডাউন হাস্যকর। আমরা মধ্যবিত্ত এখন টানাপোড়নে। নাভিশ্বাস।
নিজে সচেতন না হলে, অন্য কাউকে সচেতন করা সম্ভব নয়।
মাস্ক পরা জরুরি। সরকারের উচিত, এরা নট ফর সেল করা।
সুন্দর করে তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট দেয়ার জন্য, আপনাকে ধন্যবাদ।
হালিমা আক্তার
আমাদের মধ্যবিত্তের অবস্থা খুব কাহিল হয়ে পড়েছে। যারা মাক্স পড়ে না, তারা অর্থের অভাবে মাস্ক পরে না সেটা নয়। তবে আমি বলবো এটা প্রশাসনের চরম ব্যর্থতা। শুভ কামনা অবিরাম। ভালো থাকবেন।
আরজু মুক্তা
টাকার কথা বলা হয়নি। দু টাকায় বিক্রি না করে ফ্রি দিলেই পারে। এটা বুঝিয়েছি।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
করোনা আর সরকারের এই একপেশে লকডাউন মধ্যবিত্তের মেরুদন্ড একদম ভেঙে দিয়েছে। সরকার সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের বসিয়ে বসিয়ে ঠিকই খাওয়ালো আর বেসরকারি দের থেকে মুখ ঘুরিয়ে রাখলো বরাবরের মতই। ফলাফল মধ্যবিত্ত আজ নিম্নবিত্তে নেমে এসেছে কিন্তু মধ্যবিত্তের চক্ষুলজ্জা তো কেড়ে নিতে পারেনি। আর যারা লকডাউন শুরু হলেই হাজার হাজার টাকা খরচ করে রাজধানী টু গ্রাম আসা যাওয়া করে তাদের নাকি খুব অভাব, আবার লকডাউন তুলে দিলেই শপিং মল গুলো তে ধুমসে কেনাকাটা শুরু করে। হায়রে বাঙালি। আমাদের জাতির মতো এমন সৌখিন আর অনিয়মের জাতি আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। খুব ভালো লিখেছেন আপু। অফুরন্ত শুভকামনা রইলো আপনার জন্য
হালিমা আক্তার
লকডাউনের নাম শুনলেই ভয় আশঙ্কা কাজ করে। প্রতিষ্ঠান আগামীতে বেতন দিবে তো। কী হবে আগামী দিনের। করোনার দু’বছরে খুব প্রয়োজন না হলে কেনাকাটা করতে বের হই না। অথচ গলির মোড়ের মনোহারী ও কাপড়ের দোকান গুলোতে সারাক্ষণ ভিড় লেগেই থাকে। জানিনা এরা অভাবের কথা বলে এতো কেনাকাটা কীভাবে করে। আন্তরিক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। শুভ কামনা অবিরাম।
রোকসানা খন্দকার রুকু
মধ্যবিত্তের অবস্থা সত্যিই অনেক খারাপ। কি যে হবে মাঝে মাঝে ভেবে কুল পাই না। আল্লাহ ভরসা।
হালিমা আক্তার
ভাবনা চলে আসে, পরক্ষণেই মনে হয় আল্লাহ আছেন তো। তিনি নিশ্চয়ই সমস্ত মুশকিল আসান করে দিবেন। ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
সাবিনা ইয়াসমিন
যতদিন যাচ্ছে মানুষ ততোই বেপরোয়া হয়ে যাচ্ছে। খুব বেশিদিন নয়, জনসাধারণ যদি নিজ থেকে সপ্তাহ দুয়েক কঠোরভাবে লকডাউন পালন করতো তাহলে হয়তো আসল পরিস্থিতি বুঝতে পারা সহজ হতো। কিন্তু সাধারণ মানুষ এসব মানছে না। আবার উর্ধতন কর্তৃপক্ষের বিবেচনাহীন সিদ্ধান্ত গ্রহণ, পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়ন সহ সময়-সমন্বয় ব্যবস্থাপনার প্রতি উদাসীনতা, পরিস্থিতি খারাপ হবার পেছনে এসবেরও অনেক ভুমিকা রয়েছে। সাধারন মানুষের মাঝে ভয় আছে, কিন্তু সাথে অনাস্থা তৈরি হয়েছে বিধি নিষেধের প্রতি/ নির্ধারকদের প্রতি।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সহায় হোন।
ভালো থাকুন 🌹🌹
হালিমা আক্তার
মানুষের মধ্যে বিন্দুমাত্র সচেতনতা নাই। একমাত্র আল্লাহ ই জানে কি হয়। অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।
ছাইরাছ হেলাল
এই সেকেন্ড ওয়েভের পর যদি থার্ড ওয়েভ আসে আমাদের কী হবে আল্লাই জানে।
হালিমা আক্তার
পরিকল্পনা ও সমন্বয় এর অভাব এবং জনগণের অসচেতনতা সংক্রামক বাড়ার জন্য অনেকটা দায়ী। আল্লাহ সকলকে হেফাজতে রাখুন। ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
নার্গিস রশিদ
সব খোদা ভরসা। তবে এ বছরে নাকি ১০ কোটি টিকা আসবে। সামনে বছরে আরও সাত কোটি । পজিটিভ চিন্তা করতে ভালো লাগে। হয়তো একদিন সব ঠিক হয়ে আসবে। শুভ কামনা।
হালিমা আক্তার
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা।