এসেছিল সে নিশুতির চাঁদ-জ্যোৎস্নায়
গহীন স্তব্ধতার গা বেয়ে বেয়ে,
জোয়ারে উছল-উতল হয়ে, দু’কুল ছুঁয়ে ছুঁয়ে,
ভিজতে-ভিজতে ভেজাতে-ভেজাতে;
কাক-ভেজা-ভেজা হইনি তা-ও-নয়।
সেবারে
দ্বীপানুতে ইলিশের পিঠে চড়ে পার হয়েছি
খরস্রোতা নদী, অদম্য শরীরী সবল সুস্থতায় জেগেছি
অহোরাত্রির নিঘুম-ঘুম-নদীতে,
ভরে উঠেছিল নদ-নদী এমনকি শাখা-প্রশাখা
কানায় কানায় কল-কল-ছল-ছল সশব্দে।
আগন্তুক-বেশে পুরনো ছল ছলা/কলা ঝেড়ে ফেলে
বা নূতনের মত নূতন কোন ছল করে ছল ধরে,
বহুগামিতার কালশিটে লাল-দাগ কপালে পড়ে হলেও
এসো আবার, অন্য কোন রূপে ভিন্ন ভিন্ন সাজে/রূপে;
ঈশ্বরের দোহাই,
একবার হলেও এসো
ভিজতে/ভেজাতে শুধুই একবার, শেষবার
কলকলা জল-জোয়ারের মতো;
তেতো/মিষ্টি পেত্নীর মতো।
হিজল সন্ধ্যায় তোমার আলপথে আজ নূতন নাগর,
চৌহদ্দি পেড়িয়ে বারান্দায় জাঁকিয়ে বসেছে,
তবুও বৃষ্টির অবগুণ্ঠনে এক বার এসো;
২০টি মন্তব্য
মায়াবতী
ও মা ! এসে ছিল তো ভিজতে ভিজতে ভেজাতে ভেজাতে কিন্ত পাত্তা তো দিছিলেন না তাইলে এখন ক্যারে এতো হাহাকারী ডাক ডাকতেছেন কবি মশাই !!! এই প্রথম আপনার একটা কবিতার সব গুলো শব্দের সাথে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেছি পড়ার সময়, বাব্বা কি সব ভয়ানক কঠিন কঠিন কবিতা যে লিখেন আপনি ! পড়তে গেলে বাংলা অভিধান খুঁজতে হয় । 🙂
তথাপি আপনার সব কবিতার দারুণ ভক্ত হয়ে গিয়েছি আমি , চমৎকার অনুভূতি তৈরী হয় মিট্টি কি খুশবুর মত ।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার এ প্রশংসা নেয়ামত হিসেবে মেনে নেয়ার সক্ষমতা আল্লাহ আমাকে দান করবেন
এ আশাও রাখছি!
শুনতে পাই মিট্টি কা খুশবু খুব দামী!! সইবে কীনা বুঝতে পারছি না।
মাহমুদ আল মেহেদী
কবিতা যে অসাধারন হইছে এটা অন্তত বুঝতেছি ।
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য ধন্যবাদ,
তেমন কিছু এখনো লিখতে পারিনি, চেষ্টায় আছি তা বলতে পারি।
মোঃ মজিবর রহমান
বৃষ্টি ভেজে, আপনাকেউ ভেজায়, বেজায় মধুর ভেজা!
বারংবার ভিজতে বুঝি চায় মন ঐ ভেজা।
দারুন আকুতি আপনার।
ছাইরাছ হেলাল
ঐ আকুতিটুকুই সম্বল
ভালো থাকবেন অবশ্যই
মোঃ মজিবর রহমান
আকুতি নিয়েই আছি ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
চালু রাখুন, সেটাই।
মৌনতা রিতু
বাপরে! কি আকুতি।
এবার যে তাকে আসতেই হবে।
কলকলিয়য়ে, ছলছলিয়ে।
মুগ্ধ ভীষণরকম। কবিতায় ভালো লাগা শতো শতো।
তাই তো মাইক লাগানো, হারিকেন জালানো, জোরে বলে ওঠা, হ্যালো শুনছেন!!
মায়াবতী
😀 🙂 😀 🙂 🙂 🙂 😀 😀
ছাইরাছ হেলাল
এগুলো কী না কী এঁকে দিচ্ছেন আল্লাহ মালুম!
ভয় দেখাচ্ছেন কীনা তা একটু বুঝিয়ে দিন, ম্যাম!
ছাইরাছ হেলাল
এবারে আসবেই!
আপনাকে জানান দিয়েছে বুঝি!!
শত শত-তে পোষাচ্ছে না, আর একটু যদি বাড়িয়ে দিতেন!
রিতু জাহান
জানান দিচ্ছে ভোরের শিশির।
ঔষধি গাছ সুপ্তিতে আরামে ঝিমোচ্ছে
আপনার কবিতায় ভালো লাগা শতো শতো কোটির হিসেব, এটা বুঝে নিতে হবে গুরুজি।
তা লেখা কি আজ লজ্জাবতি লতা? এতো কম কেনো আসা?
অপেক্ষা অপেক্ষা।
ছাইরাছ হেলাল
সব্বাই কি আপনার মত গুণী!!
ঝটপট লিখে দিতে পারে!!
আইচ্ছা লেখা ভালু লাগা বুঝিয়া পাইলাম!!
জিসান শা ইকরাম
আসতেই হবে তাকে,
কমেন্টের ঝামেলা যাবে যে কবে?
ছাইরাছ হেলাল
আসুক, আসতেই পারে, আশা করতেই পারি।
সমস্যা কাটেনি এখনো।
নীলাঞ্জনা নীলা
সে কি এসেছিলো?
এই কবিতা লেখার প্রায় বিশদিন তো হয়ে গেলো।
যদি এসে থাকে, তবে একধরণের মন্তব্য। আর না এলে অন্যরকম। আগে জেনে নেই উত্তরটা।
ছাইরাছ হেলাল
এসেছে, না এসেই!
এবারে মন্তব্য করুন,
ঠিক-ঠাক না হলে কিন্তু খবর আছে!
নীলাঞ্জনা নীলা
তাহলে তো আর মন্তব্য করার কিছুই নেই। এসেছে, না এসেই, তার মানে তো হয়েই গেলো।
ছাইরাছ হেলাল
বাহ্, হওয়া-হওয়ি দেখছি পানি বৎ তরল!