ঢেউয়ের কাছে চোখ নামালে নৌকার দাঁড় শিউরে উঠে!
গরিব মাঝির পেটে সদ্য দুপুরের গরম ভাত, কাঁচালঙ্কা, কাতলা মাছের ঝোলের গন্ধ
ন্যাপথলিনের মত ছড়িয়ে পড়ে!
বাটা কোম্পানির ছেঁড়া জুতো দিয়ে,মহাকাশের সন্ধ্যাতারা দেখতে দেখতে
ঝপাৎ ঝপাৎ শব্দ করে নৌকাটি এগোতে লাগল!
সারাদিনের কটা টাকা রোজগারের পর বাড়ি ফেরে
বৌ এর মুখের দিকে তাকালেই চোখ দিয়ে জল বেরিয়ে আসে!
ভিখারির ঘরে কেন ক্যান্সার রোগ হয়? সেটা জানতেই নৌকার দিকে বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে!
বরফের হাতুড়ী দিয়ে কি মনের আগুন নেভানো যায়?
কাঙালের অর্থের ক্ষিধা কি শুঁকনো লঙ্কার ঝালে মেটানো যায়?
রক্তের অনুচক্রিকাগুলি ফেটে প্রতিবাদ করছে গরিবের মোটা চামড়ার দেহে!?
১১টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
এমনই হয়
গরীবদের ক্যান্সার কেন হয়, সৃষ্টিকর্তাই ভালো জানেন।
ভালো লিখেছেন
ব্লগে সময় বাড়ানো কি যায় না?
শুভ কামনা।
তানজির খান
দারুন লিখেছেন দিদি।
”গরিব মাঝির পেটে সদ্য দুপুরের গরম ভাত, কাঁচালঙ্কা, কাতলা মাছের ঝোলের গন্ধ
ন্যাপথলিনের মত ছড়িয়ে পড়ে!”
অসাধারণ শব্দ চয়ন ছিল পুরো কবিতায়।
মোঃ মজিবর রহমান
গরিবের হবে নাত কার হবে শুনি!
বড়র টাকার কাছে হারতে যাবে নাকি!
যতই ভুলান ভুল্ব না।
লিখুন টাড়াতারি।
অরুনি মায়া
ভয়াবহ রোগ ক্যান্সার | ফলাফলে মৃত্যু প্রায় নিশ্চিত | ধনী গরিব কাউকেই রেহাই দেয়না |
শুন্য শুন্যালয়
দারুন আপনার কবিতাগুলো, এটাও ব্যতিক্রম নয়। গরীবের অর্থের ক্ষুধার জ্বালা আমাদের মাথার ধার দিয়েও যাবেনা।
মিথুন
বরফের হাতুড়ী দিয়ে কি মনের আগুন নেভানো যায়? অর্থের অভাব কোনকিছুতেই মেটানো সম্ভব না, মাঝিরাই এটা বুঝবে, আমরা হয়তো বড়জোর কবিতা কিংবা গল্প লিখতে পারবো।
মরুভূমির জলদস্যু
:D) বাটা কোম্পানির ছেঁড়া জুতো দিয়ে,মহাকাশের সন্ধ্যাতারা দেখতে দেখতে
বিষয়টা ঠিক বুঝলাম না।
প্রলয় সাহা
মারাত্মক একটি লিখা। কবিকে অভিবাদন।
নীলাঞ্জনা নীলা
একেই বলে লেখনী। দিদি আমি আপনার লেখার মধ্যে ডুবে যাই।
অসাধারণ লেখা। প্রিয়তে নিলাম। -{@
ফ্রাঙ্কেনেস্টাইন
অসাধারণ লাগলো লেখাটা 🙂
আবু খায়ের আনিছ
অসুস্থার উপরে কোন কথা নাই।