স্মৃতিগুলো যখন বর্গের ব্যস্তানুপাতিক হারে আমায় করতে চায় নস্টালজিক -
সুকান্তের ঐ পূর্ণিমার ঝলসানো চাঁদে আশ্রিত দন্তহীন বুড়িটাও হাসে - খিক খিক খিক !
বুড়িটা হঠাৎ ই তার সহস্রাব্দের কম্পনরত তাচ্ছিল্যের আঙুল তুলে দেয় চাঁদের- ঝলসানো রুটির মাঝে !
আমার অবচেতন উপদ্রুত চেতনার খাঁজে খাঁজে -
মস্তিষ্কের মৃত স্মৃতির নিউরণগুলোর ঠিক মাঝে - জমতে থাকে অগ্নুৎপাতের ফেনীল লাভা !
হিমাদ্রী শিখরে দিনশেষে অস্তমিত এক বুড়ো সূর্য্যের পান্ডুর আভা -
সমানুপাতিক হারেই আমায় করে তাচ্ছিল্য !
আমি এক সমানুপাতিক আর ব্যাস্তানুপাতিকের গোলক ধাঁধায় পড়ে যাই -
আশেপাশে তাকাই !
একি ? শূণ্যতা.......! কোথাও কেও নাই !
কল্পনা আর বাস্তবতার পাষবিক ধর্ষণে
অঙ্কের ফলাফল আসে -
' হে বেকুব ! নস্টালজিক কোন পিছুটান ই চেতনায় রাখতে নাই । '
আমি মুহূর্তেই গ্যাস ল্যাম্পে সস্তা সিগারেট জ্বালাই -
আমার অধর - ফুসফুসকে নিকোটিনে ভেজাই ;
পাকস্থলি আর যকৃতের পাঁচক রসে -
পূণ্য এক স্নানের জন্য - কুন্ডলীত ধোঁয়াগুলোকে গোগ্রাসে দেহের ভেতরে পাঠাই ।
ধোঁয়াগুলো ও পবিত্র স্নান সেরে পুণরায় ধেয়ে আসে অধরে -
আমি বুড়ো সূর্য্য আর বুড়ি চাঁদের দিকে সজোরে -
ফুঁ মারি সেই পবিত্র ধোঁয়া !
এত তাচ্ছিল্যে কি ছেলের হাতের মোয়া !!
ওরা মুহূর্তেই বেহায়া হাসি থামায় -
হয়তো বুঝে নেয় - জটিল সমীকরণ, সমানুপাত বা ব্যাস্তানুপাতের বিন্দুমাত্র স্থান নাই -
আমার উপদ্রুত এই বিদ্রোহী চেতনার মোর্চায় ।।
৭টি মন্তব্য
ব্লগার সজীব
খুবই ভালো কবিতা ভাইয়া -{@
শান্তনু শান্ত
ধন্যবাদ ভাইয়া 🙂
শুন্য শুন্যালয়
সমীকরণের হিসাবটা একটু কঠিন এবং জটিল। মিলে গেলেই দারুণ হবে, যদিও হয়ে ওঠেনা।
ভালো লাগলো বেশ।
শান্তনু শান্ত
আমাদের চেষ্টা র ফলেই এই সমীকরণ মেলানো সম্ভব।
দোয়া করবেন ভাইয়া।। 🙂
মতি মিঁয়া
“স্মৃতিগুলো যখন বর্গের ব্যস্তানুপাতিক হারে আমায়
করতে চায় নস্টালজিক”…
সাহিত্য আর ফিজিক্স এর মেলবন্ধনে লিখেছেন বেশ।এ যেন এক মিশ্রিত অনুভুতি।শব্দ শৈলি ও ছিল দারুণ।
ভাল লাগলো কবিতাটি।
শান্তনু শান্ত
থ্যাংকস মতি ভাই 🙂
বনলতা সেন
সব বুঝিনি, তবে নস্টালজিক হয়ে সব সময় বিশেষ সুবিধা হয় না।