কিছুদিন আগে অশীতিপর একজন মায়ের ছবিসহ খবর দেখেছিলাম, তাঁর জায়গা হয়েছে গোয়াল ঘরে।
কতোটা অভাগী হলে পাঁচ পাঁচটি সন্তান থাকার পরও একজন মায়ের জায়গা হয় কি না গোয়াল ঘরে! মনুষ্য জগতে এও কি সম্ভব?
ভাগাভাগি আর রেষারেষির বেড়াজালে পড়ে অশীতিপর এক বৃদ্ধ মায়ের এমন দুর্গতি অচিন্তনীয়! এ মাতৃত্বের অবমাননা!
পরদিন বন্ধু ম্যারিনা নাসরিন সেই মা'কে দেখতেও গিয়েছিলেন ময়মনসিংহের একটি হাসপাতালে। তাঁর কাছ থেকেই জেনেছিলাম অই মায়ের দায়িত্ব সরকারপ্রধান নিজে নিয়ে নিয়েছেন।

(বাবার ছবিটি পরে দিচ্ছি)
আর গতকাল জানা গেলো, তিন তিনটা সম্পদশালী (যে সম্পদ আবার বাবাই গড়ে দিয়েছেন) পুত্র সন্তান থাকার পরও এক বাবাকে ঘরছাড়া হয়ে পথের ধারে পড়ে থাকতে হয়। শেষমেশ মৃত্যুর পর তাকে বেওয়ারিশ লাশ (আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলাম বেওয়ারিশ লাশই দাফন করার দায়িত্ব পালন করে) হয়ে জীবনের পরপারে যেতে হয়েছে!

আহ! পিতামাতার প্রতি সন্তানের অবহেলা!!!!
ছোটবেলা পড়তাম পিতামাতার প্রতি সন্তানের কর্তব্য আর বৃদ্ধ বয়সে পৌঁছার আগেই দেখছি অবহেলা। শুধু অবহেলাই নয়, চরম অবহেলা। একজন মা, একজন বাবার জন্য এর থেকে বড় ট্র্যাজেডি আর কিছুই হতে পারে না।

কত্তো যত্ন করে শিশুবস্থায় মা-বাবারা সন্তানদের লালন-পালন করেন। কত্তো ভালোবাসা, কত্তো মায়া-মমতা দিয়ে হাঁটতে চলতে শেখান, বড় করে তুলেন। অথচ বৃদ্ধকালে যখন তারা অবুঝ হয়ে যান, তখন দায় এড়িয়ে সন্তানরা তাদের অস্বীকার করে বসি! কি জীবন!!!
জন্মঋণ হোক, লালন-পালন ঋণ হোক আর ভরণপোষণ ঋণই হোক, সব দিক থেকেই তো সন্তানরা পিতামাতার কাছে দায়বদ্ধ অথচ কি অবলীলায় অস্বীকার!

এজন্যই কি লোকে বলে, কুপুত্র থেকে নিপুত্র ভালো?

0 Shares

৩টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ