মেলায় যাইরে
মেলায় যাইরে...প্রতিবারের মতন এবারো ঢাকায় বসছে ২১শে বই মেলা।দেশের বাংলা একাডেমির শুরু থেকেই কিন্তু এ ঐতিহ্যবাহী বইমেলাটি আরম্ভ হয়নি।এর একটি  ইতিহাস আছে।ইতিহাস থেকে জানা যায়,এক সময়ে বাংলা একাডেমিতেই চাকরি করতেন প্রয়াত কথা সাহিত্যিক,লেখক ও গবেষক সরদার জয়েন উদদীন,যিনি পরবর্তীতে জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের পরিচালকও হয়েছিলেন,তিনিই সর্বো প্রথম বাংলা বইয়ের এ মেলার আয়োজন করেন।তিনি প্রথমে তৎকালীন কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির (বর্তমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি) নিচতলায় শিশু গ্রন্থ মেলার ব্যবস্থা করেন।বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ১০ বছর পর,অর্থাৎ ১৯৬৫ সালে সেটি প্রথম অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তাতে তিনি তৃপ্ত হতে না পারেননি পরে ১৯৭০ সালে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সহায়তায় সেখানে একটি বইমেলা আয়োজন করেছিলেন। সেই বইমেলার একটি বিশেষত্ব ছিল যে,সেখানে পুস্তক প্রদর্শনের পাশা পাশি বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক আলোচনারও আয়োজন করেছিলেন তিনি।তারপর দেশ স্বাধীন হলে ১৯৭২ সালকে ইউনেস্কো কর্তৃক আন্তর্জাতিক গ্রন্থ বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তখন সে বছরই ডিসেম্বর মাসে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে একটি আন্তর্জাতিক গ্রন্থমেলা অয়োজন করা হয়। সে থেকেই বাংলা একাডেমিতে বইমেলার সূচনা।এই বই মেলাকে ঘিরে গড়ে আনন্দে সারা মাস মুখরিত থাকেন ইটের শহর ঢাকার বই উৎসুক সাহিত্য প্রেমিরা।সেই বই মেলার কয়েকজন অংশ গ্রহনকারী আমার খুবই প্রিয় যারা নিয়মিত মেলায় ষ্টল সহ বই প্রকাশের সাথে জরিত আছেন।কন্টিনিউ এই পোষ্টে চেষ্টা করব লেখক ও প্রকাশিত বইগুলোর উপর কিঞ্চিৎ আলোকপাত।


কোন  এক মহাকালে হয়তো আমরা এসেছিলাম মায়াময় এই ধরণীর তলে।হয়তো আবারো মিলিত হব একই বট বৃক্ষে তলে আর এটাই হচ্ছে আমাদের মানব জীবনের চক্রাকারের পৃথিবী।সব কিছুর সৃষ্টি যেমন আছে তেমনি আছে তার ধ্বংস।পৃথিবীতে যুগে যুগে কত মনিষী পন্ডিত বৈজ্ঞানিকের জন্ম হয়েছেন।মানব প্রয়োজনীয় উদ্ভাবণ বা আবিষ্কার করেছেন জীবনের সর্বো ক্ষেত্রের প্রয়োজনীয় উপদানগুলো।সামনে সৃষ্টি হবে হয়তো আরো অত্যাধিনীক প্রযুক্তি কিন্তু একটি বিষয়ে এখনো এবং ভবিষৎতেও আবিষ্কারকরা অঅপরাগ অথবা কখনোই সম্ভব নয় তা হলো “মৃত্যুকে বধ করা”।আর এ জন্যই মৃত্যুকে ইউনিভার্সেল ট্রুথ বলা হয়ে থাকে।
পৃথিবীতে জন্ম মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে মানুষের পদ চারণায় মানুষ,হাসি খুশি দুঃখ বেদনার মাঝে জীবনকে মুখরিত করে রাখে।পৃথিবীর চলমান এ জীবনে কেউ হয় পর থেকে আপণ কেউ বা আপণ থেকে পর।স্বার্থের পৃথিবীতে যিনি স্বার্থহীন ভাবে পৃথিবীকে জানান বিদায় তিনিই হলেন প্রকৃত মানুষ।আমার আজকের এ লেখা তেমনি কিছু মানুষকে নিয়ে যাদের জীবন সাজিয়েছেন মোমের মতন।মোম নিজে জ্বলে অন্যকে দেন আলো।
শুরুতে আমার এ দু’কলম লেখার যোগ্যতার যে স্থান তা কেবলি সোনেলা পরিবারের দান।আমি কৃতজ্ঞ সোনেলা ব্লগ পরিবারের নিকট এবং ব্লগের শ্রদ্ধের বড় ভাই ইকরাম জিসান মোঃ শামছুল এবং ছাইরাছ হেলাল ভাই।
শিক্ষকের মতন আছেন তারা ;আমাকে শিখিয়েছেন কি ভাবে লেখা লিখতে হয়।ধরিয়ে দিয়েছেন লেখার অসংখ্য ভুল বানান গুলো।এ ব্লগের তাদের অনুসারি ছিলাম আমরা তথা পুরো সোনেলা ব্লগ পরিবার।নিজ কর্মের পাশা পাশি ব্লগিং আর্তমানবতার সেবায় নিজেদের নিয়োযিত রাখছেন সর্বোক্ষণ।

হেলাল ভাইয়ের কবিতা বলতে অসুবিদা আমি মুর্খ তেমন কিছুই বুঝি না।বুঝি না মানে এই নয় যে কবিতা ভাল নয় তা নয় আসলে তিনি যে তার কবিতায় শব্দ চয়ণ করেন তা কেবলি শব্দ ভান্ডারে যারা তার সমতুল্য তারাই কেবল তার কবিতাকে আবিষ্কার করতে পারবেন।

সোনেলায় তার প্রকাশিত একটি একান্ত অনুভুতি।
অনবদ্য কাচেঁর পরী
স্বপ্ন জানো, অকস্মাৎ উড়াল জানো,
নিঃশব্দ দ্বৈরথের স্মৃতি জানো-না
তা-কী হয়!
ছায়া হয়ে সন্ন্যাস-গামী হই, সন্ন্যাস নেই,
কৈ, সন্ন্যাসী হতে-তো পরি না,
খর-চোখের আরশিতে-ও ঐ আর্যমুখ ভেসে ওঠে
ঘুম পালিয়েছে একলা ফেলে,
এই বিজু বনে।
খুব মনে পড়ে তাকে, পড়ুক বেশি বেশি করে
পড়তেই থাকুক, মনের গহীন গভীরে
অনন্ত না-সুখেও পারিনি ভুলে যেতে,
অনির্ণীত থেকে যায় তৈলাক্ত বাঁশে বানর-মারপ্যাঁচ
আর সীতানাথ বসাক!
মুখরা রমণী বশীকরণ! কে করেছে কবে কখন!
কে সে রঙ্গনাথন!!
প্রত্নবিদ্যার ছাত্র নই,
খুড়ে ফেলব তাবৎ বই;
ডায়েরীর ভাঁজে রেখে যাওয়া চুল দেখে
কুষ্ঠি নেব মিলিয়ে, ইউরেকা বলে!
ধীরে-বহা শান্ত-নদী আজও শুধুই খুঁজি;

এরপর যাকে আমি চিনি জানি এবং মানি তিনি হলেন আমার লেখা বইয়ে প্রকাশিত গুরু,জলছবি প্রকাশনের প্রতিষ্টাতা কবি গীতিকার শিশু সাহিত্যিকনাসির আহমেদ কাবুল দেশের প্রকাশনা জগতে একটি বিসস্ত প্রতিষ্টানের প্রতিষ্টাতা।তার অনেকগুলো ভাল দিকের বৈশিষ্ট্যের মাঝে একটি হলো তিনি অন্য সব প্রতিষ্টিত স্যারদের মতন নতুনদের তিরষ্কার নয় স্বাগত জানান।তিনি তার প্রকাশনায় নতুনদের সব চেয়ে বেশী প্রধান্য দেন।এবারও বই মেলায় তার জলছবি প্রকাশনের ব্যানারে অনেকগুলো বই বের হচ্ছে।বই মেলায় জলছবি প্রকাশন স্টল নং-৬৬৭
নীলকণ্ঠ জয়
তার একটি ফেবু স্ট্যাটাস এ রকম:
ধর্ম উন্মুক্ত আলোচনার বিষয় হলে দোষ কোথায় বুঝি না। আলোচনা হলেই মানুষ -এর ভুল-শুদ্ধাদি জানতে পারবে। অথচ ধার্মিকেরা বলেন,'ধর্ম নিয়ে বেশি নাড়ানাড়ি ঠিক না, ওটাই নাস্তিক্য!' ব্যাপারটা আমার কাছে অদ্ভুত লাগে। প্রত্যেক ধর্মের মানুষ অদৃশ্য কোন না কোন বিশ্বাসে বিশ্বাসী হয়েছে। নাস্তিক্যবাদও একধরণের বিশ্বাস। আর প্রতিটি ধর্মের জন্মই কোন না কোন প্রচলিত প্রথার বিরুদ্ধতা করেই।
অসাম্প্রদায়ীক মনোভাব নিয়ে বেড়ে উঠা নীলকণ্ঠ জয় সহ তার ফ্রেন্ডস সার্কেল নিয়ে গড়ে তুলেন সুবিদা বঞ্চিত লোকদের আর্তমানবতা সেবায় Ruins of proverty নামে একটি সংঘঠন।এছাড়াও কাজলা ইয়ার পোর্টের নিকট গড়ে তুলেন সুবিদা বঞ্চিত শিশুদের জন্য ফ্রি স্কুল “স্বপ্নপুর”।
নীল সাধু
এখন যার কথা বলবো তার মানবিক কার্যক্রমের পরিধি বিশাল।পাশাপাশি সে একজন সুলেখক কবি সম্পাদক এক রঙ্গা এক ঘুরির প্রতিষ্টাতা এবং মেঘফুলের কর্ণধার মাসুদ নীল ওরফে নীল সাধুসন্মানীত এই বড় ভাইটিকে চিনি আমি প্রথম আলো ব্লগ থেকে,,এর পর তার পিছু আর ছাড়িনি।এখন অব্দি তার সাথে তাদের মানবিক বিভিন্ন উন্নয়ণমুলক কাজে অংশ গ্রহন করার চেষ্টা করি।
প্রতি বছরেই বই মেলায় তাদের স্টল থাকে এবারও আছে।স্টল নং ৬৫৪
প্রকাশিত বইগুলোর জানতে বা পেতে যোগাযোগ করুন।এবং
নীল সাধুর একটি ম্যাসেজ
আজ হতে পুরো মেলার সময়টায় (ফেব্রুয়ারী র ২৮ তারিখ পর্যন্ত) ঘুড়ির সুপ্রিয় লেখক কবি সাহিত্যিক বৃন্দ বই এবং বই সংক্রান্ত সকল বিষয়ে যোগাযোগ করুন ,,,
ইকু Iqbal Mahmud Iqu অয়ন অয়ন আবদুল্লাহ নাবিক Tanvir Hossain এর সাথে।এই টিম আপনাদের সকল কিছুর দিকে খেয়াল রাখবে।
তারপরেও যদি কোন অসুবিধা বা সমস্যা বোধ করেন তবে প্লিজ তুষার Mehedi Hasan Tushar অথবা শিমুল Sheemul Ahmed এর সাথে কথা বলবেন।
আমরা আমাদের সকল প্রিয় লেখক লেখিকা কবি সাহিত্যিক স্বেচ্ছাসেবী বন্ধুদের নিয়ে আনন্দ হাসি গান উচ্ছাস নিয়ে পুরো মাসটি কাটাতে চাই।
আমরা বই সংগ্রহ করবো, বই পড়বো এবং বই উপহার দেবো।
ধন্যবাদ।
এক রঙ্গা এক ঘুড়ি প্রকাশনী
৩২/২ শুক্রাবাদ, মোহাম্মদপুর,
ঢাকা ১২০৭

শিপু
অন লাইন জগৎটা একটা বিশাল জগৎ।এখানে আজকে যার সাথে হলো পরিচিয় কিছুক্ষণ বা কিছুদিন পর আর তার গন্ধও খোজেঁ পাই না।এমন পরিস্থিতি আমার ভাগ্য ভাল যে
কিছু মানুষের সাথে সখ্যতা রয়েছে বহু বছর যাবৎ।তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ যে তারা আমাকে তাদের সাথে ফেবুক ব্লগে বন্ধু করে রেখেছেন।বলা বাহুল্য তারা প্রত্যেকেই স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্টিত।
বড় মজার মানুষ সে দেশের বড় ব্লগ সামুর এক সময়কার আলোচিত ব্যাক্তি ছিলেন।ব্লগের তিক্ততার কারনে অনেকের মতন সেও ব্লগ বিমুখ হয়ে ফেবুকে এখন ২৪ ঘন্টা।তার সাথে কয়েকবার সাক্ষাতে তাকে দেখে একটুও মনে হয়নি যে তার মনে কোন অহংকার আছে।একদম বলা চলে মাটির মানুষ।সেও আর সবার মানবিক কার্যক্রমে যুক্ত আছেন।এবং বর্তমানে খুব ব্যাস্ত ব্লক ইট তৈরীতে।রাজা ব্লক নামে সে তার প্রতিভা ছড়িয়ে দিচ্ছেন দেশের সর্বোত্র।
জায়েদ হোসাইন লাকী
কি বলব তার কথা তবে বলতে হয় এ যুগে এতো মজার মানুষ আছে বলেই জগৎটায় এখনো রসবোধ বিদ্যমান।জীবনের ঘানি টেনে টেনে যখন ক্লান্ত দেহমন ফেবুকে তখন তার স্ট্যাটাস দেখলে হাসতে হাসতে মরা রোগীও যেন খাড়া হয়ে যায়।দেশের সাহিত্য ভান্ডারে তার কবিতা গল্প যেন সম্মৃদ্ধি এনে দিয়েছেন।তার সম্পাদিত ত্রৈমাসিক সাহিত্য দিন্ত।নতুন নতুন গল্প কবিতা সৃষ্টি করছেন।
প্রকাশিত তার বইগুলো
দীপ মাহমুদ
বাংলা একাডেমী ও এম নুরুল কাদের শিশু সাহিত্য পুরস্কার সহ সাহিত্যের বিভিন্ন মাধ্যমে একাধিক পুরস্কারে ভূষিত একজন সমসাময়িক প্রতিষ্টিত লেখক তিনি।।তার লেখায় আমি মুগ্ধ।এবারের বই মেলায় রোহিঙ্গা জনগোষ্টি নিয়ে বের করেছেন “ভূমি রেখা”একটি জীবন ভিত্তিক জীবনের টান পোড়ন নিয়ে একটি বই।

কাহিনীর সার সংক্ষেপ
নুরতাজের শরীর ভারী হয়ে এসেছে। কোমরে হাত রেখে টেনে টেনে হাঁটে। এভাবে হাঁটতে ভালো লাগে। কপালে চিকচিকে ঘাম। মুখে প্রশান্তির হাসি। গর্ভের সন্তান বড্ড বেশি নড়াচড়া করে। নুরতাজ আলতো করে নিজের পেটে হাত রাখে। আদর মাখা গলায় বলে, 'মাকে দেখতে ইচ্ছে হয়? খুব বেশি? আচ্ছা আমি সেজেগুজে থাকব। তুই জন্মেই বলবি, ইয়া আল্লাহ্, আমার মা কী সুন্দর! তাকে দেখতে পরির মতো লাগে।'
গ্রামের ডাক্তারের কাছে এসে ধপ করে বসে পড়ে নুরতাজ। অল্প হেঁটেই কাহিল হয়ে পড়েছে। সন্তান আর গর্ভে থাকতে চাইছে না। সে আলোবাতাস দেখবে। নুরতাজের প্রথম সন্তান হবে। জাবেরের পিতা হওয়ার আনন্দ উথলে উঠছে।
নুরতাজের ব্যথা উঠেছে। সে জাবেরের হাত আঁকড়ে নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে ব্যথা সহ্য করার চেষ্টা করছে। ব্যথা সহ্য হচ্ছে না।
চমকে উঠেছে জাবের। মংডু আগুনে জ্বলছে। কয়েকদিন ধরে শোনা কথা বুঝি সত্যি হলো! বর্মি সেনাদের সাথে মগরা এসে বলেছিল, 'এই দেশ তোদের না। তোরা এই দেশ ছেড়ে চলে যা।'
নুরতাজের হাত থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে নিয়েছে জাবের। সে বাড়ির দিকে দৌড় শুরু করেছে। তার বাড়ি আগুনে পুড়ছে। বাড়িতে দাদা আছেন। মা আছেন। গোরু আছে, জমির ফসল তুলে রেখেছে। সেনাবাহিনী বাড়িতে আগুন দিয়েছে। আগুনে মা পুড়ছেন, চাষের গোরু পুড়ছে, জমির ফসল পুড়ছে। মা ডাকছেন, 'ও জাবের! আয় বাপ। ওরা আমাদের পুড়িয়ে মেরে ফেলল।'
জাবের দৌড়াচ্ছে। নুরতাজ তার পেছনে। ভারী শরীর নিয়ে দৌড়াতে গিয়ে সে পিছিয়ে পড়েছে। আচমকা থমকে গেছে জাবের। দাদার মুখের ভেতর অস্ত্রের নল ঢুকিয়ে গুলি করে মেরেছে বর্মি সেনা। জাবের উলটে মুখ থুবড়ে পড়েছে মাটিতে। খুব কাছ থেকে সেনাবাহিনীর ছোড়া বুলেট তার বুক এফোঁড়-ওফোঁড় করে দিয়েছে। অং থু ছুটে এসেছে। তার হাতে খোলা ছুরি। আগুনের আলোয় বিশাল ছুরি ঝলসে উঠেছে। মাটিতে পড়ে আছে জাবের। দিলশাদ ভাইকে দেখে ছুটে এসেছে। জাবের হাত বাড়িয়েছে তার দিকে। অং থু ঝটকা দিয়ে টেনে ধরে সেনাবাহিনীর গাড়িতে ছুড়ে দিয়েছে দিলশাদকে। জাবেরের দেহে প্রাণ আছে এখনো। সে গোঙাচ্ছে। ছুরি হাতে অং থু এগিয়ে এসেছে। ছুরি চালিয়েছে জাবেরের গলায়। গোঙাতে গোঙাতে জাবেরের ছটফটে দেহ নিথর হয়ে এসেছে।
দাঁড়িয়ে পড়েছে নুরতাজ। সামনে তার বাড়ি পুড়ছে। পোয়াতি সংসার। বাড়িতে যেতে হলে স্বামীর লাশ ডিঙিয়ে যেতে হবে। পেটের সন্তান নড়ে উঠেছে। সে বাঁচতে চায়। পৃথিবীর আলো দেখবে বলে আকুল হয়ে হাত-পা ছুড়ছে। নুরতাজ ফিসফিস করে বলল, 'ভয় পাস না। শক্ত হয়ে থাক। আমি তোকে বাঁচাব। আমি তোর মা।'
নুরতাজ বাড়ির পথ ছেড়ে ডানদিকে ছুটতে লাগল। ওদিকে নাফ নদী। ওপাশে শাহপরীর দ্বীপ।
নুরতাজ দুই হাতে পেট চেপে ধরে ছুটছে। নাফ নদী পেরুলেই বাংলাদেশ। স্বাধীন এক দেশের ঠিকানা।
এখান থেকেই "ভূমিরেখা" উপন্যাসের মূল কাহিনি শুরু। কিংবা বলা যায় এখান থেকেই "ভূমিরেখা" উপন্যাসে কাহিনি নতুন মোড় নিয়ে ভিন্নমাত্রা পেয়েছে।
"ভূমিরেখা একজন সাহসী নারীর গল্প। "ভূমিরেখা" দেশহীন মানুষের কাহিনি। তীব্র দেশপ্রেম আর ভালোবাসার গল্প।

এ বি এম সোহেল রশিদ
একজন প্রতিষ্টিত লেখক ও অভিনেতা।তার সাথে আমার তেমন কোন সরসরি সাক্ষাৎ না হলেও অনলাইনে যোগাযোগ সব সময়।একজনসাদা মনের মানুষ।সাহিত্যকে সম্মৃদ্ধ করতে দেশের বিভিন্ন স্থানে গড়ে তুলেন অনুশীলন সাহিত্য পরিষদ নামে এক সংগঠন।প্রতি বারের মতন এবারো বই মেলায় বের হচ্ছে তার নতুন বই।

রুদ্র আমীন

সম বয়সী রুদ্র আমীন একজন তরুণ লেখক।।বয়সে তরুণ হলেও লেখার পরিপক্কতা কোন প্রতিষ্টিত সিনিয়র লেখকদের চেয়ে কম সে নয়।তার এ যাবৎ অনেকগুলো বইয়ের মধ্যে থেকে “আবিরের লাল জামা” প্রকাশিত বইটি আমাকে বেশ আকৃষ্ট করে।এবারও তার নতুন বই বের হয়েছে।এ ছাড়া তার বন্ধুদের প্রতি অকৃত্রিম আছে বন্ধু ব্লগ আছে অন লাইন পত্রিকা নব বার্তা।

চলবে….

0 Shares

৮টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ