রমজান এলে লোভের রাক্ষস তেল-মাখা-শরীর নিয়ে জিরোনো-শেষে
বসে যায় ধীর স্থিরতায়, খেয়ে ফেলবে পৃথিবীর সকল লব্য-চোষ্য-লেহ-পেয়,
প্রতিটি অবশিষ্ট থেকে উচ্ছিষ্ট, ইট, কাঠ, পাথর, লেখাজোকা, ডায়াপার, ভাঙ্গা চশমা,
শিশুর খেলনা, ঘড়ি, কসমেটিক থেকে সোনা-দানা, কাঁচা বাজার থেকে সুউচ্চ শপিং মল;
গম গম করে আওয়াজ ওঠে, চাই আরও চাই, এ যেন বিধাতার দেয়া আজন্ম রেওয়াজ!!
হাত-কুড়ালে পেট চিরে ফাঁকা করে রাখলে
কেমন দেখায় কে জানে!! মাত্র তো মাস দেড়েক।
তিনি এখন ঘুমে,
লোভের শয়তান শিকল ফেলে পালিয়েছে
অ-বেলায়, দূরে, বহু দূরে।
৩০টি মন্তব্য
রিতু জাহান
আমি ফাস্টু
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই রিতুজি!!
রিতু জাহান
চাওয়ার শেষ নাই।
এ পৃথিবী দিতে কার্পন্য করে না হয়তো দিতে। তাই তো চাই চাই। সাথে দুঃখও চাই।
দুঃখ বিলাসী আমি দুঃখ চাই।
ছাইরাছ হেলাল
বুঝতে পারছি, আপনি কবিতা চাষী।
নীরা সাদীয়া
এটাতো রোজার উদ্দেশ্য নয়, আমরা বরং করি উল্টোটা।
সহজ সত্যকে তুলে ধরেছেন।
ছাইরাছ হেলাল
কঠিন সত্যকে কে তুলে ধরেছি।
ধন্যবাদ।
আবু খায়ের আনিছ
রমজানের সংযম আমি কোথাও দেখতে পাই না, বরং যা দেখি তাতে অসংযম ই চোখে পড়ে বেশি। রাক্ষসের মত শুধু চাই চাই চাই
ছাইরাছ হেলাল
রোজা এলেই সব খেতে চাই অবস্থা চলে আসে।
আরজু মুক্তা
এখন মানুষ নামক শয়তান আছে।ওরা সংযম জানেনা,বোঝেনা,।আল্লাহু সবাইকে হেদায়েত দান করুন।আমিন!!
ছাইরাছ হেলাল
এই তো, ক্রমশ শব্দ সংখ্যা বাড়ছে, একটু এগুলেই হয়ে যাবে, এখানে সংযম অতি রহিত হলেও সমস্যা নেই।
অবশ্যই আল্লাহ আমাদের সৎ পথে চালিত করবেন।
তৌহিদ
রোজার মাসে আমাদের চাহিদা যেন আরও বেড়ে যায়। সংযমের মাসে সংযম পালন না করে আমরা আরো বেশী করে তার উল্টোটা করি।
ছাইরাছ হেলাল
বাজারে ঢুকতে পারি না, দুপুর বেলায় ও।
সংযমের এই এক অদ্ভুত রূপ।
রাফি আরাফাত
আমরা কুত্তার বাচ্চা বললে খেপে যাই, আবার বাঘের বাচ্চা বললে বুক ফুলাই,অথচ দুইটাই পশুর বাচ্চা।
ছাইরাছ হেলাল
কোথায় কী ভাবে ব্যবহার হচ্ছে সেটাই বিষয়।
শাহরিন
কবিতা টা পড়েই তো মনে পরে গে!!!! ঈদের কেনাকাটার জন্য শপিংমলে যাওয়া শুরু করতে হবে তো!!!!
ছাইরাছ হেলাল
শপিং মলে যান, সমস্যা নেই, তবে নাদান গরীবদের দিকে চৌক রাখলেই হবে।
শাহরিন
খালি কি এমনে চোখ!!! চশমা পড়ে ডাবল করে চোখ দিব, লাগে ২/৪ জোড়া ভাড়া নেয়া হবে।
ছাইরাছ হেলাল
এত এত চোখ নিয়ে আবার কাউকে বিপদে না ফেললেই হল!!
শাহরিন
এটা কিন্তু পক্ষপাত করে বলা হয়েছে, আমি বুঝেছি।
ছাইরাছ হেলাল
আরে নাহ্, ধরুন আপনি হেভভি কড়া চোখে একটি ড্রেসের দিকে লুক দিলেন,
ড্রেসটি সেটি নিতে পারলো না, কেদে দিল প্যাও প্যাও করে, বা ড্রেসটিতে আগুন লেগে ভস্ম হয়ে গেল!!
তাই সাবধানের মার নেই!! বুঝতে হপে।
জিসান শা ইকরাম
এ এক আশ্চর্য জাতি আমরা,
মুখেই কেবল মুসলমান, ভিতরে একেক জন্য লোভী শয়তান,
যার লকলকে জিহ্বা নেমে আসে কয়েক হাত।
এর বৈধতা দেই আমরা বেশী বেশী নামাজ পড়ে।
ছাইরাছ হেলাল
আমাদের প্রার্থনা আর কাজ/কর্ম যোজন যোজন দূরত্বে!!
এভাবেই আমরা বিধাতার সাহায্য মেকি ভাবে চাই।
শামীম চৌধুরী
যার আছে ভুড়ি ভুড়ি
সে চায় আরো বেশী।
দারুন লিখেছেন।
ছাইরাছ হেলাল
চাইলে সমস্যা নেই, অন্যায়/অন্যায্য চাওয়া আমাদের কোথায় নয়ে দার করাচ্ছে।
সাবিনা ইয়াসমিন
অসুখ কোনোটাই ভালো না। আর সুখের অসুখ তো আরও ভয়ংকর। নিজে ছাড়তে চাইলেও অসুখে ছাড়ে না। হুম, রমজান এলে এক শয়তান বন্দী হয় ঠিকই কিন্তু আমাদের দেশের ব্যবসায়ী শয়তান গুলো সব একযোগে মুক্তি পায়।
ছাইরাছ হেলাল
এ শয়তান দেখছি আসল শয়তান থেকেও কয়েক কাঠি সরেস!!
এরা দলে দলে দল বেঁধে প্রকাশ্য দিবালোকে কাউকে তোয়াক্কা না করে নাঙ্গা ছুরি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
সাবিনা ইয়াসমিন
হ্যা। এরা প্রকাশ্যে ছুরি হাতে ঘুরে। আর তাদের রক্ত–মাংসের যোগান দিতে আমরা আমাদের খুলে–ঢেলে দেই। 😞😞
ছাইরাছ হেলাল
আমাদের রাজি অ-রাজিতে কিছুই আসে যায় না।
তাদের হাত খুব বড় এং দূর প্রসারিত।
মনির হোসেন মমি
রমজান এলেই সব কিছুই একটু বেশী বাড়াবাড়ী হয় এই আর কি।এটা অনেকটা বুঝেছি গুরু।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি কী না কী কন!
আল্লাহ আমাদের এই রমজানে হেদায়েত করুন এই কামনা ই করি।