দেশোদ্রোহি-(একটি সবুজ শিশু)
- হিমেল কবি(সাহিত্য সন্তান)
জ্বলন্ত এই মশাল হাতে
ঘুরছি পথে দিকবিদিক,
কেউগো যদি পিছু পিছু-
করে আমায় ধাওয়া।
দেশকে আজি পাহাড়া দিয়ে
শুন্যে আমি আনোন্দিত-
আনোন্দিত সবুজ গাঁয়ে-
সবুজ গাঁয়ের সবুজ শিশু;
বক্ষ হতে ছিনিয়ে নিয়ে
কমোল হাতের নীল নিশান।
নবীন ঘাটে আঁচল পাতি
আজিকে আমি আনোন্দিত;
আনোন্দিত তমাল বনে-
গড়ুর পাখি শাখ বাজায়,
যুদ্ধে মেতে তরুণ যুবা,
বীর কন্যা সজ্জা সাজায়।
আসছে ফিরে নবীন কুমার-
আসছে ফিরে প্রলয় শেষে,
আজকে আমি আনোন্দিত
ঘোর বিজয়ের শেষ ক্ষণে।
উরছে খড়গ বনবনিয়ে-
মায়ের হাতে মাথার উপর,
কাটছে যে শির একেএকে
অরাতির ঐ ভাঙ্গছে পাঁজর।
জাগছে কাঁপন শরীর জুড়ে
মরণদূতে ডাকছে হায়!
আজকে আমি আনোন্দিত-
দেশদ্রোহির রক্ষা নাই।।
==========================
শান্তি প্রিয়-(একটি সবুজ শিশু)
- হিমেল কবি(সাহিত্য সন্তান)
জ্বলছে দহন বসত গৃহে-
ছুটছে কিশোর উন্মাদে,
খাঁচার ভেতর বন্দি পাখি
আজকে সে যে সুখ খুঁজে।
কাঁদায় মেতে যুদ্ধ খেলা
ক্ষুদ্দ গায়ের মানুষটি,
অস্ত্র দিয়ে করবে কি যে-
জ্বলছে যে তার চোখ'দুটি।
গলছে সিসা বুকে ভেতর
উঠছে তারি রুদ্ধ শ্বাস
ঘর-কন্যে নারীরা সব-
উঠছে জাগি দুর্বিপাক।
সবাই মিলে দূর্গ গড়ে
জ্বলছে দহন বসত গায়,
পাকিস্তানি হানাদের আজ
রক্ষা যে নাই,রক্ষা নাই।
কে যেতে চাই রণভূমে
শান্ত মোরা মানুষজন,
শরীর পুড়ায় তপ্ত রোদে
গায়ে মাখি নদীর জল।
রাত্রি জেগে চালায় পালা
গায় যে মোরা দেশের গান,
বাংলাদেশের মানুষ মোরা
গানেই খুঁজি নতুন প্রাণ।
চাইছে কে যে কেড়ে নিতে-
মোদের হতে মায়ের হাসি
দেশ যে মোদের মায়ের মতো
মাকে কত ভালো-বাসি।
আজ হতে তাই বিশ্ববাসি-
এই কথাটি রাখবে মনে
আমরা যে ভাই মুক্ত স্বাধীন
এই কথাটিই বলছি গানে।
রুদ্রাক্ষরেও লিখছি যে তাই-
লিখছি সে যে মনের ভাষায়,
লিখবো মোরা জনম ভরে,
তাল-পাতার ঐ পুঁথির'রে,
লিখবো তব পাথর গায়;
যেইখানে যা দেখতে পাই,
লিখবো কমোল আসর টেনে-
ভাসিয়ে দেবো রঙিন নায়।
আমরা মুক্ত,আমরা স্বাধীন
আমরা নাচি তা-ধি-না-ধিন,
বিশ্বজুড়ে বাঙালি যে
শান্তি প্রিয় মানুষ ভাই।।
=========================
প্রভাত-ফেরি(একটি সবুজ শিশু)
- হিমেল কবি(সাহিত্য সন্তান)
রোদেরা হাসিছে নিরালা বনে
কুহেলি কাঁপিছে শীতো পবনে,
তাহাতে ছুটিয়া চলিছে তরুণ
তুলিয়া আনিতে অরুণিতফুল।
চপোল পায়ে কেবলি ধায়-
বাঁধেনা যে তারে কোন বাঁধায়,
আজিকে তাহার হিয়ার মাঝে
জাগিয়া উঠিছে হুলোস্থুল।
শহীদ চরণে লুটায়ে দিবে সে-
অরুণো-রাঙা ফুল।।
হেরিয়া হেরে না সে বন মাথায়
চোখস রহিয়াছে পাতায় পাতায়
ঝড়িছে রক্ত খুরোধারায়-
ভরিয়া উঠিছে বন-বকুল।
শহীদ চরণে লুটায়ে দেবে সে
অরুণো-রাঙা ফুল।
তবু কভু হায়,ফিরি নাহি চায়,
ছুটি আসি পবনের রেশে-
রাখিল কমোল মিনারপদতলে
শহীদেরা জাগিলো হেসে।
উঠিলো জাগি মুক্তিরো সুর
ছাত্র-শিক্ষক আছে বহুদুর
আজিকে সাঙ্গ প্রভাত ফেরি-
শহীদ লভিল তরুণের ফুল।
========================
স্বাধিনতা,রক্ত নদী (একটি সবুজ শিশু)
- হিমেল কবি(সাহিত্য সন্তান)
স্বাধিনতা,রক্ত নদী -বইছে বুকের ভেতর
তারি মধ্যে দেখছি আমি সবুজ পতাকাটি।
স্বাধিনতা,রক্ত নদী -বইছে বুকের ভেতর
এরি মধ্যে দেখছি আমি সবুজ পতাকাটি।
স্বাধিনতা,স্বাধিনতা,তুমি মুক্তডানার পাখি।
স্বাধিন,তুমি স্বাধিনতার অন্য যে এক নাম,
স্বাধিন,তুমি সবার মনে কমোলমতি প্রাণ-
স্বাধিন,স্বাধিন,স্বাধিন নামে লিখব আমি গান।
স্বাধিনতার গানটি শুনে গায় যে ছোট্ট পাখি,
ও গায়ে এক নবীন থাকে স্বাধিন বলে ডাকি।
পাড়ায় পাড়ায় যায় রটে যায় স্বাধিনতার গান-
স্বাধিনতা লাখো শহীদের রক্তে-মাখা দান।
=========================
আদর্শ সন্তান(একটি সবুজ শিশু)
- হিমেল কবি(সাহিত্য সন্তান)
আমরা সবাই বাংলা মায়ের আদর্শ সন্তান
একতা আর সত্য দিয়ে গড়া মোদের প্রাণ
হাসি মুখে দেশ বাঁচাতে জীবন রাখি বাজি
জেলে,তাঁতি আপন সবে মিলেমিশে থাকি।
সুখ দুঃখেতে সবার মুখে হাসি উজাল রয়
রাখালিদের মুখ দেখে তাই মোদের গরব হয়।
আষাঢ় মাসে বাদল দিনে মুখর যখন ধারা
বান ডেকে যায় দুষ্টুমাতি বাদলা মেঘের পাড়া।
রুপকথার ঐ নীল পরিরা পদ্মেরি নাও বায়
হেথায় আসি বাংলা শিখে বাংলায় গান গায়।
আমরা হাসি কতক নবীন হাসে ধবল কাশ
ইচ্ছে মতো রোদ মাখে তাই ডানায় শিশু হাঁস।
স্বাধিনতার তান পেয়ে খুব চলছে বেঁকে নদী
মুক্ত ডানায় স্বাধিন লিখে উড়ছে সকল পাখি।
মাঠ ভরেছে সবুজ ক্ষেতে আর সোনালি ধান
বাংলাদেশের সব শিশুদের মুখেই দেশের গান।
=========================
ভিখারির খুনে (একটি সবুজ শিশু)
- হিমেল কবি(সাহিত্য সন্তান)
ভিখারির খুনে দু'হাত মেখে
তুমি বলেছিলে তুমি বলেছিলে।
ঠিক তুমি আমাকে বলোনি।
আমার এখনো মনে আছে
মনে আছে,হ্যাঁ,তুমিই বলেছিলে
বলেছিলে বলেছিলে বলেছিলে ।
নষ্ট শস্যের হাসি আমি দেখেছি
আমি দেখেছি।আমি তাকায় নি
তুমি বলেছিলে,চিৎকার করে বলেছিলে
থঁরহরি কেঁপে রেলের জানালা
বন্ধ হতে যাচ্ছে বন্ধ হতে যাচ্ছে...
বাঁচাও বাঁচাও অন্ধ ট্রাম ও জিপগুলি
খুরছে আমাদের স্বজনের শ্মসান।
আমি তখন বিদঘুটে অন্ধকার
আমার সমস্ত শরীরে ঘা...
লজ্জায় তাকাতে পারছি না।
ঘাতক বেঈমান দল ক্রোধে লাল মুখ নিয়ে
ফিরে যাবে,ফিরে যাচ্ছ...
ওরা রাস্তায় হামাগুরি দেওয়া
শিশুটির ওপর রোলার চাপিয়ে যাবে
ক্ষত-বিক্ষত করে যাবে বাংলার বুক।
থেঁথানো মুখ দেখে আর্তনাদ
থেঁথানো চিবুকে স্পর্শ মাত্র আর্তনাদ
আর্তনাদে আর্তনাদে চিৎপাত শুয়ে আছ।
হাজার বছর প'রে জেগে দেখবে
এ দেশে আবার শস্যর সোনালি ঘুরি হাতে;
হাঁড় কাঁপানো শীতেও উন্মাদ কিশোরটি
উন্মাদ কিশোরটি ছুটছে..ছুটছে।
রেল-লাইনের ধারে ভেজানো ফুল
ভেজানো ফুল রক্ত কাঁপনো,অশ্রু সিক্ত
ত্যাজি তরুণ;তার মুখ দেখে বলেছিলে।
হয়তো সেই তরুণ দীর্ঘ নয় মাস প'রে
খর রোদ্রে ঠাঁঠানো দীর্ঘদেহি যুবক।
নদী-মেঘমালা-অরন্যের কেয়া,সবুজ ঘাস
মেঠো পথ,জ্বলন্ত মশাল হাতে একদল অগ্রগামি কাফেলা'কে সাক্ষী রেখে বলেছিলে এ দেশ স্বাধিন হতে চলেছে।
========================
৭টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
এসব পুরাতন লেখা। নতুন লেখা দিন।
অন্য সাইটে প্রকাশিত লেখা সোনেলা ব্লগ মুছে দিতে পারে।
নীতিমালা পড়ুন। এরপর পোস্ট দিন।
ফয়জুল মহী
শুভেচ্ছা সতত।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
কবিতাগুলো একসাথে না দিয়ে আলাদা আলাদা করে দিলে খুব ভালো লাগতো। ধন্যবাদ ভাইয়া শুভ কামনা রইলো
মনির হোসেন মমি
প্রতিটি কবিতাই ভাল তবে কপিপেষ্ট করা অন্য সাইট হতে এতো কবিতা এক সাথে দিলে কোনটা রাইখা কোনটার মন্তব্য দিব সেই চান্তাই মাথা নষ্ট। লিখুন নতুন করে যার প্রথম পোষ্ট হবে সোনেলায়।মন্তব্য পাবেন গঠনমুলক। শুভ ব্লগিং।
রেহানা বীথি
আলাদাভাবে কবিতাগুলো পোস্ট করলে পাঠকদের সুবিধে হয়।
কামাল উদ্দিন
বেশী একবারে লিখলে পড়তে টায়ার্ড লাগে, একটা করে লিখলে ভালো হবে ভাইজান।
ইসিয়াক
অনেকগুলো কবিতা!
বেশ ভালো।
শুভকামনা জানবেন।