আসলে আমাদের জাতীয় চরিত্র হয়ে গেছে উল্টো।আমাদেরকে যা নিষেধ করা হয় আমরা তা মানতে নারাজ। যেখানে মানা বা নিষেধ সেখানে আমরা না মানা বা আইন অমান্য করতে মরিয়া হয়ে উঠি। যেমন ধরুন সড়কে চলাচল করতে যানবাহন এবং পথচারীদের সুনির্দিষ্ট কিছু আইন কানুন মেনে চলতে হয়। অথচ আমরা দেখি সড়কের যত্রতত্র অবৈধ গাড়ি পার্কিং গড়ে উঠেছে, যেখানে সেখানে যাত্রী উঠানামা করছে, অহেতুক অযথা উচ্চস্বরের হর্ণ বাজিয়ে নাগরিক জীবনে শব্দদূষণ সৃষ্টির পাশাপাশি শিক্ষাঙ্গন, হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে মানুষকে অসহ্য আর অতিষ্ট করে তুলছে। মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে মানুষকে গাড়ি চাপা দিচ্ছে। পাশাপাশি পথচারী মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে গাড়িচাপা পড়ে বা ট্রেনে কাটা পড়ে বেঘোরে প্রাণ দিচ্ছে। ভাসমান হকাররা বা সড়কের পাশের দোকানদাররা ফুটপাত দখল করে মানুষের নির্বিঘ্নে নিরাপদে চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে। চালকরা অযথা অহেতুক একে অপরকে ওভারটেকিং করতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে মানুষের প্রাণ নেয়ার পাশাপাশি অনেককেই সারা জীবনের জন্য পঙ্গু করে ফেলছে। শধু কি তাই ! বৈশ্বিক প্রাণঘাতী মহামারী করোনাভাইরাস মার্চ মাসে যখন এদেশে সংক্রমণ এবং মানুষের প্রাণ কেড়ে নিতে শুরু করলো তখন সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশ আর লকডাউন উপেক্ষা করেছে যেন সানন্দে। যেহেতু আইন, সেহেতু তা ভঙ্গ করতেই হবে। মসজিদ যখন বন্ধ করে দেয়া হল তখন হঠাৎ করে মুসল্লির সংখ্যা বেড়ে গেল।পরে যখন মসজিদে বিধি-নিষেধ এবং লকডাউন শীতিল করে দেয়া হল তখন দেখা গেল মসজিদে মুসল্লির সংখ্যা হ্রাস পেতে লাগলো আর অনেকেই ফেসবুকসহ বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে ঘোষণা দিতে লাগলে আমরা ঘরে আছি আপনিও ঘরে থাকুন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। বর্তমানে সবকিছু ধীরে ধীরে উন্মুক্ত করে দেয়া হচ্ছে আর বলা হচ্ছে অবশ্যই মুখে মাস্ক ব্যবহার করুণ আর তাতেই যেন আমাদের যতো অনীহা। মাস্ক না পড়লে জরিমানা করা হচ্ছে তথাপি আমরা আইন কানুন নিয়ম নীতি মানতে নারাজ তাই কে শুনে কার কথা !
৯টি মন্তব্য
তৌহিদ
এদেশে আইন আছে, প্রয়োগ নেই। আবার আমরা অনেকেই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নই। যেন আইন না মানাটাই অনেকসময় ফ্যাশনে পরিনত হয়েছে অনেকের কাছে। নিজেদের বিবেক জাগ্রত না হলে আইন করেও কোন লাভ নেই।
চমৎকার লিখেছেন ভাই। শুভকামনা রইলো।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
আপনি সঠিক জায়গায় আঘাত করেছেন। অনেকেরই ধারণা আইন না মানা একটা ফ্যাশন। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য। শুভেচ্ছা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ভাইয়া আপনার এমন সমসাময়িক বিষয়কে উপস্থাপন খুব ভালো লাগে। আমরা নিয়মকে কখনোই মানার শিক্ষা পাইনা; পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র কোথায় নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধা আছে? নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখানোই যেন আমাদের বাহাদুরি। অথচ তাতে করে নিজেদের ক্ষতি হচ্ছে বেশি, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য হুমকি স্বরূপ সেটা বুঝতেই পারছিনা বা চাচ্ছিনা। রাষ্ট্র কে আমরা মেরুদন্ড হীন করে দিচ্ছি অনিয়মের জাঁতাকলে পিষ্ট করে।
অনেক অনেক শুভকামনা রইলো। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
আপনাদের সুচিন্তিত এবং মূল্যবান মতামত আমাকে অনুপ্রানিত করে। শুভেচ্ছা।
রোকসানা খন্দকার রুকু
এটাই বাঙালির চরিত্র। যেটা করা যাবেনা সেটাই করতে পছন্দ করি। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে এত আইন নেই কিন্তু প্রথা ও প্রয়োজনকে তারা আইন মেনে চলে। এজন্যই তারা সভ্য জাতি। আর মুসল্লিদের কথা বলিয়েন না নাস্তিক হয়ে যাবেন। যেগুলা জীবনে নামাজ পড়ে না তারাই মসজিদ খোলার জন্য ফেসবুক গরম করে বেশি।
যাই হোক এই মহামারীতে আমরা কেন ভালো আছি এটাই ভাববার বিষয়। শুভ কামনা রইল ভাইয়া।🌹🌹
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
আপনার মূল্যবান এবং গুরুত্বপূর্ণ মতামতের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপু। সুস্থ আর ভলো থাকবেন
আরজু মুক্তা
এগুলো সব ঠিক। আবার আর্মিদের সামনের রাস্তায় সব ঠিক। আসলে মাইর ছাড়া বাঙালি ঠিক হবে না।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
সঠিক কথা বলেছেন আপা।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
দিদি আপনাদের সুচারু মন্তব্য এবং উতসাহ আমার লেখার অমূল্য সম্পদ। শুভ কামনা অফুরান।