করনা সংক্রান্ত বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কিছু কথা:-

যে কোন বিপদ কালিন সময়ে মোকাবেলা করার জন্য চাই ধর্য্য, সাহস ও দ্বায়িত্বপূর্ণ আচরন। উদ্ধেগ,উৎকন্ঠা, আমাদের মনের  উপর একটি বাড়তি চাপ তৈরী করে।  এমনিতেই আমাদের মত দেশের মানুষের  প্রতিনিয়ত জীবন জীবিকার জন্য একটি চাপ রয়ে যায় সবসময়।

তবুও একজন সচেতন নাগরিক হিসাবে আপনি কিভাবে আপনার পরিবার- আত্মীয় স্বজনদের নির্ভরতা দিবেন ও কিছু দায়িত্ব পালন করতে হবে সমাজের প্রতি। আর সে দায়িত্ব কেমন হবে?

১। আপনার কাছের ব্যক্তি যারা আপনার আস্থাভাজন তাদের পরামর্শ নিন এবং মানষিকভাবে শক্ত থাকুন।

২। গুজবে কান দিবেন না। পরিবারের সংগে সুশৃঙ্খল ভাবে  সময় কাটান। সময় মতো, ঘুম খাবার ও হালকা ব্যায়াম করুন। নিজ বাড়ীর আঙ্গিনায় একটু হাটাহাটি করুন। পর্যাপ্ত পানি পান করুন। সুষম ও সদ্য তৈরী খাবার খাবেন। বাসি খাবার পরিহার করুন। ধুমপান ও এলকোহল ও যে কোন নেশার অভ্যাস পরিহার করুন।

৩। দীর্ঘ সময় ঘরে থাকার কারণে এমনিতেই মন খারাপ হওয়াটা স্বাভাবিক।  তাই একঘেয়েমি দূর করতে ধর্মীয় প্রার্থনা ও আমল করতে পারেন। আপনাদের পছন্দের বই পড়ুন , গান শুনুন,পছন্দের মুভি দেখুন, কাছের ব্যক্তিদের সাথে ফোনে আলাপ করতে পারেন। দূরের বন্ধুকে ইমেইল বার্তা পাঠাতে পারেন। বাচ্চাদের ইনডোর গেইম এ উৎসাহিত করতে পারেন। এতে করে আপনার ও পরিবারের সদস্যদের মানষিক চাপ কমে আসবে। আপনার পাশের জনকে মানষিক  চাপ কমাতে পরামর্শ দিতে পারবেন।

৪। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকতে বা কমাতে তথ্যযুক্ত স্বাস্থবিধি সংক্রান্ত বিশ্বাসযোগ্য সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যর ওপর বিশ্বাস রাখুন ও তা মেনে চলুন।

৫। তথ্যর জন্য বিশ্বসাস্থ্য সংস্থা, সেন্টার ফর   ডিজিট কন্ট্রোল (সিডিসি) ওয়েব সাইট ও বাংলাদেশ স্বাস্থ্য  মন্ত্রোনালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ও বিশেষজ্ঞের দেওয়া তথ্যের উপর আস্থা রাখুন।

৬। সব সময় করোনা ভীতি নিয়ে পড়ে থাকবেন না। মনে বাখবেন এ সময়ে শিশু ও বৃদ্ধাদের মনের উপর বেশী চাপ পড়ে। তাই তাদের প্রতি সদয় ও বিশেষ যত্ন নিন।

৭। সামাজিক যোগাযোগে যেহেতু দূরত্ব তাই ফোনে প্রতিবেশির খবর নিন। খাবারের প্রয়োজন হলে  আপনার সাধ্য অনুযায়ী  ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় যে সকল সংস্থা সাহায্য প্রদানে রত তাদের অবশ্যই অবহিত করুন।

৮। কেউ করেনায় আক্রান্ত হলে দূরত্ব বজায় ও পি পি ই  ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় সহায়তা করুন।

৯। পরিবারের কোন সদস্য করোনায় আক্রান্ত হলে তাকে একা করে দিবেন না। দূরত্ব ও প্রতিরোধক ব্যবহার করে তার যত্ন নিন যাতে করে দ্রুত আরোগ্য লাভ করে।

১০। যদি পরিবারের শিশু আক্রান্ত হয় তবে  প্রতিরোধক (পি পি ই) ব্যবহার করে তার সাথেই থাকুন ।

মনে রাখবেন সঠিক পরিচর্যা,পরিস্কার, পরিচ্ছন্ন ও মনোবল অটুট থাকলে করোনাকে পরাজিত করা সম্ভব।

পরিরারে গুরতর আক্রান্ত ব্যাক্তির অবস্থা দ্রুত হাপাতালে যোগাযোগ করুন। চিকিৎসকই প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থ গ্রহন করবেন।

নিয়মিত সাবান মেখে ২০ সেকেন্ড ঘসে হাত ধৌত করুন, মাস্ক ব্যবহার করুন, প্রয়োজনে পিপিই ব্যাবহার করুন, প্রয়োজন না হল ঘরে থাকুন।

সৈয়দা শাহানাজ পারভীন।
ধানমন্ডি, ঢাকা।
০১ জুন ২০২০।

0 Shares

১৮টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ