একনজরে বঙ্গবন্ধু

মুহম্মদ মাসুদ ১৮ মার্চ ২০২০, বুধবার, ০৬:৩৫:১৪অপরাহ্ন কবিতা ৬ মন্তব্য

 

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়,

জন্ম হয় জাতির পিতার।

১৯২০ সালের ১৭ মার্চে,

নতুন সূচনার আগমন আবার।

 

গিমাডাঙ্গা বিদ্যালয়ে,

ছাত্রজীবনের সূচনা হয়।

১৯২৭ সালে সাত বছর বয়সেই,

লেখাপড়ায় মনোযোগী হয়।

 

১৯৩৮ শে ১৬ জানুয়ারিতে,

পরিচয় হয় শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের সাথে।

গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে,

বাংলার প্রধানমন্ত্রী পরিদর্শনে এলে।

 

১৯৩৯ সালের প্রতিবাদে,

কারাবরণ করে প্রথম বারে।

স্কুলের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে,

সভা করার দুঃসাহসিক নজরে।

 

১৯৩৮ সালের সময়কালে,

আবদ্ধ হন বিবাহ বন্ধনে।

১৮ বছর বয়সেই,

বেগম ফজিলাতুন্নেছা নেছার সঙ্গেই।

 

অসুস্থতার কারণে একটু বেশি বয়সে,

এন্ট্রাস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

১৯৪২ সালের অন্তরালে।

নতুল করে সাফল্য মেলে।

 

কুষ্টিয়ায় নিখিল বঙ্গ মুসলিম ছাত্রলীগে,

বঙ্গবন্ধু  যোগদান করেন।

১৯৪৪ সালের দিনক্ষণে,

আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে যুক্ত হন।

 

প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিম উদ্দিনের সময়ে,

উর্দুকে রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে ঘোষণা করেন।

১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি,

বঙ্গবন্ধু তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করেন।

 

ঢাকার পল্টনের জনসভায়,

বঙ্গবন্ধু সবাইকে হুঁশিয়ারি করে।

১৯৫৫ সালের ১৭ জুনের একই দিনে,

প্রথম পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন দাবি করে।

 

মিথ্যা মামলায় বারেবারে,

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে।

১৯৫৮ সালের ১২ অক্টোবরে,

বারবার তিঁনি কারাগার থেকে আসে ফিরে।

 

আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে,

বঙ্গবন্ধু ৬ দফার পক্ষে দেশব্যাপী ব্যাপক প্রচারণা করে।

১৯৬৬ সালের ১৮ মার্চের এই তিন মাসে,

আটবারের গ্রেফতার শেষে -শেষবার রাখে নির্জন কারাবাসে।

 

বঙ্গবন্ধুকে ১ নম্বর আসামি করে,

পাকিস্তান সরকার আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা করে।

১৯৬৮ সালের ৩ জানুয়ারির এই একই দিনে,

৩৫ জন বাঙালি সেনা ও সিএসপি অফিসারদের জড়িত করে।

 

বঙ্গবন্ধু নিজেকে নির্দোষ দাবি করে,

আদালতে লিখিত বিবৃতি দেন।

১৯৬৮ সালের ২৮ জানুয়ারিতে এই বিবৃতির সূত্র ধরে,

বঙ্গবন্ধুর মুক্তি / মিথ্যা মামলার প্রত্যাহারের আন্দেলন গণঅভ্যুত্থান রুপ নেন।

 

প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে,

আওয়ামী লীগ ২৯৮ আসন লাভ করে।

১৯৭০ সালে ১৭ ডিসেম্বরে,

এই নির্বাচনে নতুন ইতিহাস রচনা করে।

 

বঙ্গবন্ধুর ডাকে ১৯৭১ সালের ২ মার্চে,

ঢাকায় স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল পালিত হয়।

উত্তাল জনস্রোতের বিক্ষোভের শহরে,

জান্তা সরকার সন্ধ্যা থেকে কারফিউ জারি করে।

 

কারফিউ উপেক্ষা করে জনতা,

নেমে আসে রাজপথে।

সামরিক জান্তার গুলিতে মারা যায় তিন জন -আহত হয় ৬০ জনের মতো।

১৯৭১ সালের ৩ মার্চের এই ঘটনাতেও,

বঙ্গবন্ধু নির্দেশে পুরো দেশ পরিচালিত হতে থাকে।

 

রেসকোর্স ময়দানে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে,

এক যুগান্তকারী ভাষণ ঘোষণা করেন।

এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম শ্লোগানে,

শুরু হয় এক অসহযোগ আন্দোলন।

0 Shares

৬টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ