১৯৯২ সালে সোমালিয়ায় জাতিগত দাঙ্গা শুরু হয়। সোমালিয়ার যুদ্ধ এর চেয়ে এখানকার দুর্ভিক্ষ ছিল ভয়াবহ ~~ যা দেখেছে সারাবিশ্ব। আসুন জেনে নিই এই দুর্ভিক্ষের আসল কারন।
মোহাম্মদ ফারাহ আইদিদ ছিল সবচেয়ে নৃশংস যুদ্ধবাজ নেতা।তার বাহিনীর দখলে ছিলো সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসু। আইদিদের প্রধান মারণাস্ত্র ছিল ক্ষুধা। যুদ্ধ ও ক্ষুধাপীড়িত মোগাদিসুতে রেডক্রস ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি প্রচুর খাদ্য ত্রাণসামগ্রী পাঠাচ্ছিল ~~ কিন্তু আইদিদ বাহিনী বন্দরে ভেড়ামাত্র সবকিছু জব্দ করে নিজেরা নিয়ে যেতো,একটা দানা শস্যকণা ও জনগণ পেতনা ~~ এরই ফলশ্রুতিতে অনাহারে মারা যায় ৩ লক্ষ মানুষ ।
অবশেষে বিশ্ববিবেক ও যুক্তরাষ্ট্র রুখে দাঁড়ায়।২০ হাজার মার্কিন মেরিন সেনা ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর তত্ত্বাবধানে মোগাদিসুতে খাদ্য ও ত্রাণ পৌঁছানো হয় ও কিছুটা শৃঙ্খলা ফিরে আসে। ১৯৯৩ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত এ অবস্থা ছিল। এ সময়টা আইদিদ বাহিনী ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করেছিল।
মেরিন ফোর্স ফেরত যাওয়া মাত্র আইদিদ অবশিষ্ট জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করে। জুন মাসে একদিনে ২৪ জনকে হত্যা করে তারপর আমেরিকান সৈন্যরা মারা যেতে থাকে তাদের হাতে। এর প্রতিশোধ নিতে ও মোগাদিসুতে আইদিদ বাহিনীকে ধংস করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে আগস্ট মাসে পেন্টাগনের সিদ্ধান্তে আমেরিকান এলিট ফোর্স, " ডেল্টা ফোর্স " "আর্মি রেঞ্জার্স " এবং ১৬০ তম " সোয়াট বাহিনী " কে অভিযানে পাঠানো হয়।
~~ এ মিশনের সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছিল তিন সপ্তাহ। কিন্তু ছয় সপ্তাহেও বিজয় অর্জিত না হওয়ায় ওয়াশিংটন অধৈর্য হয়ে পড়ে এবং এক ভয়ানক শ্বাসরুদ্ধকর মিশন হাতে নেয় ~~ যার নাম ছিল " Black Hawk Down "
এই নামেই এ মিশনটি চলচ্চিত্রায়িত হয়েছে।
দারুণ সিনেমা ~~~ যারা এখনো দেখেননি তারা দেখতে পারেন ।।
৯টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
ঘটনাটি জানতাম
তবে এটি নিয়ে মুভি হয়েছে জানতাম না।
ডাউনলোড দিয়েছি—
ধন্যবাদ শেয়ারের জন্য।
স্বপন দাস
ধন্যবাদ জিসান ভাই, ব্লগে আমার যেটুকু লেখা, তার সবকিছুর পিছনে আপনি।ছবিটাও আশাকরি ভাল লাগবে।
লীলাবতী
মুভি রিভিউ ভালোই লিখেছেন।বাস্তব ঘটনার উপর মুভি,দেখতেই হয় 🙂 নিয়মিত হোন এখানে দাদা।
স্বপন দাস
ধন্যবাদ লীলাবতী, আসলে আমার যে পেশা তাতে সময় বের করাটা খুবই কঠিন, তবুও মাঝেমাঝে চেষ্টা করি।
ব্লগার সজীব
দেখতে হবে মুভিটি।ধন্যবাদ।
স্বপন দাস
ধন্যবাদ আপনাকেও।
শুন্য শুন্যালয়
ছোট্ট রিভিউ তেই দেখার তীব্র ইচ্ছে জাগালেন। দেখবো অবশ্যই। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
স্বপন দাস
আসলে এটা পুর্ণাংগ মুভি রিভিউ নয় — মুভি শুরুর আগে স্ক্রিন এ এটুকু বলে দেয়া আছে। ঘটনা পুরা সত্যি বলেই লিখলাম। ধন্যবাদ।
অনিকেত নন্দিনী
সোমালিয়ার দুর্ভিক্ষপীড়িত লোকজনের ছবি দেখেছি প্রচুর কিন্তু এ নিয়ে মুভি আছে তা জানা ছিলো না। মুভিটি অবশ্যই দেখতে হবে।
অনেক ধন্যবাদ দাদা।